জেবীন'এর ব্লগ
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (রওজা জেয়ারত)
ছোটকাল থেকেই আল্লাহর বান্দা, রাসূলের উম্মতরা বড় হয়ে উঠি হায়াতুন নবীর রওজা জেয়ারতের ইচ্ছে নিয়ে। ওমরা কিবা হজ্বে যাবার তৌফিক যাদের হয় মসজিদে নববী'তে গিয়ে এই ইচ্ছে পূরনের সৌভাগ্য পান তারা। সাধারনত হজ্বের প্রথমদিকের ফ্লাইটগুলোতে যারা যায় তারা আগে মদিনাতে গিয়ে পরে মক্কাতে যান, এঁনারা বেশিদিন মদিনায় অবস্থান করতে পারেন। আর হজ্বের শেষের দিকে যাওয়া হাজীরা আগে হজ্বের কাজ সমাধা করে পরে মদিনায় যান মাত্র ৯/১০দিনের জন্যে। ভীষন ভিড় থাকে এসময়ে মসজিদে নববী'তে, রওজা জেয়ারত করার সময় প্রচন্ড চাপাচাপি চলে। হজ্বের কালে প্রথমদিকে যারা যান, এই ভিড়টা এড়িয়ে শান্তির সাথে ইচ্ছেমতোন রওজা জেয়ারত করতে পারেন। আল্লাহ আবার কখনো হজ্বে যাবার তৌফিক দিলে আগে মদিনায় যেতে চাই।
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (২)
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (২)
হজ্বের সময়ে কাবা শরীফ প্রথম নজরে আসার সাথে সাথে যে দোয়া করা হয়, আল্লাহ সুবহানাল্লাহতালা সেটি অবশ্যই কবুল করেন। কিন্তু কাবা নজরে আসামাত্রই মনমগজে যেই ধাক্কাটা লাগে, কি দোয়া বলতে কি বলা হবে তা তালগোল পাকিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে কাফেলা থেকে শিখিয়ে দেয়া বাংগালী চিপাবুদ্ধি হলো, কাবা দেখামাত্র ঝটপট বলে দেয়া, "ইয়া আল্লাহ, এই হজ্বের কালে যতো দোয়া করবো, সেসব কবুল করে নেন মাবুদ"।
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮
ধূসর- কালো-সাদা এমনি সব রঙের চঞ্চল কবুতরদের ঝাঁক দু'হাত মেলে ছুটে এসে উড়িয়ে দিতে দিতে খিলখিল করে হাসছিল শ্বেতশুভ্র পোশাকের মেয়েটা, সাদা পরীর মতোন লাগছিলো ওকে আর সেই মূহুর্তটাকে নীচু হয়ে বসে ফ্রেমবন্দি করায় ব্যস্ত ছিল সঙ্গী ছেলেটা। যদিও দূর থেকে মেয়েটার বাঁধভাঙা হাসি কানে পৌঁছাচ্ছিলো না, কিন্তু তাও খর-রোদতাপা কংক্রিট-বালুময় রুক্ষ ঐ পরিবেশের মাঝে এই সামান্য দৃশ্যটাও বেশ নজর কাড়লো। শ্রান্তক্লান্ত হয়ে হেঁটে ওদের পেরিয়ে আসতে আসতে ভাবছিলাম, এইদিকে এমন করে হাসতে দেখিনি কাউকে, আর এতোটা পরিপাটি সাজের মেয়েও চোখে পড়েনি। ঠিক তখনই মনে পড়ে গেলো, এরা নিশ্চয়ই স্থানীয় বাসিন্দা, আজ এদের সাজসজ্জাতো হবেই। কারন আজ তো এখানে ঈদ।
২০২০ঃ করোনা কালে হজ্বের তাওয়াফের ছবি। নেট কালেকটেড
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)
কিছদিন আগে খবর এলো, এবছরের নভেম্বরের পর থেকে এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) ছাড়া সব ম্যানুয়েল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে। এখন আবার হজ্বের মৌসুম, এর উপর এমআরপি করার তাড়া, স্বভাবতই পাসপোর্ট অফিসে ভিড়ভাট্টা থাকারই কথা। ভেবেছিলাম না জানি কি যন্ত্রনা আর সময় লাগে এমআরপি করতে গিয়ে; কিন্তু কারুর সাহায্য ও পরামর্শ ছাড়া নিজেই আবেদনপত্র জমা দিয়ে মাত্র সাত কার্যদিবস মধ্যেই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গেলাম! হ্যাঁ, এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু যত অনিয়ম-অস্বাভাবিক নিয়মতান্ত্রিকতার মাঝে এটুকু স্বাভাবিকত্বে যারপরনাই খুশিই হয়েছি।
"সংবাদ উপস্থাপনা কৌশল"
বর্তমানে 'সংবাদ উপস্থাপনা' বিষয়টির পরিসর বেড়েছে বহুগুনে, সেই সাথে এর আকর্ষনীয়তাও। একসময় বলা হতো, খবর পাঠক তোতাপাখির ন্যায় কেবল সুনির্দিষ্ট স্ক্রিপ্ট পড়ে যান। এখন আর একথা বলার জো নেই। খবর পড়ে যাওয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই আজকের সংবাদ পাঠকের দায়িত্ব। খবর তৈরীর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে হয় তাদের, যাতে করে স্বতস্ফুর্তভাবে খবরের তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। তাই বর্তমানে কেবল সংবাদ পাঠক নন, তারা একেকজন সংবাদ উপস্থাপক বলা যায়।
হারায়ে খুঁজে ফিরি
ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে এর মাঝে সব ভুলে কাথাঁমুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকার আমেজটা নিতে চাইতাম কত করে। কিন্তু বৃষ্টি আসার লক্ষনেই ছুটে গিয়ে উঠান থেকে কাপড় তোলো, পূব-দক্ষিনের জানালা টেনে দাও, বসার ঘরে কার্পেটটার কোনা বড় করে ভাঁজ করে দেও, ঘরে ঘরে বৃষ্টির পানি পড়া জায়গায় ফলস সিলিং সরিয়ে তার নীচ বরাবর ঘটিবাটি দেও, আল্লাহ আল্লাহ করো পশ্চিমের গাছটার ঝাপটায় যেন কাচঁ না ভেঙ্গে পড়ে প্রায় যেমনটা হয় - এমনি কতো, কতো কি যে ছুটাছুটি লেগে যেত এক বৃষ্টি এলেই!
ছবি চুরির মুল্লুক!
প্রতিটা শিল্পীর অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধার বহিঃপ্রকাশই যেকোন শিল্পকে বিমূর্ত করে তোলে। ফটোগ্রাফিও এমনই এক শিল্প যা ফটোগ্রাফারের ধৈর্য্য, মননশীলতার প্রতিচ্ছবি। যেকোন বিষয়, মূহুর্তকে ছবির মাধ্যমে অতি সহজেই উপস্থাপিত করতে আলোকচিত্র মূখ্য ভূমিকা পালন করে। আর সব শিল্প-সাহিত্যের মতোই প্রতিটি ছবির উপর থাকে আলোচিত্রীর একক সত্ত্বা। সারাবিশ্বেই যেকোন কাজে ব্যবহারকৃত ছবির কৃতজ্ঞতা প্রদানের মাধম্যেই সংশ্লিষ্ট আলোকচিত্রীর স্বীকৃতি দেয়া হয়ে থাকে। একজন আলোকচিত্রী কি পরিমান শ্রম, মেধা, সময়ক্ষেপন করে সাধারন একটি মূহুর্তকে অসাধারন রুপে ফ্রেমবন্দি করে সকলের কাছে আকর্ষনীয় এক ছবি উপস্থাপন করেন, তার ছবি ব্যবহারের সময় সে মানুষটার অনুমতি নেয়া অথবা তার প্রতি সামান্যতম কৃতজ্ঞতা প্রকাশেও অনীহা অনেকেরই। চৌর্য্যবৃত্তি সব শিল্প ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তবে বর্তমানে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা যেন চৌর্য্যবৃত্তিকেই এক অনন্য শিল্পে প
১১৩৪ - সংখ্যা নয়, প্রাণ
বাংলাদেশের পোষাক শ্রমিকদের প্রাণ হারানো যেন নিত্যনৈমত্তিক বিষয়, দিনে দিনে বাড়ছে সেই বঞ্চনা নিপীড়নের গল্প। হ্যা, সব কিছু একসময় গল্পই হয়ে যায়! পোষাক কারখানার কষ্টকর জীবনযাপন তো চলছেই দিনমান, তবে পোষাক শ্রমিকদের প্রাণ হরণের যে যজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল, সেই অভিষপ্ত রানা প্লাজা'র কথা ভুলতে পারা যায় না। ১১৩৪ এর পরও অগুনিত প্রাণের আত্নাহুতি হয়েছিল মৃত্যুকূপ রানা প্লাজায়। এই ১১৩৪ কেবলি হাতে গোনা সংখ্যা নয়, এই গুনিতব্য সংখ্যার হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর সাথে জড়িয়ে ছিলো আরো হাজারো প্রানের আশা আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন। সেই হাজারো স্বপ্ন কি অবলীলায় চুরমার হয়ে গেল। বছর পেরিয়ে আসছে ভয়াবহ সেই দিন।
সুন্দরবন ভ্রমন ২০১৩ (পর্ব ৫)
সময় সুযোগ পেলে হরহামেশাই কক্সবাজার ঘুরে আসেন প্রায় সকলেই, কিন্তু সেই তুলনায় সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলেও, সুন্দরবন বেড়াতে যাওয়ার নানান নিয়মকানুন আর অমূলক ভয়ের কারনেই অনেকের যাওয়া হয়ে ওঠে না । এই ক্ষেত্রে সুন্দরবন যেতে চাইলে ট্যুর কোম্পানী অথবা অভিজ্ঞ কারো সাথে যাওয়াই ভালো। সুন্দরবন ঢোকার ব্যাপারে হরেক রকমের বাধ্যবাধকতা আর নিয়মকানুনের ঝামেলা পোহাতে হবে না যদি কোন ট্যুর কোম্পানী কিবা অভিজ্ঞ কারুর সাথে যান। অনেকেই আবার বাঘের ভয়ে সুন্দরবন যেতে চাননা। কিন্তু বাঘের এই আকালের সময়ে বাঘের দেখা পেয়েছেন এমন কারুর দেখা মেলাই ভার! আর প্রকৃতির কোন কিছুকে বিরক্ত না করলে তাও নিশ্চয়ই বিরূপ হবে না মানুষের প্রতি। বাঘও বিরক্ত করেনা। তাই এইসবের চিন্তায় সুন্দরবনের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তা না দেখা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার মানেই হয় না।
সুন্দরবন ভ্রমন ২০১৩ (পর্ব ৪)
সকালের নাস্তা খেয়ে উঠতে না উঠতেই সবাইকে ট্রলারে চাপিয়ে আবারো বেড়িয়ে পড়া হলো কটকা বীচের উদ্দেশ্যে। কাদা, শ্বাসমূল এড়িয়ে চলার জন্যে কাঠের ব্রিজ তৈরী করা, কিছুদূর যেতেই কয়েকটা দেখা মিলে বনবিভাগের তৈরী করা কিছু কটেজ, লাল-শাপলায় পরিপূর্ন পুকুর। কয়েকগ্রুপে ভাগ হয়ে কেউ কটেজের দিকে, কেউ বাঘের আশায়, কেউ বীচের দিকে আগাতে থাকলাম। হাল্কা গাছের সারি পেরিয়ে গেলে গোলপাতা আর আরো নানান গাছেরসারির মাঝে দেখা মেলে সার সার হরিণের দল। চারদিনের ট্যুরে যত হরিণ দেখেছি এখানকার হরিণের পাল দেখতে বেশি আকর্ষনীয় লেগেছে। চঞ্চল নয় অপেক্ষাকৃত শান্ত, ছোটবড় অবাক হয়ে চেয়ে থাকা প্রানীগুলোর সৌন্দর্য্যতা মুগ্ধতা এনে দিবে যে কাউকেই নিঃসন্দেহে।
সুন্দরবন ভ্রমন ২০১৩ (পর্ব ৩)
সুন্দরবনে ভ্রমন ঠিক যতটা এডভেঞ্চারের ততটাই প্রশান্তিময়। একদিকে শহরের ধূলায়ভরা, কালো ধোয়াঁতে ভারি বাতাসের মাঝ দিয়ে জীবনের নানান ব্যস্ততায় ছুটাছুটির পরিবর্তে কোলাহল বিহীন পাখির কুজনের মাঝ দিয়ে স্রোতের সাথে কলকলিয়ে চলা, সাথে রয়েছে সম্পূর্ন এক গা ছমছমে বন্য পরিবেশের মাঝে দিয়ে পরিভ্রমন যা কিনা সুবিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান হিংস্র বন্যপ্রানীতে পরিপূর্ন!
সুন্দরবন ভ্রমন ২০১৩ (পর্ব ২)
বাংলাদেশের দক্ষিনপ্রান্ত থেকে ভারত পর্যন্ত চলে যাওয়া বিস্তীর্ন সুন্দরবনের বেশিরভাগই ম্যানগ্রোভ বন দ্বারাই পরিপূর্ন। পঞ্চাশ প্রজাতির ম্যানগ্রোভের মাঝে সাতাশ প্রজাতির দেখা মেলে সুন্দরবনে। জীববৈচিত্রের অপার সম্ভার এই বনকে ইউনেস্কো ১৯৮৭ সালে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছে। অতুলনীয় সৌন্দর্য্যময় ল্যান্ডস্কেপ ছাড়াও এখানে রয়েছে অসংখ্য বন্যপ্রানীর সমাগম। প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক রয়েল বেঙ্গল টাইগার, নানান প্রজাতির হরিণ, কুমির, বানর, সাপ এবং প্রায় দু’আড়াই’শ প্রজাতির পাখি দেখার আশায় সুন্দরবন ভ্রমনে আসেন।
সুন্দরবন ভ্রমন ২০১৩ (পর্ব ১)
ভোরের আলো না ফোঁটা মেঘবিহীন বৈশিষ্ট্যহীন আকাশ, শীতের আবছা কুয়াশার চাদর কেটে ট্রলার নীলচে-সবুজ পানির উপর দিয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, দু’ধার জুড়ে গোলপাতাসহ নাম না জানা হরেক গাছের সারি ঘন থেকে আরো ঘন হতে হতেই সামনের দূরে এগিয়ে আসা বাঁকটা যেন হারিয়ে যাওয়া কাউকে যেন তীর খুজেঁ পাবার আশায় উদ্বেল হবার হাতছানি দিয়ে যায়! টলটলে পানি, নির্মল বাতাস, গাছেরসারি, থমকে যাওয়া একঘেয়ে আকাশ, সবকিছুর মাঝ দিয়ে চলছি আমরা সমান তালে সাথে যাচ্ছে কেবল থোক থোক কুয়াশার দল! চারপাশে পাখি ডাকারও শব্দটি নেই, অভিযাত্রীদের কেবল শ্বাসের শব্দে উপস্থিতি জানান দিয়ে যায় সুন্দরবনের এই অপার সৌন্দর্যতার।
অপরুপ এই দৃশ্যটি ছিল, সুন্দরবন ভ্রমনের প্রথম প্রহরের। কোন ছবিতেই এই ভ্রমনে দেখা সৌন্দর্য্য তুলে আনা যাবে না, সে কেবলি উপভোগের একান্ত অনুভূতি।
“আমরা বন্ধু আর শখের ফটোগ্রাফী”
আজকে “আমরাবন্ধু”র জন্মদিন।
আমরাবন্ধু - একটা শব্দ, একটা একাত্মতা! যারাই এর সাথে কিবা পাশেই আছেন/থাকেন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন এই আত্মীকতা। এর সাথে জড়িয়ে দূরে-কাছে, নিরবে কিবা সরবে থাকা সবাই যে যা তাই আছেন। আদিখ্যেতা, ‘আমি কি হনু রে’ একে অন্যের সাথে দুই’মুখতা, পিঠচাপড়ানো – এইগুলো এখন অব্দি নেই বলেই মানুষগুলোকে জানাচেনার গন্ডিতে নিয়ে আসা যায় সহজেই।
আমরাবন্ধু গ্রুপ হিসেবে আন্তর্জালে অনেক আগে থেকে রইলেও ব্লগের জগতে “আমরাবন্ধু” সেই প্রথমদিককার ব্লগ নয়। কিন্তু এতে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ব্লগজগতের শুরুর দিকের নিকের আড়ালে রইলেও ‘এবি’তে এসে আর তা থাকেন নি, হয়ে উঠেছেন একে অপরের আদতেই বন্ধু। তাই নির্দ্বিধায় আলাপ-আলোচনা, রাগ-ভরসা করা চলে এই বন্ধুদের ওপরই।
টেলিফোনের আলাপন
- ক্রিং ক্রিং টেলিফোন! হ্যালো হ্যালো হ্যালো!!
- কে তুমি? কাকে চাও বলো বলো বলো?
- আমি ম্যাও, হুলো ক্যাট! ইদুঁর’কে চাই, জরুরী আলাপ আছে, তুমি কে হে ভাই?
- আমিই ইদুঁর, তবে কথা হলো এই, আমি গেছি মার্কেটে, বাড়িতে নেই!!
……
ছোট্টবেলায় শোনা এই ছড়াটা নেহাৎ মিথ্যে নয়, সব রকমের দরকারি যোগাযোগের পাশাপাশি, যুগে যুগে এমনি গা বাচিঁয়ে চলার এক মোক্ষম উপায় হলো টেলিফোন। টেলিফোনের উত্তরোত্তর উন্নয়নের কল্যানের ফল যে মোবাইল ফোন তা তো এহেন ইদুঁর-বেড়াল লুকোচুরিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে! অফিসের বস, ঘরের বৌ, কিবা এড়িয়ে যেতে চাওয়া বন্ধু – এমনি আরো নানান বেগতিক পরিস্থিতির সবার কাছে থেকে বাচঁতে অবলীলায় এটা ওটা বলে পার পেয়ে যাচ্ছি! আবার করেও চলছি নানান মিথ্যের বেসাতি।