টেলিফোনের আলাপন
- ক্রিং ক্রিং টেলিফোন! হ্যালো হ্যালো হ্যালো!!
- কে তুমি? কাকে চাও বলো বলো বলো?
- আমি ম্যাও, হুলো ক্যাট! ইদুঁর’কে চাই, জরুরী আলাপ আছে, তুমি কে হে ভাই?
- আমিই ইদুঁর, তবে কথা হলো এই, আমি গেছি মার্কেটে, বাড়িতে নেই!!
……
ছোট্টবেলায় শোনা এই ছড়াটা নেহাৎ মিথ্যে নয়, সব রকমের দরকারি যোগাযোগের পাশাপাশি, যুগে যুগে এমনি গা বাচিঁয়ে চলার এক মোক্ষম উপায় হলো টেলিফোন। টেলিফোনের উত্তরোত্তর উন্নয়নের কল্যানের ফল যে মোবাইল ফোন তা তো এহেন ইদুঁর-বেড়াল লুকোচুরিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে! অফিসের বস, ঘরের বৌ, কিবা এড়িয়ে যেতে চাওয়া বন্ধু – এমনি আরো নানান বেগতিক পরিস্থিতির সবার কাছে থেকে বাচঁতে অবলীলায় এটা ওটা বলে পার পেয়ে যাচ্ছি! আবার করেও চলছি নানান মিথ্যের বেসাতি।
মিথ্যে দিয়েই যে সব সমাধান হয় তবে তো হয়েই ছিলো। সব মিথ্যেরই শেষ আছে। ছেলেবেলায় ইংরেজী “লুটেন্যান্ট” বানান সহজ করে শিখতে চাইতাম যে ক’টি শব্দ দিয়ে তা ছিলো – মিথ্যা তুমি দশ পিপঁড়া = lie-u-ten-ant. এমনি মিথ্যের এই দশ পিপঁড়ার লটবহর কিন্তু ঠিকই কামড়ে দেয় কোন না কোন সময়! সবচেয়ে গোবেচারা ধরাটাই বলি,এই সেদিন দরকারি এক কাজের জন্যে ফোন দিতেই একবন্ধু কথা বললো, যেন প্রচন্ড অসুস্থতায় মরমর হালে আছে এমনি কন্ঠে,বিছানায় তার জীবন প্রদীপ এই নিভলো বলে! পরমূহুর্তেই অন্যবন্ধু স্পিকার অন করে ফোন করতেই কি ঝরঝরা প্রানোচ্ছল গলা শোনা গেলো তারঁ! ধরা খাওয়ার পরের কাহিনী উহ্যই রাখলাম।
১৮৭৭-৭৮ সময়কালে প্রথম টেলিফোন লাইন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জের শুরু হয়। সেই আদিকালে অপারেটরের আশায় আশায় বসে থাকা লাগতো কবে অমুকখানে লাইন লাগবে, তবেই কথা বলা যাবে! সময়সাপেক্ষ এই পদ্ধতিতে প্রয়োজন পড়তো অপারেটরের। এই অপারেটরদের নিয়েও নানান পদের ঘাপলা লেগেই থাকতো, বিজ্ঞানের উন্নতির এইকালেও অপারেটর জনিত যন্ত্রনা ভিন্নমাত্রায় হলেও এখনো বহাল তবিয়তেই আছে!
বলা হয়ে থাকে মেয়েরা অফিসের কাজে তুলনামূলক ভাবে দক্ষতার পরিচয় দেয়, তা তাদের ধীরস্থিরতার জন্যেই হয়তো। এ ব্যাপারটা বেশ পরীক্ষিত টেলিফোন কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে। টেলিফোন মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে অনেক বড় মাত্রায়। শুধুমাত্র বর্তমানকালে নয়, টেলিফোন কোম্পানিগুলো শুরুর সময়েই প্রমানিত হয়ে গেছে, অপারেটর হিসেবে মেয়েরা ছেলেদের চেয়েও দায়িত্বশীল এবং উপযুক্ত।
ফটোগ্রাফডঃ কিইস্টোন
“দা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিন” অক্টোবর ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত “মিরাকল অব টকিং বাই টেলিফোন” নিবন্ধে এফ ব্যারোস কোল্টন, ১৮৮০সালে ভার্জিনিয়ার এক টেলিফোন সুইচবোর্ডের ছবি প্রকাশ করেন যা কিনা মেয়ে অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত। কোল্টনের ভাষ্যমতে, অপারেটর পদে মেয়েদের যোগদান বেশ আশাতীত সুফল এনে দিয়েছিল টেলিফোন কোম্পানিকে।
অপারেট হিসেবে এমনি এক লাইন থেকে অন্য লাইনে টেলিফোনের কল সংযোগ দেবার কাজে মেয়েদের একছত্র দাপটের অবসান ঘটে ১৯০০ সালের দিকে। কানসাসের এলমন স্টোওয়েগার নাম্নীয় এক মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থাকারী,যার কিনা সন্দেহ ছিলো যে, অপারেটর তার ব্যবসার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে তারঁ টেলিফোন কলগুলো দিয়ে দিচ্ছে! অপারেটর মহিলাদের উপর ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে এলমন নিজেই আবিষ্কার করে বসেন “স্বয়ংক্রিয় ডায়ালিং সিষ্টেম”। এর ফলেই টেলিফোন এক্সচেঞ্জে অপারেটরদের প্রয়োজন ফুরায় আর মানুষ অল্পসময়ের মধ্যেই কাংক্ষিত নম্বরে কল করতে পারছে।
তথ্যসূত্রঃ http://ngm.nationalgeographic.com/flashback/2001#/2001-12-FB.jpg
কবি এইখানে কী বুঝাইতে চাইলো ? বুঝি নাই। মানে আমার এন্টেনায় ধরে নাই
টেলিফোন বিষয় লেখায় জেবীন ফেইল - সাঈদ ভাই পাশ

কি সুন্দর চমৎকার একটি লেখা!
আইছে তেলের বাটি লইয়া
আসেন আপনারে একটু মাখায় দেই
ইয়ে মানে... অপারেটর দিয়াও লাইন পাইলাম না
সলিড জ্ঞান!
গুড পোষ্ট!
জেবীন থিসিস ভাল হইছে।
টেলিফোন আবিষ্কারক গ্রাহেম বেল এর প্রেমিকার নাম হ্যালো। এই হ্যালো নামটি তিনি তার প্রেমিকার জন্মদিনে উপহার দেন। কি অসাধারন উপহার। আমরা সবাই বলি হ্যালো।
এত কঠিন পড়া দিলা কেন? এন্টেনার উপর চাপ দিও না পিলিজ লাগে।
মন্তব্য করুন