"অগনন কুসুমের দেশে, নীল বা নীলাভ গোলাপের অভাবের মতন তোমার অভাব অনুভব করি!"
ঢাকা শহরে সাধ-সাধ্যের মাঝে শান্তি মতোন বাড়ি খুজেঁ পাওয়াই তো দুষ্কর। দক্ষিনা বারান্দা থাকে তো, রান্নাঘরের জানালা রইবে ঘুপচি মতোন, কিবা কমন স্পেস নয়তো শোবার ঘরের মাঝেই ইয়া চওড়া এক পিলার! তবে সাধ্যের মাঝে এই ছোট্ট ফ্ল্যাটটা বেশ ভালোই বলা চলে, হাওয়া-বাতাস চলাচল করে বেশ। সবচেয়ে ভালো কথা হলো একটা পাশে এখনো দালানকোঠা ওঠেনি তাই পুরোটাই ফাকাঁ বলতে গেলে। ঘরগুছানো রিমি’র পছন্দের কাজগুলোর একটা, কর্তব্যের খাতিরে নয়, ছোট্টবেলা থেকে পুতুলের ঘর-ঘর খেলার মতোই যেন আদর নিয়ে সংসারের খুটিনাটি কাজ করে ফেলে, এই করতে করতে আগামীকালের অফিস-ঘর দুইয়েই কাজের প্ল্যান সাজিয়ে ফেলে মনে মনে, কিবা কল্পনাপ্রবন মন পরতে পরতে করে নেয় স্বপ্নে্র বুনন। রান্নাঘরের গ্রীলের আগল গলে শরীর জুড়ানো বাতাস আসছে, ক্লান্তি দূর করে দেয়ার মতোই। কিন্তু আজকের সারাদিনের ধকলের কারনে কিচ্ছুতেই কিছু হচ্ছে না। ঘরদোর পরিষ্কার করে, কখন রান্নাটা শেষ করে সব গুছিয়ে তুলবে তবেই শান্তি। বুয়া সকালে কুটে বেছে না রেখে গেলে আজ রান্নাও বসাতো না, এখন সপ্তাহের রান্না করে তা ভাগে ভাগে ফ্রিজে তুলে সব গুছিয়ে তুলবে তবেই শান্তি।
খাবারের পাট চুকিয়ে গোসল করে ঝরঝরে শরীরে যেই বিছানায় গা এলিয়ে দিচ্ছে, লাগোয়া দক্ষিনের বারান্দা থেকে অস্থির ডাক -“এই এদিকে আসো তো। শুয়ে পড়ো না, আরে, দেখেই যাও না মনা”
সারাদিনের কাজের ক্লান্তিতে হাত পা ছেড়ে আসছে আর উনি এসেছেন এখন আদিখ্যেতা করতে! দাতঁমুখ খিচিঁয়ে বলে উঠলো – “জাহান্নামে যাক, এখন পারবো না উঠতে! আছো তো দিনভর এই নিয়েই এট্টু ঘরের দিকে নজর দিলেও তো হয়!”
যদিও আজ অফিসে ঘটে যাওয়া পরপর ঘটন-অঘটন মাথায় ঘুরছে অবিরত। নানা পাশে জীবনের কত জটিলতা, ভাঙ্গনগড়ন, মানুষের কুটিলতা – মন বিষিয়ে আছে আজ। আর কাজ সমাধা না করতে পারলে, অস্থিরতায় কাটে, একের পর এক নষ্ট হতে থাকে বাকি কাজগুলো। এমনি কিছু কারনেই মেজাজ এলোমেলো হয়ে আছে। বেশ বুঝতে পারছে আরো খারাপ হতে থাকবে, যতক্ষন না ধুত্তোরি ছাই, হলে হবে আপনাতেই সব ঠিক – এই বলে মাথা থেকে না নামাতে পারে চিন্তাগুলো।
আজ কাজের ব্যস্ততার সাথে সাথে নূরীর ব্যাপারটা শুনে আরো কষ্টে আতংকে ছেয়ে আছে মন। ৮ বছরের সম্পর্ক, ঘর বাধাঁ, একসাথে পথচলা – সব নিমিষেই মুছে দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই মেরেধরে এক কাপড়ে রাতদুপুরে বের করে দিয়েছে ওর বর, কেবল মাত্র নতুন কাউকে মনে ধরেছে বলেই! দুপক্ষের কথা এখনো জানতে পারা যায়নি, তবে এতটা কি করে হুট করেই হয়ে যায়? নাকি অনেকদিনের কুরে খাওয়া ঘুনপোকাকে সযতনে লুকিয়ে রেখেছিল নূরী সবার থেকে! কি আশ্চর্য মানুষের জীবন। আসলেই প্রত্যেকেরই জীবনে কিছু অবাক-হতবাক করা অধ্যায় থাকে, সেসব আড়ালে রেখে, কষ্টগুলো চাপা দিয়েই পথ চলে সবাই। মানুষ কেবল নিজের দুঃখকে নিয়ে হাপিত্যেশ করি, বিষন্নতায় মন বিষিয়ে ফেলি। কিন্তু সবাই যদি একে অন্যের সত্যিকারে কষ্টগুলো জানতে বুঝতে দিতো, দুনিয়াতো জাহান্নামসমই হয়ে যেত! এই বেশ, নিজ নিজ কষ্ট চাপা দিয়েই আশপাশ সুন্দর করে চলাচলের উপযোগি করেই না হয় চলি, আমার ভালো থাকা হয়তো আমারি কারুর আনন্দে থাকার উপাদান হয়ে উঠবে – কে জানে।
মুখ ঝামটা দিয়ে চুপ করিয়ে দিলেও মন ঠিকই ঘিরে রইল ও’কে ঘিরেই, কোন সময়েই বা না থাকে। পথিক যেমন পানি খুজেঁ ফেরে তেমনি নিজের আনন্দ-হাসি-কান্নাও খুজেঁ ফেরে ও’র হাসির মাঝেই। নানান শহরে শহরে কাজ করে বেড়ানো ব্যস্ত মানুষটা এখন মোটামুটি চুপচাপ করে ঘরেই কাজ করে যায়, নিজের মতোই। নাওয়া-খাওয়ার দিকেও মন নেই তেমন, মানুষটা কেবল সন্ধ্যেবেলাতেই ক্ষুধায় কাতর হয় বেশি, আর সেসময়ই কাছে থাকতে পারে না রিমি, অফিস শেষে রাস্তার জ্যাম ঠেঙ্গিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে রোজ দেরি হয়। দৃপ্ত কখনো কিছু না বললেও রুনিই এই নিয়ে মনোকষ্ট থাকে, যদ্দুর পারা যায় কিছু করে রেখে যায় ফ্রিজে। ওর ও এম্নিতর আদরগুলো বুঝা যায় ষোলআনাই। কত প্রতিকূলতায় পাওয়া দুজনের মাঝে বলা হয় অগুনিতক কথা তাও রয়ে যায় তারও বেশি। ওরা নিজেরা ঠিক করে নিয়েছে, সময় পেলেই একে অন্যেকে চিঠি লিখবে, না বলা কত কথা, নিদেন পক্ষে চিরকুটই, মান-অভিমান যাই হোক না, অভিযোগ অনুযোগ যাই হোক না কেন কিছু না কিছু লিখবেই। কত কিছুর পর নিজেরা নিজেদের পেয়েছে, একটু একটু করে বুঝে ঊঠতে শুরু করেছে। এই যে তিরতিরে আবেশটা, এই যে সারাক্ষন একে অন্যের মনটাকে ছুয়েঁ থাকা – এর চেয়ে আর কিছুরই কি মূল্য আছে! বেশ কবে কখন কি হবে, অতোটা না ভেবে ঠিক এখন নিজেদের হাতে মুঠোয় কি আছে, তাই নিয়েই না হয় থাকা হোক। ওই যে মানুষটা ওমন আকুল হয়ে ডাকছে, ভালো লাগার কিছু দেখে শিশুর মতোন বিস্ময় যার কন্ঠস্বরে, যে কেবল রিমি’র জন্যেই এমনটা অনুভব করছে – ভবিষ্যতে কি করবে তার আশঙ্কা না করে, বর্তমানটাকেই না হয় আকড়ে ধরুক। সময় মন কখনই বা একরকমের রয়, এখনকার সুন্দর মূহুর্তটা তিক্ততায় না ভরিয়ে নিজের সব ক্লান্তি শুষে নেয়ার পরশপাথরের সাথে কাটুক সময়।
বারান্দায় গিয়ে দেখে গান বাজছে, "নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছো নয়নে নয়নে" আর উনি পা ছড়িয়ে বসে আকুল হয়ে আকাশ দেখছে, জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। গুটিসুটি মেরে ও’র কোলের মাঝে জায়গা করে নিয়ে হাটু আকড়ে ধরে বসে গেলো রিমি। কিছুই হয়নি এমনভাব ওকে আরো জড়িয়ে নিয়ে ঘাড়ে মুখ গুজে দৃপ্ত জিজ্ঞেস করলো, "আমার সাথে ভিজবি রে পাগলী?”
শিরোনামের কবিতার কবিঃ বিনয় মজুমদার
ফটুক সৌন্দর্য্য হইছে
সৌন্দর ফটুকটার উর্ফে যে কিছু নেকাঝোকা আছে তা পড়িয়া আপ্নের মনের ভাবনা বয়ান করিলে কি ভালো হয় না?
লেখা নিয়ে কিছু না বলি বরাবরের মতই আটপৌরে সুন্দর হয়েছে...
কিন্তু আপু, লেখা শুরু হইছে রিমির নাম দিয়ে পরে এসে রুনি হয়ে গেল যে?
এই রে!! লিখে আর রিভাইস দেই নাই, কিন্তু কেন যেন লাগছিলো না্মের মাঝে কিছু অকান্ড করেছি, কিন্তু ঠাওর করতে পারছিলাম না। ধইন্যাপত্র বুঝিয়া নিবেন নিজগুনে পচাঁধচা বাছিয়া!
আর কবি বলেছেন, নামে কিবা যায় আসে, সে যদি থাকে আসেপাশে, ক্ষনেক্ষনে কেবলি কাশে, তবে? তবে নামে কিবা যায় আসে?
কাশতে কেনইবা হবে? সে যদি পাশে থাকে তাহলেই তো আর কিছু লাগেনা...
কি যন্ত্রনা! এম্নে করে ছন্দের মাঝে না গলাউ কেনে? সবখানে যুক্তি খাটে না!
ছন্দ মিলাইতে হাসলেও চলতো
জেবীনের মনে হয় ইয়ে টাইপ খুক খুক কাশি বেশী পছন্দ ।
পাশে'র সাথে কাশে'রে মিলাইলাম! আর নাদান'রা তাও বুঝতে পারলো না!
আর জয়ি'পু, কাশির আবার টাইপ কি উদাহরন সহ ব্যাখ্যা করেন
পাশে বসে মিষ্টি করে হাসবে! কাশবে কেন? খুক খূক কেশে কিসের ইশারা দিলো ?বিফোর মিডনাইট পর্যন্ত শুধুই সিনেমা দেখবে না সেইটা?
ইয়ে মানে আমি কি জানি! আমারে জিগাও কেন!
তাইতো, আমার মাথাতেও আসে নাই কাইশা কিসের
ঈঙ্গিত দিলো... 
এই কবিতাটা ব্যপক সৌন্দর্য। পুরাটা কই?
ভালা জিনিস অল্প খাওনের অভ্যেস করো
man is mortal = মানুষ মাত্রই ভুল
হ! মানুষ মাত্রই ভুল করার অধিকার রাখে!
চারপাশে যাই ঘটে তবু নিজের দু:খটার করুণ সুর বড় বেশি বাজে সারাক্ষণ । সেটা এড়ানো যায় না ।
অনেক দিনের সম্পর্ক, একসাথে চলার দিনগুলি ভুলে অনেকেই নতুন সম্পর্কে জড়ায় । অনেকেই বলে ভালোলাগা না থাকলে জোর করে আর একসাথে থাকা যায় না । কিন্তু দুজনের মধ্যে যে মানুষটার সবকিছুই শুধু একজনকে ঘিরে তার কথাও ভাবা উচিত । আবারও দৃজনে মিলে সুন্দর সময় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা যায় । ভালোবাসা,বিশ্বাস হারিয়ে গেলে মায়াময় দুনিয়াটাই বদলে যেতে থাকবে ।
যত যাই বলি নিজেকে ঘিরে চলা দুঃখকে ছাপিয়ে কে পথ চলতে পেরেছে। যারা পারে তার অনেক বড় অভিনয় জানে।
ঠিক যখন নিশ্চিন্ত বিশ্বাসে গা এলিয়ে দেই, ধুম করে পড়েই তবে হুশ ফেরে, আরে আমার দেয়ালটা নেই নাগালের মাঝে! .।.।। দুনিয়া কি বদলে যাচ্ছে না? তরতর করেই বদলাচ্ছে! যারা আকড়েঁ থাকছে, কষ্ট তাদেরই কুরেকুরে খায়, গাঝাড়া দিয়ে চলতে পারা অনেক বড়গুন।
গা ঝাড়া দিয়ে চলার গুণ নিয়েই আজকাল বেশীরভাগ মানুষ চলে । তাতে কতটা সুখ পায় কে জানে! আমার মনে হয় তাদের কাছে সুখ বিষয়টা আলাদা কিছু । তবু এই হয়ত ভালো ।
সুখ পাক না পাক, এম্নিতর চলাই ভালো। তবে কেউ কাউকে ধুম করেই ভুলে যেতে পারে মনে হয় না, কারন মানুষকে ভোলা সহজ না, আর সে যদিহয় ক্ষনিকের জন্যেও কাছে আসা কেউ।
কি হে, আপ্নে দেখি আক দিনমান কেবল মুচকি হাসি আর টিপসই দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন! একটা কিছু বলেন জনাব! এট্টু বুঝি দেখি আপ্নের ভাবসাব
টিপসই নিজেরটাই দিসো তো!! স্থাবর অস্থাবর সব পামু তো এই দিয়ে?
তা সাথে কালোটা আবার কি রে! ও মনু একটা কতা কইয়া যাও! 
এইটা হল পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র কবিতা। ইংরেজি হরফে লেখা আছে i অর্থাৎ আমি। কিন্তু তার ফোঁটাটা কবি তার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে দিয়েছে। যার ফলে এই "আমি" অর্থ শুধু কবি নিজেই, তার জীবনের সব কিছু।
সুতরাং আঙুলের ছাপ মোটেও ফেলনা জিনিষ না।
আজকে এই ব্লগে যতগুলো নতুন লেখা এসেছে তার মধ্যে এইটা বেস্ট। পড়ে অনেক অনেক ভাল্লাগসে।
বেস্ট - ওয়ার্স্ট যাচাই চাই না, আজ ব্লগে অনেক লেখা, অনেক কমেন্ট এই ভাল্লাগছে। আর গত২/৩দিন ভালোই লেখা এসেছে।
ওয়েল্কাম ব্যাক মীর। আপ্নারে সব্বাই মিস করি। কদিন তো বেশ বকাঝকা করলাম, "মীর'টা মরলো কই "
সবই সুন্দর। ছবি, লেখা। জেবীন বরাবরই ভাল লেখে, কিন্তু এতো কম কেনো লেখে?
জেবীন ভালা না মাসুম্ভাই, খালি তার সবই ভালা!
আপ্নের কমেন্ট অনেক সবসময়ই ভাল্লাগে, আপ্নের লেখা আরো বেশি ভালো লাগে।
রোজাটা আজ খুব ভাল কাটল ব্লগে ঘুরে ঘুরে। আজ ব্লগে সব রথি মহা রথিদের আগমন ভারী ভারী লেখা নিয়ে। তোমার লেখাটা তিনবার পড়লাম। অর্থাৎ পাঠক লেখা পড়ে ক্লান্ত নয়। পাঠক আকৃষ্ট হয়েছে এবং লেগে আছে লেখায়। চমতকার অনুভূতি এবং সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত।
ওহ ছবিটা কি তোমার তোলা? খুব সুন্দর।
সেদিন বিকেলে আকাশের কি দারুন রঙ যে হলো আপু, তাক লাগানো, সারা আকাশ আবির রাঙ্গা, এর মাঝে আরো কিছু রঙের খেলা ঠিক যেন তুলির আচড়ঁ। অদ্ভুত সুন্দর।
আলসেমি করে অনেকদিন কিচ্ছু পারি না লিখতে, আপ্নের কমেন্ট পড়ে ভাল্লাগছে
লেখা ছবি ফাটাফাটি
শিরোনাম যাই হোক, লেখা ভাল পাইলাম। ছবিটাও সুন্দর!
আমার শিরোনাম দেয়া নিয়ে সবসময়েই ঝামেলা লাগে! তবে কবিতাটা পছন্দ হয়েছে, পুরাই ....
বুঝি নাই
বুঝে আর কি হবে!
ছবিটা অসাধারণ।
লেখা ভালো। পড়ে কেন জানি সায়ানের একটা
গানের কথা মনে হইছে,
'এখানেই সুখ ছিল একদিন' ।
সায়ানের গানটা তো পুরাই মন খারাপের বিচ্ছেদ পরবর্তীর।
তবে গানটা ভালো লাগে
অসাধারন মানষের ছবি তো তেমনি হবে, নাকি?
সেটাই!
গানটা বিচ্ছেদের না তো।
ফেলে আসা সময়ের মূল্যায়ন
আর শেষ আশাবাদের গান বলতে পারো।
লেখা ছবি ব্লগার - সবই সুন্দর
আহা, সুন্দর বলা শব্দ একটা মনে হয় একটা ভুলে বেশি হয়ে গেছে
"আমার সাথে ভিজবি রে পাগলী? ভিজবোতো

মন্তব্য করুন