বিল্ডিংয়ে ফাটল, শান্তিনগরে আতংক ও একটি ফটো স্টোরি
কনকর্ড গ্র্যান্ড (১৬৯/১, শান্তিনগর)
বিল্ডিংয়ের বীমে দেখা দিয়েছে ফাটল। আতংক ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় নেয় নি
ফায়ার সার্ভিসের এই ভদ্রলোক নিজেই হঠাৎ ফায়ার হয়ে গেলেন। কে জানে কেন..
বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতে করে বাড়ি ছাড়ছেন মানুষ, দেখে খারাপ লাগলো
ফ্ল্যাট-মালিকেরা তো চলে গেলেন, বান্ধা ও ছুটাবুয়াদের কি হবে?
ম্যাংগোপিপলের খুবই আগ্রহ। কি হয় না হয় সবই দেখতে চায়
বই-খাতা-পত্র নিয়ে চেম্বার ছেড়ে সটকে পড়ছেন এক আইনজীবী
বিপদের বন্ধু রেড ক্রিসেন্ট
এ্যাহ্। ব্যডা গো লিগা দুইডা ছবিও নিতে পারতাছি না ঠিকমতোন, ধুর্ আর খেলুমই না
(বিষয়টি পোস্টে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তত হালকা আসলে ছিলো না। কিন্তু কয়দিন ধরে ভারী ভারী ঘটনা মনটাকে ভার করে রেখেছে। একটু হালকা আসলে হতে চাচ্ছি। তাই এই পোস্ট। এই পোস্ট লেখার সময়েও বিডিনিউজে দেখাচ্ছে -পূর্ব নাখালপাড়া সমিতি বাজারের কাছে ৫২৭/১ নম্বর ভবনটি হেলে পড়েছে বিকেল চারটায়। শহরে কি শুরু হলো? ফাইনাল ডেসটিনেশন ৫?)
কি শুরু হলো এগুলো?
ভয়াবহ
রাজধানীর শান্তিনগরে ২১ তলা ভবনটি ঝুকিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে ইমারত বিশেষজ্ঞ দল।
ভবনের ফাটল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞ দলের নেতা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফখরুল আমিন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাসিন্দারা ভবনটিতে উঠতে পারে।
http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=128219&hb=top
ছোটবোনের সাথে কথা হলো, টিভিতে দেখাচ্ছিলো কয়েকজন মহিলা নাকি বাইরে দাড়িয়ে কাঁদছেন, রাশেদ খান মেনন ধমক দিচ্ছিলেন, কাঁদবার মতো কিছু হয়নি।
তাই কি? সারা সারাজীবনের পুজি লাগিয়ে সংসার সাজিয়ে শূন্য হাতে বের হচ্ছেন নিজের জীবন নিয়ে তাদের কি কাঁদবার মতো সত্যিই কিছু হয়নি? তারা কি আর কোনদিন নিশ্চিন্তে ঐ বাড়িতে ঘুমাতে পারবেন?
যে পরিমাণ আতংক ছড়িয়েছিলো, সে রকম কিছু ঘটে নি সত্য। তবে এই ভবনের বাসিন্দাদের কি হবে সেটা আসলেই ভাবনার বিষয়।
ডেভেলপাররা টাকা কামানোর ধান্দায় থাকে। সাধারণ মানুষ থাকে নিরাপদ বাসস্থানের আশায়। এর মধ্যে একটা সুস্থ ধারা থাকা উচিত। ১২০টি ফ্ল্যাট, সমসংখ্যক পরিবার, সমসংখ্যক গল্প, সমসংখ্যক জীবন এবং সমসংখ্যক স্বপ্ন। অর্থলোভের সামনে এগুলোর কিছুই কি চোখে পড়ে না ডেভেলপারদের? যদিও কনকর্ড স্বনামধন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু কিছু ঘটে গেলে পরে যে আর কিছু করার থাকে না -সেটা কি বার বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে?
ঢাকার নগরায়নের ক্ষেত্রে সুপরিকল্পনা ছিলো না। তার খেসারতে ১১৭ টা জীবন্ত মানুষ পুড়ে মারা গেলো। এখন কি সরকারের এবং সাধারণ মানুষের কিছু করা উচিত না?
ফটোস্টোরী ভালো লাগছে...টেনশনের সময়টারে ধরতে পারছি।
ভালা পাইলাম ফটো স্টোরি।
আমরা তো কেবল খাজুইরা আলাপ করি।

এটাকেই বলে রিয়েল ব্লগিং! ব্রাভো!
টুটুল ভাই, ভাস্করদা, সাঈদ ভাই ও নীড় সন্ধানীর মন্তব্যে খুশী হয়ে গেলাম।
ভালো লাগলো আপনার ফটো স্টোরি
মন্তব্য করুন