গল্প: সাদা বকপাখিদের ঝাঁকে যদি আপনি আর আমি থাকতাম
আপু কি করেন, আপনি কালকে থেকে আমার ফোন ধরছেন না কেন?
-কেন ফোন করলেই ধরতে হবে না কি? এমন কোনো বাধ্যবাধকতা আছে?
না তা নেই। আপনাকে আমি যে মেইলটা করেছি দেখেছেন?
-নাহ্। কাল থেকে নেটে বসি নি।
একটা মেইল করে সেটার আবার রিমাইন্ডার দিতে হয়। আফসুস এমনই দিন-কাল পড়েছে। কপাল সবই কপাল।
-আরে না না। আসলে কাল থেকে মনটা একটু উদাস। তাই কিছু চেক করা হয় নি।
আচ্ছা কালকে কইরেন। এখন কি করতেসেন?
-বসে বসে একটা কথা ভাবতেসি।
সেটা অবশ্য ভালো। এখন মানুষ অনেক কম ভাবে। ভাবা ভালো। ভাবনায় অনেক সমস্যা দূর হয়।
-আরে সমস্যা হবে কেন, আমি ভাবছি একটা সুখের কথা।
তারমানে বিয়ের কথা?
-ঠিক। আমার হবু-জামাইটা এখন ব্যাংককে। ও যে কবে আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার সময় পাবে সেটাই ভাবছি।
সে আসলেই বিয়ে করে ব্যাংকক চলে যাবেন। পাতায়া বীচে বিকিনি পড়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু?
-হইতে পারে। পাতায়া বীচের কাছাকাছি কোথাওই হবে জায়গাটা। কিন্তু ওরা যে কনজারভেটিভ, মনে হয় না তুমি যেভাবে বললা সেরকম হবে। আর আমারও এইরকম লাইফে কোন দিলচাস্তি নাই। যেমন আছি ভাল আছি। পড়া শেষ। যেকোন সময় বিয়ে করবো। চলে যাবো।
বাহ্, গুড গুড। অনেক অনেক অভিনন্দন। আপু, আমি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মেয়েকে পাই নি যে বীচে বিকিনি পড়ে দৌড়াদৌড়ি করতে চায়। অথচ আমাদের পাশের দেশ ভারত আর কালাপানির ওপারের দেশ শ্রীলংকায় কিন্তু এগুলো কোনো ব্যাপারই না। বেশি পশ্চিমে নাহয় নাই-বা গেলাম।
-ঠিক হয়েছে। এরকম কোনো মেয়ে এদেশে তুমি পাবাও না। আমাদের দেশের মেয়েদের এত দুরাবস্থা হয় নি। ওদেরকে তুমি যেভাবে দেখছো সেটাই তোমার মনোযোগ কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। এরচে’ বেশি খোলামেলা হওয়ার দরকার পড়ে না, বুঝলা?
বুঝলাম। আপনার প্রবাস জীবন তাহলে সফল সুখী-সুখী সফল টাইপ প্রবাস জীবন। "লেস্ রিস্ক-লেস্ গেইন" থিওরী। বিয়ে করে ব্যাংককে কোনো এক বাসার রান্নাঘরে কুটনো কুটবেন, মশলা বাটবেন, বাসাটা মুছবেন, কাপড়গুলো ধুয়ে বারান্দায় নেড়ে দেবেন, ব্যস্?
-জ্জিনা চান্দু, সেভাবে না। ইংরেজীর মতো একটা বিষয়কে যেহেতু মাস্টার্স লেভেল পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীতে কাবু করেছি সো কাজ-টাজ কিছু একটা ঠিকই খুঁজে বের করে ফেলবো। আর এইসব ক্ষেত্রে আমার হবু-জামাইও হেল্প করবে, বুঝলা?
তাহলে অবশ্য ভালো। কারণ দেশে থাকলে ঘরকন্না তাও মানা যায়, বিদেশে গিয়ে ঘরকন্না? খুবই বোরিং। অন্তত কোনো কলেজে পড়ালে-টড়ালে তাও আমার প্রিয় আপুটাকে খানিকটা চেনা যাবে। অনেকদিন পর কোনো বিমান বা ট্রেনের ওয়েটিং রুমে দেখা হলে এখনকার মতোই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবো।
-কলেজে না হয়ে স্কুলে হইলেও আমার আপত্তি নাই। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটালাম। আর সংসারও করবো মন দিয়ে। বাইরে কাজ করি বলে একবারে যে ঘরের কোনো কাজই করবো না, পার্টি গার্ল হয়ে যাবো এমন তো না। একটা স্পীডি সংসার চললেই হলো। জীবনটা ভালোভাবে কাটানোই তো আসল কথা, তাই না?
হ্যাঁ, তা তো বটেই। আমি চিন্তা করতেসি আপনার এক্সপেক্টেড স্পীডটা কেমন? অ্যাভারেজ না হাই? হাই হলে কত হাই?
-শুনো, আসলে যতই বলি না কেন সহজ-স্বাভাবিক-শান্তির জীবন চাই, সবারই কিন্তু একটা ‘মোর-দ্যান-এভারেজ-হাই’ টাইপ জীবন যাপন করার ইচ্ছা থাকে। আবার প্রবাসীরা সবাই এটাও খুব ভালো করে জানে যে; সেই হাইস্পীডের জীবন আর যার জন্যই হোক, তার নিজের জন্য না।
আপু এই জায়গায় আমি কিন্তু আপনার সঙ্গে একমত না। আমি স্পীডটাকে নিজের মধ্যে দেখতে চাই। লাইফে যদি হান্ড্রেড এইটি-নাইন কিলো স্পীডে লাস ভেগাসের লিমিটলেস্ হাইওয়েতে ড্রাইভই না করলাম তাহলে আর কি করলাম? আমি বুঝি না মানুষ স্পীডটা নিজের মধ্যে দেখতে চায় না ক্যানো?
-কারণ মানুষ জীবনে শান্তি চায়। গ্যাঞ্জাম চায় না। আর তুমি হইলা এমন একটা প্রাণী যে ব্যক্তিগতভাবে গ্যাঞ্জাম করতে পছন্দ করো। তোমার সঙ্গে আর সবার একটু অমিল হওয়ারই কথা।
শুইনা ভালো লাগলো। আমার তো ফাটা রাশি। কোনকিছু মিলে না। তাও এক টুকরা প্রশংসা মিললো। আপনারে ধইন্যাপাতা। আচ্ছা চলেন। চলেন, চলেন, চলেন।
-কই?
আপনার সঙ্গে কয়দিন ঘুরে আসি।
-এর মানে কী?
মানে হইলো, চলেন আপনে আর আমি বাসা থেকে পালায় যাই। কাউকে কিছু না বলে। এমনকি কোন সিক্রেট-কীপার বন্ধুকেও কই যাচ্ছি সেই ব্যপারে না জানায়ে। এইখানকার জীবন থেকে আমরা স্রেফ গায়েব হয়ে যাবো।
-কেন?
আমরা না ঘুরতে বাইর হইলাম?
-ও। পালায়ে কি করবো?
আমরা ফার্স্টে চলে যাবো চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ওইখান দিয়ে বর্ডার ক্রস করবো। পার হয়ে চলে যাবো মহেশপুর। সেদিক দিয়ে পদ্মানদী ঘেঁষে ঘেঁষে যাইতে থাকি। যতগুলো শহর বা গ্রাম পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া যায় যাই। গিয়ে প্রথমে দেখেশুনে একটা জায়গা ঠিক করি, যেখানে থাকা সম্ভব দু'জন একসাথে। তারপরে চারদিকের খোঁজ-খবর নিয়ে সেখানকার মানুষের ভীড়ে দুইজন একসাথে হারিয়ে যাই। নতুন একটা জীবন শুরু করি।
-কেন?
এত কেন’র কোনো জবাব নেই। যদি যেতে চান আমার সঙ্গে যাবেন। আর না চাইলে তো আপনার সব ব্যাবস্থা ব্যাংককে পাকা হয়েই আছে। আরে চলেনই না বাবা। মজা আছে চলেন। থিংক আবাউট আ গেমটাইম।
-ঠিক আছে গেলাম।
তারপরে দুই বছর ছয় মাস আমরা সেখানেই থাকবো। এই সময়ে আমরা নিজেদের পায়ে নিজেরা দাঁড়ানো শিখবো। এটা খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। কারণ আমরা যে জীবন বেছে নিয়েছি সেটা বিপজ্জনক নয়, তবে কিছুটা অনিশ্চিত। তাই দেশ ছেড়ে বের হয়ে প্রথমেই অনেক দূর চলে যাওয়া যাবে না। আশেপাশে কয়েকদিন থেকে প্রথমে বাইরের মহল্লাগুলোর ভাব-চক্কর বুঝতে হবে। এখানে টুক-টাক ব্যবসা করে কিছু টাকা-পয়সা জমানোর চেষ্টা করতে হবে আর আমরা দুইজন একসাথে হলে বিষয়টা কেমন হয়, সেটা ভালো করে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এই কাজ দুইটা ঠিকমতো প্রচুর পয়েন্ট সহকারে করতে পারলে, আমাদের ফার্স্ট লেভেল কমপ্লিট। এরপরে যাবো কাশ্মীর। এই জায়গাটাকে পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলা হয়। এই বলতে বলতে এখন অনেকের মধ্যে একটা ধারণা তৈরী হয়েছে যে, মৃত্যূর পর মানুষের স্বর্গ হবে কাশ্মীরের মতো। শুধু এখন সেখানে যে অস্থিরতা চলে, সেটা থাকবে না। আমি ঐ জায়গাটা দেখতে চাই। আপনার পাশে দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে।
-মাঝখানে একটু বলে নাও, আমার পাশেই কেন?
কারণ একটা আছে। তবে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। আমার কথা শোনেন, একবার ইন্ডিয়ান আইডল না কি একটা প্রোগ্রামে জানি দেখছিলাম, কাশ্মীরের এক প্রতিযোগীর ঘর-বাড়ি, লাইফস্টাইল। ছেলেটা নৌকায় করে সেখানকার হ্রদে হ্রদে ঘোরে আর গান গায়। নৌকাগুলা এত সুন্দর আর হ্রদের দৃশ্যগুলা এত সুন্দর যে বলে বোঝানো সম্ভব না। সে শুধু উপলব্ধি করার জিনিস। ওইখানে ব্যবসা-বাণিজ্য যা করেই হোক একটা ঘর বানাতে হবে। একটা নৌকা কিনতে হবে। মাঝে-মধ্যে নৌকায় করে আপনাকে নিয়ে ঘুরতে বের হতে হবে। শেষ বিকেলে বের হয়ে ভোরে ফিরতে হবে। তাহলে মনে হয় জীবনে একটু শান্তি পাবো।
-কাশ্মীরে কয়দিন?
চার বছর। এরপরে আমরা চেনা-জানা এলাকা আর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে যাবো। একারণেই একটু বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নেয়ার দরকার আছে। বেশ কিছু টাকাও জমাতে হবে। কারণ এবার আমরা আবার বর্ডার ক্রস করবো। এর আগে একবার আমরা দুইজন বর্ডার ক্রস করেছি। সে সময় আমি কি করেছি সেটা কিন্তু আপনাকে বলি নি। এইবারও বলবো না, কিন্তু আপনি বিশ্বাস রাখেন একটু রিস্কি টাইম পার করা ছাড়া আর কোনো সমস্যা হবে না।
-বিপদাশঙ্কার সঙ্গে এবার মৃত্যুভয় যোগ হলো।
ওসব একটু থাকবেই। নাহলে আর অ্যাডভেঞ্চার হলো কিভাবে? আমরা চায়না বর্ডার পার হয়ে ইউনান চলে যাবো। এদিকে আসার বেশ কিছু কারণ আছে। এটাকে আমি আমাদের মূল ভ্রমণের শেষ প্রস্তুতিপর্ব হিসেবে নিচ্ছি। তাই আমরা শেষবারের মতো একটা পরিচিত বিষয়ের সাহায্য নিচ্ছি। এমনিতে চীনে প্রচুর সমস্যা আছে ভিনদেশিদের কিন্তু আমরা যেদিক দিয়ে ঢুকবো সেদিকটা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা অঞ্চল। কয়েকশ’ বছরে হয়তো একবার মাথা চাড়া দেয়, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়; তারপরে সব আবার নিস্তরঙ্গ, আবার যে কে সেই। জায়গাটার চিকিৎসা ও কৃষি ব্যাবস্থার বাড়াবাড়ি সুনাম আছে। তাও আধুনিক, কারীগরি কৃষি। সেখানে কৃষিকাজ করা আর আমাদের দেশে মন্ত্রণালয়ে কাজ করা সমান মেধার কাজ। কারখানানির্ভর সব ব্যবস্থা। এই চীনে খরচ করার জন্য ইন্ডিয়ায় টাকা জমিয়েছিলাম। আমরা নিজেদের কোনকিছুই গোপন না করে সেখানকার সাধারণ মানুষের মাঝে আশ্রয় নেবো। এবং আপনি একটা বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সেটা আমি করে নিতে পারবো। আমরা সেখানে জমি আর বাড়ী কিনে কৃষিকাজ করবো। রাজি আছেন?
-তারপরে?
চীনের আরেকটা দুর্দান্ত বিষয় আছে। ওদের রূপকথা। কত রকমের চাইনিজ রূপকথা যে আছে তার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমাদেরকে মাঠ আর কারখানার প্রতিদিনকার '১২ ঘন্টা কৃষি জীবন'-এর পাশে এই কাজটাও করতে হবে। এবং যত্ন করে, যতদিন সময় লাগে ততদিন পর্যন্ত ধৈর্য্যহারা না হয়ে। প্রাথমিক একটা ধারণা করছি, কাজটা সফলভাবে পয়েন্টসহ করতে পাঁচ বছর সময় লাগবে। আপনি ইংরেজীর ছাত্রী, তাই আপনার একটা বাড়তি দায়িত্ব হচ্ছে সেগুলো ইংরেজীতে অনুবাদ করা। আর আমার একটা বাড়তি দায়িত্ব থাকবে জিনিসটার প্রপার মার্কেটিং করার। ব্লগ থেকেই কার্যক্রমটা শুরু হবে কিন্তু পরবর্তীতে সেটাকে এমন একটা প্ল্যানড্ কমার্সিয়াল রূপ দেয়া হবে যাতে জিনিসটা দিয়ে বড়-সড় একটা ব্যবসা করা যায়। এবং অবশ্যই বিশ্বখ্যাত কোন প্রকাশনা সংস্থার সাথে। না হলে কাজটা চিরস্থায়ী হবে না। ছোট হোক বড় হোক, যেকোন চিরস্থায়ী কাজের সঙ্গে আপনার নামের পাশে আমার নাম লেখা হবে, এটা আমার একটা আদ্যিকালের স্বপ্ন। তাই শুধু নামোল্লেখ-পূর্বক কৃতজ্ঞতা স্বীকারের দাবিটুকু ছাড়া আর কাজটার বাকী স্বত্ত পুরোপুরি বিক্রি করে দেবো বলে ঠিক করেছি। কারণ আমরা বের হয়েছি ঘুরতে। এজন্য দরকার টাকা। এই কাজটা থেকে সব মিলিয়ে যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়ে বাকী জীবন আরামে কাটিয়ে দেয়া যাবে। আর এরকম জীবিকার তাগিদে করা একটা কাজের কল্যাণে যদি পুরোনো কোনো স্বপ্ন পূর্ণতা পেয়েই যায়, তাহলে তো দূর্দান্ত। যে কারণে এ কাজটা করার শখ আমার অনেকদিনের।
-ভেরী গুড। তোমাকে খানিকটা অর্থলোভী অর্থলোভী লাগছিলো।
এইবার আমরা সমুদ্রে নামবো। চীন থেকে পানিপথে বের হতে হলে প্রশান্ত মহাসাগর ছাড়া গতি নেই। সেজন্য প্রথমে যাবো পিকিং। তারপর নেমে পড়বো সমুদ্রে। জাপান কিংবা আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রশান্ত মহাসাগর একটা ভালো রুটও। কিন্তু আমরা ওদিকে যাবো না। আমরা প্রশান্ত মহাসাগরে নেমে, যাবো ভারত মগাসাগরের দিকে। সেখান থেকে আটলান্টিক পার হয়ে আমরা ইউরোপ গিয়ে থামবো। এই সমুদ্র পাড়ি দেয়ার সময়টা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হয়ে থাকবে। শুনেছি আগে ইউরোপে না কি বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী’কে একসাথে সমুদ্র পাড়ি দিতে হতো। জাহাজে একসাথে থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া গড়ে উঠতো। আমাদের এই কাজটুকু করার দরকার আছে। কারণ আমরাও ইউরোপে যাচ্ছি। এবং মোটামুটি লম্বা সময়ের জন্যই।
-আচ্ছা ঠিক আছে। এখন কি আমরা ইংল্যান্ডে যাবো?
হ্যাঁ। ইউরোপ শুরু করলে ইংল্যান্ড থেকে শুরু করাই ভালো। একটু না হয় ট্র্যাডিশনালই হলাম। তাতে কী? আমাদের কাজ হচ্ছে ঘুরা। আমরা দুইটা মানুষ যেহেতু ফ্রি মুডে এতখানি পথ পাড়ি দিতে পেরেছি, সুতরাং নিশ্চই আমাদের জন্য সামনে আরো অনেক কিছু অপেক্ষা করছে। আসুক, তারা ধীরে-সুস্থেই আসুক। আমার তাড়া নেই। ইউরোপে গিয়ে প্রথম দুই বছর তাই ইংল্যান্ডে ঘুরে বেড়াতে হবে। পুরো দেশটাকে দেখতে হবে। ইংলিশরা আমাদের পূর্বপুরুষদের একশ’ নব্বই বছর শাসন করেছিলো। ওদেরকে খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে না দেখলে কিন্তু আমার মন ভরবে না। আমি শুধু ওদের মনুমেন্ট আর নেচারাল সীন দেখেই ক্ষ্যান্ত হতে চাই না। হাজার হোক তারা প্রভুর জাত। তাই প্রচুর দেখবো। আমার পক্ষে হয়তো এরচে’ বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। তবু দেখে রাখলাম। ওদের সমাজের শরীরে ঢুকে দু’চারটে ওদের মতো ইংলিশম্যানকে বাজিয়েও দেখলাম। এতে যদি খানিকটা বিপদাপন্ন হতে হয় তাও আমার আপত্তি নেই। দুইজনে একসঙ্গে বহু বিপদ পাড়ি দিয়ে এসেছি। তাই ওসবে আমাদের সয়ে গেছে, রাইট?
রাইট। তারপর?
তারপর আমরা ফ্রান্সে চলে যাবো। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পূণ্যভূমি। কি নেই ওদের? বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, শিল্পী, নির্মাতা সব আছে। সবকিছুর যেমন ইতিহাস আছে, তেমন চর্চাও আছে। এই দেশটায় আপনের সঙ্গে ঘুরে খুব মজা পাবো। বড় বড় সিঁড়িওয়ালা রাস্তায় রাতের বেলায় হাঁটবো, টানেলে ঘুরবো, গ্যালারী আর সিনেমা হলগুলোতে যাবো, শুধু প্যারিস নয়, অন্য শহর বিখ্যাত শহর লিল, তুলুজ, কান, স্ট্রাসবুর্গ ইত্যাদি তো দেখবোই, আর ঘুরে দেখবো গ্রামগুলোও। ফ্রসেঁ'তে কথা বলবো; মহাসুখে সময় কাটবে। দুইজন বাঁধনহারা পাখির মতো উড়ে বেড়াবো। ইউরোপের এদিকটায় আমরা এরকম সাতটা বছর কাটাবো। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনে দুই বছর করে আর পর্তুগালে এক বছর। এটা হচ্ছে আমাদের ট্যুরিস্ট জীবন। কোন ঘর নাই, সংসার নাই, ঝামেলা নাই, দুশ্চিন্তা নাই, কিচ্ছু নাই; সংসার পাতবো না কারণ সেখানে একটা সুখী সংসার গুছিয়ে আনতে আনতে সারাজীবন পার হয়ে যাবে। ওখানে তাই আমরা দর্শনার্থী। একটা জীপগাড়ি কিনে নেবো। সেটায় চড়ে মহাদেশটার যতদূর পর্যন্ত সম্ভব চষে ফেলবো। সাত বছরের ট্যুরিস্ট জীবনে জীপটা আমাদের সঙ্গী হবে।
-আমেরিকা কখন যাবো?
যখন আপনি পুয়ের্তো রিকো কি সেটা বলতে পারবেন।
-ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের একটা দেশ। আমেরিকান কলোনী। আমেরিকার প্রেসিডেন্টই দেশটির প্রেসিডেন্ট।
বাহ্। বিসিএস-এর প্রস্তুতি তো ভালোই নিয়েছেন মনে হচ্ছে। পুয়ের্তো রিকো আগে হালআমলের ফুটবল চ্যম্পিওন স্পেনের উপনিবেশ ছিলো। ১৮৯৮ সালের ডিসেম্বরে তারা আমেরিকার হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পর্তুগাল থেকে পুয়ের্তো রিকো যেতে আবার সাগর পাড়ি দিতে হবে। দক্ষিণ আটলান্টিকের একটা চওড়া প্যাসেজওয়ে। এ পথটুকু আমরা যেভাবে সহজ হয় সেভাবে যাবো। পুয়ের্তো রিকোতে আসার এমনিতে বিশেষ কোন কারণ নেই। আশেপাশে দেখার মতো অনেক কিছু আছে; ভার্জিন আইল্যান্ডস্, আমেরিকান নেভীর বেস-ক্যাম্প, হাইতি বীচের সূর্যাস্ত, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো'র চোখ জুড়ানো ল্যান্ডস্কেপ- আরো অনেককিছু। এ জায়গাগুলো হচ্ছে নিরবচ্ছিন্নভাবে আরাম আয়েস করার জায়গা। এখানে আমাদের যতদিন খুশি ততদিন আরাম আয়েস করবো। এরপরে দক্ষিণ, একদম দক্ষিণে আর্জেন্টিনায় চলে যাবো। সেখান থেকে উত্তর দিকে উঠতে শুরু করবো। প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, পেরুর রাজধানী ‘সিটি অভ কিংস্’ লিমা আর নতুন সপ্তাশ্চর্যে নাম উঠে যাওয়া 'মাচু পিচু' শহরে শুঁকে শুঁকে বেড়াবো পৃথিবী-কেন্দ্রের গন্ধ। সাড়ে পাঁচশো’ বছর আগে আন্দিজ পর্বতমালার প্রায় আট হাজার ফুট উঁচুতে গড়ে উঠেছিলো মাচু পিচু নামের এক জনবসতি। ইতিহাসবিদেরা এই বসতি গড়ে ওঠার নেপথ্যে কৃষিকাজ, কোকো চাষ এরকম অনেক কারণ দেখান, কিন্তু আসলে তো মানুষ এ জায়গাটি তৈরী করেছিলো ধরিত্রীকে পূজো দেয়ার জন্য। গড়েছিলো সূর্যদেবের মন্দির। একটি অর্ধবৃত্তাকার মিনার, নিখুঁত পাথুরে কারুকাজে নির্মিত। আমাদেরকে সেখানে যেতে হবে। একটা ছবি তুলতে হবে এবং সেটাকে দুইজনেরই প্রোফাইল পিক বানাতে হবে। নাহলে আসলে ফেসবুকটা চালায়ে মজা পাচ্ছি না, কি বলেন? এই কাজটা করে আমরা ব্রাজিলে চলে যাবো। সেখান থেকে একে একে কলাম্বিয়া, নিকারাগুয়া, গুয়েতেমালা, মেক্সিকো এবং আমেরিকা পার হয়ে একেবারে কানাডায় এসে থামবো। ঠিক আছে?
-ঠিক আছে। এখানে কি আমরা থেমে যাবো?
আপনি কি ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন?
-একটু একটু।
ওকে। তাহলে আর বেশি ঘুরাঘুরি করবো না। চলেন দেশে ফিরে যাই। দেশে বগুড়া নামের একটা শহর আছে। সেই ছোট্ট শহরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে আকা-বাঁকা সরু এক নদী। করতোয়া। ঐ করতোয়া নদীটার ওপরে আছে আদুরে এক ব্রীজ। বেজোড়া ব্রীজ। লোহার তৈরী বিশাল ব্রীজটার একদিকে গ্রাম, একদিকে মফস্বল। বগুড়া শহর। গ্যারান্টি দিতে পারি, শহরটা আমাদের দুইজনের মন থেকে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে না যাওয়ার আফসোস ভুলিয়ে দেবে। আমরা সেই শহুরে রাস্তায় ইয়ামাহা এন্টিকা ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াবো। আমি চালাবো, আপনি পেছনে বসে থাকবেন। এই মোটরসাইকেলগুলোয় পেছনে আরাম করে বসার ব্যাবস্থা আছে। চলতে চলতে আমরা বেজোড়া ব্রীজ পার হয়ে গ্রামে ঢুকে যাবো। সেই গ্রামের ভেতর দিয়ে একটা সাড়ে তিন ফুটি পাকা রাস্তা চলে গেছে প্রায় দিগন্ত পর্যন্ত। সেই নিরিবিলি হাইওয়েতে আমরা কিন্তু আমাদের উত্তাল প্রথম জীবনের একশো ঊননব্বুই কিলো স্পীডে বাহন ছোটাবো না। ঘন্টায় চল্লিশ-পয়তাল্লিশ কিলোমিটার বেগে আশপাশের স্নিগ্ধতাটুকু উপভোগ করতে করতে যাবো। আমাদের দুই পাশে রাস্তার নিচে বিছানো থাকবে সোনারঙা ধানক্ষেতের কার্পেট। দূরে মাঝে মাঝে দেখা যাবে ঘন ছোপ ছোপ গাছ-পালা, বাড়ি-ঘর। বহুদূরে গম্ভীরমুখে দাঁড়িয়ে থাকবে পল্লীবিদ্যূতের বিশালাকায় টাওয়ারগুলো। আর উপরে আকাশে সাদা বকপাখিরা উড়ে যাবে ঝাঁক বেঁধে। তখন আমাদের একটা দারুণ সময় কাটবে, কি বলেন?
-হুমম। আচ্ছা এখন রাখি।
আচ্ছা ঠিকাছে রাখেন। খুদাপেজ। ভালো থাকেন। টা টা।
-তুমিও ভালো থাকো। বাই।
---
বাহ্!!!
পছন্দের কাউকে ঘিরে থাকা আদুরে স্বপ্নটা, ভালবাসার প্রকাশভঙ্গিটা, বিশ্বভ্রমনটা... সব সবটাই অনেক দারুন লাগলো... ছেলেটার কেয়ার ফ্রি ভাবে বলাটা... যেন পুরো লাইফটা প্লান করে নিয়েছে মনের মানুষটাকে পাশে ভেবে... নাই বা করতে পারলো ও এমনভাবে স্বপ্নপূরন... কিন্তু এইভাবে কেউ ভাবছে এটাই কিন্তু অনেক বড়ো পাওয়া!...
মীর লেখাটা পড়ে সক্কাল্টাই সুন্দর হয়ে গেছে... ভালো লাগছে অনেক লেখাটা...
-শুনো, আসলে যতই বলি না কেন সহজ-স্বাভাবিক-শান্তির জীবন চাই, সবারই কিন্তু
একটা ‘মোর দ্যান এভারেজ হাই’ টাইপ লাইফ লীড করার ইচ্ছা থাকে।
সত্যবচন!
এক ফোঁটা মন্তব্য।
হু? !!
(এটাকে বলি একফোটাঁ মন্তব্য, এই দিয়েই কতো ভাব প্রকাশ করতাম আমরা... :) আর আপ্নে কিনা... )
বাহ, কী দারুণ কত জায়গায় ঘুরে এলাম। ধন্যবাদ।
আপনার গল্প পড়ি না অনেকদিন। অপেক্ষায় আছি কিন্তু।
বাহ কি সাবলিল ফ্লার্টিং...মজা পাইলাম
সবই অভিজ্ঞতার ব্যাপার
ছালু'র কমেন্টটা জোস লাগছে!!... আসলেই ফ্লার্টিং-এর অনন্য তরিকা...
বিয়ের আগে ছালু যদি এই পোস্টটা পাইতো
ইমরান ভাই, একদুম টিক্না
বিশ্বভ্রমণের প্ল্যান আমারও আছে...তবে একলা
দু'একটা প্রিয় বন্ধুরে যদি নিয়া যাইতে পারতাম।
দারুন একটা লেখা...।মন ভালো হয়ে যাওয়া টাইপ...
দারুন একটা মন্তব্য...। মন ভালো হয়ে যাওয়া টাইপ...
মুগ্ধ!!!
বস... মুগ্ধ হইয়া গেলাম
অসাধারন হইছে...
ওরে বাচ্চু আমি তো রীতিমত তোর লেখার পাঙ্খা হয়ে গেছি। এটা পড়ে আজীবন পাঙ্খা পদে দরখাস্ত করলাম।
আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে গল্পের শেষটুকু। বগুড়ার বর্ণনা টা যে এত ভালো লাগলো, তার কি বলবো!
এই তো আর ক'দিন পর বগুড়ায় যাচ্ছি। বগুড়ায় মোহাররমের পান বলে, একটা বাহারী পান পাওয়া যায়।অনেক রকম মশলায় ঠাশা। যে রাঙতা কাগজ দিয়ে পানটা মোড়ানো থাকে, সেটাও খাওয়া যায়। তুই দেশে থাকিস না বিদেশে, আমি ঠিক জানিনা।
তবে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলে, বগুড়ার দই আর মোহাররমের পান খেতে দিতাম।
লেখক ভালো লেখতে পারে বৈলা সব্বাই তারে খাতির করে... আর আম্রা যে কষ্ট কৈরা পড়লাম আমাগো কেউ দাওয়াত দেয় না ... আমাগো বগুড়ার দই খাইতে আর ইচ্ছা হয়ানা মনে হয়
শাপলা আপুর বাড়ি কি বগুড়া?????তাইলে আমার একটা প্রশ্ন আছে??মোহাররম ব্যাটাটা কে?সবকিছুর সাথে এই ব্যাটার নাম লিখা থাকে কেন?বগুড়ার দই খাওয়াবেন।কিন্তু ক্ষিরসাটা খাওয়াবেন না??????
বগুড়ায় আমি দিন পনের ছিলাম ওইখানে এক হোটেলে চা খাইছিলাম।সে এক অসাধারণ চা।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ওয়েটার দূর থেকে এমন ভাবে কাপের পিরিচ গুলো ছুড়েঁ মেরেছিল যে প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু পিরিচ গুলো কি সুন্দর সবার সামনে গিয়ে সেট হয়ে গিয়েছিল।
রাসেল ভাইয়ের সঙ্গে একমত। আমি ক্ষিরসা দইয়ের চাইতে ভালো পাই। খুশি হৈলাম।
দাঁড়ান শাপলা'পুর এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য গিফট আছে।
হম...কোথায় যেন একটা মিল আছে..জানিনা কোথায়..আমরা আসলে সবাই সাধারণ মুখোশের আড়ালে অসাধারণের পিছনে ছুটোছুটি করি..তাই কি! আল্লাহ মালুম..চিন্তার মিল খুঁজে পেয়ে ভালো লাগলো..শুভেচ্ছা
বাহ্, রুম্পা আপুকে দেখে ভালো লাগলো।
নাহ এই ছেলেটা এত সুন্দর করে লিখে কিভাবে।গল্প পড়তে পড়তে কত দেশ ঘুরায় নিয়ে আসলো।
মীরের একপাখাতো শাপলা আপু বুক দিছে।আমি আরেকটা বুক দিলাম।
রাসেল ভাইরে ধইন্যা।
ঐ ব্যাটা ধইন্যা দিয়ে করুম??????? পারলে আমারে কিছু ধইন্যাপাতার ভর্তা দাও।গরম ভাত দিয়ে মাখায় খাই।
ধইন্যাপাতাই তো দিসি। বলার সময় সংক্ষেপে বললাম আর কি।
আফ্রিকার কথা বাদ গেলো কেনো? সাউথ আফ্রিকাতো ফাটাফাটি জায়গা।
আমিও বলতে চাইছিলাম! তাতার সাথে আমার কত্তো মিল!!!
তবে আমি যাইতাম কেনিয়ার মাসাই মারা আর তাণ্জিনিয়ার সেরেনগিটি।
আমিতো জানি সেটা হাসান ভাই।
মীরের এই অসাধারন লেখাটা আপডেট করা হোক উইথ আফ্রিকা
আপনাদের দুইজনের সঙ্গে যে আমার কতো মিল সেইটা কেপ অভ গুড হোপে গল্পটায় পাবেন
ইয়ে, আপডেট ক্যামনে করুম। ওরা তো এখন দেশে ফিরে রেস্টে আছে।
আবার ঘুড়তে পাঠান
যেরম এখন হজের টাই... পয়লা তারা হজটা করলো ... এরপর ভাগন্তি দিলো
বিশাল হৈছে
(এখানে বিশাল শব্দটি অতি মাত্রায় ভাল অর্থে ব্যবহৃত)
তাইলে মন্তব্যও বিশাল হৈসে।
ব্যপক!
শুকরিয়া
একটা সিরিয়াস কমেন্ট করতে চাইসিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করবেন না। তাই বিরত থাকলাম
তবে লেখাটা অসম্ভব পছন্দ হইছে
নীড়দা'কে ভালো পাই।
ব্যাপক!
ভাই ধন্যবাদ।
কি দারুণ লিখেন আপনি!আগেই পড়েছি কিন্তু কমেন্ট করতে পারিনি। আবার ভালো লাগাটা জানাতে পারিনি তাতেও কেমন লাগছে তাই আবার আসলাম, মুগ্ধতা জানাতে।মীরের গল্পের পাংখা তো কবেই হইছি।
আপ্নে দেরী কইরা কমেন্ট করসেন তাই আমিও দেরী কইরা উত্তর দিলাম। কিরাম আছুইন আপা? নতুন কিছু কি লেখছুইন?
দারুণ... স্রেফ দারুণ
মীর ইজ গ্রেট!
নুশেরা'পু, এইটা কি একটু বেশি হয়ে গেল?
যাই হোক নিরঙ্কুশ প্রশংসায় খুশি। শুভেচ্ছা নিন।
মীর, এক কথায় মুগ্ধ! আপনি আমাকে অবাক করে চলেছেন
মামুন ভাই, আপনার গুণমুগ্ধ আমি অনেক আগ থেকেই।
@ রাসেল ভাই, বগুড়ার খিরসা (যুকত অকখর মাঝে মাঝে লিখতে পারিনা। দুঃখিত।) খেতে মজা হলেও, বগুড়া বিখ্যাত দইয়ের জন্য।
আর আমি বগুড়ার মেয়ে হলেও বগুড়ার কলংক। বগুড়ার কিছুই চিনিনা। মোহাররম ব্যাটার পান খেয়েছি, কিনতু চিনিনা দোকানটা কোথায়। ( ( (
মীরের পাখা আমি বুক দেই নাই। ওটা তো অভি আপুর জন্য।
আমি মীরের পাঙখা মানে ফ্যান আর কি!!!!!!!!! মীরের লেখার পেছনে পেছনে ঘুরি।
@ টুটুল ভাই, বেশী বেশী বগুড়ার কথা লিখলে, দই এর সাথে খিরসাও খাওয়াবো।
মীরের লেখাগুলোকে রেটিং করলে এটি টপ ফাইভের মধ্যে আমি রাখতে আগ্রহী।
যাই দেখি কারে ফোন করা যায়
আহ! কি দুর্দান্ত স্বপ্নগুলো!
অপূর্ব!
মীর, আপনার এই লেখা টা যে কত পছন্দ তা কল্পনাও পারবেন না.. প্রথমবা\র পড়ার সময় বুদ হয়েছিলাম লেখাটার মধ্যে.. দূরদান্ত... ..। পিচ্চিকালে ভাবনার ঘোড়ায় চেপে আমরা কত কিছু যে জয় করে বেড়াই... সেই উত্তাল দিন গুলা মনে পইড়া গেলো
অতিরিক্ত ভালো! স্যালুট!
মীর কি হাইঝ অব ফ্লাইং ড্যাগারস মুভি টা দেখছেন কখনো? না দেখলে দেখে নিয়েন
হাউঝ লিখতে চাইছিলাম
সবুরে আসলেই মেওয়া ফলে।
বহুদিন পর কোন লেখায় এতটা ডুবে গেছিলাম, এখনও দেশে ফিরছি বলেই মনে হইতাছে না। বাকি জেলাগুলি নিয়া আরেকটা পার্ট লেইখা ফেলান। আমি যে কেন আপ্নের এত্ত বড় ফ্যান, আজকে আবার বুঝলাম।
মন্তব্য করুন