যাও পাখি বলো তারে গানটা শুধু ঘুরপাক খাচ্ছিলো সেই সন্ধ্যায়
অফিস শেষ করে বের হওয়ার সময় ঘড়িতে দেখলাম সোয়া নয়টা বাজে। মনে মনে হিসেব করে দেখলাম, বাসায় ঢুকতে ঢুকতে সোয়া দশটা থেকে সাড়ে দশটা বাজবে। ভাটারা ইউনিয়ন টু শহীদবাগ। ফার ওয়ে টু গো। শহরটা এত লম্বা! মাঝে মাঝে আশ্চর্য লাগে আমার।
কৈশোরের ছোট্ট শহরটার কথা মনে পড়ে গেল। তার কেন্দ্র থেকে যেদিকেই যাই, বড়জোর পাঁচ কিলো পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। এরপরে গ্রাম। মেঠোপথ। জমির আইল। ইউক্যালিপটাস। সবুজ ঘাস। দূরে ছোপ ছোপ ঘন গাছপালা ঘেরা গেরস্থ-বাড়ি। মেঠোপথে দাঁড়িয়ে সেদিকে তাকালে মনে হয় এক টুকরো সবুজ বনভূমি বুঝি তাকিয়ে আছে। তার চোখের দৃষ্টিতে গভীর মায়ার পরশ। উপস্থিতিতে শীতল প্রাণজুড়ানো হাতছানি। সে ছিলো এক অন্যরকম পরিবেশ। ঢাকায় এমনটা নেই। অথচ সেই স্নিগ্ধ শহরকে পেছনে ফেলে চলে এসেছি মহানগরীতে। ভালবাসা সম্পর্কে কিছুই জানে না, কেবল স্বার্থপরের মতো জীবন চুষে খেতে জানে- এমন এক প্রেমিকার উদ্দেশ্যে সঁপেছি দেহ-প্রাণ।
প্রাইস হাইক সম্পর্কে যাদের একেবারেই ধারণা নেই, তাদের জন্য একটা তথ্য- ঢাকায় এখন দুই টাকার বাদাম পাওয়া যায় না। চলতে-ফিরতে এমন আরো অনেক কিছুই চোখে পড়বে। আমরা যে আসলে কোন দিকে এগোচ্ছি, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই কারো কাছেই। আমার একটা সুক্ষ্ণ সন্দেহ যে, এ দেশে বিপ্লব একেবারেই সমাগত। বিপ্লব উঠে আসবে হতদরিদ্র শ্রেণীর মধ্য থেকে। রিকশাওয়ালা, বাসের হেল্পার, টেম্পোর চালক ধরনের লোকগুলোর চোখ আজকাল সারাদিন জ্বলতে দেখি। আমি জানি সেই বিপ্লবের ঢেউয়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাবো আমি নিজেও। তাও অবস্থার পরিবর্তনের স্বার্থে সে আক্রমণ মাথা পেতে নেবো। মনে মনে ঠিক করে রেখেছি। আসলে জিনিসপত্রের দাম যারা বাড়ায়, তারা মুনাফা করতে করতে একসময় ভুলে যায়- সবকিছুর একটা সীমা আছে। একটা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য শুধু যে একজন ধনীই কেনে, তা নয়। সেটা একজন গরীবও কেনে। গরীব ততদিন পর্যন্ত চুপ করে সহ্য করে যতদিন হাতের পাঁচের বিনিময়েও সে দু'বেলা খেয়ে-পরে বাঁচার সুযোগ পায়। তারপরে ঝাপিয়ে পড়ে। কারণ তার আর উপায় থাকে না।
হিজবিজবিজ বাদ দিই। সুকুমার রায়ের বই পড়তে ইচ্ছে করতেসে। ওই বন্ধু আমাকে অনেক কিছু উপহার দিতে চায়। শুধু ভালোবাসা ছাড়া। সে কি অচেনা মানুষদেরকে ভালোবাসে না, নাকি কাউকেই ভালোবাসে না, নাকি আর সবাইকে ভালোবাসে-শুধু আমাকেই ভালোবাসে না, নাকি যে কি; আমি বুঝি না। মাথার ভেতরে একটা গান ঘুরপাক খাচ্ছিলো সেদিন অফিস থেকে বেরোনোর সময়- বুকের ভেতর নোনা ব্যাথা, চোখে আমার ঝরে কথা, এপার-ওপার তোলপাড় একা।
এই ঘুরপাক খাওয়া গান নিয়ে নিয়েই চলে এলাম বনশ্রী টিম্বার কোং এন্ড স' মিল-এর সামনে। সারাদিন খুব গরম থাকলেও বিকেলে একবার বাতাস উঠেছিলো। এছাড়া আর কোনো সমস্যা ছিলো না। ঠোঁট গোল করে শিষ দিচ্ছিলাম। ফ্রিস্টাইলে সাইকেল চালাচ্ছিলাম। বাসায় যাবো। ভাত-পানি খেয়ে পরে ফক্স টিভিতে মুভি দেখবো। ইদানীং একটা টিভি জুটেছে। রাজ্যের অনুষ্ঠান হয় সেটায়। একটা চ্যানেল আছে শুধু রান্নাবান্না দেখায়। কত রকমের যে রান্না। তবে বেশির ভাগই 'ল্যাম্ব ধরনের প্রাণীর সিনার মাংস (লম্বা লম্বা কাঠির মতো হাঁড়সহ) টমেটো সসে চুবিয়ে গ্রীল করার প্রণালী' টাইপ। আরেকটা চ্যানেলে সারাদিন নোবিতা-শিজুকা-ডোরেমন-জিয়ানরা দৌঁড়াচ্ছে। এই চ্যানেলটা বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া উচিত। কারণ এটা বাচ্চাদেরকে অনেকগুলো ভুল জিনিস শেখাচ্ছে। যার একটা হচ্ছে- ভুল উপায়ে কথা বলা। নোবিতা-শিজুকারা ক্রমাগত কথা বলে। একজনের কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন। তারটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন। এক মূহুর্তের বিরাম নেই। এটা একটা কথা বলার সিস্টেম হতে পারে না কোনোভাবেই। মানুষ কথা বলবে ধীরে-সুস্থে। একজন কথা বললে সেটা একটু মনোযোগ দিয়ে শোনা, সে ব্যপারে একটু ভাবা; তারপরে আরেকটা কিছু বলা- এটাই হতে পারে একটা সুব্যবস্থা। এছাড়া ওভাবে ক্রমাগত কথা বলে যাওয়াটা আসলে খানিকটা শিষ্টাচার পরিপন্থীও বটে। তবে আমি বেশ আগ্রহ নিয়েই কার্টুনটা দেখি। কার্টুন সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত আমার প্রিয়তম টিভি অনুষ্ঠান।
যা বলছিলাম, রামপুরা ব্রীজের একটু আগ থেকে বর্জ্র্যপাত শুরু হলো। প্রথমে আঁকাবাকা একটা রেখা তৈরি হয়। কখনো সামনে, কখনো ডানে। তারপর মধ্যাকাশ থেকে রেখাটা নেমে আসে একদম মাটি পর্যন্ত। তার বেশ কিছুক্ষণ পরে কানে আসে ভয়ংকর গ্রিম গ্রিম। যদিও বড় বড় ভূমিকম্পে আজকাল আমাদের কিছু হয় না। কিন্তু এ ধরনের বর্জ্র্যপাত দেখলে বুকের ভেতরে গুড় গুড় ঠিকই করে। আশপাশে কিচ্ছু কাঁপে না। শুধু বুকের ভেতর কি যেন কেঁপে যায়। আমার অবশ্য ভালোও লাগছিলো খুব। কারণ আশপাশে ছিলো অনেক ঘরমুখি মানুষ। তাই ভয় ভয় লাগছিলো না একদমই। মনখুলে মেঘে মেঘে ঠোকাঠুকি উপভোগ করছিলাম। আর তখুনি ঠান্ডা কিচকিচে বড় বড় জলকণা এসে শরীরে পড়তে লাগলো। আমি কেবল তখন রামপুরা ব্রীজের ওপরে উঠেছি। পাড়ি দিতে হবে আরো তের-নদীসম বন্ধুর পথ।
বৃষ্টির ফোঁটায় বাতাসের ধূলা মিশে থাকার কারণেই সেগুলো অমন কিচকিচ করছিলো। কিন্তু সেটা কেবল প্রথমদিকে কিছুক্ষণ। তারপরে শুধুই বরফঠান্ডা জলকণা। সবসময় ফুলস্লীভ পড়ি অন্য একটা কারণে। কিন্তু সেটা মাঝে মাঝে হঠাৎ-বৃষ্টি টাইপ সমস্যা থেকেও আমাকে সাময়িক পরিত্রাণ দেয়। আমি সে কারণেই কোনো ছাউনি-টাউনিতে ঢুকছিলাম না। মনে হচ্ছিলো পুরোপুরি ভিজে যাওয়ার আগেই বোধহয় বৃষ্টি ধরে যাবে। কিন্তু আবুল হোটেলের সামনে পর্যন্ত গিয়ে আর পারা গেলো না। তখন বৃষ্টির ঠান্ডা পানি কাপড়ের আচ্ছাদনকে পুরোপুরি পরাজিত করে শরীরে প্রবেশ করেছে। শরীরের কিছু অংশ ভেজা আর কিছু অংশ শুকনো থাকায় এক অস্বাভাবিক অনুভূতি হচ্ছে। বিশেষ করে কাপড় গলে কোনো একটা শুকনো অংশে এক ফোঁটা পানি গিয়ে পড়লেই ব্যাস্। ঝাঁকি দিচ্ছিলো একসঙ্গে চার হাত-পা। আর বৃষ্টিটা তো পড়ছিলো মুষলধারে একদম। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, তখনো মনে মনে গাইছি- মেঘের ওপর আকাশ ওড়ে, নদীর ওপার পাখির বাসা, মনে বন্ধু বড় আশা!
সাইকেলটা রাস্তার একপাশে পার্ক করে নামলাম। বৃষ্টির পানিকে শরীরের প্রত্যেকটা ভাঁজে প্রবেশ করার সুযোগ দিলাম। আচমকা খোঁচাখুচি ভালো লাগছিলো না। রাস্তার খানাখন্দে জমে থাকা পানিগুলোর ওপর দিয়ে ছপ ছপ করে হাঁটার সময় পা দিয়ে কাদাপানি ছিটাচ্ছিলাম। আর একটা দোকান থেকে কিনলাম একটা আধভেজা গোল্ড লীফ। সেটাকে সাবধানে বৃষ্টি বাঁচিয়ে হাতের মুঠোয় ধরে রেখে মাঝে মাঝে টানছিলাম। আর অচেনা বন্ধুটির কথা ভাবছিলাম। সে কি বারান্দায় দাঁড়িয়ে এই বৃষ্টিটা দেখছে? সে কি জানে শহরের একদম অন্য প্রান্তে কেউ একজন এই বৃষ্টিটার সময় তার কথা ভাবছে? সম্পূর্ণ অচেনা একজন। যার কখনোই তার কথা ভাবার কথা ছিলো না। সে কি জানে জীবনটা খুবই আনপ্রেডিক্টেবল এবং যেকোন সময় এখানে যেকোন কিছু ঘটে যেতে পারে?
বেরসিক বৃষ্টিটা এই সময় হুট করে বন্ধ হয়ে গেলো। এমনকি ওই বন্ধুটির কথা ভাবতে ভাবতে যে আমার চোখ দিয়ে একটু পানি চলে আসবে এবং সেটা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে নেমে যাবে গাল বেয়ে, সেই পর্যন্তও অপেক্ষা করলো না। তো আমি আর কি করি? গিয়ে আবার কপ্টারে চড়ে বসলাম।
আবুল হোটেলের গলি দিয়েই খিদমাহ হসপিটালের সামনের রাস্তায় উঠে আসলাম। এই রাস্তাটা খুবই স্মৃতিবহুল। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেকগুলো গল্প হুড়মুড় করে মনে পড়ে যায়, এই রাস্তাটায় আসলেই। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। যখন ঢাকা শহরে আমি নতুন, তখন একদিন এই রাস্তাটায় আমি আর ওই মেয়েটি; মুষল বৃষ্টির ভেতর রিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরেছিলাম। তখন ফ্লাইওভারটা ছিলো না। আর রাস্তাটার অনেক দুর্নাম ছিলো। দিনে-দুপুরে ডাকাতি-ছিনতাই হতো। মেয়েটি আমাকে শক্ত করে আর আমি মেয়েটিকে আলতো করে ধরে বসেছিলাম। আর রিকশার হুড ওঠানো এবং প্লাস্টিকের পর্দা টানা ছিলো। তাও দুইপাশ দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে আমাদেরকে ঠিকই ভিজিয়ে দিচ্ছিলো। এভাবেই সেই বৃষ্টিস্নাত বিকেলে আমরা বাড়ি ফিরেছিলাম।
তো সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে ওই রাস্তায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আবারো বৃষ্টি, আবারো আমার কাকভেজা এবং ওস্তাদের পরিহাসের পাত্র হওয়ার পালা। আমি জানি, এখন কোনো একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেই ওস্তাদ সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিটা বন্ধ করে দেবে। আর আমি রাস্তায় নামলেই আবার কলটা ছেড়ে দেবে। সে মাঝে মাঝে করে, এইরকম, আমার সঙ্গে। ভালো পায় তো বেশি, তাই।
সবচেয়ে বেশি ভিজেছি খিলগাঁও বাজার আর আমতলা পার হয়ে যাওয়ার পর শিল্পী হোটেল পর্যন্ত যে খোলা রাস্তাটা- সেখানটা পার হওয়ার সময়। সে সময় বৃষ্টির ফোঁটা নয়, যেন ওপর থেকে কেউ এক নাগাড়ে পানি ঢেলেছে মাথায়। আমি যে সে সময় খুব দ্রুতগতিতে সাইকেল টেনে পালিয়ে এসেছি, তা কিন্তু নয়। বরং স্বাভাবিকের চেয়ে কম গতিতে চালিয়েছি। অন্তত ওস্তাদের পানি তো বেশি খরচ হলো।
তখন আবার বেজে উঠলো মোবাইলটা। একদম কানের মধ্যে। ভুলে গিয়েছিলাম ওটার কথা একদমই। বৃষ্টির নামার আগে কার সঙ্গে যেন কথা বলছিলাম। সাইকেল চালাতে চালাতে ওটা দিয়ে কথা বলার নিয়ম হচ্ছে- ওটাকে হেলমেটের ভেতরে শক্তভাবে ঢুকিয়ে দিতে হয়। পুরোপুরি। জিনিসটা সেভাবেই থেকে গিয়েছিলো। কানের ভেতরে হঠাৎ রিংটোনটা ওভাবে বেজে ওঠার পরও কিন্তু আমি চমকাইনি। আসলে ঠান্ডায় হাত-পা অসাড় হতে হতে অনুভূতিও অসাড় হয়ে গিয়েছিলো। শুধু ভেজা আঙ্গুল দিয়ে ইয়েস বাটনটায় 'টিপি' দিয়েছিলাম কোনমতে। ওপাশ থেকে শওকত জানতে চেয়েছিলো, এ ভাই তুই কতি?
ও ক'দিন ধরে রাজশাহীর আশিকের কাছ থেকে সেখানকার 'লুখ্যাল' ভাষা শিখছে। তাকে বললাম, এই আর দু'এক মিনিটের মধ্যেই মহল্লায় ঢুকবো রে। সে বললো, গ্যারেজে চলে আয়। কথামতো সেখানে গিয়ে দেখি- ব্যাটা শুকনো জামা-কাপড় পড়ে, গ্যারেজের উষ্ণ পরিবেশে আরাম করে বসে বিড়ি টানছে। চুপচুপে ভিজে শরীর নিয়ে অমন শুকনো কাউকে দেখলে তাকে মারতে ইচ্ছা করে। সেটা ওকে জানালাম। শুনে ও আরো আরাম পেয়ে দুলে দুলে হাসা শুরু করলো। আর যায় কোথায়। হেলমেটের চিপা থেকে মোবাইলটা বের করে দারোয়ান কাকুর বিছানার ওপর ছুঁড়ে ফেলে, হেলমেটটা দিয়েই ঢাই ঢাই বাড়ি দেয়া শুরু করলাম ওর পিঠে, মাথায়, ঘাড়ে, বাহুতে; পশ্চাদ্দেশেও। আর সে হাসতে হাসতে এবং গড়াতে গড়াতে আমার বাড়িগুলো ঠেকানোর চেষ্টা করতে লাগলো।
মারপিট শেষ হওয়ার পর গ্রীন লাইনের সামনে গিয়ে চা খেলাম। ভেজা কাপড়েই। এই দোকানের কাকার অল্পবয়েসী একটা বউ আছে। তিনি আবার শওকত দোকানে গেলেই আশপাশে এসে ঘুরাঘুরি করেন। কোনো কারণ ছাড়াই। সেদিনও এসে ঘোরাঘুরি করলেন। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে একটা স্নিগ্ধ সতেজ ভাব চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলো। ভলভো বাসের বড় বড় ইঞ্জিনগুলোর গরম ধোঁয়া আর গুমোট গুঞ্জনও সেই সতেজতায় চিড় ধরাতে পারছিলো না। আমার খালি মনে হচ্ছিলো, আমরা যে যেই শহরেই থাকি না কেন, প্রকৃতি আসলে সবখানেই মায়ের মতো। স্নেহ, আদর আর ভালোবাসা দিয়ে রক্ষা করে সন্তানদের। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই হয়তো।
এইসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে যখন চা শেষ হয়ে গেল, তখন আমি আবার অচেনা বন্ধুকে নিয়ে চেনা সুখস্বপ্নগুলো দেখতে দেখতে বাড়ির পথে হাঁটা দিলাম। শওকত হড়বড় করে সারাদিনে মহল্লায় কি ঘটেছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছিলো। কিন্তু সেসবের কিছুই আমার কানে ঢুকছিলো না। সেই সন্ধ্যাটা আমার জীবনের খুবই প্রিয় একটা সন্ধ্যা ছিলো। যদিও সেটাকে ঠিক সন্ধ্যা বলা যাবে না, কারণ তখন প্রায় এগারটা বেজে গিয়েছিলো।
---
সুলেখক আহমাদ মোস্তফা কামালের প্রিয় বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টি নিয়ে এই লেখাটা মূলত তাকে উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যে লিখিত। তিনি আমার শুধু প্রিয় একজন ব্লগারই নন। ভীষণ প্রিয় একজন লেখকও। সম্প্রতি তার ব্লগে গিয়ে একটা ধাক্কা খেলাম। তিনি সব পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। কেন? কি এমন ঘটতে পারে যে এতদিনের এত লেখা, বন্ধু-বান্ধব-সহব্লগারদের এত এত কথা/কমেন্ট সবকিছু ডিলিট করে দেয়ার মতো যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়া? প্রিয় কামাল ভাইকে এসব সহ্য করতে হয়েছে দেখে খারাপ লাগলো খুব। আমি জানি এ যন্ত্রণা আমাদের চেয়ে তাকে অনেকগুণ বেশি বিদ্ধ করেছে। এও জানি যে, চলে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।
বরং আমরা যারা পছন্দ করি, ভালোবাসি আপনাকে; তাদেরকে কষ্ট দেয়াই হলো শুধু। আমার ছোট্ট একটা অনুরোধ কামাল ভাই, আবার ফিরে আসুন আমাদের মাঝে। আমি এবং আমি একশত ভাগ নিশ্চিত আমার মতো আরো অনেকেই, চায় আপনাকে আবারো আমাদের মাঝে দেখতে। তাদের সবার কথা চিন্তা করে, প্লীজ কাম ব্যাক ব্রাদার।
---
এই লেখা নিয়ে কমেন্ট করবো না।
ভালো লাগা সবসময় বলে বোঝানো যায় না, তাই। প্রিয় তে নিয়ে নিলাম।
আপনার সাথে দাড়ালাম,
ফিরে আসেন কামাল ভাই।
আপনার লেখাটা যখন পড়ছি তখন হেডফোনে নিচের গানটি শুনছিলাম, খুব ভালো লাগছিল combination টা,
http://www.youtube.com/watch?v=sku-1hqA5xw
পড়তে পড়তে শেষে এসে একটা ধাক্কা খেলাম, আমার মত যারা আহমাদ মোস্তফা কামালের লেখার ভীষণ আগ্রহী পাঠক তাদের জন্য ঘটনাটা খুব বেদনাদায়ক..
কামাল ভাই তাঁর সব লেখা মুছে দিয়েছেন, খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। বোধকরি কোনো ঘটনায় তাঁর আহত হবার মাত্রাটা অনেক বেশী ছিলো তাই এমন কাজ। প্রিয় লেখক-মানুষ কামাল ভাইকে অনুরোধ করবো, উনি যেন সব লেখা ফিরিয়ে আনেন। প্রত্যাশায় থাকলাম তিনি আবার আমাদের সাথে ব্লগিং করবেন।
...........
মীরের ঘটনা আর দৃশ্যকল্প চিত্রণের দক্ষতা নিয়ে নতুন কি বলবো! অসাধারণ ছাড়া?
বৃষ্টিপ্রেম, মানবপ্রেম, সামাজিক টানাপোড়েন, স্মৃতির পাহাড়... সব-ইতো আমাদের সবার কিছু কিছু আছে, কিন্তু সেসব নিয়ে সম্ভব এমন চমৎকার লেখা উপস্থাপন!? জাস্ট লেখাটা গিললাম, মুগ্ধ, মুগ্ধ, মুগ্ধ। এবং প্রিয়তে।
কদিন আগে তালতলা গিয়েছিলাম অফিসের একটা কাজে। তখন দুপুর। আবুল হোটেলে খেলাম। খেতে বসে কেনো জানিনা আপনাকে মনে পড়লো...
খিদমা হাসপাতালের মালিকদের একজন আমার বন্ধু...
শহীদবাগের বন্ধুদেরও মনে পড়লো...
কামাল ভাই অনেক অভিমানী, আমার মত। তফাৎ হচ্ছে- আমি পোস্ট ডিলিট করি নাই, উনি করেছেন। কামাল ভাইকে ভালো পাই... এটা কি আর উনি জানেন না !
আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলবোনা...
-- সহমত।
মীর ব্রো আপনার লেখা ভালু পাই।:)
মীর বরাবরের মতোই।
ব্লগ ছাড়া বা রাগ অভিমান নিয়ে একসময় কামাল ভাই আমাকেও নিরুৎসাহিত করেছিলেন। সেই কামাল ভাই!!!
ফিরা আসেন। আমরা আমরাই তো
টুটুল ভাই ছাড়া আর সবাইকে ধন্যবাদ। উনাকে ধন্যবাদ নয়। কারণ উনি কিছু বলেন নাই। না লেখা সম্পর্কে, না কামাল ভাই সম্পর্কে। আমার লেখা না হয় ভালো হয় না, তাই কখনো কমেন্ট করেন্না, কিন্তু কামাল ভাইকে অ্যাটলীস্ট ফিরতে বলতে পারতেন
যাক্ এই পোস্টে কমেন্টের নিচে নিচে উত্তর না দিয়ে, কেবলমাত্র কামাল ভাই সম্পর্কে উঠে আসা কথাগুলো উদ্ধৃত করে দেয়ার কথা ভাবছি। দেখা যাক বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়-
বিষণ্ন বাউন্ডুলে বলেছেন,
ফাহমিদা বলেছেন,
লীনা দিলরুবা বলেছেন,
মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন,
উচ্ছল বলেছেন,
শওকত মাসুম বলেছেন,
মেঘের উপর আকাশ ওড়ে

নদীর ওপার পাখির বাসা
মনের বন্ধু বড় আশা
লেখাটা পড়তে পড়তে খুব মজার একটা কমেন্ট সাজাচ্ছিলাম মাথার ভেতর, কিন্তু ইটালিকে লেখা অংশটা পড়ে ধাক্কা খেলাম
মজার কমেন্টটা মাথার ভিতর থেকে কই যে চলে গেলো খুজে পাইতেছি না 
কিন্তু হঠাৎ এমন কি হইলো? এইটা ঠিক না কামাল ভাই
আপনি লেখা ড্রাফট করছেন কেন? আপনার লেখাগুলোর ভিতর আমার মত অভাজনকে উৎসর্গ করা একটা লেখাও ছিলো। হিসাব মতে সেই লেখাটা আমার জন্য। আপনি আমার আনন্দের একটা উপলক্ষ্য এভাবে কেড়ে নিতে পারেন না কামাল ভাই।
রায়েহাত শুভ বলেছেন,
এমন এক দিনে পোস্ট-টা দিলেন যেদিন একবারও নেটে উঁকি দেবার সময় হয়নি! রাতে এসে দেখি এই কাণ্ড!
আমার কিছু হয়নি, মীর। মায়া কাটাতে চাইছি, নেশা কাটাতে চাইছি। ব্লগ, ব্লগার, ব্লগের লেখা আর মন্তব্য, পাস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া এক দারুণ নেশা ধরানো ব্যাপার! এর থেকে বেরুনো কঠিন। অথচ বয়স বাড়ার সাথে-সাথে সময় ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে, সারারাত জেগেও কাজের কোনো কূল-কিনারা করতে পারি না। কাজগুলো তো গুছিয়ে আনা দরকার - সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে!
এ এক জটিল ধরনের মায়ার জগৎ। জগৎই মায়ার খেলা, মায়াতেই টিকে আছে সবকিছু; কিন্তু ব্লগের মায়াটা বড়ো অদ্ভুত। অচেনা সব মানুষ কেমন করে যেন প্রাণের খুব কাছে জায়গা করে নেয়! এই যেমন আপনি, এত মায়াভরে ডাক দিলেন ফিরে আসার! অথচ আমার মতো একজন ব্লগার - ব্লগে থাকলেই কি, ব্লগে ছেড়ে দিলেই কি! হাতে গোনা লেখা, অনিয়মিত মন্তব্য - মাঝে মাঝেই প্রবল নেশায় ঘুরে যাই বটে, পড়ে যাই, আলস্যের জন্য জানানোও হয় না পাঠপ্রতিক্রিয়াটা - এরকম ব্লগার তো কোনো কাজে লাগে না! অথচ আপনি ডাকলেন, ভালোবেসে, মায়াভরে। অচেনা মানুষের জন্য এই মায়ার তো কোনো তুলনা নেই। অথচ এর এক অদ্ভুত দিকও আছে। উদাহরণস্বরূপ, যে অচেনা মানুষটির কথা লিখেছেন এই লেখায়, যার জন্য আপনার চোখ ভিজে উঠেছিল, অশ্রুবিন্দু মিশে গিয়েছিল বৃষ্টির সঙ্গে, সে কিন্তু কোনোদিন জানতেও পারবে না এ-কথা। আর যদি জানার মতো সম্পর্ক তৈরি হয়, তাহলে হয়তো সে-ও আপনার বর্ণনা-মতোই বৃষ্টি দেখবে, কিন্তু আপনাকে সেটা জানতে দেবে না। ধরা যাক, তা-ও জানালো সে, মানে অপরিচয়ের দূরত্ব ঘুচিয়ে পরিচয়ের দিকে ধাবিত হলো সম্পর্কটি, কিংবা সত্যিই একদিন পরিচিত হয়ে উঠলেন, তখন আপনি তার কাছে গুরুত্ব হারাবেন। সে মনে করবে, আপনার সবই তার চেনা-জানা হয়ে গেছে, নতুন কিছু জানার নেই; আর তখন সে নতুন কারো সঙ্গে নতুন ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলবার দিকে এগোবে - আপনার বেদনা ও নিঃসঙ্গতার কোনো খবরই রাখবে না! এই বিবিধ জটিলতাময় মায়ার সম্পর্কগুলো থেকে দূরে থাকা কঠিন, আবার কাছে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। সব মিলিয়ে এই সম্পর্ককে আমি ব্যাখ্যা করতে পারছি না বলেই হয়তো মায়া কাটাতে চাইছিলাম।
আর তাছাড়া, আমার সবসময়ই মনে হয় - ব্লগ মূলত তরুণদেরই জায়গা। এত দ্রুতগতির মাধ্যম এটা যে জীবন-জটিলতায় আটকে যাওয়া ব্যস্ত-বয়স্ক মানুষরা এটার সঙ্গে ঠিক খাপ খাওয়াতে পারে না।
ব্লগ মুছে দিইনি। পোস্ট ড্রাফট করেছিলাম প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে। মায়া কেটে গেলে নিজে থেকেই ফিরিয়ে আনতাম হয়তো। ঘোষণা দিয়ে চলে যাবার মতো নাটকিয়তা আমার চরিত্রের ভেতরে নেই, নিঃশব্দে গিয়েও সুবিধা হলো না, ডাকাডাকি শুরু করলেন! এভাবে ডাকলে না ফিরে পারা যায়!? পোস্টগুলো মুক্ত করে দিচ্ছি। কিন্তু তাতে যে কার কতোটুকু লাভ হবে জানি না...
বিষণ্ন, ফাহমিদা, লীনা, মেসবাহ ভাই, উচ্ছল, মাসুম ভাই, টুটুল, শুভ - সবাইকে ধন্যবাদ। আর আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা।
ওহো, আপনার লেখা সম্বন্ধে কিছু বলা হয়নি। পড়তে দারুণ লাগছিলো - ওই একই পথ দিয়ে প্রতিদিন আমিও বাসায় ফিরি। পার্থক্য এই যে, আপনার মতো আমার সাইকেল নেই; আর ওস্তাদ কখনো আমার ওপর অতোটা রহমত বর্ষণ করেন না - সম্পর্কটা জটিল কী না!
আপনার এই লেখাগুলো গল্প পড়ার আনন্দ দেয় - জীবন্ত ও প্রাণবন্ত আপনার বর্ণনা। দেয় অন্য একটা অর্থও - জীবন তো একটা জার্নিই আসলে - আপনি যেন তারই টুকরো টুকরো ছবি এঁকে রাখছেন এই লেখাগুলোতে।
আপনি একদিন অনেক বড়ো লেখক হবেন - ওস্তাদ যদি আপনাকে লেগে থাকার ধৈর্য দেয়! অন্য সবকিছুই তো ওস্তাদ দিয়েছেন আপনাকে - দেখার চোখ, বলার মতো ভাষা, সবই। এবার চেয়েচিন্তে ধৈর্যটুকুও আদায় করে নেন...
চারাপাশে কত কি ঘটে প্রতিদিন। দু:খ-আনন্দের। লিখতেও ইচ্ছে করে কত কি! কিন্তু পারি না তো! এত ভালো লিখেন কেমনে কে জানে! অনেক ভালো লিখতে থাকেন সবসময়, এটাই কাম্য।
কামাল ভাইকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো। মীরকে ধন্যবাদ। এত মায়াভরে ডাকেন যে ফিরানো যাবে না। আমি কাউকে ডাকলেও মনে হয় বুঝাতে পারি না।
@কামাল ভাই,
বয়স দিয়ে কখনো কোন মানুষ কে বিচার করতে নেই।
মানুষ বয়সের কারনে বৃদ্ধ হয় না,
মন টা সবুজ রাখলেই হল-
তাহলে সারা জীবন ই তরুণ।
অভিজ্ঞ ব্লগার দের ছায়া ছাড়া কোন ব্লগে তারুণ্যের কোলাহল খুব একটা জমে উঠে না।
ব্লগের কোন সমস্যার সমাধান, অথবা জাতিয় কোন অসংগতি বা সমস্যায় আন্দোলন গড়ে তোলা বা এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া কিন্তু আপনার মত অভিজ্ঞ ব্লগারের কাছেই সবার প্রত্যাশা থাকে।
ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, সুপ্রিয় কামাল ভাই।
এই পোষ্টে ৩ বার কমেন্ট করতে গিয়ে কারেন্ট চলে গেলো। তাই আর কমেন্ট করতে পারলাম না।
এখন আর কি বলবো?
কামাল ভাই এর ফিরে আসাতে আনন্দিত হলাম।
লেখা অতি চমৎকার।
এর জন্য রেডিমেট কমেন্ট তৈরী কৈরা রাকপেন... যাতে ১ মিনিটেই সাবমিট করা যায়
রেডিমেট কমেন্টের জন্য দেখুন
আপনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে উপরের লিংকুর ৮০ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্টব্য
মন্তব্যের ঘরে, আপনার ব্যবহৃত আবেগ চিত্রিকা সমুহের সুচারু ব্যবহার আমাকে গ্রীক দার্শনিক জেনো'র কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, এছাড়াও আবেগ চিত্রিকা ব্যবহারের পরম্পরায় বারবার দেখতে পাচ্ছি ডাচ দার্শনিক সোরেন কিয়র্কেগার্ডের ছায়া।
আবেগ চিত্রিকা ব্যবহারে আপনার হেজেমোনিক কোনো অবস্থান চোখে পড়ছে না, বরং আপনার আবেগ নিসঃরিত গ্রান্ড ন্যরেটিভটিই চিত্রিত হচ্ছে।
তবে যে আবেগ চিত্রিকার সুচারু ব্যবহার মানব মনে লালন করে চলা প্রাগৈতিহাসিক শিকারী মনঃবৃত্তির প্রকাশ করছে তেমন শৈল্পিক প্রকাশ আমরা কেবল গুহাচিত্রেই খুঁজে পাই।
নোয়াম চমস্কি হয়তো এ প্রসঙ্গে ভাষিক দৈন্যতার বিষয়টি উল্লেখ করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর সাথে দ্বিমত তৈরী হবার প্রচুর অবকাশ রয়েছে। কারণ আমরা সবক্ষেত্রে লেখ্য ভাষার মাধ্যমে কথ্য ধ্বনিকে উপস্থাপন করতে পারি না।
এছাড়াও উক্ত বিশেষ আবেগ চিত্রিকার প্রয়োগের সাথে আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর তুলনামুলক বিচারে উপনীত হ'লে নিশ্চিত ভাবেই বার্ট্রান্ড রাসেল কিংবা ফ্রেডরিখ নিটশের কোনো না কোনো উক্তি হাজির করতে পারবো।
অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই
সহব্লগার-বন্ধুদের অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন বলে আপনার প্রতি কৃতার্থ হলাম।
--- আমাদের ব্লগে অদেখা সব বন্ধুদের পরস্পরের প্রতি এমন মায়া থাকুক সবসময়, আমরা অনুভবে-চিন্তায় সবাই জায়গা করে নেই পরস্পরের প্রানের খুব কাছে।।
কামাল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ ।আমাদের থেকে দুরে চলে না যাবার জন্য। সময় থেমে থাকবে না, বয়স বেড়ে যাবে, কাজ ফুরাবে না তবুও ..... আমাদের ছেড়ে যাবেন না।।
শুধু কামাল ভাই নন, সবার প্রতি এই অনুরোধ।।
যখন আমার কমেন্ট করার সুযোগ হল ততদিনে কামাল ভাই ফিরে এসেছেন । একটা খুশী খুশী ভাব হচ্ছে মনের ভিতর ।

মীর আপনার লেখা একদম ভালো না
আমি এত বেশি আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি যে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সেই অপচেষ্টাতে গেলামও না। প্রিয় বন্ধুদের সবাইকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা জানাই। আজ শুধুই ভালোবাসা। কেবল কামাল ভাইয়ের জন্য বাড়তি হিসেবে থাকলো অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পক্ষ থেকে এবং সবার পক্ষ থেকেও।
লেখাটা পড়ে এই ঠাডা গরমেও কেমন জানি একটা বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব ফিল হচ্ছে

ডরায়েমনে তো কেমনে চালাকি করা যায় বাপ মার সাথে শুধু সেই বুদ্ধু দেয় তারপরও কেনো জানি আমার প্রিয় কার্টুন
কী অসাধারন বয়ান পড়ে নিলাম এক নিমিষেই!
কী অসাধারন বয়ান পড়ে নিলাম এক নিমিষেই!
থ্যাংকিউ জোনাকি+শান্ত।
মন্তব্য করুন