কবিতা: ধান্দাবাজির এই শহরে ঘাসফুলেদের ঠাঁই নাই
আজকাল সিনেমা
উপন্যাস, গান
কোথাও ঘাসফুলের
কথা বলা হয় না,
কেউ আর বলে না
শিশিরের বিন্দুতে
ঠিকরে পড়া রোদের কথা।
আজকাল শুধু খুন
ধর্ষণ, দুর্ঘটনা আর
ভাঙনের কথা বলে সবাই
জীবনের অর্থ পাল্টে হয়েছে
যেকোন উপায়ে আপন
প্রাণ বাঁচাই।
পরিবারের অর্থ পাল্টে হয়েছে
আগুনের গোলক,
আর কেউ এই "আজকাল"কে মানতে
না চাইলে, পরিবারই তাকে দেহ-
মনে পিটিয়ে লম্বা করে দেখিয়ে দেয়
কোথাকার কোন বালব্যাটা হে তুই বালক?
দুই, চার, পাশশো কিংবা ক'টা হাজার
টাকাও আজ কথা বলে। আর তুই এসেছিস
হিন্দি চুল তুলে আঠিঁ বানাতে?
আর তো সমাজের অন্যান্য
ইনস্টিটিউশনের কথাগুলো বাদই দিলাম।
বিয়ে নাকি এককালে অমন একটি ইনস্টিটিউশন ছিল
হাহাহা, আজকালের বিয়ে মানে যেকোন ছুতোয়
নির্যাতন আর প্রতারণা।
ধর্ম নাকি একসময় মানুষের ভেতর শান্তির
বাতাস বইয়ে দিতো। অট্টহাসি পায় সে কথাটা
এখন ভাবলে। আজ মেকি বানোয়াট শান্তির আধাঁরে
ডুবে থাকা মানুষ
সুযোগ পেলেই দুই-চারটি টাকা কিংবা জুতার শুকতলার সমান সম্মান কিংবা কোন কারণ ছাড়াও
আধাঁরের খোলস থেকে যেভাবে ঝান্ডা হাতে বের হয়ে আসে
তাদের সংখ্যা, বিশ্বাস আর আচরণ দেখলে মনে হবে
হিংসা, দ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা
তারা ওই বদ্ধ ঘরটাতেই চর্চা করে।
আর কি আছে?
মানুষের প্রতি সম্মান, সহানুভূতি ইত্যাদি নামের
নানান প্রাগৈতেহাসিক বালছাল কি আজও চালু আছে?
নাই।
ধান্দাবাজির এই শহরে
কল্পনাতেও ঘাসফুলেদের ঠাঁই নাই।
বড় ফালতু সময়ে জন্মেছিলাম হে দুনিয়া।
তাই বহুদিন এই দুনিয়ার কোনকিছুকেই
ভালবাসি বলে উঠতে পারি নাই।
---
মন্তব্য করুন