আমার চোখে চন্দ্রাবতী
আমাকে সাথে নিয়ে কেউ বিয়ের কনে দেখতে গেলে সে মেয়ের সাথে বিয়ে না-হবার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ । মেয়ে দেখে পেট পুরে খেয়ে ফিরে আসবার সময় যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘মেয়ে কেমন?’ আমি বলি ‘ভালোইতো’ । ‘শুধু ভালোইতো বললেই চলবে? কেমন ভালো তাও বলো’। এবার আমি আর ভালো কিছু খুঁজে পাইনা মেয়েটির মধ্যে । তার যা কিছু ত্রুটি সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলতে থাকি । কনে পছন্দে আমার মতামতের উপর আর কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়না, অতএব আর কী, আত্মীয়তা আর হয়না সেখানে ।
একই ব্যাপার ঘটে আমাকে নিয়ে শপিংয়ে গেলে, বিশেষ করে শাড়ী, গহনা বা এমন কিছু যা কিনতে পছন্দ করবার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য । সবাই যেটা পছন্দ করে কিনবার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলে, সেখানে আমার মতামত চাইলে সেটার দোষ-ত্রুটি দেখিয়ে কেনার বারোটা বাজিয়ে দিতে বেশী সময় ব্যয় করতে হয়না ।
আবদুর রাজ্জাক শিপনের চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রং আগেই কিনেছিলাম, পড়েওছিলাম কিছুটা । বইটির মোড়ক উন্মোচনের সময় রুবেল শাহ আমার হাতে ঐ বইয়ের একটা কপি দিলেন । উন্মোচনের পরে সবাই যার যার হাতের বই রুবেলের হাতে ফিরিয়ে দিলেন, আমারটাও দিতে গেলে রুবেল সেটা ফেরত না-নিয়ে আমাকে রেখে দিতে বললেন । ‘তা’হলে, শিপনের হয়ে আপনি কিছু লিখে দেন’ আমার এ অনুরোধে রুবেল রাজী হলেও কারোর কাছে কলম না-পেয়ে শেষে বিনা লেখায়ই বইটা নিয়ে এলাম । নিয়েতো এলাম, বিনামূল্যে পাওয়া বইয়ের একটু গুণকীর্তণ না-করলে ভালো দেখায়না যে । আর তা করতে হলে বইটা পড়তে হবে মনোযোগ দিয়ে, আর বিপত্তি বাঁধলো এখানেই । মন দিয়ে পড়তে যেয়ে, গুণ যা পেলাম তা প্রকাশ করবার মত ভাষাজ্ঞান আমার নেই । মাঝখান থেকে বইয়ের কিছু ত্রুটি-বিচ্যূতি আমাকে অস্থির করে তুলল । কারণ কোন ভালো কিছুর মধ্যেকার মন্দ আমাকে বড্ড বেশী কষ্ট দেয় ।
আমি নিজে কোন সংজ্ঞা মতেই লেখক নই, অবশ্য যদি অফিস নোট, সাক্ষীদের সাক্ষ্য লিপিবদ্ধকরণ বা পত্র লেখার জন্য লেখক বলা হয় তা হলে আমার কিছু বলার থাকবে না । আর তাই কোন একজন লেখকের বইয়ের উপরে আলোচনা বা সমালোচনা করা কোনটাই আমার যোগ্যতার আওতায় আসেনা । তারপরও সৌজন্য কপি পাওয়া বলে কথা, কিছু না কিছু না লিখলে ঐ পাওয়াটাকে কোন গুরুত্বই দেওয়া হয়না ।
প্রায় সব বইতেই লেখক একটা ভূমিকা বা মুখবন্ধ বা ঐ জাতীয় কিছু বক্তব্য প্রদান করেন । চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রং-এ শিপন এমন কিছু লিখেন নাই । তবে বইটির ফ্লাপে আরিফ জেবতিকের লেখা সে অভাব পূরণ করেছে । শুধু পূরণই করেনি, বইটির গুরুত্বও বাড়িয়েছে । বইটি কেনেন বা না-কেনেন, সকলকে আমি অনুরোধ করব ফ্লাপে আরিফ জেবতিকের লেখাটুকু দয়া করে পড়বেন । বইমেলা শেষ হবার আগে স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে অনায়াসে সেটুকু পড়ে, বই কিনে বা না-কিনে, চলে আসতে কারোরই অসুবিধা হবার কথা নয় ।
মাত্র ৮০ পৃষ্ঠার এ বইটিতে ব্যক্তিগত অনুভূতি, সামাজিক অবক্ষয়, পরোপকারিতা, মুক্তচিন্তা নিয়ে সহজ-সরল অথচ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় ও গতিতে গল্পকে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে । অথচ পড়ার সময় মনেই হয়না যে এমন ভাবগম্ভীর কোন বিষয় এর মাঝে লুকিয়ে আছে । আর তাইতো আমি আগেই বলেছি যে, কোন ভালো কিছুর মধ্যেকার মন্দ আমাকে বড্ড বেশী কষ্ট দেয় ।
এবারে তাই মন্দ কিছুর ফিরিস্তিঃ (আসলে কিছু অসঙ্গতি প্রথমে)
১। বইটির পৃষ্ঠা ৮, অনুচ্ছেদ ৩ “বড়-ছোট নির্বিশেষে আপনি সম্বোধনে ডাকেন হাজী সাহেব”। অথচ মাস্টার আতাউর রহমানকে (চন্দ্রাবতীর বাবা)তিনি অনায়াসে ‘তুমি’ সম্বোধন করেছেন (পৃষ্ঠা ২৮,৫২)। আবার মাইক্রোবাসের ড্রাইভার আনিসুর রহমানকেও তাই (পৃষ্ঠা ৭৬)।
২। “আলতাব হোসেন হাজী মজিদের পিতার নাম (পৃষ্ঠা ৯)।” অপরদিকে মধুপুর হাই স্কুলের হেড মাস্টারের নামও আলতাব হোসেন । হাজী সাহেবের কৃপায় স্থাপিত স্কুলের হেড মাস্টারের নাম ও তাঁর পিতার নাম একই হতে পারে, তবে এমন ক্ষেত্রে সেটা নিয়ে একটু ব্যাখ্যা থাকলে ভাল হত (হেড মাস্টার আবার হাজী সাহেবকে ভাই বলে ডাকেন) । দেশে তো আর নামের আকাল পড়েনি, অন্য কোন নাম দেওয়া যেত না কি?
৩। ৩০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে চন্দ্রাবতীর মোবাইলে মিসড কল আসে ঠিক সকাল এগারোটায় । একটু পরে বলা হয়েছে যে, ঘন্টার কাঁটা আর মিনিটের কাঁটা যখন এক হয়, পরস্পরের সাথে বুকে বুক মিলায় তখন । কিন্তু তা কি হয়, কাঁটার এমন অবস্থান ঘড়িতে ১২টা বাজবার সময়েই শুধু হতে পারে ।
৪। চন্দ্রাবতীর জন্মদিনে তার পিতার রুমে কেক, বৃত্তাকারে সাজানো ১৯টি মোমবাতি (পৃষ্ঠা ৬৭)এবং তারপরেই হঠাৎ করে “তোমার নাম কি? আক্কাস” ইত্যাদি দিয়ে একটি সাক্ষাৎকার পাঠককে চমকে দেবার জন্য লেখকের একটা টেকনিক হতে পারে, তবে আমার কাছে তা তেমন গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি ।
৫। কোন কোন জায়গায় দুই বা তিনটি শব্দের মাঝখানে কোন স্পেস না-থাকায় তা একটি শব্দ বলে ভ্রম হয়, তবে ও রকম কোন শব্দের অস্তিত্ব বাংলা ভাষায় আছে বলে মনে হয়না । যেমনঃ একেকসময়একেক হুজুগ (পৃঃ৩৯,শেষ লাইন), চন্দ্রামুগ্ধ (পৃঃ৫৪,৫ম লাইন), চিনতেপারে (পৃঃ৬০,১০ম লাইন), চন্দ্রাবলে (পৃঃ৬১,৯ম লাইন)। কোথাও আবার একটা শব্দ দু’টো শব্দ হিসেবে ছাপা হয়েছে, যেমনঃ আন্ত রিক (পৃঃ৩১,লাইন ১৩-১৪), পশু গুলো (পৃঃ৩৫,নীচ থেকে ৩য় লাইন), সময়েএকটা (পৃঃ৭১,২য় লাইন)।
৬। “তিনি স্ট্রোক করেন। ------ এর আগেও দু’বার স্ট্রোক করেছেন”(পৃঃ১০)। এ বাক্য দু’টো পূণর্লিখন প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়েছে ।
৭।বইটির নাম নিয়ে আমার মনে একটু দ্বিধা জন্মেছে । “চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল” এটুকুই তো যথেষ্ট, সবাই জানে কাজলের রং কালো, কাজেই কাজল রং দেওয়ার প্রয়োজন কি ?
৮। চন্দ্রাবতীর বান্ধবীর নাম লেখা হয়েছে তিথী । ‘তিথী’ বানানটি কি সঠিক? আমার যতদূর মনে পড়ে সকল ক্ষেত্রে ‘তিথি’ লিখবার নিয়ম বহাল আছে ।
আর অন্যান্য ভুল বানান নিয়ে প্যাঁচাল পাড়তে গেলে লেখক তো বটেই পাঠককুলও আমার উপর বেজায় ক্ষেপে উঠতে পারেন (ভুল বানানের সংখ্যা অনেক, কোনটি লেখকের, কোনটি ছাপাখানার) । সে ভয়ে ওদিকে পা বাড়াতে আর সাহস হচ্ছেনা । তবে লেখক দেশে এলে অথবা তার কোন প্রতিনিধি (যেমনঃ রুবেল শাহ) ইচ্ছা করলে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ বানান চিহ্নিত করা বইটি’ আমার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন । অবশ্য সেক্ষেত্রে আমি চন্দ্রাবতীবিহীন হয়ে পড়বো, আমার কেনা বইটি ইতিমধ্যে সম্প্রদান কারকের উদাহরণ হয়ে গেছে ।
বইটির প্রথম সংস্করণ অচিরেই শেষ হয়ে যাবে, এর বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার ভঙ্গী থেকে এটা আমার ধারণা । এবং তার পরই এর পরিমার্জনার প্রয়োজন হবে দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য । আর তাইতো আমি কিছুটা সময় নিয়ে এই ব্যতিক্রমধর্মী বইটি পড়েছি, এই বইটিকে আরও সুন্দর করবার জন্য কিছু একটা করা দরকার বলে আমার মনে হয়েছে ।
ব্লগে যিনি লেখক, তিনিই সম্পাদক, তিনি নিজেই প্রুফ রিডার, নিজেই প্রকাশক, আর তাই অনেক ব্লগারই বানান ও শব্দ বিন্যাস বা বাক্য গঠনের প্রতি সঠিক মনোযোগ দিতে চান না । ফলে ধীরে ধীরে ভুল বানান/বাক্য তাদের কাছে প্রায় সহনীয় হয়ে ওঠে । ছাপার অক্ষরে এমন কারো বই যখন বাজারে আসে, তখন তাই ভুলের সমারোহে একটু বাড়াবাড়ি থাকে ।
নাজমুল ভাই, অফটপিক এমনভাবে লিখেছেন যে কিছু বলতে পারছি না। নাহলে কিছু কথা বলার ছিলো।
মনে দ্বিধা নিয়ে হলেও বলেই না-হয় ফেলুন ! দেখি না সহ্য করতে পারি কিনা !
ব্যক্তিগতভাবে শিপনের ছোটগল্প আমার খুব প্রিয়, তাই উপন্যাসটি নিয়ে প্রত্যাশাও বেশি ছিলো। চন্দ্রাবতী প্রত্যাশাকে অতিক্রম করেছে বলবো না, তবে প্রথম প্রয়াস হিসেবে অভিবাদনটুকু লেখকের অবশ্যই প্রাপ্য।
==============================================
হুদাভাইকে সাধুবাদ। পরিশ্রমসাধ্য আলোচনা পছন্দ হয়েছে। নিশ্চয়ই আরাশিসহ অনেক লেখকের/ব্লগারের উপকারে আসবে। তবে অফটপিকের সংযোজনটুকু ভালো লাগেনি।
ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা এবং প্রকাশকদের প্রচলিত প্রবণতা থেকে বলতে পারি, পরবর্তী সংস্করণ বলতে আসলে যেটা হয় বা হবে তা পরবর্তী মুদ্রণ। প্লেট যেটা করা আছে সেটা থেকেই ছাপানো হবে, যদি না লেখক নিজ খরচে নতুন ট্রেসিং+প্লেট তৈরি করান। কাজেই 'চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রং'-এর টাইপো/বানানভুল ইত্যাদি সংশোধনের সুযোগ আদৌ আছে কিনা জানি না।
আপনার দেখানো প্রমাদগুলোর বাইরে কিছু র/ড় (ঘোড়ার খুড় মনে পড়ছে) বিভ্রাট চোখে লেগেছে। স্ট্রোকের (মস্তিষ্কের ঘটনাক্রম জড়িত) বদলে ব্যাপারটি হার্ট অ্যাটাক হলে বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি হতো বলে মনে হয়, কারণ বুকে ব্যথার কথা আছে।
ধন্যবাদ নুশেরা । অনেক অনেক

তারপরও কিছুই কেউ বলবে না, বা কিছু বলা যাবেনা তাতো নয় । সরাসরি আক্রমণ হলে না-হয় আত্মগোপন করবো । 
আবদুর রাজ্জাক শিপনের প্রথম প্রয়াস অবশ্যই অভিবাদনযোগ্য, এতে কোনই সন্দেহ নাই ।
অফ টপিক আমার ভীতু মনের পরিচয় বহন করছে, আমার সহ্য ক্ষমতা খুবই কম ।
ঢ্যাং ঢ্যাং করে না-ঘুরে ট্যাং ট্যাং করে ঘুরা, কাঠখড় না পুড়িয়ে কাঠখড় পেরিয়ে, পেট পুরে না-খেয়ে পেট পুড়ে খাওয়া, দু'হাতে না-পুরে দু'হাতে পুড়ে নেওয়া, শর্তের কথা মনে না-করিয়ে শন্তের কথা মনে করিয়ে দেওয়া্, দুই গ্রাম পরে না-হয়ে দুই গ্রাম পড়ে, পাটাতনের নীচে দাঁড়ানো, ছাড়াও ঁ, য়>ই, ই>য়, আ-কার, ই-কার বিভিন্ন ভুল রয়ে গেছে। এর দায় অবশ্য প্রকাশকও এড়াতে পারেন না ।
আরেকটা কথা, প্রথম প্যারাটি না থাকলেই কি নয়? মেয়ে 'দেখা'র প্র্যাকটিসটা ইটসেল্ফ কদর্য এবং আপত্তিকর...
আমি একমত । তবে এখনও আমাদের সমাজে পাত্রের নিজের পছন্দ করা মেয়ে ছাড়া আর সব বিয়েতেই এই কদর্য ও আপত্তিকর প্রথা প্রকটভাবে প্রচলিত আছে । আর তাই প্রথম প্যারাটি থাক এখানে, এই পোস্টে এটা নিয়েও তর্ক-বিতর্ক চলতে পারে ।
জ্বি না, নেই (আমাদের দুবোনকেই সম্বন্ধ করে বিয়ে দেয়া হয়েছে, "দেখাদেখি"র কদর্যতা কোন পক্ষ থেকেই হয়নি। শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গে বিয়ের আসরে আমার প্রথম দেখা হয়)।
যে প্রথাকে কদর্য বলি, সেটাই আমি চর্চা করি-- এটা বলার মধ্যে সততার চেয়ে স্ববিরোধিতাটা প্রকট। যে নাজমুল হুদা ব্লগ লেখার প্রচলিত প্রবণতায় লেখকের লেখা নিখুঁত হচ্ছে না বলে আক্ষেপজাত কঠোর সমালোচনা করছেন, তার কাছ থেকে এরকম স্থূল/অপমানজনক টপিকে তর্ক-বিতর্কের প্রত্যাশা দেখতে ভালো লাগছে না
প্রথম প্যারা কিন্তু 'যদি'-সমৃদ্ধ । আমার চর্চার কথা আসে কেন ?
আর যৌতুক, নারী নির্যাতন, এগুলোও কিন্তু স্থূল/অপমানজনক টপিক । এগুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক তো এসব প্রথা নির্মূলের পথে অন্তরায় নয় । আমার ক্ষেত্রে 'স্ববিরোধিতা' চাপানোটা কি আমার প্রতি অবিচার করা হচ্ছেনা ?
ব্লগ লেখার প্রচলিত প্রবণতার প্রতি আমার কোন আক্ষেপ আছে নাকি ?
আপনার আক্ষেপ আছে ব্লগারেরা বানান ভুল করে বেশী । এটা অসত্যও না । পত্রিকার জন্য একটা লেখা যখন কেউ লেখেন, যত্নের সঙ্গে বানানগুলো দেখে দেন । ব্লগে সেটা সম্ভব হয়না । এখানে চিন্তার সমান গতিতে আঙ্গুল চলে,ভাবনার ফুরসৎ কম । দ্বিতীয়বার দেখবার সময় বা ধৈর্য দু'টোই কম থাকে, তাই ভুলও হয় বেশী ।
ঠিক যে বানান নিয়ে আমার কিছু আক্ষেপ আছে, তবে ব্লগ লেখার প্রবনতা নিয়ে তো কোন আক্ষেপ নেই । এখানে যার যেমন প্রবনতা, সে সেভাবেই লিখবে, তার স্বাধীনতা অবারিত । আর আমি তো কারো লেখা বা মতামত নিয়ে কখনই কঠোর সমালোচনা করেছি বলে মনে পড়েনা । আমি যা বলি, তা বলি অত্যন্ত দূর্বল কন্ঠে, যা অনেক সময় সঠিক কর্ণকুহরে প্রবিষ্টও হয়না ।
হ্যাঁ, আপনার কথাতেই বুঝা যাচ্ছে যে শেষ পর্যন্ত ভুল থেকেই যায় । আমিও তাই-ই বলেছি - আর এই ভুল দেখতে দেখতে আমরা ভুলে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি, ছাপতে যখন পাঠাই তখনও আমাদের সেই ভুল দেখতে অভ্যস্ত চোখে আর কোন ভুল ধরা পড়েনা ।
এই কথাটা অসত্য । ভুল ধরা পড়ে । অসংখ্য ভুলের মাঝে কিছু ভুল তারপরও হয়তো থেকে যায় । যেমন অনেক সচেতন হওয়া সত্ত্বেও আপনার এই পোস্টটিতেও কিছু ভুল রয়ে গেছে ।
হতে পারে অসত্য! তবে অন্যের ভুল যত সহজে আমার চোখে ধরা পড়ে তত সহজে নিজের ভুল ধরা পড়েনা, তার প্রমাণ তো এই পোস্টেই রয়ে গেছে।
সেটাই নিজের ভুলগুলো আসলেই চোখে পড়ে কম ।
সেজন্যই দরকার সমালোচকের চোখ । আলোচনা, সমালোচনাকে তাই আমি স্বাগত জানাই সবসময় ।
বইটি সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই কিছু বলতেও পারলাম না।
আরিফ জেবতিকের লেখাটা একটু পড়ে শোনান না নাজমুল ভাই।
এখন শুনবেন ?
বইটি আমি এখনো পড়েনি, তাই কোন মন্তব্য করবো না। তবে বইটি সম্পর্কে নাজমুল ভাইয়ের বিশ্লেষণ এবং মতামত আমার কাছে অত্যন্ত খোলামেলা ও আন্তরিক বলে মনে হয়েছে। স্বনামধন্য তরুন লেখক আবদুর রাজ্জাক শিপন এই গঠনমূলক সমালোচনা টুকু গুরুত্বর সঙ্গেই গ্রহণ করবেন বলে আশা করি।
অনেকদিন পরে ঈশান মাহমুদকে দেখে খুব ভালো লাগছে । আবদুর রাজ্জাক শিপন আমার এ লেখা পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে কিনা কে জানে ?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঈশান মাহমুদ ।
আমি গুরুত্বের সঙ্গেই গ্রহণ করেছি , ঈশান ভাই ।
আর স্বনামধন্য এখনো হয়ে উঠতে পারিনি ।
আপনার বুক রিভিউগুলো পড়তাম আগে । আমার বই এর একটা রিভিউ, সমালোচনা কি আপনার কাছ থেকে পেতে পারি ?
উপন্যাসটি ছাপা হবার আগে আমি পড়েছি। আমার ভাল লেগেছে। ছোট খাটো ভুলগুলো বাদ দেয়া যায়। প্রথম প্রকাশ, তাছাড়া লেখক নিজে দেশে নেই... সব সৃষ্টিই সন্তানের মত। তবে সমালোচনা সইবার মত অবস্থা শিপনের আছে (আমি যতটুকু জানি)। ধন্যবাদ হুদা ভাইকে। চন্দ্রাবতীকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা/সমালোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ, মেসবাহ ভাই ।
সব সৃষ্টিই সন্তানের মত। তবে সমালোচনা সইবার মত অবস্থা শিপনের আছে । অতি সত্য ভাষন । আপনার মন্তব্যে আমি একটু হলেও সান্তনা পেলাম । তবে আমি কিন্তু বইটির সমালোচনা করিনি, করেছি শুধুমাত্র ত্রুটি নির্দেশ, তাও সব নয়, যেটুকু খালি চোখে ধরা পড়েছে সেটুকুমাত্র । অনেক ধন্যবাদ ।
হুদা ভাই, এখন পর্যন্ত এই পোস্ট পছন্দকারীদের মধ্যে দ্বিতীয়জন আমি ।
বইটি প্রকাশে তাড়াহুড়া ছিলো । একদম শেষ সময়ে এসে কাজ করেছি । বানান ভুল গুলো অবশ্যই লেখকের দুর্বলতা । ধীরে ধীরে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা তার আছে ।
প্রকাশকের দায় কিছুটা আছে বটে । সম্পাদনার দায়িত্ব তাঁর ছিলো ।
নিজের ভুলগুলো নিজের চোখে কমই ধরা পড়ে । সমালোচকের চোখ ছাড়া সেগুলো ঠিকভাবে উঠে আসবে না । তাই সমালোচনাকে স্বাগত জানাই ।
আন্তরিক ধন্যবাদ, আপনার মনোযোগের জন্য ।
শিপন ভাই, আগ বাড়িয়ে একটা কথা বলি - ছাপাখানার ভূতের থেকে রেহাই পেতে হলে ভালো একজন প্রুফরিডারের খোঁজ করুন। বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর ছাত্র/ছাত্রীকে দিয়েও করাতে পারেন। টাকা যা খরচ হবে - তা আসলে বিনিয়োগ, পরিমাণ সামান্য।
অভ্র শুনেছি নতুন বাংলা স্পেল চেকার ছেড়েছে। সেটাও ব্যবহার করতে পারেন।
আবে উলট, বাংলা বিভাগ লাগে ক্যান, আমি কি মৈরা গেছি

আপনার কথা বলতে একদমই ভুলে গিয়েছিলাম। :\ + কানে ধরার ইমো
আমি আগাম বুকিং দিলাম। পরের বইমেলা, যদি বাঁইচ্যা থাকি। আচ্ছা, যেটা জিজ্ঞেস করব বলে ভাবি কিন্তু ভুলে যাই, আপনার কোন বই বের হয় নাই?
স্মৃতি প্রতারণা না করলে নুশেরা তাজরীন এর "শিশুদের অটিজম" নিয়ে লেখা একটা বই আছে। কিছু মনে করেন না, আপনারা নিশ্চয় একই ব্যক্তি?
মনে হয় আমিই
প্রমাণ:
এক
দু্ই
ধন্যবাদ। প্রশ্ন করার আগে আপনার ব্লগে আরেকটা চক্কর মারা উচিৎ ছিল, বেকুবের মত যা মনে আসে, তাই জিজ্ঞেস করলাম।
বাংলা ব্লগে আমি নতুন। বাংলা বইয়ের অভাবে পুরানো পোস্ট হাতড়ে বেড়াই সব ব্লগেই।
নিজেকেই বনলতা সেন মনে হচ্ছে - এতদিন কোথায় ছিলাম ??
আপনার বক্তব্যে ধড়ে জান ফিরে পেলাম । আমি তো ভাই সমালোচক বা লেখক কোনটাই নই । কেন ত্রুটিগুলো উল্লেখ করেছি সে কৈফিয়ত পোস্টেই উল্লেখ করেছি । আবারও বলি, আপনার চন্দ্রাবতীকে আমার ভালো লেগেছে, আমার কাছে এটা বেশ ভাল একটা বই ।
ভাল বলেছেন।
এই পোষ্ট লিখবার কারণটা আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
যদ্দুর জানি, আপনার ভাষাজ্ঞান ভালো । বেশ ভালো । ভাষাজ্ঞান ভালো বলেই আপনি ভাষার ভুল প্রয়োগ সহজে ধরতে পারেন । সে আপনি যখন গুণ প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাননা, সেটা আমার জন্য কিঞ্চিত ব্যাঙ্গাত্মক হয় । তখন আমাকে বুঝে নিতে হয় যে, আদতে ওই জিনিসটি (উপন্যাসটি)তে গুণবাচক পদার্থ কিছুমাত্র নেই ।
কাউকে, বিশেষ করে কোন লেখককে ব্যাঙ্গ করবার মত দুঃসাহস আমার নেই। এমন কি কোন লেখকের ভুল-ভ্রান্তি দেখিয়ে দেবার মত ধৃষ্টতাও আমার করা উচিৎ নয়। 'আমরা বন্ধু'র সকলকে আমি বন্ধু হিসেবে নিয়েছি বলেই এই পোস্ট লিখবার প্রয়াস নিয়েছিলাম।
আমি বলেছিলাম যে এটি সমালোচনা নয়, নিতান্তই আটপৌরে আলোচনা মাত্র। তাও আবার খন্ডিত বা অসম্পূর্ণ আলোচনা । এই আলোচনার ভিত্তিতে বইটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সমালোচনা /আলোচনা অন্যান্য বন্ধুদের দিক থেকে পাওয়া যাবে এমনটি আশা করেছিলাম আমি।
আর আপনার বইয়ের গুণবাচক পদার্থ? এই পোস্টের প্রথম দু'টো অনুচ্ছেদেই আমি স্বীকার করেছি যে, 'গুণ' বর্ণনার মত গুণ আমার নাই। তারপরও নিজের মনের তাগিদেই আপনার এই কমেন্ট পড়বার অনেক আগে 'চন্দ্রাবতীর গুণাবলী' শিরোনামে আরও একটা পোস্ট দিয়েছি। সেখানেও নিজের ক্ষমতায় কুলায় নাই তাই আরিফ জেবতিকের উপর নির্ভর করতে হয়েছে ।
আশা করি আমার কৈফিয়ত আপনার ক্ষোভ মেটাতে পারবে।
আমার ক্ষোভের কারণ ঘটে নাই । আমি আসলে পয়েন্ট ধরে আগাচ্ছিলাম ।
যাই হোক, আপনার সে পোস্টটি এইমাত্র দেখলাম । পড়ছি ।
সংশয় ঘুচেছে আশা করি।
হুদা ভাই, 'কাজল রং' নামকরণে আপনি কি বুঝেছেন, আরেকটু বিস্তারিত বলবেন ?
আসলে আমি কিছুই বুঝিনি । বিস্তারিত আর বলবো কি ? বইটির নাম "চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রং" কেন, তা যদি বুঝিয়ে বলতেন তা হলে আমি উপকৃত হতাম এবং কৃতজ্ঞও ।
হুদা ভাই, আপনি যথেষ্টই প্রাজ্ঞ । 'কাজল রং' ব্যবহার আপনার বোধের অগম্য হওয়াটাই বরং আমাকে বিস্মিত করছে ।
'কাজল রং' রূপক । কাজলের রং কালো , দুঃখের রং কি ? নীল ?
লেখকের অনুর্বর মস্তিস্ক ভেবে নিয়েছিলো দুঃখের সঙ্গে কাজল রংটা যায় !
শুধু কাজল না হয়ে 'কাজল রং' এর ব্যবহারটাই ভালো লেগেছিলো ।
ধন্যবাদ শিপন ।
হুদা ভাই, আপনার মতামত আপনি নিঃসঙ্কোচে যেমন বলে যান তেমনিই বলে যাবেন। আপনার আন্তরিকতা সবাই আমরা অনুভব করি। এবি ভাগ্যবান যে আপনার মতো নিরলস কাউকে আমরা পেয়েছি আমাদের বানান প্রমান সহ সব তুলে ধরার জন্য। এখানে রাগ করার মতো কেউ নেই।
খুব যত্ন আর আন্তরিকতার ছোঁয়া আছে লেখাটায়! শিপনভাইয়ের এই উপন্যাস অনলাইনে কবে পড়তে পারবো? পড়তে ইচ্ছে করছে খুব। বইটির ব্যাপক প্রচার কামনা করছি। হুদাভাইকে ধন্যবাদ
উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ তানবীরা । তবে আমাকে কেউ কিছু বলতে চেয়ে যদি না-বলে বা যা আমি নই তেমন কোন দোষারোপ করা হয় তবে বড্ড বেশী কষ্ট পাই । আর
আমি তো ভাই আসলে নিরলস নই, খুবই অলস আমি । আমার বিনোদনের এ জায়গাটাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি, তাই এর পিছনে কিছু সময় ব্যয় করি - বেশীর ভাগ সময়েই আমার বিশ্রাম ও ঘুম বাদ দিয়ে । আমার বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত, তার উপরে আবার পান্ডিত্য জাহির করবার মত নির্বুদ্ধিতা করবার কোন বুদ্ধিও আমার নাই ।
বইটা হাতে আসেনি এখনো। আপাততঃ মন্তব্য করছি না। তবে বানানভুলের ব্যাপারগুলো তাড়াহুড়োর কারণেই বেশী ঘটে ব্লগারদের ক্ষেত্রে। একটা ব্লগ লিখে আমি তিনবার রিভিউ করলে তিনবারই ভুল পাই। ব্লগের ভুল সংশোধন করা সহজ, কিন্তু বইয়ের ভুল সম্ভব না। এক্ষেত্রে প্রুফরিডিং ব্যাপারটাই একমাত্র ভরসা। বইটা যথাশীঘ্র যোগাড় করে নেবো।
হুদাভাইয়ের এই কাজটা খুব পরিশ্রমসাধ্য এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক ছাড়া সম্ভব না।
নীড় সন্ধানী, ভাইরে আমি অতিশয় অনভিজ্ঞ এবং অজ্ঞ একজন মানুষ । আর কাজটা করতে পরিশ্রমের চেয়ে আনন্দ পেয়েছি বেশী । একজন ভবিষ্যৎ সাহিত্যককে সচেতন করার অপচেষ্টার প্রয়াসে আনন্দটুকু আমার সঙ্গী হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।
গুড জব হুদা ভাই। এইবার বইয়ের ভালো দিক নিয়ে লিখেন।
আপনার উপলব্ধি ও মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ । আমিতো ভাই কালোকে কালো বলতে পারি, ভালোকেও ভালো বলতে পারি, কিন্তু কেন, তা বলার ক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি ।
হাসান রায়হান, চন্দ্রাবতীর ভালো দিক নিয়েও তো লিখলাম! আপনি কিছু বললেন না যে ?
হাসান রায়হান, চন্দ্রাবতীর ভালো দিক নিয়েও তো লিখলাম!

আপনি কিছু বললেন না যে !
বইয়ে বানান ভুল দেখলে খুব মন খারাপ হয়। কিন্তু এড়ানো মুশকিল। টাইপো এমন একটা জিনিস যে খুব সতর্ক না থাকলে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে।
ব্যাকরণজনিত ভুল ও বানানশুদ্ধিকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমার পোস্টে এমন ভুল পেলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন কোন দ্বিধা ছাড়াই, আবার একই ভুল করতে দেখলে ঝাড়ি দিবেন (চাইলে কানও মলে দিতে পারেন)
।
----------------------
এই পোস্টে -
কণে > কনে
শাড়ী > শাড়ি
বেশী > বেশি
গুণকীর্ত্তণ > গুণকীর্তন
ভাষাজ্ঞাণ > ভাষাজ্ঞান
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, অর্থাৎ কানমলা খাওয়ার দলভূক্ত । আমি আবার কান মলে দেবার কে ? ঝাড়ি দিতে পারিনা, হাত-পা চালু হয়ে যায়, কাজেই তাও বাদ । তবে সাহস যখন দিলেন তখন না-হয়, চেষ্টা করবো আপনার বানান ভুল দেখিয়ে দেবার । তবে আমার জ্ঞানের বহর তো আপনিই ফাঁস করে দিয়েছেন, এত সাধারন বানানগুলো কেমন অবলীলায় ভুল লিখেছি আমি । কী লজ্জার কথা, বানান নিয়ে যে পোষ্ট - সেই পোষ্টেই কিনা এমন ভুল বানানের সমাহার ! ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ উলটচন্ডাল ।
মুরুব্বী দরকার হলে হাত পাও চালাবেন - কী আছে দুনিয়ায়? আর বানান ভুলের পিছনে অজ্ঞতা ছাড়াও বেশি দায়ী অসাবধানতা, তাড়াহুড়া - যা আমরা কম বেশি সবাই করি।
বাঁচতে হলে জানতে হবে। এইবার য্যামনে পারেন জানাইয়েন।

'মুরুব্বিয়ানা' করবার ইচ্ছা নেই আমার । বন্ধুত্বের দাবীতে যদি কিছু বলেন, চেষ্টা করতে পারি । আর, জানাবার চেয়ে জানবার ইচ্ছে আমার একটু হলেও বেশী ।
এইবার বইমেলায় গেছিলাম ৩০ মিনিটের জন্য।শিপন ভাইয়ের বইটা নিয়ে এসেছি।পড়ে জানাবো কেমন লাগলো।
নাজমুল ভাই- আমার মাথায় আজকাল খালি আইডিয়া আসতাছে.। মাথার সিপিইউ ইউসেজ মনে হয় ১৫০পার্সেন্ট হয়া গেছে
.। আমি ভাবতাছি যদি আপনের সমালোচনা/আলোচনা পোস্টের সমালোচনা করি বা ভুল গুলা আমি বাইর করি তাইলে কেমন হয়?
..। তারপরে আরেকজন আমার কমেন্টের ভুলগুলা বাইর করল.। এইরম চলতেই থাকলো
.. একদিন সব শুদ্ব হয়া যাইবো
...
দুয়েকটা উদাহরণ পেশ করি-
১. পোস্টে ৩নং পয়েন্টে লিখা ''কিন্তু তা কি হয়, কাঁটার এমন অবস্থান ঘড়িতে ১২টা বাজবার সময়েই শুধু হতে পারে ।''
এইটা বস সোয়া তিনট'র সময়ও ঘটে.. ঐসময়-ও মিনিট ঘন্টার কাটা ঐ অবস্হানে আসে... আরো অনেক সময়েই আসে.. সো '' শুধূ'' শব্দটা ব্যাভার করা ঠিক হয় নাই...
... পোস্টের জন্য থ্যংস
হ শুরু হোক। একদিন নিচ্ছয় সব শুদ্ধ হৈব
না, অন্য কোন সময় ঘটা সম্ভব না। যেমন সোয়া তিনটার সময় ঘণ্টা আর মিনিটের কাঁটার মধ্যে কৌণিক ব্যবধান থাকে ৭.৫' (সাড়ে সাত ডিগ্রি)
@ নুশেরা আপা - পোস্ট টা যখন পয়লা পড়তাছিলাম তখন মিনিট ার কাটার লাইনে আইসাই ঘড়ি দেখছিলাম.। সময় বাজে তখন রাত ২।১০ মিনিট
.. আবার কমেন্ট করার জন্য যখন দিনেরবেলকা লগিন করে আবার পোস্ট পড়লাম... কমেন্ট করার সময় সময় ছিল মনে হয় সোয়া ৈনটা
.। দুইবারই মিনিট আর ঘন্টার কাটা কাছাকাছি.।:).। কি আজীব কোইনসিডেন্স
.।
সাড়ে সাত ডিগ্_রী তো বেশ বড় তফাত হয়া গেল
..
দু্ইটা দশের সময় পার্থক্য ৫ ডিগ্রি
ধন্যবাদ বাফড়া । এমন একটা মহৎ আইডিয়ার জন্য বাফড়ার বুদ্ধির তারিফ করতেই হয় ।

এই পোষ্ট থেকেই শুরু হোকনা এর শুভযাত্রা ।
আবদুর রাজ্জাক শিপন মেনে নিলেও, বোঝা যাচ্ছে কেউ কেউ শিপনের বইয়ের সমালোচনা মেনে নিতে পারছেন না। তাই পুস্তক সমালোচনার বাইরে গিয়ে নাজমুল হুদা ভাইয়ের প্রতি খোঁচাত্মক মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
নাজমুল ভাইয়ের সমালোচনাটা অবশ্যই একপেশে। একপেশে লেখাকে সমালোচনা বলাও যায় না। যাঁরা বইটা পড়েছেন, তাঁরা অন্যপাশটা তুলে ধরলে ব্যাপারটা জমজমাট হতো।
আমার কাছে অবশ্য একপেশে মনে হয়নি। বরং সমালোচককে মনে হয়েছে আন্তরিক ও সৎ।
@ মাইনুল এইচ সিরাজী- আপনার কমেন্ট টা পইড়া ভাবলাম পোস্টের কমেন্ট গুলো আবার শুরু থিকা পড়ি.. মাগার পইড়া তো খোচাত্মক কিছু পাইলাম না!!!
শিপন সমালোচনা মেনে নিলেও কেউ কেউ মেনে নেননি টাইপের একটা কথা লিখলেন কমেন্টে.। এই মেনে না নেয়া কেউ কেউ টা কে একটু বলবেন, প্লিঝ। আমি কানা নাকি, আপনার অহেতুক বাতিক আছে তা নিশ্চিত হবার জন্য আপনাকে প্রশ্নটা করা।
আর খোচাত্মক কমেন্ট গুলো যদি একটু দেখিয়ে দিতেন তাহলে পুরোটাই নিশ্চিত হইতে পারতাম :)।
আপনি খোঁচা দেওয়ার জন্য বলেননি, তবু আমার কাছে এটাকেও খোঁচা মনে হয়েছে। এটা আমার সীমাবদ্ধতা। কী করব, সবার দৃষ্টিভঙ্গি আর বিবেচনাবোধ তো সমান নয়। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভালো, আমারটা মন্দ। মতের অমিল হয়েছে বলে নিজের প্রতি আর অন্যের প্রতি অতি সহজে কানা আর বাতিকগ্রস্থ বিশেষণ যতই আরোপ করুন, তাতে কিন্তু আপনার বিবেচনাবোধের প্রতি আমার আস্থা একটুও টলবে না।
মাইনুল এইচ সিরাজী- সরি, আপনার আগের কমেন্টে আপনার এই বোঝার সীমাবদ্বতা নিয়ে কোন ইশারা-ইংগিত করেননি তাই আমার বুঝতে এত বিপত্তি!! দুঃখিত
খোঁচাখুঁচি না-করাই ভালো । আমার পোস্টের ট্যাগ 'গ্রন্থালোচনা', আলোচনা নিশ্চয়ই সমালোচনা নয় ! আমি সমালোচনা করিওনি । আর তাই এটাকে একপেশে বলাটাও বোধ হয় সঠিক নয় । তবে অন্যপাশ বলতে আপনি যেটা বুঝাতে চেয়েছেন, সেটা নিয়ে আর কেউ একটা পোস্ট দিলে ভালই হত । আমার প্রতি আপনার সহানুভূতিতে আমি মুগ্ধ হলাম । ভালো থাকুন ।
সমালোচনায় মন্দের ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে ৮টি। বিপরীতে ৮টি ভালোর ফিরিস্তি দিলে সমালোচককে হয়তো সূক্ষ্ম খোঁচা খেতে হতো না।
আমি কিন্তু সমালোচনা করিনি, বইটা নিয়ে একটুখানি আলোচনা করেছি মাত্র । আর দোষ বের করতে আমি যত পারদর্শী গুণ বের করতে ততোধিক অপারদর্শী সে কথা তো পোস্টের প্রথম দুই অনুচ্ছেদেই উল্লেখ করা হয়েছে । আর আমার অক্ষমতা এই যে আমি খোঁচা দিতে বা খোঁটা দিতে একেবারেই পারিনা, তাই খোচা হজম করি মুখ বুজে ।
অনেক সুন্দর করে বলেছেন নাজমুল হুদা ভাই। আসলে দৃষ্টিভঙ্গিকে এপাশ-ওপাশ করলে এটা সমালোচনা না বলে আলোচনা বা পাঠ-প্রতিক্রিয়ায় রাখা যেত। আরাশি'র লেখুনী আরো সাবলীল হবে এই প্রত্যাশায় আপনি হয়তো সুন্দর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, সেটাকে ভিন্ন অর্থে না ধরলেই ভাল। তাতে লাভ হলো-পরবর্তীতে এরকম বিষয়ে অন্য কেউ আলোচনা করতে সাহস পাবে।
ভাঙ্গন, আপনাকে ধন্যবাদ । পোস্টের ট্যাগ কিন্তু 'সমালোচনা' নয়, সেখানে উল্লেখ আছে 'গ্রন্থালোচনা'। আপনি আমার উদ্দেশ্যটা উপলব্ধি করেছেন তাই আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।
বানান ভুলের বিষয়টা পুরাপুরি প্রকাশকের দায়।
সমালোচনা ভালো লাগছে। সমালোচনা সইবার ক্ষমতা আমার বন্ধুর আছে।
‘অসঙ্গতিপূর্ণ বানান চিহ্নিত করা বইটি’ খুবই জরুরী কেননা ২য় সংস্করণ মেলায় আসছে শীঘ্রই।
মেইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল
rubel_shah@ymail.com
মেইলে যোগাযোগ হবে ।
প্রসঙ্গত: বলি নাজমুল ভাই। আলোচ্য বইয়ের উপর অন্য একটা ব্লগে (সামু ব্লগে) আমিও একটা পাঠ-প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। সময় পেলে ঢুঁ মেরে আসার নিমন্ত্রন রইল:)
সামুতে অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পেলামনা । দয়া করে লিঙ্কটা যদি দিতেন !
http://www.somewhereinblog.net/blog/msd86/29329543
ধন্যবাদ ভাঙ্গন । পাঠ প্রতিক্রিয়া চমৎকার হয়েছে । সুচিন্তিত নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক এই লেখাটি একজন মনোযোগী পাঠক ও হৃদয়বান লেখকের পক্ষেই সম্ভব। চন্দ্রাবতী সঠিক মূল্যায়ন করায় আবারও ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন