মেজাজ খারাপের কচড়া !!
ভোররাত ৩টায় ঘুমিয়ে যখন আপনি ৬টায় উঠে পরবেন,মানে আপনাকে ক্লাশের জন্যে উঠতে হবে তখন আপনার মেজাজ খারাপ হবে।
যখন ৭টার বিভীষিকাময় গাইনী ক্লাশে যাওয়ার জন্যে রাতের ঘুমের জামা-পাজামার উপর এপ্রন গলিয়ে,লেকচার খাতাটা নাকে মুখে গুজঁতে হবে তখন আপনার মেজাজ খারাপ হবে।
ক্লাশে মাননীয় টিচার ঢোকার পর ঢুকতে গেলে মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দেয়া হবে এই ভয়ে যখন হুরোহুরি করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয় তখন মেজাজ খারাপ হবে।
যখন বসার জন্যে যথারীতি ফ্যানের নিচের আরামদায়ক সিটটি দখল হয়ে যাবে তখন মেজাজ খারাপ হবে।
যখন ক্লাশে ঢোকার সব দৌড়-ঝাপ শেষ করে বান্ধবীর পাশে বসে কুটুর কুটুর করে গল্প করবেন ও সেই মুহুর্তে আপনাকে জানানো হবে আজ আর কোনো ক্লাশ হচ্ছেনা তখন মেজাজ খারাপ হবে।
ক্যান্টিনে খেতে বসে আবিষ্কার করলেন খাওয়া নেই তখন মেজাজ খারাপ হবে।
খাইদাই শেষ করে যখন হোষ্টেলের রুমে ফিরে আয়েশ করে সাধের ল্যাপ্টপটি নিয়ে বসবেন ,ব্লগের পাতাটি খুলে চোখ বুলাতে থাকবেন,ভালোলাগা-খারাপ লাগা-হাসিঠাট্টা গুলো দেখে অনুরূপ অনুভুতির পরশ নিতে থাকবেন,আর আপনার রুমমেটটি এসে জানান দেবে এখন ক্লাশ হওয়ার সমূহ সম্ভবনা আছে তখন চূড়ান্ত মেজাজ খারাপ হবে।
আর সেই মেজাজ খারাপের ঢালি নিয়ে যখন এই রকমের ব্লগর ব্লগর লিখতে শুরু করবেন আর যথারীতি ব্রডব্যান্ডের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার জানান দেবে তখন মেজাজ খারাপ এর গিয়ার পরিবর্তন করে <উর্ধ্মুখী অথবা নিম্নমুখী> স্ট্রেট ফেস নিয়ে ল্যাপ্টপ বন্ধ করে ,যাবতীয় ঘটনার গুষ্ঠি উদ্ধার করতে গিয়ে  পুনরায় মেজাজ খারাপের সূচনা হবে।






রাইত ৩টা পর্যন্ত যাইগা থাকনের দর্কারটাই বা কি?
মন খ্রাপের খ্যাতা, বালিশ, লোটা, কম্বল বেবাক পুইড়া ধুমাইয়া ব্লগাইতে থাকেন 
   
  
রাইত ৩টা পর্যন্ত যাইগা থাকনের দর্কারটাই বা কি?
মেজাজ খারাপ করারই বা দরকার কী?
টুটুল ভাই ও রাসেল ভাই- হোষ্টেলে মোটামুটি সকলেই এতো রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। এর কারণটা হলো ,যাবতীয় দৈনন্দিন কর্মকান্ড সারার পর পড়ার সময়টুকুই থাকে ওই টা।
 এর কারণটা হলো ,যাবতীয় দৈনন্দিন কর্মকান্ড সারার পর পড়ার সময়টুকুই থাকে ওই টা।  পড়া টাকে আমরা কজন ফাঁকিবাজ আমাদের দৈনন্দিন হিসেবে আনতে পারছি না।
 পড়া টাকে আমরা কজন ফাঁকিবাজ আমাদের দৈনন্দিন হিসেবে আনতে পারছি না। 


গৌতম ভাই-আপনি চলে এসে কয়েকদিন আমার প্রক্সিটা দেন।খুশি হয়ে যাব।
নাঈম ভাই-ধুমাইয়া ব্লগাইতে পারলে জোশ হইতো।সমস্যা হচ্ছে প্রয়োজনীয় রসদের অভাব আমার মধ্যে।চেষ্টা করছি উত্তরণের !
ভবিষ্যত ডাক্তাররা ফোনে কথা কয় না রাতে?
 
   
  
আমাদের সময় তো সারারাত এই ডিউটিতে ব্যস্ত থাকতো
যুগে যুগে কত কি আসছে কিছুই তো দেখলেন না।টেলিফোন অপারেটরগুলো কত কি অফার আনলো।এখন সারাদিন এ ২০ পয়সা,২৯ পয়সা কত অফার চলে,তাই আগের যুগের রাতের কথাগুলো এখন সারাদিন ই বলে !
তবুও আমি বলবো
১। রাইত ৩টা পর্যন্ত যাইগা থাকনের দর্কারটাই বা কি?
২। মেজাজ খারাপ করারই বা দরকার কী?
মন্তব্য করুন