দেশের জন্যে ভালোবাসা-২
অনেককিছু বলার ছিলো,কিন্তু আমি বলতে পারতেছি না,আমি বাকরুদ্ধ।গত কয়েকদিন থেকেই আমার কথা বলা বন্ধ।না,আমি বাকস্বাধীনতা চাই না,কারন তা আমার আছে।কিন্তু আমার বলার মুখ নাই,মান নাই,স্মমান নাই,আমি ৫২ নিয়ে গর্ব করি পাকিস্তানের প্রশংসা করে,আমি ৭১ নিয়ে মাথা উঁচু করে যুদ্ধাপরাধীদের হাস্যজ্জল চেহারা দেখি,তাদের কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি দেখি দেশটার অধঃপতন হিসেবে।আমার বাবা মা আমাকে এদেশ থেকে বের করে দিতে চায়।
না ,আমি তাদেরকে দোষ দিতে পারিনা।মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে সম্মান তারা পায় নাই,আমি আমার দেশের নাগরিক হিসেবে পাবো তা তারা আশা করেন না।তাই তারা যদি এটাই মনে করেন যে আমি অন্য দেশের অন্য ভাষায় কথা বলে,জীবনধারন করে সুখে থাকবো আমি তাদের দোষ দিবোনা।কিন্তু আমি তা মান্তেও পারবোনা।১৪ দিন বিদেশে থেকে ,আমার বাংলায় কথা বলতে না পারার যে কষ্ট তা আমি কাউকে বোঝাতে পারবোনা।কক্সবাজারের সোন্দর্য্যের কাছে লাঙ্কায়ি যে কিছুই না তা আমি প্রমান করতে পারবোনা।কারন এখন আর কেউ জান্তেও চায় না,প্রমান ও চায়না,।চাইলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এতোদিন ধরে চলে না।৪০ বছর ধরে এই নাটক দেখতে হয়না।অসাম্প্রদায়িক এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার এই বর্বরতাও চলে না।এইদেশে ভাষা,স্বাধীনতা,সার্বভোউমত্ব সব আছে।ধান আছে,মাছ আছে,পোশাক আছে,নিজস্ব ধর্ম,কৃস্টি কালচার আছে,একজনের আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা আছে।তারপর ও সবার মনে কিসের অভাব যে এই দেশটার কিছুও এখন আর কেউ ভালোবাস্তে পারতেছেনা।পোষাক,ভাষা,ধর্ম,সংস্কৃতি সব বাদ দিয়ে আশে পাশের দেশের থেকে শুরু করে যোজন দূরের দেশেরও ঘটনার প্রভাব নিয়ে এদেশের শান্তি নষ্ট করে।জানি না প্রাপ্য কি,শুধু শঙ্কা করি যে এক ৭১ এ জন্ম নিয়ে,পরের ৭১ এ না যেনো বিলীন হয়ে যায়। 






মন্তব্য করুন