‘প্রতি ৩০ সেকেন্ডে নিউমোনিয়ায় একশিশুর মৃত্যু’
‘প্রতি ৩০ সেকেন্ডে নিউমোনিয়ায় একশিশুর মৃত্যু’
•
শিশুমৃত্যুর এক নম্বর কারণ নিউমোনিয়া
বিশ্বে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একটি শিশু মারা যায়। প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় পাকিস্তানে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৯২ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে।দ্য ডন পত্রিকা প্রকাশ করেছে, এটি দেশটির মোট শিশুমৃত্যুর ১৮ শতাংশ ।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষ্যে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার পাকিস্তানের একটি হাসপাতালের শিশুবিভাগের প্রধান ডা. তাবিশ হাজির বলেন, “টিকার সুযোগ পাওয়া যে শিশুদের অধিকার এবং এটা তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে তা বুঝাতে অনেক কাজ করতে হবে। টিকার মাধ্যমে একটি শিশু নিউমোনিয়া এবং এ ধরনের বিভিন্ন রোগ যেগুলো টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় সেগুলো থেকে সুরক্ষিত থাকবে।“
নিউমোনিয়া তীব্র শ্বাস প্রদাহ যেটা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। নবজাতক এবং শিশু যাদের বয়স দুই বছরের নিচে তাদের নিউমেনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ তাদের শরীরের অভ্যন্তরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তখনও পূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারে না।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ হচ্ছে, শিশুরা ক্রমাগত এবং কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে থাকে। এছাড়া সর্দি, জ্বর, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা এবং শিশুর নিস্তেজ হয়ে পড়া।
ডা. তাবিশ জানান, ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে পাকিস্তান সরকার বিনামূল্যে নিউমোনিয়ার টিকা দেয়া শুরু করে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানেই প্রথম বিনামূল্যে নিউমোনিয়ার টিকা দেয়া শুরু হয়।
তিনি বলেন, “নিউমোনিয়ার প্রতিটি ইনজেকশনের দাম ছয় হাজার রুপি। কিন্তু সরকার প্রতিটি নবজাতকের জন্য তিনটি ইনজেকশন বিনামূল্যে দিচ্ছে যেটা শিশুকে চতুর্থ, দশম এবং চতুর্দশ সপ্তাহে দেয়া হয়।“
“এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সরকারের এতো চেষ্টার পরও পাকিস্তানের ৪৬ শতাংশ শিশু এখনো এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।“
জীবননাশকারী রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে টিকা শরীরের অ্যান্টি-বডিস তৈরিতে সাহায্য করে।
টিকার মাধ্যমে গুটিবসন্ত, পোলিও, হাম, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, রুবেলা, মামস এবং টিটেনাসের মতো মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন