বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প: কিছু নতুন ভাবনা
ঈদ কিংবা লম্বা ছুটিতে শহরের মানুষ পরিবারের সবার সঙ্গে ছুটি উপভোগ করতে গ্রামের বাড়িতে যায়। নগরজীবনের এটা স্বাভাবিক চিত্র হলেও সাম্প্রতিককালে এর ধরন অনেকটাই পাল্টেছে। অনেকে এখন লম্বা ছুটি গ্রামে না কাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্য কোথাও বেড়াতে যান। গত তিন-চার বছর ধরে ঈদের ছুটির সময়ে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি বা বান্দরবানের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো পরিপূর্ণ বলে পত্রিকাগুলোতে খবর বেরুচ্ছে। এমনও শোনা গেছে, হোটেলে জায়গা না পেয়ে অনেককে গাড়িতেই রাত কাটাতে হয়েছে। বেড়ানোর এই চিত্র কিন্তু কিছুকাল আগেও ভাবা যেত না। ঘরকুনো বলে যে বদনাম আছে, নাগরিক মধ্যবিত্তরা বোধহয় সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আর কিছু না হোক, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য এটা বেশ আশাপ্রদ।
পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য পড়ে মনে হয়, ওখানকার মানুষজন ছুটি পেলেই কোথাও না কোথাও বেরিয়ে পড়ে। সুনীল-শীর্ষেন্দু-বুদ্ধদেবের প্রচুর পাঠক আছেন এদেশে। সেই সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বা ফিবছর বাড়ি যাবার বিড়ম্বনা এড়াতে কিংবা মানসিকতার পরিবর্তন- যে কারণেই হোক, মানুষের এই বেড়ানোর অভ্যাসটি ইতিবাচকভাবে দেখা দরকার। আমরা নানা সময় নিজের দেশকে অপরূপ হিসেবে উপস্থাপন করি, বিশেষত আবেগের জায়গা থেকে প্রায়ই বলে থাকি- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! কিন্তু দেশটিকে দেখার ক্ষেত্রে আমাদের একটা জন্মগত অবহেলা ছিল সবসময়। যদিও এ অবহেলার পেছনে খোদ পর্যটনের প্রতি মানুষের অনীহা নাকি নানা অসুবিধার কারণে মানুষ বেড়াতে অনাগ্রহী- সেটি অন্য বিতর্কের বিষয়।
অভ্যন্তরীণ পর্যটনের লক্ষ্যগোষ্ঠী কারা? অবশ্যই মধ্যবিত্তরা। উচ্চবিত্তরা দেশের ভিতরে বেড়াতে ভালোবাসে না- ছুটিছাটা পেলে চলে যায় বিদেশের কোনো পর্যটন স্পটে। নিম্নবিত্তদের সামর্থ্য কম; ঈদ কিংবা পূজায় তারা বড়জোড় নিজ এলাকার মেলা বা শিশুপার্কজাতীয় স্থানে বেড়াতে যায়। একমাত্র মধ্যবিত্তরাই নিজ গণ্ডীর বাইরে অন্য এলাকায় যেতে পছন্দ করে এবং তাদের সে সামর্থ্যও আছে। তাছাড়া দেশের নানা জায়গায় ছোট-বড় অনেক পর্যটন স্পট থাকলেও অনেকেই সেগুলোর খবর জানতো না। মিডিয়ার কল্যাণে এখন সেগুলো উঠে আসছে। পর্যটন স্পট নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও প্রচলিত চিন্তাচেতনা থেকে মানুষ একটু একটু করে বেরিয়ে আসছে। আগে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ইত্যাদি নামকরা জায়গার প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল। কিন্তু অনেকেই এখন স্বল্পপরিচিত বা অপরিচিত সুন্দর কোনো জায়গা, নদীর ধারে কাশফুলের মাঠ কিংবা স্রেফ গ্রাম দেখতেও বেরিয়ে পড়ে। এ ধরনের পর্যটক কম হলেও দিন দিন এদের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা শহরের মানুষ আজকাল এমনকি মাওয়া ফেরিঘাটও দেখতে যায়, একদিনের ছুটি পেলে চলে যায় মানিকগঞ্জের পুরনো মসজিদ বা মন্দির দেখতে কিংবা ঘুরে আসে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে।
দেশে নানা সেক্টরে বেসরকারি খাতের বিকাশ ঘটেছে। বেড়েছে এনজিও, মিডিয়া কিংবা পাবলিক রিলেশনে কর্মরত মানুষের সংখ্যাও যাদের অফিসিয়াল কাজে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়। তারাও কিন্তু কাজের ফাঁকে দর্শনীয় জায়গাগুলো থেকে ঘুরে আসেন। অফিসিয়াল কাজে কেউ দিনাজপুর গেলে রামসাগর বা কান্তজীউর মন্দির থেকে ঘুরে আসেন; শ্রীমঙ্গল গেলে চা বাগান দেখে আসা বাধ্যতামূলক কাজের মধ্যেই পড়ে। ঢাকার বাইরে অফিসিয়াল কাজের পাশাপাশি বেড়ানোর বিষয়টি অনেকেই উপভোগ করেন। কাজের সুবাদে বরিশাল যেতে হলে অনেকে দিনের বেলা বাসে না গিয়ে ভ্রমণের জন্য রাতটাই বেছে নেন, কারণ তাতে লঞ্চে নদীপথ ভ্রমণ করতে করতে যাওয়া যায়। আর সেদিন পূর্ণিমা হলেও তো কথাই নেই!
শুধু কি তাই! আজকাল অনেকে একদিনের ভ্রমণেও উৎসাহী হচ্ছেন। আগে থেকে বুকিং না দেয়া থাকলে ঈদ কিংবা পূজার ছুটির দিন বা তার পর দিন ঢাকা শহরে রেন্ট-এ-কার থেকে গাড়ি বা মাইক্রোবাস ভাড়া পাওয়া যায় না। কারণ একদিনের ছুটিতে অনেকে ঢাকার বাইরের ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ময়মনসিংহ, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ কিংবা মুন্সীগঞ্জের নানা লোকেশনে তখন শহরের মানুষদের ঘুরতে-ফিরতে দেখা যায়। চট্টগ্রামের মানুষরা চলে যান কক্সবাজার বা পার্বত্য এলাকায়। বড় ছুটি না থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র বা শনিবারে অনেকে বেড়াতে বের হন। এ বিষয়ে যদিও হাতের কাছে কোনো পরিসংখ্যান নেই, কিন্তু হিসেব করলে এ ধরনের পর্যটকের সংখ্যা খুব কম হবে না।
কিন্তু পর্যটনে গিয়ে পর্যটকেরা কি সন্তুষ্ট? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তর না-বোধক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবকাঠামোগত অসুবিধা তো রয়েছেই, নিরাপত্তা নিয়েও পর্যটকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। কক্সবাজারের মতো এলাকায় পর্যটকরা ছিনতাইসহ নানা রকমের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। সমুদ্রতীরে চাঁদের আলোয় হেঁটে বেড়াতে কার না ভালো লাগবে! কিন্তু ছিনতাইকারী বা বখাটেদের উৎপাতে সেটি হবার জো নেই। বিশেষত নারী ও বিদেশি পর্যটকরা যে রাতে একটু নিরুদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়াবে, সেটি সব সময় সম্ভব হয় না। দিনের বেলায় ফেরিওয়ালাদের উৎপাত তো আছেই! তাছাড়া পর্যটন স্পটে জিনিসপত্রের যে অগ্নিমূল্য দেখা যায়, তাতেও পর্যটকেরা অনুৎসাহিত হন। একটি আধা-লিটার পানির সর্বোচ্চ খুচরা দাম যেখানে ১২ টাকা, পর্যটন স্পটে সেটি কেন ২৫ টাকা হবে? কেন পর্যটকদের কাছ থেকে কোরাল মাছের দাম নিয়ে অন্য সামুদ্রিক মাছ খেতে দেয়া হবে?
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের দারুণ সুযোগ রয়েছে। বিদেশিরা আসুক বা না আসুক, অভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারলেই এ শিল্পটি নিজ ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে যাবে। ১৫ কোটির বেশি মানুষের অন্তত ১০ ভাগও যদি প্রতিবছর দেশের কোথাও না কোথাও বেড়াতে যায়, তাহলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব কতোটা বিশাল হবে সেই হিসেব অর্থনীতিবিদরা সহজেই বের করতে পারবেন। দেশের রাজস্ব খাতেও কম টাকা আয় হবে না। কিন্তু এই পর্যটন নিশ্চিত করার জন্য অন্তত তিনটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে- অবকাঠামো, নিরাপত্তা এবং জিনিসপত্রের মান ও দামের সামঞ্জস্য। প্রথমটি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের চেয়ে বেসরকারি উদ্যোক্তারাই এগিয়ে আসতে পারে কিন্তু বাকিগুলোর ক্ষেত্রে মনিটরিঙের কাজটি সরকারকেই করতে হবে।
পর্যটন স্পট তৈরির ক্ষেত্রেও আমাদের প্রচলিত ভাবনার বাইরে আসা দরকার। এখন সমুদ্রসৈকত বলতে আমরা মূলত কক্সবাজার, কুয়াকাটা বা পতেঙ্গাকেই বুঝি, কিন্তু কয়জন খবর রাখি যে বরগুনার মতো এলাকায় ছোট ছোট কিছু চমৎকার সমুদ্রসৈকত রয়েছে? ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের তীরে কেন বেশ কিছু ভালো ভালো রিসোর্ট গড়ে উঠবে না? কেন মানুষ চাইলেই দু-তিন রাতের জন্য হাওর ভ্রমণে যেতে পারবে না? কেন কুমিল্লা বা ফেনীর সীমান্ত এলাকাসংলগ্ন বনাঞ্চলে বেশ কিছু পর্যটন স্পট গড়ে উঠবে না? ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য কর্তৃপক্ষ তাদের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বেশ কিছু রিসোর্ট বা মোটেল বানিয়ে রেখেছে পর্যটকের সুবিধার্থে। নগরজীবনের একঘেয়ে ক্লান্তি এড়াতে অনেকেই সেই রিসোর্টগুলোতে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসেন। বিদেশে অনেক নদীর তীরে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রচুর রিসোর্টের সন্ধান মেলে। বাড়ির মালিকই হয়তো নদীর তীরে নিজস্ব জমিতে দু-তিনটি কটেজ বানিয়ে রেখেছে পর্যটকদের জন্য। এসব কটেজ খালি থাকে না বলেই শুনেছি। প্রতিদিনকার জীবনযাপনের বাইরে একটু বাড়তি ছন্দ কিংবা ভিন্নতাই যে পর্যটন, সেটি উপলব্ধি করতে পারলে আমরাও হয়তো একসময় এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবো।
আগেকার সময়ের পর্যটনের সাথে এখনকার পর্যটনের ধারণার অনেক পার্থক্য রয়েছে। ইবনে বতুতা বা হিউয়েন সাঙ যে ধরনের পর্যটক ছিলেন, সে ধরনের পর্যটক এখন অনেক খুঁজে পাওয়া ভার। পরিবর্তিত সময় ও গতিশীল জীবনই হয়তো এর কারণ। আগে পর্যটকেরা একটা জায়গায় শুধু মুগ্ধ হওয়ার জন্য ভ্রমণ করতেন না, সেই এলাকার মানুষের জীবন, সংস্কৃতি কিংবা পরিবেশ অধ্যয়ন ও পর্যবেক্ষণ ছিল তাদের পর্যটনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এ সময়ের পর্যটকেরা কি সেদিকে নজর দেন? আজকাল বেড়াতে বের হওয়া মানে মুগ্ধ হতে যাওয়া। যে সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে এর সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ হই, লঞ্চের পাশ দিয়ে বেয়ে চলা সুন্দরবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ জেলে-নৌকা দেখে তাদের অবস্থার কথা আমরা কয়জন ভাবি? আমরা কয়জন কোনো এলাকা থেকে ঘুরে এসে সেগুলো লিখে রাখি বা প্রকাশ করি? এখানে অবশ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। বিখ্যাত ব্যক্তি ছাড়া প্রিন্ট মিডিয়াগুলো সাধারণ মানুষের ভ্রমণকাহিনী খুব কমই ছাপে বা ছাপেই না। অথচ মানুষের এ ধরনের লেখা বা অনুভূতি অন্যদের উদ্ধুদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে এ ধরনের নানা চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। প্রচলিত চিন্তাচেতনার বাইরে গিয়ে পর্যটনকে একটু দেশীয় ছোঁয়া দিতে পারলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বিপুলভাবে বেড়ে যাবে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিবেশ এমনই যে, একটু চেষ্টা করলে সারা দেশটাকেই পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা অনেকেই যেখানে জন্মেছি, তার পাশের উপজেলা বা জেলাতে যাই নি; কিন্তু একটা পর্যটন স্পট থাকলে সহজেই মানুষ আশেপাশের জেলাগুলোতে বেড়াতে যেতে পারতো। পর্যাপ্ত উদ্যোগ থাকলে জেলা পর্যটনও হতে পারে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেত্র। অনেক বেসরকারি ট্যুর অপারেটর এসব ক্ষেত্রে কাজ শুরু করলেও নানা মাত্রায় পর্যটন শিল্পের সার্বিক ভাবনা ও বিকাশে বাংলাদশ পর্যটন কর্পোরেশনকেই এগিয়ে আসতে হবে।
কথা ঠিক। গৌতমদা'কে উত্তম জাঝা।
অনেক ধন্যবাদ মীর। কিন্তু কোনো দ্বিমত বা ভিন্নমত নেই?
কোনো দ্বিমত বা ভিন্নমত নেই। শতভাগ সহমত। পর্যটন খাতের ব্যপারে সরকার ও জনসাধারণকে আরো ভাবতে হবে। সরকারকেই বেশি ভাবতে হবে। কারণ সব ক্ষমতা সরকারের হাতে। নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ক্যাম্পেইনে সম্প্রতি বাংলাদেশের অবস্থান নেমে ২৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে ২৭তম হয়েছে। এ ব্যপারটা এখন সরকারীভাবে দেখ-ভালের ব্যবস্থা করা দরকার। অন্যান্য ফাইনালিস্টরা সরকারী উদ্যোগে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এমনকি মিত্রদেশের সহযোগিতাও চাচ্ছে। অথচ আমাদের যেন কোন মাথাব্যথাই নেই। মনে রাখতে হবে, এটা আগামী বহুবছরের জন্য সুফল বয়ে আনবে বাংলাদেশের জন্য যদি নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনের নাম ঢুকিয়ে দেয়া যায়।
ধন্যবাদ মীর। আপনার সাথে সহমত। বাংলাদেশ সরকার অনেক শিল্পখাতে ঋণ দিচ্ছে, বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। পর্যটনকে একটা শিল্প মনে করে সে অনুযায়ী উদ্যোগ নিলে বোধহয় অনেক বড় শিল্পের চেয়েও এই শিল্প থেকে সরকারের রিটার্ন হতো অনেক বেশি।
আপনার ভাবনাগুলো নিজের ভাবনার সাথে মিলিয়ে নিলাম আবারো।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। যতো উন্নত হবে ততোই জীবন যাত্রায় আরো অনেক পরিবর্তন এবং মাত্রা যোগ হবে। ছুটিতে বেড়ানোও এর মধ্যে একটি। ইতিবাচক পরিবর্তন, নতুন কর্ম সংস্থান তৈরী।
সুন্দর লেখা।
...কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কোনো নজরই নেই। নতুন এই শিল্প যে আরো নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে, সে ব্যাপারে সরকারের চেয়ে ভালো আর কে বুঝে!
কিন্তু সরকার যে ঘুমায়!
পর্যটন শুধু শিল্প না এটা সংস্কৃতির মতো যা মননে লেপা থাকতে হয় যেটা সেই সব এলাকার স্থানীয় মানুষগুলোর মাঝে খুব ভালো ভাবেই অভাব আছে। এরা গল্পের সোনার ডিম ওলা হাঁসের মতো পর্যটকদের ভাবে। বাংলাদেশের কোনো অংশের মানুষই পর্যটক বান্ধব না ঠিক যতটুকু হলে পর্যটনের উন্নতি হয়।
দেশের বেসরকারী উদ্যোক্তাদের মাঝে মান সম্মত সেবা দেবার জ্ঞ্যান ও অভিজ্ঞতার অভাব আছে ভালো ভাবে। এরা যে ভাবে সেবা দেয় সেটা স্থানীয় ভাবে গ্রহনযোগ্য হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ধারে কাছে নেই। এ যুগে এ বিষয়ে কোনোরকম আপোষ করা হয় না।
অবকাঠামোগত উন্নতির কোনোরকম বিকল্প নেই। বরগুনায় খুব ভালো একটা রিসোর্ট করলাম কোটি টাকা খরচ করে ও আন্তর্জাতিক মানের সব কিছু দিয়েই কিন্তু সেখানে যাবার ব্যবস্থা ভালো না তবে সেখানে কোনো কিছু করে পোষাবে না। শুধু রাস্তা করলেই হয় না সেই রাস্তায় যাতে কম সময়ে, আরামে ও নিরাপদে যাওয়া যায় সেটার ব্যবস্থাও থাকতে হবে যেটার অভাব ১০০%।
প্রথাগত পর্যটন ও হালের ইকো ট্যুরিজম সব কিছুর জন্য এটা প্রযোজ্য। সম্ভাবনা আছে তবে প্রয়োগ নেই।
যাতায়াতের কথাটা বলে ভালোই করেছেন। কুয়াকাটায় গিয়েছিলাম একবার- কান ধরেছি। যতোদিন পর্যন্ত পত্রপত্রিকাগুলো রিপোর্ট না করবে যে, কুয়াকাটা যাওয়ার রাস্তা সুপার-ফাইন, ততোদিন ওই পথ আর মাড়াচ্ছি না।
আজকাল মানুষেরা ঘুরছে বেড়াচ্ছে। আনন্দে ফুর্তিতে আছে মনে হয়। এদেশে একদিনের পর্যটকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী। কিন্তু পর্যটন সুবিধা সব জেলায় নেই। ফলে কোথাও পিকনিকে যাবার কথা উঠলে মানুষ ছোটে কক্সবাজার। ঢাকায় যে কারণে যানজট, কক্সবাজারে একই কারণে মানুষজট। আমার কক্সবাজার যেতে ভাল্লাগে না। একদমই না। মানুষের বাজার যেন। সারা বছর জুড়ে হৈ হৈ রৈ রৈ। সেবার মান দশ বছর আগের তুলনায় মারাত্মক নিন্মগামী।
তবু মানুষের উপায় নেই, রাঙ্গামাটি সিলেট কুয়াকাটা সুন্দরবনে থাকার জায়গার সংকট। সরকার নামক প্রতিষ্ঠানকে আমি পর্যটনে উপযোগী কোন কাজ করতে দেখিনি। আজকাল কক্সবাজারে হুলস্থুল ফাইভস্টার হোটেল হচ্ছে।
আগামী দশ বছর পর কয়েকশো ফাইভস্টার হোটেল দাড়িয়ে যাবে। কে থাকবে ওখানে? দেশী না বিদেশী? বিদেশীদের জন্য কোন পরিবেশ আছে? আগে যাও যেত এখন তো বিদেশী পর্যটক কক্সবাজারে জেনে শুনে পা বাড়ায় না। পর্যটন কর্পোরেশান বলে একটা প্রতিষ্ঠান আছে গলাকাটা বাদে আর কোন কাজ তো দেখি না তাদের। আছে কারো মাথাব্যাথা?
...অথচ দেখুন ত্রিপুরার পর্যটন কর্পোরেশন কী না করছে! শুনেছি কলকাতার পর্যটন কর্পোরেশনও নাকি জায়গা-অজায়গায় সুন্দর সুন্দর কটেজ বানিয়ে রেখেছে, পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা করছে। আমাদের পর্যটন কর্পোরেশন দেখেও শিখতে পারে!
নির্ভুল বানানে একটি সুচিন্তিত, সুন্দর ও সাবলীল নিবন্ধের জন্য গৌতমকে ধন্যবাদ ।'পর্যটন নিশ্চিত করার জন্য অন্তত তিনটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে- অবকাঠামো, নিরাপত্তা এবং জিনিসপত্রের মান ও দামের সামঞ্জস্য।' - কিন্তু কে গুরুত্ব দেবে ? এদেশে যার যা করবার সে তা করে না; যে যা বোঝেনা, সে সেটা করবার জন্য সবার আগে এগিয়ে যায় । আর এতে করে লেজে-গোবোরে হয়ে ওঠে সব কিছু ।
ধন্যবাদ নাজমুল ভাই। এক্ষেত্রে এগুলোর বিষয়ে সরকারকেই গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার সরাসরি ব্যবসা করবে না; কিন্তু মনিটরিঙের দায়িত্বটা সবসময় সরকারের ঘাড়েই চাপে। আর আপনার শেষ লাইনের আগের লাইনের সাথে দ্বিমত করার কিছু দেখছি না; যদিও দ্বিমত করতে পারলেই খুশি হতাম।
চমৎকার চিন্তা। ভালো লাগল।
ধন্যবাদ বোহেমিয়ান।
দুই হাত বাড়িয়ে যে দাঁড়িয়ে আছেন, নিশ্চয়ই কোথাও বেড়াতে গিয়ে ছবিটা তুলেছিলেন! লিখে ফেলবেন নাকি ভ্রমণের সেই কাহিনিটা?
পর্যটন নিয়ে লেখাটা সত্যিই খুব ভাল লেগেছে
কত কিছুই'তো করা উচিত, সরকার বাহাদুর'কে এসব কে বোঝাবে ?
ধন্যবাদ আপন আধার।
আপনার প্রশ্নটার উত্তর কী হওয়া উচিত তাই ভাবছি।
বাংলাদেশে -র যে কোন যায়গাতে ঘুরে বেড়ানোর অনেক খরচ- কারন ওখানকার ব্যাবসায়ীদের হা করে থাকা মানসিকতা। নতুন কেউ গেছে বুঝতে পারলে একেবারে করাত দিয়ে গলাকাটা শুরু হয়
...ঠিক কথা। এর শিকার আমি নিজেও। অথচ নেপালে নাকি অবস্থা উল্টো। কেউ নতুন গেছে বুঝতে পারলে ওরা সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। সত্যি-মিথ্যে জানি না, আমার পরিচিত একজন সম্প্রতি নেপাল গিয়েছিলেন, ফিরে এসে তার এই উপলব্ধি।
শিবলী ভাইয়ের সাথে একমত।
বাংলাদেশের মধ্যেই এখনো অনেক জায়গা আছে যার নামও হয়ত আমরা সবাই শুনি নাই। বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রনালয় হচ্ছে চরম অথর্ব একটা মন্ত্রনালয়। অথচ শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় সারা ভারতে এমন কোন জায়গা নাই যেখানে হয় সরকারি অথবা সরকারি তত্বাবধানে বেসরকারিভাবে পর্যটক ভ্রমনের জন্য সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নাই এবং তা অবশ্যই খুব কম খরচে। আমার কাছে হাজার পৃষ্ঠার উপরে একটা বই আছে যাতে প্রতিটা দর্শনীয় স্থানের বর্ননাসহ যাতায়াত ব্যবস্থা, থাকা খাওয়া এবং খরচের রাফ আইডিয়া দেয়া আছে। আমাদের কি আছে ?
আপনার পোষ্টটা ভাল লাগলো
...আচ্ছা, বাংলাদেশের পর্যটন কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা ওসব দেশে বেড়াতে যায় না? গিয়ে কিছু শেখে না?
গৌতম'দাঃ
উত্তম লেখা। একটা বড় সমস্যা হচ্ছে তথ্য-উপাত্ত। আপনি লিখেছেন এইসব বেড়ানোর মূলে মধ্যবিত্ত। তারা সীমিত আয়ে চলে আর বিস্তারিত তথ্য চায়। কিছু ওয়েবে তাদের প্যাকেজের বিস্তারিত বলা থাকলেও, অন্য তথ্য পাওয়া যায়না। যেমন এমন একটা ওয়েব যদি থাকতো যেখানে আপনি জেলা ওয়ারী তথ্য পাবেন সাথে খরচ ইত্যাদি! শিক্ষাক্ষেত্রে তো আপনি একটা খুব ভাল ওয়েব নামিয়েছেন। পর্যটনেও চেষ্টা করে দেখবেন কি?
জিতু
শামীম ভাই, ভালো আইডিয়া। অনেকদিন আগে এরকম একটা আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আপনার কথায় উৎসাহ পেলাম। আপনাকে পরে বিস্তারিত জানাবো।
আমরা যেখানেই একটু ব্যবসার বিকাশ দেখেছি সেখানেই এমনভাবে হামলে পড়েছী যে ও জায়গা নষ্ট না করে ছাড়ি না। আমরা কি শিল্প নেব না ব্যবসা নেব? কক্সবাজারে কি দেখতে যাই আমরা? বড় বড় হোটেল? ব্র্যান্ডের দোকান?
তাও ঠিক। নষ্ট না করা পর্যন্ত শান্তি মেলে না আমাদের! তবে যেহেতু এই শিল্পটাতে আমরা নতুন, আর নতুন অবস্থায় এরকম কিছুটা হবে ধরে নিয়েই এগুতে হবে আমাদের।
ভালো লাগার মতো পোষ্ট। পর্যটনে যখন দেশের একটা অংশ আড়মোরা ভাঙতে শুরু করেছে, আমার বিশ্বাস এদের দেখে অন্যরাও আগ্রহী হবেন। তখন এই সেক্টরটি একদিন ঠিকই ঝেড়ে দৌড়ানোর জন্য তৈরী হবে...
'প্রচারেই প্রসার' স্লোগানটি বিভিন্নজনের লেখা ভ্রমণ কাহিনীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ুক দেশের আনাচে-কানাচে থাকা মানুষের মধ্যে। গৌতম ভাইটি কে অনেককক ধন্যবাদ চমৎকার এই পোষ্টের জন্য। ভালো থাকা হোক।
সুন্দরবনের ব্যাপারে, মীরভাইয়ের বক্তব্যের সাথে আমিও গলা মিলাইলাম
ধন্যবাদ বাতিঘর। আড়মোড়া ভাঙাটা আরেকটু তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার। পর্যটন কর্পোরেশন যদি শুধু রুটিন কাজগুলো করে, তাহলেই অনেক কাজ করা হয়ে যাবে। এটুকুর জন্যও তাগাদা দেয়া লাগে।
গোতমের পোস্ট সব সময় কিছু চিন্তার খোরাক জোগায়... ভাবনার জায়গাটা ছুয়ে যায়... এটাই গৌতমের সফলতা। ধন্যবাদ গৌতম
প্রতিটা জেলার জেলা প্রশাসককে পর্যটন এলাকা/স্পট তৈরীতে বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দিলে কিছুটা কাজ হতে পারে। সরকারী ভাবে বেসরকারী উদ্যোগকে সহযোগীতা করলে এই শিল্প আরো অনেক দুর যাবে। তথ্য প্রযুক্তির সফল প্রয়োগে যে কোন জায়গা থেকে যে কোন পর্যটন স্পটের অবস্থা/অবস্থান জানার ব্যবস্থা করা গেলে অনেকে উপকৃত বোধ করবে।
পৃথিবীর বৃহত্তম বীচ কক্সবাজার সম্পর্কে আমার ভাবনা....
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে সৈকতের নিরাপত্তায় নিরাপত্তা বাহিনী তৈরী করতে পারে। যেটা ভ্রমনরত মানুষদের নিরাপত্তা বিধান করবে এবং এটা খুব প্রয়োজন। আবার জেলাপ্রশাসক স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে তাদের তৈরী বিক্রয়যোগ্য পন্যে দাম নির্ধারন করে দিতে পারে। হোটেলগুলোকে খাদ্যের দাম ঝুলিয়ে দিতে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনে ১০/৫ বছরের একটা মাস্টার প্লান করা যেতে পারে কক্সবাজারকে নিয়ে।
মূলত ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে সব কিছু করতে হবে।
ধন্যবাদ টুটুল ভাই উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যটি যদিও আগেই দেখেছি, কিন্তু সময়াভাবে উত্তর দিতে পারি নি। পারিবারিক ব্যস্ততা লেখালেখির সময়টা খেয়ে নেয়।
আসলে আমাদের পর্যটন কর্পোরেশনের নতুন কিছু করার দরকার নেই। যেগুলো রুটিন কাজ হিসেবে করার কথা, সেগুলো করলেই কিন্তু অনেক কাজ করা হয়ে যায়। পর্যটন কর্পোরেশনকে নতুন কোনো পদ্ধতি বা পন্থা উদ্ভাবনেরও দরকার নেই, পাশের দেশগুলো কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই অভিজ্ঞতা ধার করলেও চলে। এখন একটা সংস্থা যদি এটুকুও না করে, তাহলে ক্যাম্নে কী!
watch this on BD tourism in cox's bazar
http://www.youtube.com/watch?v=5oBs5W1u_2Y
http://www.youtube.com/watch?v=RmS1j8A4Hng
thanks
ধন্যবাদ। তবে এ বিষয়ে আপনার মতামত বা মন্তব্য জানতে পারলে ভালো লাগতো।
সুক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে সুন্দর লেখা
ভালো লাগলো গৌতম
অনেক ধন্যবাদ উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
ভাল
ধন্যবাদ।
চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী লেখা।
এটাই শেষ কথা।
ধন্যবাদ ঈশান মাহমুদ। যদিও সব ক্ষেত্রে সরকারে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভালো কোনো কাজ না; কিন্তু আমাদের দেশে সিস্টেমটাই এরকম হয়ে গেছে যে, এসব ক্ষেত্রে সরকারের এগিয়ে আসা ছাড়া উপায় নেই। বিশেষত বেসরকারি ক্ষেত্রকে তৈরি করার ক্ষেত্রে সরকারকেই মূল ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই সরকারের প্রতি এ আহ্বান।
'বাংলাদেশর পর্যটন শিল্প: কিছু নতুন ভাবনা' -- প্রথম শব্দটির ভুল বানানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং তা সংশোধনের অনুরোধ জানাচ্ছি ।
হায় হায়! এতো বড় ভুল কীভাবে থেকে গেল! কতো দিন পার হয়ে গেল, কারো চোখেই পড়ল না!
ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ নাজমুল ভাই।
ঘুরতে ভাল লাগে। কিন্তু খহরচ আর নিরাপত্তার ভয়ে পরিবারের সাবইকে নিয়ে ঘুরতে ভয় লাগে।
অধিকাংশ নিম্নমধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্ত ঠিক এ কারণেই বেড়াতে যেতে চান না। অথচ এই দুটো জায়গা ঠিক করা গেলে কতো মানুষ যে কতো জায়গায় বেড়াতে যেত!
স্বপ্ন দেখি ৬৪টা জেলাতেই ঘুরবো!
আরে দারুণ তো! আমারও তো সেই একই স্বপ্ন! এখন পর্যন্ত কয়টি জেলায় গিয়েছেন?
আর আমার ভ্রমণের আগ্রহ নিয়ে এই লেখাটা পড়তে পারেন।
দেশের পর্যটন নিয়ে আফসোস এর সীমা নাই । কিভাবে অবহেলায় ফেলে রাখছে এ সম্পদ ।
ঘুরার ইচ্ছার কারণেই এসব সমস্যা গুলো মাথায় রেখেই যাই আমরা।
আমরা যে যেখানে যেভাবে পারি এগুলো বলার চেষ্টা করি। হয়তো বলতে বলতেই একদিন কিছু একটা হবে।
বাংলাদেশে সবকিছুই অপরিকল্পিত। পর্যটন তো আরও বেশি।
...অথচ সামান্য একটু পরিকল্পনা করলেই এই সম্ভাবনাময় শিল্পটি থেকে বাংলাদেশ পেতে পারে অনেক কিছু। বছর দুয়েক আমরা কয়েকজন বন্ধু ত্রিপুরা গিয়েছিলাম বেড়াতে। সেখান থেকে আসার পর নিজেকে প্রশ্ন করেছি- এমাবন কী ওখানে আছে যা বাংলাদেশে নেই? কোনো উত্তর পাই নি, বাংলাদেশে বরং এর সবকিছুই আরো বেশি বেশি করে আছে। কিন্তু ওরা প্রতিটি ছোট-বড় পর্যটন স্পট যেভাবে যত্ন করে রেখেছে এবং পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি এমনভাবে মনোযোগ দিয়েছে যে, সাধারণ এলাকাতেও বারবার যেতে ইচ্ছে করে। এখানেই ওদের সফলতা ও আমাদের ব্যর্থতা।
লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ। সরকারীভাবে যদি কিছু হয় তো খুব ভাল, বেসরকারী পর্যায়ে এইধরণের ভ্রমণে ব্যাবস্থাদি এত ব্যায়বহুল, সাধারণমানুষের জন্য তা পুরোই নাগালের বাইরে।
আমাদের এখানে এই শিল্পটা দাঁড়াতেই পারলোনা। পুরোপুরি অবকাশ যাপনযোগ্য স্পট অতি নগন্য। নিরাপদ আর মৌলিক সুবিধা সম্বলিত থাকার জায়গা অনেক জায়গায়ই নেই, তাই বেড়াতে যেতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি না। কবে যে আমরা এইক্ষেত্রে একটা গ্রহনযোগ্য মানে পৌছুঁতে পারবো।
ধন্যবাদ লীনাপা। যতোদূর জানি, এই শিল্পকে খুব বেশি পৃষ্ঠপোষকতা না দিলেও চলে। শুধু কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে সাপোর্ট দিলেই এটা দাড়িয়ে যায়। সরকার এটুকু কাজ করবে বলেই ভাবি।
মন্তব্য করুন