ভারত ভ্রমণের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের পর্যটন
বেশ কিছুদিন আগে পর্যটন বিষয়ক একটি লেখা প্রকাশের পর পরিচিত একজন বাংলাদেশের বাইরে পর্যটনের অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। ‘খুব সামান্য’ জবাব দেয়ায় তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন- সম্ভব হলে অন্তত পাশের কয়েকটি দেশ যেমন ভারত, ভুটান এবং নেপাল ঘুরে এসে তারপর যেন বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে আশাবাদী হই। গুরুতর কিছু না হলে সাধারণত পাঠক প্রতিক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে একমত হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু তার বক্তব্যে এমন কিছু দৃঢ়তা ছিল যে কারণে পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হয়েছে। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যটন বিষয়ে তার সঙ্গে কিছু আলোচনাও হয়েছে। তার কথায় মনে হয়েছে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে আমি যে আশাবাদ ও উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেছি বা করছি, কিছু দেশ ঘুরলে আমার সেই বক্তব্য বদলেও যেতে পারে।
সম্প্রতি ব্যক্তিগত কাজে প্রায় ১৫ দিন ভারত ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল এবং প্রথম দিন থেকেই ওই পরিচিতজনের কথাগুলো মনে করে বুঝার চেষ্টা করছিলাম ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের পর্যটনের অবস্থান কোথায়? ভারত সম্পর্কে মিথ চালু আছে যে, পুরো ভারত ভ্রমণ করলে নাকি পৃথিবীর সব জায়গা দেখা হয়ে যায়। পর্যটকরা সাধারণত যেসব জায়গায় ঘুরতে যায় (যেমন- জলপ্রপাত, মরুভূমি, বনাঞ্চল, পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, তুষারপাত ইত্যাদি), তার সবকিছুই নাকি শুধু ভারত ঘুরেই দেখা সম্ভব এবং অন্য কোনো দেশেই এরকমটি পাওয়া যাবে না। ভারতের সব এলাকা সম্পর্কে জ্ঞান নেই, তাই এ ধরনের কথা অতিশয়োক্তি বলেই মনে হয়।
ভারত একটি বিশাল দেশ; তার তুলনায় আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর খুব কম জায়গা দখল করে আছে। একটি দেশ বিশাল হলে সেখানে অধিক দর্শনীয় স্থান থাকাটাই স্বাভাবিক। পর্যটন বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সেরকম তুলনামূলক আলোচনা সে অর্থে নিরর্থক। কিন্তু পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য কোন দেশ পর্যটন শিল্পকে কীভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে তা নিয়ে একটি তুলনামূলক আলোচনা হতে পারে। বছর দুয়েক আগের ত্রিপুরা ভ্রমণের স্মৃতি ও দিন কয়েক আগের কলকাতা ও দিল্লি ভ্রমণের টাটকা অভিজ্ঞতা থেকে সহজেই বলা যায়- বেশ কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পর্যটন কর্পোরেশন যেখানে সর্বোচ্চ মাত্রার উদাসীনতা দেখাচ্ছে, সেখানে ভারত সরকার ছোটখাট পর্যটন কেন্দ্রকেও পর্যটকদের কাছে সাজিয়ে-গুছিয়ে-আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করছে। শুধু তাই নয়, পর্যটনকে সফলকাম করতে শুধু দর্শনীয় বস্তুই বিবেচ্য বিষয় হয় না; পর্যটকদের থাকার জায়গা, যাতায়াত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়কে সামগ্রিকভাবে পর্যটকদের কাছে সুলভ হিসেবে উপস্থাপন করতে হয়। বলা যায়, Incredible India শিরোনাম দিয়ে ভারত সে কাজটি যথাযথভাবে করে চলেছে।
কিছু উদাহরণও দেয়া যেতে পারে। ভারতের বড় শহরগুলোতে নানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা পর্যটকদের জন্য দিনব্যাপী ভ্রমণের ব্যবস্থা করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে পর্যটকদের সারাদিন শহরের নানা দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। ঢাকাতেও একসময় এ ব্যবস্থা ছিল, পর্যটকদের জন্য ছাদ খোলা গাড়ি দেখা যেত ঢাকার রাস্তায়, কিন্তু খুব দ্রুতই সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। যানজট বা অন্যান্য কারণে রাজধানীতে এখন এ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব কি? ভারতে রেলভ্রমণে বিদেশিদের জন্য আলাদা কোটা আছে, আলাদা ব্যবস্থা আছে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যও। আমাদের কি এমন কিছু আছে? কোথাও গেলে স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত গাইডের সন্ধান মেলে। আমাদের গাইড তো নেই-ই; বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নোটিশবোর্ডের তথ্য পড়তে হয় অনেক কষ্ট করে। বাইরের খাবারের দাম বেশি হলেও ভেতরের রেষ্টুরেন্টে খাবারের দাম থাকে তুলনামূলকভাবে কম, আমাদের দেশে যা উল্টো। প্রতিটি পর্যটন স্পটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুকলেট, সিডি বা ম্যাপ পাওয়া যায় যাতে পর্যটক সহজেই সে এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে। রেলস্টেশন, মেট্রো বা হাইওয়েতে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া থাকে, মেট্রো রেলে স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে বর্ণনা দেয়া হয়। এ সবকিছুই পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য। শুনতে খারাপ লাগতে পারে কিন্তু নির্মোহভাবে বিচার করলে বাংলাদেশ এই দিকগুলোতে এখনো অনেক পিছিয়ে।
অপরদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারত মোটেই পর্যটনবান্ধব নয়, বরং বাংলাদেশ এসব বিষয়ে অনেক ভালো। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের জন্য যে পরিমাণ চার্জ, বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশমূল্য তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। তাজমহলে প্রবেশে ভারতীয়দের জন্য চার্জ মাত্র ২০ রুটি, সেখানে বিদেশিদের ক্ষেত্রে এই চার্জ ৭৫০ রুপি। শুনেছি অজন্তা ইলোরা গুহায় প্রবেশ করতে হলে ভারতীয়দের ১০ রুপি এবং বিদেশিদের একশ গুণ বেশি অর্থাৎ ১০০০ রুপি দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। ৭৫০ বা ১০০০ রুপিকে ডলারে হিসেব করলে হয়তো খুব বেশি মনে হবে না, কিন্তু একটি দেশকে পর্যটনসুলভ করতে হলে প্রতিবেশি দেশগুলোর অর্থনৈতিক কাঠামোও বিবেচনায় নিতে হয়। অনেক দেশই অভ্যন্তরীণ পর্যটন উৎসাহিত করতে দেশীয় পর্যটকদের জন্য দাম কম রাখে। কিন্তু যেখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসে পাশের একই অর্থনৈতিক সক্ষমতার দেশ যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল বা শ্রীলংকা থেকে, সেখানে তাদের সাথে আমেরিকা বা ইউরোপের পর্যটকদের এক কাতারে ফেলা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ভারত কি পারতো না সার্ক দেশগুলোর জন্য গ্রহণযোগ্য মাত্রার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করতে? তাজমহল ভ্রমণের সময় সার্ক দেশগুলোর অনেক পর্যটককে দেখেছি ভারতীয় পরিচয়ে টিকিট কাটতে কারণ এদেরকে চেহারা বা গায়ের রং দিয়ে আলাদাভাবে বিদেশি হিসেবে চিহ্ণিত করা যাবে না। পর্যটক বললেই যেরকম চোখের সামনে ধনী মানুষরে ছবি ভেসে উঠে যার প্রচুর টাকাপয়সা আছে, বিষয়টি অনেক সময় সেরকম না-ও হতে পারে। অনেক পর্যটকই দিনের পর দিন অর্থ সঞ্চয় করে কেবল বেড়ানোর নেশায় কম খেয়ে, সস্তা হোটেলে থেকে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ান এবং এরকম পর্যটক নেহায়েত কম নয়। গ্রহণযোগ্য মাত্রার প্রবেশমূল্য থাকলে এ ধরনের পর্যটকদের যেমন নিজস্ব সত্ত্বা লুকিয়ে টিকিট কাটতে হয় না, তেমনি আরো বেশি সংখ্যক পর্যটককেও আকৃষ্ট করা সম্ভব। এ দিক দিয়ে বাংলাদেশ বরং পর্যটকবান্ধব। কিছু নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে অনেক উঁচু হারে প্রবেশমূল্য নেওয়ার ব্যবস্থা নেই এখানে। যেখানে প্রবেশমূল্য বেশি সেখানেও তা গ্রহণযোগ্য মাত্রার মধ্যেই রয়েছে।
আতিথেয়তার দিক দিয়েও বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। দিল্লিতে চলতে-ফিরতে অনেক সময়ই মনে হয়েছে সেখানকার মানুষজন বিশেষ করে বাংলাভাষীদের ওপর বিরক্ত। স্থানীয় কয়েকজন বাঙালির সাথে কথা বলে সেরকম ধারণাই পাওয়া গেল। যদিও ভারতের নানা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা যেমন- রেলওয়ে, পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ইত্যাদি পর্যটকদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে, কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহার ও তাদের ক্ষণিকের আতিথেয়তাও একসময় বিচার্য বিষয় হয়ে ওঠে। দিল্লিতে বসবাসকারী বেশ কিছু বাঙালির কাছ থেকে শুনেছি, এখানকার অনেক মানুষই বাংলাদেশীদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব পোষণ করে থাকে। বাংলাদেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক বারবার সাবধান করে দিয়েছিলেন, দিল্লিতে কোনো সমস্যায় পড়লে অন্য কারো কাছে না গিয়ে সরাসরি যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেই যাই। কারণ, তার মতে, ওখানে ঠগ-জোচ্চোরে ভর্তি। সাহায্য চাইতে গিয়ে ভালো মানুষের বদলে এদের পাল্লায় পড়লে সর্বস্বান্ত হওয়াটা নিশ্চিন্ত। ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের কথা আমরা উড়িয়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু কলকাতা থেকে রেলপথে দূরন্ত এক্সপ্রেসে নয়া দিল্লি যাওয়ার সময় ওখানকার সহযাত্রীদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া বিস্কুট খাওয়ানোর পর তারা আমাদের একটাই উপদেশ দিলেন- আমরা যেন ভুলেও রেল বা অন্য কোনো জায়গায় অন্য কারো দেয়া কিছু না খাই। একে আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি, তার ওপর তাদের কাছে আমাদেরকে খারাপ ব্যক্তি বলে মনে হয় নি, সে কারণে তারা আমাদের দেয়া বিস্কুট খেয়েছেন। বিস্কুট বা খাবার খাইয়ে সর্বস্বান্ত করার ঘটনা আমাদের দেশেও ঘটে, কিন্তু ওখানকার যে ভয়াবহ অবস্থার কথা শুনেছি, সেটা আমাদের দেশের স্বাভাবিক চিত্র নয়। একটি শহরের অভিজ্ঞতা দিয়ে সেই দেশের মূল্যায়ন করা কাজের কথা নয়, কিন্তু আতিথেয়তার যে উদাহরণ উপরে দেয়া হলো, বাংলাদেশের অবস্থান তার বিপরীত। এখানে বিদেশ থেকে কেউ এলে আমরা বরং আতিথেয়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিই। অতিথিকে নারায়ণ সমতুল্য মনে করে তাকে সেবা করার রীতিটি এ দেশে ভালোভাবেই প্রচলিত। বিশেষ কোনো দেশ থেকে আসা মানুষকে কটাক্ষের চোখে দেখা আমাদের সংস্কৃতি নয়।
ভারত অনেক বড় দেশ, অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে সেখানে। আয়তনে বাংলাদেশ ছোট, পর্যটন স্পটও তুলনামূলকভাবে কম। সে দিক দিয়ে বিচার করলে বাইরের একজন পর্যটকের কাছে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতকেই আকর্ষণীয় মনে হওয়ার কথা; কিন্তু আমরা যদি আমাদের আতিথেয়তার কথা, সীমিত পর্যটক স্পটে অপরিসীম উষ্ণতার কথা বিদেশি পর্যটকদের জানাই, তাহলে তো আমাদের পর্যটন শিল্প ফুলেফেঁপে উঠার কথা! কিছু প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা বাড়ালে অভ্যন্তরীণ পর্যটন দিয়েই পর্যটন কর্পোরেশন নিজেদেরকে বিকশিত করতে পারে। শহরের পাঁচতারা হোটেলের রাজকীয় সুযোগ-সুবিধার চেয়ে মানুষ এখনো নানা অসুবিধার কথা মনে রেখেও আত্মীয়ের বাড়ির উষ্ণ অভ্যর্থনাকেই পছন্দ করে। পর্যটনকে বিকশিত করতে হলে পর্যটন কর্পোরেশন এই মূলমন্ত্রকে ভিত্তি ধরেই সামনে এগোতে পারে।
গৌতম ভাই,
আপনার লেখার মুগ্ধ পাঠক আমি। কিন্তু এই লেখাটা তেমন টানলো না। তাড়াহুড়া করে লেখা মনে হল। তবে সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।
ভাই, এ তো কথার কথা - figure of speech। আমরাও তো বলি - এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না'ক তুমি - এটা অনুভূতির ব্যাপার, যাচাইয়ের না।
আমি এটা সমর্থন করি। অর্থনীতির তত্ত্ব হিসেবে এই price discrimination ঠিকাছে। এসব স্থান পরিদর্শনের demand inelsatic. মার্কেট ও monopoly। সব যোগ বিয়োগ শেষে welfare / producer surplus বেশি হবে। বিদেশী (মূলত ইউরোপ-আমেরিকান) পর্যটকদের আয় তুলনামূলক মূল্যে বেশি - তাই তাদের কাটতে হবে বেশি টাকার টিকেট। কিন্তু প্রতিবেশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আলাদা মূল্য ধারণ করা উচিত।সার্ক দেশগুলোর জন্য আলাদা মূল্য ব্যবস্থা অনেক জায়গায় চালু আছে। আশা করি অন্য স্থানেও তা আরোপ হবে।
এ নিয়ে আপনার সাথে যৌথ ভাবে পোস্ট দেওয়ার আশা রাখি।
লেখার বিষয় নির্বাচনে জা ঝা !!
সিঙ্গাপুর?
১. ঠিকই ধরেছেন। কিছুটা তাড়াহুড়া করে লেখা। আমি এমনিতে কোনো কিছু লেখার পর ২/৩ দিন ফেলে রাখি। তারপর ধীরেসুস্থে এডিট করে প্রকাশ করি। এটা লেখার পর কেন যেন তর সইলো না। অনেকদিন ধরে লিখছি না... এই কারণে হয়তো তাড়াহুড়া করেছি।
২. ভারত সম্পর্কে যে মিথটা চালু আছে, সেটার উদাহরণও অনেকে দেন। একই দেশে মরুভূমি আছে, সাগর আছে, পর্বত আছে, বরফাবৃত এলাকা আছে- অর্থাৎ প্রাকৃতিক দর্শনীয় প্রায় সবকিছুই আছে। এরকমটা নাকি অন্য কোনো দেশে পাওয়া যায় না।
৩. অর্থনীতির তত্ত্ব হিসেবে বিভিন্ন-মূল্যের বিষয়টি ঠিকই আছে; কিন্তু আমার বক্তব্য হচ্ছে এসব ক্ষেত্রে আরো কিছু ফ্যাক্টর হিসাবে আনতে হয়। সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে কোনোমতেই ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থা মেলানো যাবে না। শুধু সার্কভুক্তই নয়, আফ্রিকান বা সাউথ আমেরিকান দেশগুলোর জন্যও আলাদা মূল্য ধরা উচিত।
৪. যৌথ পোস্ট - অবশ্যই। আমার অবশ্য এ বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই। জাস্ট ইনস্টিঙ্কট থেকে লেখা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মালদ্বীপ?
অথবা নেপাল?
সিঙ্গাপুর?
[একটু উপরে করা একই মন্তব্যটি অগ্রাহ্য করুন]
মালদ্বীপ, নেপাল বা সিঙ্গাপুর অবশ্যই সুন্দর। আমি শুধু একাধিক পর্যটন স্পটের কথা বলতে চাইছি। এবং একাধিক ধরনের স্পটের কথা বলতে চাইছি। নেপালে পাহাড়পর্বত আছে, মরুভূমি কি আছে? মালদ্বীপে সাগর আছে, বড় বনাঞ্চল কি আছে? সিঙ্গাপুরে কি বড় বড় পর্বত আছে? কিন্তু ভারতে নাকি সবকিছুই আছে! - সে হিসেবেই একই কথাটা বলা।
কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে একজন ভারতীয় কি লিখবেন -সেটা নির্ধারণ করে দিতে পারাই স্বার্থকতা। এভাবে একে একে পর্যটনসমৃদ্ধ সবগুলো দেশের সঙ্গেই তুলনামূলক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া যায়।
ভারতের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে আমি মুগ্ধ। কিন্তু পর্যটকদের প্রতি তাদের সাধারণ মানুষের ব্যবহার বা মনোভাব ভালো লাগে নি।
বাংলাদেশের পর্যটন স্পট দেখে পর্যটকেরা মুগ্ধ হবেন না, কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহার বা মনোভাব নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।
গৌতমকে পাওয়া গেল অনেকদিন পরে । আরও বিস্তারিত কিছু আশা করেছিলাম । অবশ্য তাতেই বা লাভ কী ? কে শুনবে কার কথা ? ওহপৎবফরনষব ওহফরধ আসলে কি হবে ?
কী কী আশা করেছিলেন বলে ফেলেন। আপনার কথা শোনার চেষ্টা করব।

এখন কি ওহপৎবফরনষব ওহফরধ দিয়ে কিছু বুঝা যাচ্ছে? ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে দেখার কি আছে কি নেই তার চেয়েও বড় বিষয় হলো যা আছে তাকে আমরা কিভাবে উপস্থাপন করছি। পর্যটন কর্পোরেশানে ফটো তোলার মতো একটা ভালো ক্যামেরা/ক্যামেরাম্যান পর্যন্ত নেই। পর্যটনের ওয়েব সাইট দেখে রীতিমত লজ্জা লাগে। ওটা কার জন্য বানিয়েছে আজো বুঝলাম না।
ওদিকে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র দেশ ভূটানের পর্যটন কতৃপক্ষের ওয়েব সাইটে যান? আপনি জেনে যাবেন আপনি কোথায় যাবেন কিভাবে যাবেন কতোটা খরচ লাগবে কিরকম বাহন পাবেন। সব খবর এক জায়গায়।
আমাদের সরকারী কর্তাদের বিশাল বহর নিয়ে বিদেশ ভ্রমন করার রীতি আছে বছর বছর। উন্নত দেশে ট্রেনিং ভ্রমন। কিন্তু ওইসব ট্রেনিং ভ্রমন শেখার চাইতেও কেনাকাটাই বেশী গুরুত্ব পায়। আগামীতে যদি কেউ ভুটানে ট্রেনিং নিতে যায় তাতে অবাক হবো না।
পর্যটন নিয়ে লিখতে গেলে কেন যেন মেজাজ ঠিক রাখা যায় না।
আপনার দ্বিতীয় প্যারাটাই আসলে আমার এতো কথা বলার মূল কথা।
বাংলাদেশ আর ভারতের পর্যটনের তুলনা করাটা আসলে খুবই অসম। ভারত সম্পর্কে বর্হিবিশ্বে মীথ চালু, পশ্চিমাদের মধ্যে ক্রেজ থাকে ভারত ভ্রমন নিয়ে। তাজমহল, রাজস্থান, জয়পুর, উট, হাতি এগুলোর ছবি টানিয়ে রেখে পশ্চিমা দেশের বহু ট্রাভেল এজেন্সী করে খাচ্ছে।
বাংলাদেশকে অনেক বেশি এফোর্ড দিতে হবে নিজেদের নাম আন্তর্জাতিক ট্যুরিষ্টদের খাতায় তুলতে। ভারতে কি আছে আমাদের কি আছে ওটা তখন তুলনা করবো যখন লিষ্টে আমাদের নাম ঢুকবে।
গৌতমের লেখার বিষয় নির্বাচন অসাধারণ।
ধন্যবাদ তানবীরা আপা।
সিঙ্গাপুরে দেখার কিছুই নেই। বোরিং কান্ট্রি। আর গোয়ায় পর্যটকদের আলাদা মূল্য আছে। অন্য জায়গায় ততটা না বলেই মনে হলো। দার্জিলিং আমি যাইনি। আবার পর্যটক হিসেবে গেলে মিশর কিন্তু তেমন সুবিধার না। কিন্তু দর্শনীয় স্থানগুলোর কারণে সবাই যাবেই যাবে।
বাংলাদেশ সম্বন্ধে সবাই জানেন। তবে পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন তো হয়েছেই।
পরিস্থিতির কী ও কতোটা পরিবর্তন হয়েছে জানাবেন। আমি কিন্তু তেমন কোনো পরিবর্তন দেখি না।
????????!!!!!!
কি দেখতে গেছিলেন? কেন বোর হলেন
তাই তো! কেন বোর হলেন!
..... বাংলাদেশে পর্যটন নামে কি কোন জিনিস আছে নাকি? সেন্টমার্টিনের মত সুন্দর একটি দ্বীপ ময়লা আবর্জনা আর অপরিকল্পিত স্হাপনায় ভরে যাচ্ছে......সবখানে একিই অবস্হা।
হ, সবখানে একই অবস্থা।
প্রিয় গৌতম'দাঃ
লেখাটা'র উদ্দেশ্য ঠিক বোঝা গেলোনা। পুরোটা পড়ার পরও কোন বক্তব্য পরিষ্কার হলোনা! বাংলাদেশের পর্যটনের সমস্যা কিংবা সমাধানের পথও পেলাম না, না পেলাম কোন তুলনামূলক চিত্র। মনে হলো ভারতকে হেয় করা এই লেখার মূল উদ্দেশ্য! ঠিক আপনার লেখার সাথে যায়না! স্যরি, কিছু মনে করবেন না।
মনে করার কিছু নাই। বক্তব্য পরিষ্কার না করতে পারার ব্যর্থতা আমার।
কাউকে হেয় করা এই লেখার উদ্দেশ্য না। একজন পর্যটকের ব্যক্তিগত অনুভূতি আর নিজেদের দেশের তুলনা- এর বাইরে এই লেখায় কিছু নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
;)in India,we find desert(thar),plateu(decan),forests(kaziraga,Karbet,Kanha,Gyer),very high mountain,sea beacahes,religoius places(Sridham Vrindaban,Dwaraka,Azmir sharif,largest mosque of world the zame mosque,tazmahal,ilands like andaman and lakhswadwip,the 2nd coldest place of world after siberia where people leave"ladakh",The highest rainfall area "mousinram" near cherapunji,the holy benaras many historical places like delhi,Agra,Buddha gaya,and many more.can you find so many things except india?we compare switzerland with himachal pradesh,arunachal,but we have uniqe kashmir which is non compareable,india is a holy country,india is a summerize verson of world.
আমি ইংরিজি জানি না, তাই কী বলতে চেয়েছেন বুঝি নি!
মন্তব্য করুন