ইউজার লগইন

আহসান হাবীব'এর ব্লগ

ছাইড়া না যায় পাছে

যেদিন আমি বুঝতে পারলাম
কইলচজার ভিতর কেউ আছে
তারে খাইতে দিলাম পড়তে দিলাম
ছাইড়া না যায় পাছে-- হায়রে
ছাইড়া না যায় পাছে।

কত স্বাদের খাবার খাওয়াই
যখন সে যা চায়
একটু এদিক ওদিক হলে
বড়ই কষ্ট পায়।
সোনা বড়ই কষ্ট পায়।
দেশ বিদেশে ঘুরলাম আমি-২
তার তুষ্টির আশে।
তব তাহার মন পাইলাম না
কি আর করার আছে-হায় হায়
কি আর করার আছে।

সুন্দর নারী সুন্দর বাড়ী
খুইজা দিলাম তারে
তবু তাহার মন ভরে না
শুধু খাই খাই করে – হায়রে
শুধু খাই খাই করে
আমার সকল কিছু শেষ করিলাম-২
তাহারি সকাশে।
তবু তাহার মন পাইলাম না
কি আর করার আছে-হায় হায়
কি আর করার আছে।
৮/০৮/২০১৩ খ্রীঃ
উত্তরা, ঢাকা

কে এল মোর ঘরে

কে এল মোর ঘরে

কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে ঘুম ঘোরে।

ক্ষতি কি ছিল খানিক হলে দেরী
এলেই যখন নিয়ে ভাল লাগার হাতে খড়ি
ক্ষতি কি ছিল খানিক হলে দেরী
ডাগর ডাগর নয়নে রেখে নয়ন
কি ইশারা করেছ বুঝিনি তখন
পিছন ফিরে যখন গেলে চলে
হেরিনু দীঘল কালো কেশ রেখেছ ছেড়ে।
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে, ঘুম ঘোরে।

তপ্ত নিঃশ্বাস দিলে এলোমেল চুলে
না না ঝড় তুলে নি হেথা
ঝড় তুলেছে বুকে।
বারান্দা ছোয়া নারকেল পল্লবও
মুগ্ধ হৃদয়ে বলল চুপিসারে।
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে।।
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে, ঘুম ঘোরে।

এই সে নিশি ভোর হবে কি
বল না সবাই বল।
নিশি কেটে গেলে হাড়িয়ে যাবে সে
কি হবে আমার ভাল লাগার মানষে,
হ্যাঁ হ্যাঁ টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে
কি হবে আমার ভাল লাগার মানষে,
হে নিশি
আমার সাথে থাক না জেগে
সে আসবে,
সে আসবে নিশ্চয়ই শ্বশরীরে।
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে, ঘুম ঘোরে।
০৭/০৮/২০১৩ খ্রীঃ

আমার আকাশ দেখা(তৃতীয় পর্ব)

চোখের বা মনের হেলোসেনেশন যাই হউক না কেন মিতা নুর আজ আর এ পৃথিবীতে নেই। এটাই সত্যি। এত সুন্দর এত মায়াময় পৃথিবীকে ছেড়ে, যার পৃথিবীটা আমার বা আপনার বা সাধারনের চেয়েও অনেক অনেক বেশী আলোকোজ্জল, বর্ণিল ও মায়াময় সে কেন এভাবে চলে যাবে?

বিষন্ন বাউন্ডুলের জন্মদিন

বাইরে ঝড় ঝড় বৃষ্টি,
সাথে হাওয়া মিষ্টিময়
তাপিত হৃদয়,
হল প্রাণময়
কি যে শান্তি বলিবার নয়।
মহিমান্বিত শবে কদরের রাত
এমন দিন জন্মদিন
কজনার হয়।

আরাফাত শান্তর পোস্টে জানলাম
আজ তোমার জন্মদিন, নামটিও জানলাম বর্ণ
তাও কিন্তু খোদা মিটেনি
মানুষের নাম শুধু বর্ণ তে সীমাবদ্ধ থাকে না
নামের রূপ রস গন্ধ বাড়াতে সবাই আরও কিছু টাইটেল লাগায়
আমাদের দেশের হুজুরদের নাম পড়তে তো মিনিট কয়েক লেগে যায়।
তোমারটাও হয়ত তাই হয়ত বা নাই
তাও যে টুকু জেনেছি তাই নিয়ে আপাতত খুশি।
আমরা বন্ধুতে সবাই উৎসাহ দেয়
তুমি যে একটু বেশীই দাও, কেন জানিনা।

বন্ধু আজ তোমার জন্ম দিন
কি দিব তোমায় উপহার
বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে হাত ভেজালাম
ভেজা হাতের তিলক ফোটা দিলেম
তোমার কপোলে,
হৃদয়ের অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে
সাজালাম সমীরণও সাজে
আর কি দিব বল।
অসীম দয়াময়ের কাছে
দোয়া করলাম
রোজা রেখে
থাক সুখে, খাও দুধে ভাতে
হও সুখী
থাক সুখী
দিনে এবং রাতে।

আমার আকাশ দেখা(দ্বিতীয় পর্ব)

গতকাল আমার আর আকাশ দেখা হল না। ঢাকা শহরে ইচ্ছা করলেই আকাশ দেখা যায় না। আকাশ দেখতে হলে রীতিমত প্লান প্রগ্রাম ও প্রস্তুতি নিয়ে আকাশ দেখতে হয়। সাধারণত কেউ আকাশের দিকে তাকায় না। ২৪ ঘণ্টায় দিন, ৭ দিনে সপ্তাহ, ৩০/৩১ দিনে মাস ৩৬৫ দিনে বছর। এত সময়ের মধ্যেও ঢাকা শহরের বিশ্বের দ্রুতগামী যুদ্ধ বিমানের চাইতেও দ্রুত গতিতে চলা, এবং ইউনিভার্সাল টেস্টিং মেশিনে রড টেস্ট করার ইলাস্টিসিটির শেষ বিন্দু ইল্ডিং পয়েন্ট সমান দুঃশ্চিন্তা নিয়ে চলা মানুষগুলোর একটু ফুসরত মেলে না আকাশের দিকে তাকানোর। আমার লেখাটা পোস্ট করার সাথে সাথে জানি অনেক প্রতিবাদ আসবে, উজবুকের মত আপনার মনে যা আসছে তাই লিখে যাচ্ছেন। হবে হয়তবা, কিন্তু আমার দেখা খুব কাছ থেকে দেখা যত বেশী অর্থ নৈতিক সমৃদ্ধশালী যাদেরকে আমরা খুব সুখী লোক হিসেবে কাছ বা দূর থেকে দেখি তাদেরকেই আমার বেশি সময়ের কাঙ্গাল বা অসুখী মানুষ মনে হয়।

আমার আকাশ দেখা(প্রথম পর্ব)

অনেক দিন বাদ আকাশের দিকে তাকালাম তাও আবার দক্ষিণ বারান্দায় দাড়িয়ে। সমান্তরাল নয় ১৫ ডিগ্রী থেকে ৯০ ডিগ্রী কোণে তাকালে আকাশটা দেখা যায়। না না ভূল হল ৯০ডিগ্রী পর্যন্ত তাকানো যাবে না,ছাদের ড্রপে বাঁধা আসবে। তাই সংশোধনটা করে নিলাম। নয়তো দুরবীন নিয়ে বসে থাকা মাস্টর ইকবাল নয়ত কানাডিয়ান পিঞ্জ লতিফুল কবির আবার ধরে বসবে। শালা চাপা মার। কি আর করব লতিফুল কবির, আমার বোনটা যে তোমাকে দিয়ে রেখেছি।

এ ,পি , ডি আফজাল মামু (প্রথম পর্ব)

কয়েকদিন থেকে আমার কি যে হয়েছে ঠিক বুঝতে পারছি না। কিছু না লেখতে পারার কষ্টটা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। অথচ আমার নতুন বাসার পরিবেশটা লেখালেখির জন্য চমৎকার। উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরে ৬ তলা বিল্ডিংয়ের চারপাশে খোলা। আমি থাকি ষষ্ঠ তলায়,আশ পাশে দুতলার উপর কোন বাসা নেই। তাই তিনটি বারান্দায় বসলে আবারিত সমীরণে সর্বদা অবগাহন করি। শুধু বারান্দা কেন, জানালা বা বারান্দার দরজা খুলে দিলে পুড়ো বাসায় হাওয়ার লুকোচুরী খেলা আমাকেও তাতিয়ে তোলে লুকোচুড়ি খেলতে। লুকোচুড়ি না খেললেও ইফতারের পর একপাশে ছেলে শুলে আরেক পাশে মেয়ে এসে শুবে, আর ওদের চুলে আংগুল চালিয়ে বিলি কাটলে ওরা নাকি এমন মজা পায় যা নাকি ওরা বলতে পারে না, তবে অনেক মজা পায় এটা বলে। ফাক তালে গিন্নি এসে ছেলে বা মেয়ের পাশে গুটিসুটি মেরে শুবে। মাঝে মাঝে ওই যে বললাম খোলা জানালা দরজার অবারিত সমীরণ নিদ্রাদেবীকে ডেকে নিয়ে এসে আমাদের অনিচ্ছায় নিদ্রাপুড়ীতে নিয়ে চলে যায়। ঘুম ভাঙ্গে যখন তখন রাত সাড়ে এগার কি বার। তখন কার আর খাবার ইচ্ছা হয়। তবে তারাবির নামাজ মিস হবার আফসোস হয়। শুধু এশা র নামাজ পড়ি। আর আল্লাহ্‌র কাছে মাফ চাই। আল্লাহ আমি তো

বসরাই খাটি

যদি ধমক নাই দিবে
তবে বস গিরি কি হয়।
যতই তুমি কাজ করনা
ধমক সদাই রয়।
বস ইজ অলওয়েজ রাইট
সেই কবে থেকে শুনি
তাদের মাঝেও অনেক বস আছে
যাদের গুরুর মত মানি।
বসদের শিক্ষা বসদের ধমকেই
আজ মোরা এত পরিপাটি
পাহাড় সমান হার্ডল পার হই
বসরা তাই খাটি।
তরুণ রক্ত তাই বসের ধমক কাটার মত গায়ে বিঁধে। দিনে সাতবার চাকড়ি ছাড়ে। কাজে অনেক পাকা তাই অভিমানটাও বেশী। সন্তান তুল্য কলিককে সান্তনা দিতেই এই লেখা।
সান্তনা

রঙ্গ রসের রঙ্গের বাড়ই অন্ধকারেই চাই।

অন্ধকারের এত রূপ কভু দেখি নাই
অন্ধকারো আলোময় তুমি কাছে তাই।
এত সুধা এত তৃষ্ণা আগে লাগে নাই।

বাতায়নের দক্ষিন হাওয়া শিহরিত মনে
কথার মালায় কাটিয়ে দিব নিশি জাগরণে
দু চারটি নিহারিকা তব খোপায় গেথে
অন্ধকারেই দেখব তোমায় নয়নও জুড়াই।।
এত সুধা এত তৃষ্ণা আগে লাগে নাই।
অন্ধকারো আলোময় তুমি কাছে তাই।

হাত বাড়িয়ে নিশি ধরব খেলব নিশির খেলা
খেলায় খেলায় সাঙ্গ হবে নিশি রাতের মেলা
কি দোষ হতো আজ নিশিটি শেষ যদি না হতো
রঙ্গ রসের রঙ্গের বাড়ই অন্ধকারেই চাই।
এত সুধা এত তৃষ্ণা আগে লাগে নাই।
অন্ধকারো আলোময় তুমি কাছে তাই।

হৈ হৈ..রৈ রৈ.কোথায় গেলি সব... আমায় ফেলে।।

হৈ হৈ..রৈ রৈ.কোথায় গেলি সব... আমায় ফেলে।।

বাহিরেতে উতাল পাতাল(২) হাওয়ায় সবই দোলে
ডার্লিং আমায় ফোন করেছে
ভাল বাসবে বলে।
সে যে ভালবাসবে বলে।

কোথায় যাব কি করিব (২) কি যে জবাব দিব
সামনে গেলে শরমে বুঝি মরেই আমি যাব।
হায় হায় মরেই আমি যাব।
কোথায় গেলি সখি তোরা
কোথায় গেলি সখি তোরা
যাস না আমায় ফেলে।
ডার্লিং আমায় ফোন করেছে
ভাল বাসবে বলে।
সে যে ভালবাসবে বলে।

সমুদ্রেতে ভাটা ছিল জোয়ার এসেছে
মাঝি মাল্লা মনের সুখে গান ধরেছে।
হায় হায় গান ধরেছে,
সেই জোয়ারে আমায় বুঝি কাবু করেছে
বুকের ভিতর ঠান্ডা গরম জ্বর এসেছে
হায় হায় জ্বর এসেছে।
কোথায় গেলি সখি তোরা
কোথায় গেলি সখি তোরা
যাস না আমায় ফেলে।
ডার্লিং আমায় ফোন করেছে
ভাল বাসবে বলে।
সে যে ভালবাসবে বলে।
২৬/০৭/২০১৩ খ্রীঃ
উত্তরা
বাংলাদেশ

কামাল ভাইয়ের ইফতার পার্টি এবং আরাফাত শান্তর মন কষ্ট

REOSA এর ইফতার পার্টিতে যোগদান করেছিলাম ২০ জুলাই ২০১৩ তারিখে পাবলিক হেলথ অডিটরিয়ামে। পাবলিক হেলথ অডিটোরিয়াম থেকে উত্তরায় ফেরার পথের ট্রাফিক জ্যামের কথা মনে করে সিদ্ধান্ত নিলাম না আর এতদুরে কোন ইফতার পার্টিতে আসা যাবে না। তারই প্রতিফলন ঘটলো ২৪ তারিখের আই ই বির (IEB) ইফতার পার্টিতে যোগদান না করা। সত্যি কথা হল IEB তে যেতে আসতে যে সময় লাগে সে সময়ে আমি দিনাজপুর চলে যেতে পারি। এ নিয়ে আমার দেশী ও RUET এর বন্ধু প্রিন্সের সাথে কয়েক দিন আগে অনেক হাসা হাসি হল। ওর মেয়ের দল জাতীয় স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম হল অথচ তাকে ইউস করতে যাওয়া হল না। কারন একটাই ওর বাসা আজিমপুর আর আমার উত্তরা। কি আর করা ফোনেই ইউস করলাম। অথচ এমন একটা সময় ছিল RUET ছুটি থাকলে একদিনও আমাদের দেখা হয়নি মনে করতে পারি না। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটা ইফতার পার্টিতে যোগদান করা হয়নি শুধু জ্যামের কষ্টের জন্য।

মারুফ প্রতীক ভাইয়ার দুই টাকা

মারফ ভাইয়া আপনার দুই টাকা গল্পটা আমাকে এত বেশী নাড়া দিয়েছে যে আমি বাধ্য হলাম কিছু লিখতে। আপনি আপনার অসাধারন লেখার স্টাইলে যেভাবে একটি অসহায় ক্ষুধার্থ কিশোরকে দু টাকার একটি ছেড়া নোট প্রদান করার চিত্র তুলে ধরেছেন। তা আমাদের সমাজের তথাকথিত কিছু বিত্তবানের বাস্তব চরিত্রের বাস্তবতাই ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি নিজেই লেখেছেন এটা বাস্তব গল্প।
প্রথমে টাকা দুটি পেয়ে ছেলেটি যে ভাবে আকাশ ছোয়া আনন্দে আত্ন হারা হয়েছিল। সে রকম আকাশ ছোয়া আনন্দ হঠকারী দান কারিটিও হতে পারত, মহান রাব্বুল আলামিনের দানের বদৌলতে। কোরআন হাদীসের বহু হায়গায় দানের ফজিলতের কথা বলা আছে।যা আমরা মুসলিম মাত্র সবাই জা্নি। তাই ওই দিকে আমি যাব না।
দান করা একজন মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্য করনীয় যাহা আমরা জাকাত হিসেব জানি। তবে যাকাত প্রদান কারার কিছু সর্ত আছে। অসহায় দরিদ্রকে সাহায়্য করার ব্যপারে কোন সর্ত নেই। যে কেউ তা করতে পারে।

ডোম(শেষ পর্ব) সংগৃহীত ও কাল্পনিক

আমরা নিজেরা একটু ভালভাবে যদি ভেবে দেখি যে এ ঘটনাটাই যদি আমার সাথে ঘটতো তবে আমাদের কী অবস্থা হতো। হুজুরের বাড়ীতে এসে হুজুরের সাথে দেখা করার সাথে সাথে হুজুর বললেন কিরে অনেক ভয় পেয়েছিস, না ভয়ের কিছু নাই। তোর কিছু হবে না। এবার তার বিস্ময় আকাশে ঠেকল। হুজুর কি করে এসব জানল। তার হঠাত মনে পড়ল বুজুর্গ ব্যক্তিরা আগে থেকেই সব জেনে যায় কার কাছে শুনে ছিল মনে নেই তবে এমন শুনেছিল।
সে হুজুরকে বলল, এখন আমার কি করা উচিত। তোর কিছু করতে হবে না। নে এ পানি পড়াটা নিয়ে যা ছেলেটিকে তুই খাওয়াবি। চাইলে তুই নিজেও খেতে পারিস। পানি পড়া নিয়ে ছেলেটিকে নিজে খাইয়ে দিল এবং নিজেও কিছু খেল।

সব শেষ করেছ তুমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে

এক ফোটা পানিও কি রেখেছ চোখে
আবার কাঁদবো কি তবে হৃদয় জ্বালায়ে
হৃদয় সে তো মরুভূমি হয়েছে কবে
সব শেষ করেছ তুমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে।।

দ্বিচক্র যান খানি পংখীরাজের মত
শহরের এ প্রান্থ থেকে ও প্রান্তে যেত।
লতার মত জড়িয়ে পথের দিশা দিতে যখন
মহাবীর মহনায়ক ছিলাম তখন।
সেই সে আমি আজ কোথায় গেলাম হারিয়ে।
সব শেষ করেছ তুমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে।।

হঠাত তুমি কোথায় গেলে হারিয়ে
দিন ক্ষন মাস গেল পথ চেয়ে চেয়ে
মোবাইলের রিং সহসা বাজিত যখন
উচাটন হৃদয় নাচিত ময়ূরী নাচন
ভুল যখন ভাঙ্গল, সে তো তুমি নয়।
মহাকাশ সম শুন্যতা এল হৃদয় জড়িয়ে
সব শেষ করেছ তুমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে।।
২৭/০৭/২০১৩ খ্রীঃ
বনানী

যে ঝড় তুলেছ তুমি

যে ঝড় তুলেছ তুমি হৃদয়ও কাননে
তুমি চাইলে চলে এসো
কোন এক ফাগুনে।
তুমি চাইলে চলে এসো..।।।
ফাগুনের আগুন ঝড়া ফুলও বনে
সাজাব তোমায় আমি যতনে যতনে
বঁইচি না কথার মালা পড়াবে গলে
ঝড়নার জল জল ছল ছল দুল পড়াব কানে।
তুমি চাইলে চলে এসো...।।
বন্ধু তুমি আমার বন্ধু হলে
খোপায় জড়াব তোমায় ফুলে ফুলে
প্রভুর নামের মালায় সাজাব তোমায় নিরজনে,নিরজনে।
তুমি চাইলে চলে এসো...।
বন্ধু কাঁদে শুধু বন্ধুর তরে
যতদিন আকাশে চাঁদ তারা নিহারিকা রবে
তুমি কি সেজেছ কভু সমীরনও সাজে
কিযে সুখ তাতে জানাব তোমায় নিরজনে নিরজনে।
তুমি চাইলে চলে এসো...।

তব বিহনে এ দিল মরু সম,
চাতক পখির মত চেয়ে থাকি তব পথ পানে
এ তৃষ্ণা কি কভু মিটিবে প্রিয় তব বিহনে,এ ত্রিভূবনে।
তুমি চাইলে চলে এস.।।।
২৩/০৭/২০১৩ খ্রীঃ
বনানী।