ব্যাক্তিগত আলাপ কিংবা প্যাচাল
হাতে অনেক সময় ছুটির দিন।কাল অফিস নাই।তাই ভাবলাম পোস্ট টোস্ট পত্রিকায় লেইখা ফাটায় ফেলাই কিন্তু লেখতে গেলেই মনে হয় কি দরকার লেখা এরচেয়ে ফেসবুকেই থাক বইসা বইসা লোকজনের কান্ডকীর্তি দেখ!আগে কোন কালেই ফেসবুকরে ভালো পাইতাম না।এখন ফেসবুকই ভালো লাগে আর সব কিছুরেই মনে হয় পানসে পানসে।আর চটপট ফেসবুক দেখে ঝটপট কিছু লাইক কমেন্ট মেরে আর কিছু ভাবের স্ট্যাটাস মারলেই দেখি লোকজন অনেক ভালো পায়।এতো সামান্যতেই যখন ভালো পায় তখন সমস্যা কি আমার ভালো লোক হয়ে না থাকার!~
কাজের কথায় আসি।আজ ছুটির দিন ছিলো দিনটা গেল নিজের মতোই নিজের মতন করে আনন্দে।আগে হই হুল্লোর আড্ডা খুব পছন্দ করতাম এখন আরামের সময় গুলো চাই নিজের মতো করে পার করতে ।কারন সারা জীবন বন্ধু বান্ধব করেই দিন পার করছি এতদিন পরে এসে দেখি কেউ কারো নয় খালি চট্টগ্রামের ৬-৭ জন বন্ধু ছাড়া এখন সবাই দেখি সময়ের সাথী ছিলো সময় শেষেই দেখি কেউ সামান্য খোজ খবরও নেয় না ফোন দিলে বলে
আর বলিস না দোস্ত পুরাই ব্যাস্ত!দোড়ের উপরে চলে দিন
আমি: বলি আমি কি ফ্রি নাকি?
না না আমি কি সে কথা বলছি!তো কেমন আছোস?
আমি:আছি কোন রকম
তোর কোনরকম আর কত কাল শুনবো
আমি:বিরক্ত হলে ফোন কাট কিছুই শুনতে হবেনা!
আর অনেকে ফোন দিয়া খালি একটাই কথা আচ্ছা অমুকের খবর কিরে?
আমি:আমি কি জানি
কেন তোর না ভালো বন্ধু?
আমি:তোর কি শত্রু নাকি?
না তা না
আচ্ছা ভালো থাক!
ওকে ভাল থাক তুই ও....
এইভাবে আস্তে আস্তে দেখলাম কেউই কারো খোজ নেয় না।আমি খালি গাধার মতো ফোন করে খোজ নেই মাইনষের।খুটিয়ে খুটিয়ে জানতে চাই মানুষের সমন্ধে।তাই গত ১০ দিন ধরে কাউরেই ফোন দেই না!দেখলাম কেউ ফোন তো দুরে থাক মিসডকলও দেয় না
শেয়ারের এই দরপতনের আমলে শান্তরও দরপতন হইছে!ওকে ব্যাপার না।মুদি মালেরই উঠা নামা হয় শান্ত তো মানুষ:)
তাহলে সময় এখন যায় কিভাবে?শান্তর টাইম কাটাইতে ব্যাপার নাকি?সারাদিন ব্যান্কে ইন্টার্নশিপের খাটাখাটনি করে কখনো বা দেলোয়ারের চায়ের দোকান কখনো বা আবাহনী মাঠে ফিরোজের দোকান আর বন্ধের দিনে মোহাম্মদপুর বেড়ীবাধ পার হয়ে ওয়ান এন্ড ওয়ানলি করমালীর দোকান এই ভাবেই সময় যে চলে যায় টেরই পাই না।দেলোয়ারের দোকানে বেশি বসি কারন এই দোকানের সাথে আমার চার বছরের স্মৃতি।আগে মালিক ছিলো এই দোকানের তার সাথে কত যে সময় পার হইছে তা বলার না।ভার্সিটি না যায়া কতদিন যে বসে থাকা সেইখানে তা কেবল আমি আর করম আলী জানি।করম আলীকে নিয়া লিখতে গেলে চোখে পানি আসবে আর অনেক কথা লিখতে হবে তাই বাদ।কারন করম আলীর দোকান এখন মোটামুটি দুরে আমার বাসা থেকে তাই যাওয়া হয় কম।মাসে দুইতিনবার যাই আসতে ইচ্ছা করেনা।জীবনে অনেক চায়ের দোকানীর সাথে ভালো সম্পর্ক হইছে আমার কিন্তু করম আলীর মতন হবে না।প্রতিটা চায়ের চুমুকে করম আলীর কথা মনে হয়।তার কথা আরেকদিন বলবো বিস্তারিত আকারে!দেলোয়ারের কথা বলি সন্দেহ ছিলো তার দোকানে বসবো নাকি কারন করম আলীর দোকানটারই নতুন মালিক সে।কিন্তু সম্পর্ক হতে দেরী লাগলো না।কারন তিনি একজন নিপাট ভদ্রলোক।এককালে রাজধানী,তরংগ,১২ নম্বর বাস চালানে ওয়ালা লোক।কোন সমস্যা কোথাও যাইতে জাস্ট দেলোয়াররে ফোন তিনি ভাড়া সহ সব ডিটেইলস বলে দিবে নিমিষে।৬৪টা জেলাই তার ঘুরা ভালো ভাবেই।তার এই বাংলাদেশের আলাপ আমার খুব ভালো লাগে।চা খাওয়া বাদেও এক সাথে আমি আর উনি হাটতেছি আর কথা চলতেছে।একদিন দোকানে না গেলেই ফোন মামা আসেন না কেন?ব্যাস্ত নাকি?
আমি তো অবাক যে লোকের সাথে আমার পরিচয় দুই তিন মাসের সে লোক এতো খোজ নেয়।ভালোই সময় কাটে তার দোকানে।শুধু দুধ চা না রং চা,তুলসী চা,গ্রীন টি,অরেন্জ টি,জিন্জার টি সবই পাওয়া যায়।মোহাম্মদপুরেরে মত জায়গায় তার দোকানটা ব্যাপক স্মার্ট।আর আবাহনী মাঠের ফিরোজ সে তো পুরা পাংখা লোক।এমন কথা জানে টাশকি খাইতে হয়।এ্যানী তাপসরাও আসে তার কাছে চা খাইতে।চা দোকানদার হলেও তার স্বপ্ন বিশাল যে ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ায় বিদেশে পাঠাবে পড়াতে আগামী ২০১৭ সালে!তার বাবা খুব অসুস্ত্থ মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা লাগে চিকিৎসাবাবদ।সে হাল ছাড়তে নারাজ প্রতি মাসে নানা লোকের কাছ থেকে দেন দরবার করে টাকা জোগার করে শুধু এই জন্য।আমিও চেষ্টা করি কিছু সাহায্য করার এই কারনে সে আমারে খুব ভালো পায়।এই তো আবাহনী মাঠে আড্ডায় থাকি চিটাগাংয়ের বন্ধুদের সাথে আর মোহাম্মদপুরে একা একাই।চা খেতে কত লোকরে যে আমি চিনি।মোহাম্মদপুরে আমার পরিচিত মানুষের অভাব নাই।কন্ট্রাক্টর থেকে রিকশা ওয়ালা ইলেকট্টিক মিস্ত্রি থেকে জমির দালাল সবাই আমার আপন।সমবয়সী একটা বন্ধু আছে নাম পুলক।সে আমারে না দেখলেই কয় শান্ত ভাই কই আপনে?অফিসে আসবেন না?আমি কই আপনে আমার নামে চা খাইতে থাকেন আমি ১৫ মিনিটের ভেতর আসতেছি।বলাবাহুল্য পিসিকালচার ৬ থেকে হাউজিং সোসাইটি ৮ এ যাইতে লাগে ১৪ মিনিট!
ইসলামপুরেও এক চাচা মিয়া পায়া গেছি আমারে দেইখা ব্যাপক খুশি খালি কয় আপনার মতো খানদানী কাস্টমার পাইলে ঢাকায় জমি কিনতে পারতাম।আমি জিগেষ করি কেন?বলে আট ঘন্টার অফিসে ৫ বার খান চা এরকম কয়জন আছে?আমি মনে মনে বলি ব্যাটা ভালো কথা কইলি নাকি ইনসাল্ট করলি:) যাই হোক কইছে কইছেই কি আর করা!
এখন আর আগের মতো চা খাওয়া হয় না ৮-৯কাপ চা খাওয়া হয় সর্বোচ্চ।আগে ছিলো দিন যে দিনে ১৪-৪৫ কাপ চা না খাইলে পেটের ভাত হজম হইতো না!এখন আর সে দিন নাই দিন বদলাইছেনা!
লেখতে চাইছিলাম একজিনিষ লেখলাম আরেক আজাইরা আলাপ।যা লেখতে চাইছিলাম তা জমা থাকলো সামনের পো্ষ্টের জন্য।সামনের পোস্ট মানে যে কোন দিনের সামনে তা আল্লাহই মালুম:)
একটা গান শুনেন না শুনতে না পারলে বইলেন লিন্কে হালকা গন্ডগোল থাকতে পারে!গানটা প্রিয়ান্কা নামে এক বাংলাদেশী শিল্পীর।মিক্সড এলবাম প্রেমান্জলী থেকে।এ্যালবামটা পাওয়াই যায় না বাজারে আমি একতার মিউজিকের অফিস থিকা কিনা আনছি!
http://www.esnips.com/doc/4d6c8ea6-64e7-4011-b590-f3d7316b34cb/03-Track-3
এইটাইতো ব্লগ, সবকিছু তুলে দেয়া। দারুণ দারুণ এই স্টাইলটা আমার খুব ভালো লাগছে। আবাহনী মাঠের ওইখানে ফিরোজের দোকান কোনটা? চেনা হইলে একদিন গিয়া চা খাবো। সেদিন তোমাকে পেয়ে গেলে ভালোই হবে, পরের ব্লগে তুমি মজা কইরা লিখতে পারবা, ফিরোজের দোকানে গিয়া দেখি লীনা আপা, আমরা ব্লগ নিয়া আড্ডাইলাম, সুখ দু:খের গল্প কললাম আর চা খাইলাম
ধানমন্ডী ১২/এ দিয়া মাঠের গেটে ঢুকলেই ফিরোজের দোকান! দাওয়াত রইলো
আপনার কমেন্টটা দেইখাই মনে বড় ফুর্তি লাগছিলো সেই দিন!
আসলে নিজেরে বাদে আমার সবকিছুকেই দারুন লাগে তাই এতো দারুন দারুন করি....
আপনিও দারুন থাকুন
শুভকামনা
শান্ত কেমন আছ?আলাপচারিতা ভালো লাগছে। ছোটদের বেশী চা খাওয়া ভালো না।
থ্যান্কু আপু!
ছোট মানুষ বইলাই একটু বেশি খাই চা বড় হইলে কমায়া দিবো!
শান্তর দিনলিপি চলতে থাকুক..
চলতে থাকবে আশা করি!
ভালো থাকবেন ভাইয়া
শুভকামনা!
আমি মাঝে মাঝে একটা খেলা খেলি। কাউকে মেইল করি না, ফোন করি না। দেখি কে আমার খোঁজ নেয়। সে অনুযায়ী আমি মানুষকে পাস মার্ক দেই
আপনার তরীকাটা খুব ভালো আমিও মাঝে সাঝে এমন করি কিন্তু নিজেই আবার ভুল করে ফোন দেই কারন ভুলে থাকা কষ্টকর!আমার ভালো লাগার জন্য তাদের মনে করি!
বন্ধু বান্ধবের পিছে অনেক টাকা আর সময় নষ্ট করসি লাইফে।
-- এখন টাইম দেই না - টাকাও কম - তাই কেউ পিতলা খাতিরও করে না --
খুবই আনসোস্যাল হয়ে গেসি - ,এখন কেউ ফোন করলেও বিরক্ত লাগে ।
পরচর্চা আর পরনিন্দা ছাড়া আর কোন টপিক নাই -- আমিও মাঝে মাঝে ঐগুলোতে মেতে উঠি -- আবার মনে পরলে নিজেরে সতর্ক করি।
কথা বলার মানুষ খুব লিমিটেড হয়ে গেসে। বাচ্চার সাথে সময় কাটাই - আর ভার্চুয়াল লাইফে।
ভার্চুয়াল লাইফে কারো জন্য ওয়েট করতে হয় না -- কারো বিরক্তি দেখতে হয় না -- মজাই মজা।
আগে ভাবতাম খালি আমি মনে হয় মানুষরে ফোন দিয়ে বিরক্ত করসি একটাইমে - এখন আরেকজনরে পাওয়া গেলো।
শান্ত কেনো বন্ধুবাদী !
বন্ধুবাদী শব্দটা আপনার মারফত শিখা গেলো!
বেচে থাকতে আসলে একেক সময় মানুষের একেক রকম হতে হয় এইটাই সবচেয়ে বড় পরাজয় জীবনের..
আমি এখন এইসব নিয়া ভাবি না নিজের মতো নিজের আনন্দ খুজে পাই আর ভার্চুয়াল জগৎকে ভালোই পাই কিন্তু গ্রামীন ফোনের ২ জিবিতে আর কতই ভালো পাওয়া যায়
শান্তর লেখা ভাল লাগে
চট্টগ্রামে আসবে নাকি সহসা?
পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায়
থ্যান্কস আপু আপনার মতো লোকের প্রশংসা শুনতে বড়ই ভালো লাগে!
প্রতি দিন ঘুম থেকে উঠেই ভাবি যে আজকেই চলে যাই চিটাগাং কিন্তু আগে ভার্সিটি লাইফে যাওয়া হতো এই ভাবেই এখন ইন্টার্নিশীপে পুরাই ফাইসা গেছি!!
আমি আমার জীবনে সবচাইতে ঋণী হইলাম আমার বন্ধুগো কাছে.... যে কোন সময়... যে কোন বিপদে... যে কোন আনন্দে এরাই আমার পাশে ছিলো.... তাই আমার সব সময় আমার বন্ধুদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব। যে যাই বলুক... যাই মনে করুক ... আমি কেয়ার করি না....
শান্তরে মেলাদিন দেখি না ... মোহাম্মদপুরে একদিন চা আড্ডা হোক ... শান্তর স্পন্সরে
সামান্য চা ই তো!
একদিন সময় করে আসেন চায়ের সাথে টায়েরও দাওয়াত ভাইয়া.....
ভালো থাকেন ভাইয়া
শুভকামনা!
এই লেখাটা পড়ে পুরানো দিনের কথা মনে পড়লো।
পুরানা দিন বড়ই আজব জিনিষ সবারই তা ভালো লাগে!
গান হুনি না
আমিও ভাবতেছি শুনা যাইবোনা কেন?এত কস্ট কইরা আপলোড করলাম আবার আপলোড দিমু ইনশাল্লাহ!
ভাল্লাগলো এক জিনিস লিখতে গিয়ে আরেক জিনিস লেখা। সামনের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক।
চেষ্টা করুম!
আপনার লেখাও অফলাইনে পড়তেছি.... দারুন!
নেক্সট আড্ডা তাইলে ঠিক হইলো। শান্তর লেখা ভাল পাইলাম।
আপনার লেখা আমি যেইখানেই পড়ি সেইখানেই ভালো পাই!
ভালো থাকবেন ভাইয়া!
সময়ের সাথে সাথে সবাই দুরে সরে যায়, এটাই নিয়ম
বড় নির্মম ও নিস্ঠুর নিয়ম
গানটা শুনা মুশকিল
হ রে ভাই বড়ই আপসুসে আছি গানটা শুনাইতে পারলাম না বলে
চামে দিয়ে মনে পরল, তোমারে বহুতদিন ফোন করা হয় নাই!!!
আমি তুমারে সময় মতো ফোন দিমু!
টেনশন নিয়ো না:(
ভালো থাকো দোস্ত:)
আরাফাত ভাই লিঙ্ক টার সমস্যা আসে। লিখা পরে গানটা শুনার খুব ইচ্ছা হলো।
ভাই আপনার মেইল আইডিটা দেন পাঠায়া দিমুনি!
মন্তব্য করুন