ওরা বড় হবে,চড়বে গাড়ী / আর আমি কাটবো ঘাস!
আমাকে নিয়ে কোন সময়ই আমি উচ্চ ধারনা করি না।নিজেকে কোন সময়ই বড় কিছু এই জীবনে কখনোই মনে হয় নাই।এইটা কোন বিনয় বা লোক দেখানো ভদ্রতা না এইটা নিজের একান্ত বোধের জায়গা!সুতরাং লোকজন আমার অক্ষমতা নিয়ে কিছু ভৎসনা করবে এইটা মেনে নেওয়া ছাড়া আমার আর কোন গতি নাই।অন্যের জন্য কিছু করতে পারলে নিজের অনেক ভাল লাগে তাই করে দেই সাধ্যের ভেতরে থাকলে।এই যেমন কথা ছিলো আমার এক বন্ধুর ছোট ভাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে তার জন্য ফিরতি টিকেট কাটতে হবে ট্রেনের। আমিও অনুপ্রানিত হয়ে ছুটির শনিবারে কমলাপুরে যেয়ে টিকেট কাটলাম। এরপর কয় সে আসবে না মেজাজটা প্রচন্ড গরম হইলো সেই বন্ধু মাফটাফ চেয়ে তো অস্থির কি আর করা যাব.. গেলাম আবার টিকেট ফেরত দিতে ভাবলাম একটু ব্যাবসা করা যাক ফেরত না দিয়ে বেচে দিলাম এক চাচার কাছে ১৬৫ টাকার টিকেট বেচলাম ২০০ টাকায়।ভালৈ লাগলো ব্যাবসাটা করতে সেই আনন্দে কেটে আনলাম জামালপুর যাবার টিকেট।
তবে লম্বা লাইনে দাড়াতে যেয়ে পায়ের অবস্থা বারোটা।কি আর করা চলে গেলাম কমলাপুর শু্ক্রবার বিকালে ট্রেন ছাড়ার কথা ট্রেন ছাড়লো আড়াই ঘন্টা পর।জামালপুরে যখন নামলাম তখন রাত দুইটা।আমার আব্বাজান বড়ই করিৎকর্মা লোক তিনি এক রিকশা আমার নামে পাঠায়া দিছে সেই রিকশাওয়ালা সাড়ে ১০ টা থিকা আমার অপেক্ষায়। নিজেরে তখন মনে হইলো মন্ত্রী এমপির মতো ভি আইপি।বাড়ী স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দুরে। যেয়েই দেখি আমার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক খানাদানার আয়োজন।পেট উপচায়া সব খাইলাম।এইভাবে চারটা দিনই গেলো ব্যাপক খানাদানায় আর আম্মু আব্বুর সাথে আলাপ করতে করতে।কারেন্ট থাকেনা মোটেও মনের হাউস মিটায়া টিভি দেখতে পারলাম না বলে মনটা খারাপ হলো।বাড়ীতে গেলেই আমি ৬০টা চ্যানেল ভাজাভাজা করে দেখি।আমার জন্য আলাদা রিমোট কেনা ছিলো গতবারই সেইটারই ব্যাবহার করার খায়েশ ছিলো।কিন্তু আমার বাড়ীর পাশেই জামালপুর বিদুত্যের অফিস তাদেরকে কিছু গালিগালাজ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলাম না।কি আর করা সমস্ত আদর আপ্যয়নকে তুচ্ছ করে আমার চলে আসতেই হলো ঢাকা শহরে। জামালপুরে ট্রেনে চলার সময় প্রথম শ্রেনী আমার পছন্দ।কিন্তু জামালপুরের ট্রেনে ফাস্টক্লাস আর শোভন সব একই রকমের।সব সিটের সামনের দুইজন করে লোক এক্সট্রা টিকেটে ঝুলে থাকবে।তাই আসার সময় ইচ্ছা করেই শোভন সিটে টিকেট কাটছি।ট্রেনে উঠেই দেখি সিটটা বেহাত হয়ে গেছে বসে আছে এক ব্লেজার পড়া লোক।আমার আব্বাজানের ঝাড়ি খায়া বেচারা হতাশ হয়ে সিট ছেড়ে দিলো।দখলের পর বেচারা আমার সামনেই দাড়ানো।ট্রেন ছাড়ার পর আমি আর সেই লোক মিলেঝিলেই বসলাম।তার লগে সু:খ দু:খের আলাপ করলো।বেচারা খুশি হয়ে আমারে চা খাওয়াইলো আর যেই ফেরিওয়ালাই যায় জিগেষ করে ভাই এটা খাবেন।আমি হেসে জবাব দেই না রে ভাই।যাই হোক ভালো ভাবেই আসলাম বাসায় কেমন জানি সবকিছুই শান্তি শান্তি লাগতেছে।কাল থেকে আবারো অফিস আবারো বিরক্তিকর দিন যাপন।
এবার বলি শিরোনামটার কথা সবাই এখন জিগেস করে বিবিএ শেষ তো হইলো কি করবা সামনে?আমি আসলে কোনকালেই ক্যারিয়ারিস্ট ছিলাম না।কোনও দিন যে অনার্স শেষ করবো তাইই কোন দিন ভাবে নাই আমি কিংবা আমারে হাড়েহাড়ে চেনা আম্মু।সুতরাং ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কোন স্বপ্ন নাই।যত জায়গাতেই এই সব আলোচনা হয় আমি নতুন নতুন নানা কথা কই।কোথাও ব্যাংকে জব,কোথাও ব্যাবসা,কোথাও সাংবাদিকতা এই ভাবেই চলতেছিলো।এখন পড়ছি বিপদে এখন বলি খালি একটাই দেখি কি করতে পারি।অন্যদিকে ভাইয়া-আম্মুর প্রেশার। তবে কেউ যদি বলে তোমার স্বপ্নের জায়গা কি?আমি বলবো সাংবাদিকতা আর ছোটোখাটো ব্যাবসা।কিন্তু তা আর মনে হয় না এই জীবনে পুরন হবে!:মনে হয় আমার দ্বারা কিছছু হবে না!আলোচ্য শিরোনামটুকু মার্চে মুক্তি পাবে কলকাতার ছবি "চলো পাল্টাই" একটা গান থেকে নেয়া।গানটা শুনেই ভাল লাগছে।গানের মতই মনে হয় ঘাসকাটা ছাড়া আমার কোন যোগ্যতা নাই।
ছবির কনসেপ্টটা মনে হয় থ্রিইডিয়টসের কাছ থেকে নেয়া। গানটার কথা সুর ও পরিচালনা অটোগ্রাফ খ্যাত অনুপম রায়ের।গানটার কোন এমপিত্রি পেলাম না বলে ভিডিও লিন্কই দেয়া হলো।এ্যালবামটা এখনো বাজারে আসে নি।গানটা এককথায় দুর্দান্ত..
http://www.youtube.com/watch?v=Bim8P6Mtuyg
কলকাতার মেইনস্ট্রিম ছবি এখন অনেক আগায়ছে।আগে স্বপন সাহা বা অন্জন রায়রা বাংলাদেশের ছবির নিখুত কপি করেই চলতো।সামনে আমাদের কলকাতার ছবি কপি করার সময় মনে হয় আসছে।যদিও কলকাতার রিসেন্ট হিট ছবিগুলান দক্ষিনের নানা ছবি থেকে মারা তবুও সেগুলো ভালো মানের নকল।আসল একটা ছবির খবর দেই ছবির নাম "এগারো"।ছবি মুক্তি পাইছে। ১৯১২-১৩ সালে আইএফএ শিল্ড জিতছিলো মোহনবাগান ব্রিটিশ আর্মি দলকে হারিয়ে সেটা নিয়ে সিনেমা।গানটা কি অসাধারন.আমার ডিভিডি প্লেয়ার নাই তাই না দেখেই বলতেছি ছবিটা দারুন হবার কথা!
শান্ত ব্যাপক সুন্দর লেখে। সাংবাদিকতা পেশায় তোমার মুখেভাত হোক দোয়া করলাম। ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ঝামেলা, খালি ডেবিট আর ক্রেডিট, এ্যডভান্স আর ডিপোসিট, কালেকশন আর ডিফল্টার
এই চাকরী করে বুড়ারা, তুমি সাংবাদিকই হও ছোটভাই।
চাইলেই তো হওন যায় না!
দেখি কি করা যায় আপু।বড় ভাবনায় আছি
ভাল থাকবেন আপু
শুভকামনা
অনেক ভালো লাগলো শান্তর সুখ দুঃখের কথা ।নিয়মিত লিখো না কেন?
বৃহস্পতিবার বইমেলায় যেতেও পারি।মাসুম ভাই এর বই দেখতে, কিনতে। যাইয়ো। আড্ডাবো।
নিয়মিত লিখার কথা থাকে কিন্তু লিখতে পারি না কখনো নেট কখনো সময়ের অভাবে!
ওকে আসুমনি বৃহস্পতিবারে গত সপ্তাহের মতো লেটে না আগে ভাগেই
ভালো থাইকেন আপু!
হ। শান্ত মেলায় আইসো, বৃহস্পতিবার দল বাইন্ধা মাসুম ভাইর বই কিনুম, হাজার হাজার কিনতে হইবো, তোমার দোস্ত বন্ধুদের খবর দাও
আবাহনী মাঠের ওখানে ফিরোজের দোকানে চা হোক একদিন।
চা থেকে ইচ্ছা করছে। কিন্তু বানাবে কে?
আমি বাসায় চা বানানো বাদ দিছি
দোস্তরা আজকাল আমারই খোজ খবর নেয়না আর কিনবো বই।তবুও চেষ্টা করমু কাউরে পাওয়া যায় নি!
ফিরোজ সাহেবের দোকানে অবশ্যই চা হবে একদিন....
জীবনের এই সময়টা কেমন অন্যরকম তাই না? যত দেরীতে বড় হওয়া যায় ততই ভালো
একটু অন্যরকমই তো।তবে ছোটবেলায় ভাবতাম বড় হবো কবে?কবে পাবো সব স্বাধীনতা?এখন মনে হয় আর ছোট থাকা গেলো না!
এইটাই সবচেয়ে জীবনের বড় ট্র্যাজেডী
শান্ত'র তবু একটা জব আছে... আমার সেইটাও নাই..
আসলে কাজ-কর্ম কোনদিন-ই ভাল্লাগে নাই... খালি মনে হয় ঘুইরা ফিইরা আড্ডা দিয়া যদি দিন গুঝরান করা যাইত... কিংবা যদি পেশা হইত গল্প লিখা
কিংবা সিনেমা'র কাহিনী লিখা... কিংবা ছবি আকা
... আহ কি সুন্দর জীবন টা কাইটা যাইত 
জব নারে ভাই নামকাওয়াস্তে ইন্টার্নী!
আপনার মতো বাসার প্রেসার না থাকলে আমার জন্য দারুন হইতো..
আর আপনি তো পড়ায়তেছেনইই এই জায়গা লেগে থাকলেই সামনে কত কিছু করতে পারবেন!
আর সেরকম লেখার বা ছবি আকার জীবন আমগো নসীবে নাই:(
তুমি এতো কম লেখো কেন ভাই?!!
মনমতো জীবন হোক, শুভকামনা থাকলো।
নেটের সমস্যা ও ব্যাক্তিগত ব্যাস্ততার কারনেই কম লেখা হয়।
তবে চেস্টা করবো সামনে খুব নিয়মিত লেখার।
আপনাকেও শুভকামনা আপু
আজকে একজন আপনার কথা বলতেছিলো কথায় কথায়।
শান্ত'র এই লেখাটা বেশি ভালো লাগছে...
আর সবকিছুতে ঘুইরাফিরা গানের লিঙ্ক দেয়া চাই চাই কেন তোমার... তবে ভালো কিছু লিঙ্ক পাওয়া যায় তোমার পোষ্টগুলা থেকে
থ্যান্কস আপু।প্রতিটা লেখা শেষেই আপনার কমেন্টের আশায় থাকি।
গান দেই কারন দেয়ার মতো কিছু নাই আর....
ভাল থাকবেন আপু!
তুমি এতো কম লেখো কেন ভাই?!!
মনমতো জীবন হোক, শুভকামনা থাকলো।
লিখবো সামনে আপু।
আপনার মতো লিখতে পারলে তো অনেক লেখাই লেখা হতো!
আপনার লেখা অফলাইনে ভালোই পড়া হয়:)
শুভকামনা আপু...
থ্যান্কু ভাই!
প্রথম গানটার অডিও লিন্ক
http://bengali-mp3.com/download.php?file=bengali_movie_songs/Cholo%20Paltai%20(2011)/Class%20Room.mp3&pdir=bengali_movie_songs&page_main=0&page=0&size=2614&ar=2
সেকেন্ডটার লিন্ক
http://bengali-mp3.com/download.php?file=bengali_movie_songs/The%20Eleven%20(2010)/Amader%20Surya%20Merun%20(Mohun%20Bagan)%20-%20Avik,%20Arijit%20(bengali-mp3.com).mp3&pdir=bengali_movie_songs&page_main=2&page=0&size=4120&ar=2
মন্তব্য করুন