বারবার ফিরে আসা
সকাল সকালেই আসলাম চট্টগ্রাম কলেজ।বন্ধুরা বিসিএস পরীক্ষা দিবে তাই আমার তাদের সাথে ঘুরতে আসা।শত শত মানুষ বিসিএস এর জন্য আসছে এক সাথে এত মানুষ দেখে খুব মজা লাগলো।বন্ধুরা পরীক্ষার টেনশনে আছে সবাই হলে।আর আমি এক সাইবার ক্যাফেতে বসে সময় পার করতেছি।আজ প্রায় ১৭ দিন ধরে আমি চিটাগাং এ।আজ পর্যন্ত এত দিন আমি কোথাও থাকি নাই বেড়াতে এসে।বন্ধু আছে অনেক কিন্তু দুই জনের বাসাতেই থাকা হয়।এই দুই বাসাতেই আমি ঘরের ছেলের মতই।ইচ্ছে মত নিজের ঘরের মত করে থাকা।যদিও এতদিন অন্যের বাসায় থাকা ঠিক না তবুও পড়ে থাকি।কারন এই বন্ধুরা এই জায়গার চেয়ে শান্তিময় স্থান আমার কাছে আর নাই।বলে রাখি আমরা চট্রগ্রাম মেইন শহরে বড় হয় নি।অনর্গল ভাবে চিটাগাং এর ভাষাতেও কথা বলি না।বরং যেসব বন্ধু বলতো তাদেরকে ভেংগানোই ছিলো আমাদের কাজ।বাপের নেভীর চাকরীর উসিলাতেই চট্রগ্রামে থাকা।পতেংগায় নেভীর যে কলোনী সেখানেই পার হয়েছে আমার জীবনের ১১ বছর।চিটাগাং অনেকে নামই শুনে নাই এমন জায়গাতেই ছিলো আমার স্কুল কলেজ।চিটাগাং এর মেইন শহর এখনও আমার ভাল লাগে না।কেমন জানি চেনা জিনিষটাও অচেনা।আমার কাছে চট্টগ্রাম মানে নেভী হাসপাতাল গেইট,পতেংগা নেভাল সীবিচ,১৫ নম্বর এয়ারপোর্টের রাস্তা।স্টিলমিল কাঠগড়ের সেই চিরচেনা পথঘাট,চান মিয়ার বিরানী,ডিলাইট বা আফজল হোটেল কিংবা শফিক ভাইয়ের চায়ের দোকান।এইখানেই আমার ভাল লাগা।এখন সবাই শহর দিকেই থাকে কিন্তু ঘুরে ফিরে আমার ভালো লাগে এই সবই। এই খানেই আমার জীবনের সেরা সময় গুলো পার করা।আমি আসলেই চিটাগাং সব বন্ধুরা সন্ধ্যায় এসে পড়ে হাসপাতাল গেইট।চলে আড্ডা চলে চা পুরি খাওয়া।দারুন সব সময় পার হয়।এমনিতে বন্ধুরা কেউ কারো খোজ রাখে না তেমন আমি আসলেই সবাই আবার আগের মত এক হই।এই বন্ধুদের জন্যই আমার বারবার ফিরে আসা।এই শহরের কাছেই নিজেকে আত্মসমর্পন করা!
চিটাগাং ভাল পাই । ১০ বার গিয়েছি শহরটায় , লেখাটা পড়ে আবার যেতে ইচ্ছে হল
কম তো যান নাই ১০ বার!আমি গত সাড়ে চার বছরে ১৫-১৬ বারের মত গেছি
চট্টগ্রামে স্বাগতম! হেহে.....আরামে থাক।
আরামেই ছিলাম স্যার!
লেখাটা পড়ে চট্রগ্রাম চলে যেতে ইচ্ছে করছে। তবে জায়গার স্মৃতি থাকে মানুষকে ঘিরে। বন্ধুরা আজো ঘিরে আছে বলেই জায়গাটার প্রতি এতো আকর্ষন এখনো তোমার
হইতে পারে।তবে আমার এমনিতে একা একাও ভালো লাগে চট্টগ্রাম।একবার কাউকে খবর না দিয়ে একা একাই তিনদিন ছিলাম।নিজের মত ঘুরছি।কেউ টেরই পায় নাই।ভালই লাগছে!
দেবপাহাড় (নাম টা নিয়ে পুরো শিওর না) এ বড় মামার বাসা ছিল, আবছা মনে পড়ে, পাহাড়ের উপর বাড়ি, কি যে সুন্দর জায়গা!
তোমার বন্ধু বসতি দীর্ঘ হোক।
দো্যা কইরেন আপু!
আর আপনিও আনন্দে দিন পার করেন..
তুমি চট্টগ্রাম আইসা চুপচাপ থাকো কেন? মুক্ত আইছিল কিছুদিন আগে। জিইসিতে আড্ডাইলাম কিছুক্ষণ। জানলে তো তোমারেও কইতাম আসার জন্য!!!!
আপনাদের মত হাইভোল্টেজের লোকজনের থিকা একটু দুরে থাকি।আর জানতাম না যে আপনিও কর্মকমিশনের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতেছেন
কি আর করা সামনে দেখা হবে ইনশাল্লাহ!
তোমার চায়ের দোকানের আড্ডার লেখা মিসকরি
লাইফ সাক্স টুটুল ভাই
..... তবে পরিকল্পনা আছে.... ইনশাল্লাহ অল্প স্বল্প করে হলেও শুরু করবো! 
হ দোস্ত...শুরু কইরা দাও...
হুমম! সেলিব্রিটি ভাই আপাতত ভালই আছেন দ্যাখা যায়!
জ্বী স্যার ভালই আছি।আপনার মত অতো ব্যাস্ত না তবুও আছি ভালোই!
আপনিও ভাল থাকেন,সুখে থাকেন।লেখাটেখা বাদ দিয়েন না।আপনার লেখা আমাকে হুমায়ন আহমেদের মতই মুগ্ধ করে...
চিটাগাং যাইতে মঞ্চায়। কিন্তু পর পর দুই বার মাসুম ভাই চিটাগাং ঘুইরা যাওনের পর হের ঝিমানী রোগ দেইখা আর সাহস পাইতাছিনা !

চিটাগাং ট্যুরের পর মাসুম ভাই কিরাম জানি হৈয়া গেছে
বার আউলিয়া পীর ফকিরদের এলাকা তো কখন কি হয় বলা মুশকিল!~
আসলে সাবধানে নিজ দ্বায়িত্বে আইসেন
চট্টগ্রামে স্বাগতম
থ্যান্কু।তবে ঢাকায় আসার পরেই ধন্যবাদটা জানাইতে পারলাম।কি আর করা!
কাঠগড়? আপনি কি বিএন স্কুলের? কোন ব্যাচ?
জ্বী ভাই বি এন স্কুলের ০৩ তে!
আপনি ও কি একি এলাকার?
আসল খবর বললা না কেন? গোপন সূত্রে জানা গেছে যে, বিসিএস পরীক্ষার নকল সাপ্লাইয়ের জন্যে হায়ার করে নেয়া হইছিল তোমারে!!
আর কতোদিন বেড়ানো প্ল্যান?
খেকজ...... শান্ত দেখি প্রফেশনাল নকল সাপ্লাইয়ার!!!!!

সফল হইলাম নারে আফা।মাসলুল ভাইয়ের সাথে তো দেখাই হইলো না!
২০ দিন জামালপুরে ছিলাম
২০ দিন চট্টগ্রামে ছিলাম
আপাতত কোথাও যাবার প্লান নাই।অনেক দিন পার করলাম ঘুরে ফিরে!
চট্টগ্রাম আমার খুব প্রিয় শহর। অনেকদিন ছিলাম ওখানে, চাকরির প্রয়োজনে। বন্ধু ছিলো না বলে পাহাড় আর সমুদ্রই বন্ধু হয়ে উঠেছিল। কতোদিন যাওয়া হয় না!
[আপনার লেখায় যতিচিহ্নের (কমা, দাড়ি ইত্যাদি) পর একটা করে স্পেস দিলে লেখাটা পড়তে আরো ভালো লাগবে পাঠকের।]
আহারে
চাকরীর জন্য যখন ছিলেন তখন কেমন লাগতো?
আসলে খুব তাড়াহুড়া করে লিখা তাই খেয়াল করি নাই!
ভাল থাকবেন ভাইয়া।শুভকামনা...
মন্তব্য করুন