যতটুকু মুখ ততটুকু কথা!
গত দুই পোষ্ট যাবত পোষ্টে আসা মন্তব্যের কোনো জবাব দিতেছি না।এইটা এমন না যে আমার হাতে সময় নাই বা সুশীল হবার কোনো চেষ্টায় আছি।আসলে জবাব দেবার কোন দরকার আছে কিনা?কিংবা দিলে কি বলবো তাই ভেবে পাই না।তবে এত কিছু ভাবি না।এইখানে যারা আমারে ভালও পায় তারাই ভালোবেসে কমেন্ট করে তাই বলার কিছু নাই।তাদের জন্যই মশার কামড় খেয়ে কারেন্ট যাবার চিন্তা মাথায় নিয়ে আমার এইসব ছাইপাস লেখার চেষ্টা!
ছোটবেলায় খালি প্যাটপ্যাট করতাম তখন আম্মু খালি বলতো যে ছোট মুখে এত বড় বড় কথা বলোছ কেন?যেমন পাচ বছর বয়সেই আমি বাসায় কোনো আন্টি আসলেই বলতাম 'আন্টি আপনার হাজবেন্ড কই?উনি কত বেতন পান?"এই কিসিমের বেয়াদবীতে আমার আম্মু বড়ই অতিষ্ট ছিলো।তখন উনার মনে শংকা ছিলো শান্ত নামকরনের সার্থকতা কতটুকু রাখবো?কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এখন কথা বার্তা এতোই কম বলি যে মাঝে মাঝে আম্মুই অবাক হয় এইটা কোন শান্ত?তবে কথা বলি প্রচুর সেটা নিকট বন্ধুদের সাথেই।যারা দিনের পর দিনের যাবত আমার এই বাচাল স্বভাবকে খুব ভালো ভাবে মেনে নিতে পারছে।আমি আড্ডায় চুপ থাকলেই বন্ধুরা বলা শুরু করে "শান্ত সাহেবের কি আজকে মুড অফ?"
কথা বলতে পছন্দ করি কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারি না।এইটা নিয়ে মন খারাপ মাঝে সাঝেই হয়।জন্মগত ভাবেই একটু তোতলামী নিয়েই আমার কথা বলা শুরু।সেই সমস্যা কেটে গেলেও এখনো আমার কথা বলার সময় মাঝখানে "ইয়া" আর "কী বলে" শব্দদুটা বারবার বলতে হয়।শব্দদুটা না বলেও হয়তো কথা বলতে পারি কিন্তু তাতে আরাম পাই না।আমার এই কিসিমের কথা শুনতে শুনতে লোকজনো কথার মাঝখানে ইয়া আর কী বলে ঢুকানো শুরু করে।আগে এই সব নিয়া অনেক ভাবতাম এখন ভাবি না বরং ইঞ্জয় করি।এইভাবেই কথা বলতেই ভালোবাসি।
তবে আমার এই অল্প তোতলামী নিয়ে বন্ধুরা কোনসময়ই মশকারি করে নাই এই জন্য আমি তাদের কাছে চিরকাল ধন্য।কারন কোন সময়ই ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগতো না।শুধু মাত্র এই সামান্য কারনের জন্য কত ধরনের হোমিওপ্যাথির ডোস খাইছি এই জীবনে তার হিসাব নাই।কিন্তু ফলাফল শুন্য।যাই হোক কিছুটা গ্লানিবোধ নিয়েই দিনগুলো চলে গেছে।তবে এতে লাভ হইছে আমার।জীবন যাপন, মানুষকে চেনা, নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা এই সবের ভিতরে অন্য সবার চেয়ে যে আমি আলাদা তা ভাবতে খুব সুবিধা হইছে।
তবে সব কিছু তো ভালো আর যায় না। আমাদের এক ধর্ম টিচার ছিলো সেলিম স্যার।জানি না আমার সামান্য সমস্যাকে নিয়েই কথা বলতে তিনি পছন্দ করতেন।পুরা ক্লাস এইট তিনি আমাকে "বোবাইইয়া" বলে ডাকতেন আর শুধু আমাকেই পড়া ধরতেন।মেজাজ এমন খারাপ হতো যেনো স্যারের দাড়িসহ কন্ঠনালীটা ছিড়ে ফেলতে পারতাম তবে শান্তি পাওয়া যেতো।ভাগ্য ভালো ক্লাস নাইনেই তিনি বিদায় নিছেন।ক্লাস এইটের ধর্ম ক্লাস গুলো কাটছে বিভীষিকাময়।তখন যেইদিন ক্লাস থাকতো মনে হতো সব কিছু ছেড়েছুড়ে পালাই।পালানো হতো না কারন স্কুলের একেবারের ১০০ গজের মধ্যেই আমার বাসা!পালিয়ে যাবো কই?প্রতিটা দিন আমি স্যারের মরন কামনা করতাম।আল্লাহপাক আমার এই উজবুক মার্কা দোয়া কোনভাবেই কবুল করে নাই!
যাই হোক কথায় কথা বাড়ে।তাই যেহেতু নাম শান্ত তাই নিজের নামের মর্যাদা রেখে এখানেই শান্ত হই।সবাই আনন্দে থাকুন!
কি কও, তোমার কথা বলার স্টাইল তো আমার কাছে চরম লাগছে। একটা ইনসেন্স আছে, আমার ছোটভাইয়ের মতই তোমার কথা বলার স্টাইল।
আর বন্ধু তারাই যারা আমাদের আপাত দোষগুলোকে দেখে না, আমাদের ভিতরের মানুষটাকেই দেখে।
আর ঐসব শিক্ষকগুলার জন্য করুনা ছাড়া আর কিছুই নাই। এরা তাদের জীবনের সব ধরনের ফ্রাস্টেশান, ব্যর্থতা, পারিবারিক কেলেংকারী, বউয়ের কাছে অসম্মান, সবই একাধারে ছাত্রদের উপর ঢেলে দেয়।
এখনতো বড় হয়ছো।যত ইচ্ছা তত কথা কইবা।মানে পোস্ট বেশী বেশী দিবা।
এই টাইপের স্যারগুলা অনেক যন্ত্রনাদায়ক হয়! কেম্নে যে এরা শিক্ষক হয়! .।.।
তোমার কথার স্টাইলে পাকনাবুড়া লাগে, পিচ্চি শান্ত লাগে নাহ!
নিজের মন মতো লিখছো পোষ্ট এম্নিতেই পড়তে ভালো লাগার কথা
এখনতো বড় হয়ছো।যত ইচ্ছা তত কথা কইবা।মানে পোস্ট বেশী বেশী দিবা।
শান্ত সাহেবের মুখের কথা পড়তে মজাই লাগলো।
ধর্ম টিচাররে সম্ভব হইলে এবি তে নিয়া আসেন।
শান্ত কেন অস্থির...
এবির পিকনিকে তো আপনি শান্ত-সুবোধ হয়েই ছিলেন সারাটা সময়!
*
কমেন্টের ব্যাপারে আমারো একই অবস্থা! প্রবল আগ্রহ নিয়ে পোস্ট দিই, কিন্তু কাজের চাপ এবং অন্যান্য কারণে অনেক সময় রিপ্লাইই দেয়া হয় না। তাছাড়া অনেক পোস্ট পড়ে রিপ্লাই দেবার কথা ভাবলেও পরে আর কেন যেন দেয়া হয়ে উঠে না। আইলসা হয়ে যাচ্ছি।
আমার স্কুলের ধর্ম স্যার সবসময় আমারে বলতো, তুমি তো খারাপ হয়ে যাচ্ছো, একদম নষ্ট হয়ে যাচ্ছো। একদম নষ্ট।
ঐটা নিয়ে পরে আমরা বন্ধু-বান্ধবরা মিমিক্রি ও হাসাহাসি করতাম। সেই স্যারটা এখন নিশ্চই কোথাও কোনোভাবে আছে। তার জন্য শুভকামনা। যদিও বাল্যকালে তিনি আমার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর প্রকল্প নিয়েছিলেন। আমি কখনোই শিক্ষকদের এ ধরনের আচরণ/ব্যবহারগুলো সাপোর্ট করি না, যেগুলো তারা আপনার বা আমার সঙ্গে করতেন। তবে গ্রাম-মফস্বলের শিক্ষকেরা এখনো এ ধরনের কাজ অহরহ করে যাচ্ছেন। বিষয়গুলো যে ঐ ছাত্রটি জীবনে কখনোই ভুলবে না- এ কথাটা বোধহয় তারা জানেন না।
শান্ত কেন অশান্ত মুফিটা দেখন দরকার।!
মন্তব্য করুন