বন্ধুদের বিবাহের খায়েশ পূরন সমিতি!
শরীরটা ভালো না।কেমন জানি বমি বমি লাগতেছে তাই আড্ডা ফেলে বাসায় এসে পড়লাম।এসে দেখি শরীর কোনো খারাপই না।বাসায় বসে কী করবো ভাবছিলাম এমন সময় ভাবলাম এবিতে একখান পোষ্ট মাইরা দেই।কিন্তু কি নিয়ে লিখবো তা ভেবে পাইতেছিলাম না তখনি হঠাত ২০০৯ সালের কথা মনে পড়লো।ভাবলাম লিখেই ফেলি আজাইরা এক কাজ কর্মের ফিরিস্তি।
সামু ব্লগে এখন যাই না একেবারেই।লোকজন পড়ে মাঝে সাঝে আমি তাও যাই না।সামু ব্লগে সব সময় বিবাহ নিয়া যে কোন আলোচনাই হিট।বিশিষ্ট বড় ভাইজান-আপুদের দেখতাম বিবাহের সিরিয়াল নিয়ে খুব আলোচনা হয়তো।কার আগে কে থাকবে?সেইখানে আমাদের বলা হইতো 'পোলাপাইন রাস্তা মাপো।এই খানে কি?'আমি ভাবতাম বিবাহ করতে ব্লগের সিরিয়াল কেন নিতে হবে?মন চাইলে বিবাহের পরিবেশ পাইলেই বিয়া করবা!ব্লগের আলোচনার খেতা পুরো!
এই সবের ১ বছর পর পুলকের সাথে আমার পরিচয়।সাল তখন ২০০৯।পুলক আর আমি তখন এক রাস্তাতেই থাকি।একিই চায়ের দোকানে বসতে বসতে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো দারূন।তখন পুলক আর রমি কোনখান থেকে জানি না এক অদ্ভুত আইডীয়া নিয়ে কাজ করতো।যে বন্ধুদের ছোটোখাটো ইচ্ছে পুরন বা যা সহজেই করা সম্ভব এমন ইচ্ছা/খায়েশ পুরন করা।কিন্তু তাদের মেইন ফোকাস ছিলো বন্ধু প্রেমিক প্রেমিকার বিয়া করায় দেয়া যা কোন দিন ফ্যামিলী মেনে নিবে না এমন।এই চিন্তা রনবীরের ফালতু সিনেমা "আজব প্রেম কি গজব কাহানী" থেকেও আসতে পারে।কিন্তু আমারে যখন বলছে তখন আমি প্রথমেই না করছি।কিন্তু পরে বললো "শান্ত ভাই আপনে থাইকেন।একশন কমিটি চালাবো তো আমরা।"আমি বললাম অকে।
প্রথম প্রজেক্ট ছিল পুলকের বন্ধু অমিত পালের।সে হিন্দু তার ডার্লিং মুসলমান।ভালো বিপদ।পুলক পড়ে ব্রাকের ল তে।ওর বড় বোন আইনজীবি।তাই টেনশন ফ্রি অবস্থাতেই বিয়ে হয়ে গেলো কোর্টে।আমার এই খানে অবদানই নাই।তবে অমিতের বাবা মা খুব ভালো।তারা এই ২২ বছরের পাগলামীকে মেনে নিছে।এবং সুখে শান্তিতেই সংসার করে পুলকের গুনকীর্তনে দিন পার করতেছে।শেষ বিয়ে দেয়া হইছিলো আল আমিন সাহেবের২০১১ সালের জুলাই এ।মেয়ের বয়স মাত্র ১৭ বছর।মেয়ে চাদপুরের মতলব থেকে পালিয়ে আসছে বিবাহের জন্য।পুলক আর আমি ঘাটের পয়সা খরচ করে এই সেবাটা করলাম।৭ দিন পরেই দুই ফ্যামীলি মাইনা নিলো।বিয়েও হলো আবার ঘটা করে।আমাদের দাওয়াত দিলো না কেউই।মাইন্ড খাই নাই কারন পুলক আমি কোন উপকারের বিনিময়ে কিছু আশা করি নাই!
এঈ দুটো সফলতার গল্প।এবার বলি বাশ খাওয়ার গল্প।রমীর বন্ধু ছিলো সস।জীবনে কারো নাম যে সস হয় তা আমার আগে জানা ছিলো না।যেমন জানলাম প্রিয় বন্ধু আবিরের কাজিনের মেয়ের নাম কামনা আর বাসনা।নামের কি ছিরি!যাই হোক প্রেম করতো মীরপুরের এক বাড়ীওয়ালার মেয়ের সাথে।মেয়ে অতিব সুন্দরী।সুন্দরী মেয়ে হলে যা হয়। হুট করেই তার বিবাহের আয়োজন চলতেছিল।সস সাহেব ঘোষনা দিলেন তিনি ট্যাবলেট যোগার করছেন।সময় হলেই মরার জন্য প্রস্তুত।
তখন রমির বাসায় জরুরী মিটিং হলো যে যেভাবেই হোক তিশনা-সসের বিয়েটা আমরা দিবোই।মেয়ে পালিয়ে আসলো।কিন্তু এরপরি শুরু হলো কাহিনী।মেয়ের মামা মীরপুরের এমপি আসলামের নাকি ডানহাত নাকি বা হাত।এবং গাধার বাচ্চা সসের বন্ধুরাও গাধা তারা গদগদ করে পুলকের নাম্বার আর রমীর নাম্বার দিয়ে দিছে।ফোনে থ্রেটের পরে থ্রেট দিয়ে আমাদের হাত পা মাথা কীভাবে এভারেস্ট থেকে সমুদ্রে ফেলবে তা নিয়ে বলতাছে।মেয়ে আবার ছাগল সে শুরু করছে কান্না।কি থেকে কি করবো বূঝতেছি না!আমাকে কোন কিছুই করতে পারবে না।কারন আমারে কেউ চিনে না আমি টেনশনে খালি ঘামতেছি পুলকের জন্য।রমী তো দুরের বন্ধু, রমী জাহান্নামে যাক।মেয়ের মামা নানা জায়গায় খোজ লাগায়া পুলকের বাসার এড্রেস পায়া গেছে।ভালো গেঞ্জাম।তখন প্ল্যান হলো মোবাইল অফ কর।আর তিশনা সস ঢাকার বাইরে চলে যা।কই যাবে?রমীর খালতো ভাই খুলনায় থাকে অইখানে।আমি পুলক রমী মাইক্রো একটা ভাড়া করে অদের পাঠিয়ে দিলাম।এদিকে মামা পুলকের খোজে মুহাম্মদপুরে আসে কিন্তু পায় না কারন পুলক থাকে মহাখালীতে অর কাজিনের ফ্ল্যাটে।পুলকের বাসায় যেয়ে গরম দেখাইছে মামা, পুলকের বাবা-বোনো পালটা গরম হয়ে কথা শুনাইছে।তাতেও দমে না গিয়ে লোকজনকে দিয়ে পুলককে খোজে।রমি চলে গেছে নীলফামারী।আমি খালি মুহাম্মদপুর।খোজ খবর নিতেছি সবার।এদিকে সসের বাবা মা বিয়ে মেনে নিয়ে অদেরকে ইশ্বরদীতে আনছে।১৫-২০ দিন পর স্বাভাবিক।বিশ্বাস করেন সেই ১৫-২০ দিন পুলকের টেনশনে আমার দিন গেছে জাহাণ্ণাম।এরপর সসরা ঢাকায় ফিরলো।ঠিক মতোই চলতেছে তাদের দিন।
এতকিছুর পরেও শান্তি পাইতাম ভাবতাম জীবনে একটা কিছু তো করছি।কিন্তু এখন সেইটাই আমার আর পুলকের সব চেয়ে জঘন্য স্মৃতি।কারন সস পোলাটা বাতিল মাল এক ।খায় বাবা সাথে আছে গাজার নেশা।এসিসিএ কমপ্লিট করে নাই এক পার্টো।বাপের টাকায় চলে।জগতের যত ছোটোলোকি আছে সব করে বেড়ায়।জানি না তারা ভালো আছে কী না!বাইরে থেকে দেখি ভালৈ।কিন্তু আমার পুলকের খুব কষ্ট হয় একটা ফুলের মত মেয়েকে কার হাতে তুলে দিলাম জীবনের ঝুকি নিয়ে!তাই এই সব বাদ আপাতত বিলুপ্ত এই সংগঠন!
উপসংহারঃ পোলার বিয়ার বয়স হইছে , মাইয়াও রেডী । কিন্তু কারো সাহায্য দরকার ।
হ, এইসব আপাতত বাদ দেও। উপরে তোমার এক বড়ভাই কি জানি বলতেছে। তিনি অবশ্য নিজেই এখনো শহীদ হইতে পারেন নাই
নিজেরটা না সাইরাই সংগঠন বিলুপ্ত করা কোনো কাজের কথা হইলো না! ওইটা পুনরুজ্জীবিত করেন!
---------
একটা কথা। আপনি এক বাক্য শেষ হলে '।' দিয়ে একটা স্পেস দেন না কেন? দেখতে খারাপ লাগে তো!
উদাহরণ : "এতকিছুর পরেও শান্তি পাইতাম ভাবতাম জীবনে একটা কিছু তো করছি।কিন্তু এখন সেইটাই আমার আর পুলকের সব চেয়ে জঘন্য স্মৃতি।কারন সস পোলাটা বাতিল মাল এক ।খায় বাবা সাথে আছে গাজার নেশা।এসিসিএ কমপ্লিট করে নাই এক পার্টো।বাপের টাকায় চলে।"
এই অংশটা এইরকম হইলে ভালো হইতো না? --
"এতকিছুর পরেও শান্তি পাইতাম, ভাবতাম জীবনে একটা কিছু তো করছি। কিন্তু এখন সেইটাই আমার আর পুলকের সব চেয়ে জঘন্য স্মৃতি। কারন সস পোলাটা বাতিল মাল এক । খায় বাবা সাথে আছে গাজার নেশা। এসিসিএ কমপ্লিট করে নাই এক পার্ট-ও। বাপের টাকায় চলে।"
উপসংহারঃ পোলার বিয়ার বয়স হইছে , মাইয়াও রেডী । কিন্তু কারো সাহায্য দরকার ।
তুমি একটা কৈরা ফেলো...
বাপ্রে! জনহিতকর জনসেবার কি ছিরি!

শান্ত'র ভালোই কাহিনী জানলাম!
যারাই পুচকে বয়সে এই কাজটা করে বসল তারাই জীবনের একটা মজার পার্ট মিস করে বোরিং পার্ট এ যাত্রা শুরু করল। পুলক এবং শান্ত কে এই এই দোষে দুষ্ট খেতাব দেয়া যায় যে তারা ওইসব ছেলেমেয়েদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হতে প্ররোচিত করল।
কলেজলাইফে আমি নিজেও কয়েকটা এমনতর বিয়েতে জড়িত ছিলাম, সবচেয়ে মজার হয় কাজী অফিসে। তবে কোন বিয়েতেই তেমন বড় কোন ভেজাল হয় নি। বিয়ের আগে দুপক্ষের তোড়জোড়, বিয়ের পর পর দুএকমাস নিরব, পরে সব ঠিক।
মন্তব্য করুন