ঈদের রাজ্যে টেলিভিশন নাকি টেলিভিশনের রাজ্যে ঈদ!
শরীরটা সব সময়ের মতো ভালো না। রাত জাগা ভ্রমনের ক্লান্তি সাথে তীব্র ঘামানো তারপর আবার বিশ্রামে অনীহা সব মিলিয়ে মাথা শরীর সব ব্যাথায় পরিপুর্ন। তার ভেতরে একজন আমাকে কাজ দিছিলো নিজের অবহেলায় করতে পারলাম না সব মিলিয়ে ঢাকায় ফেরায় বেশি আনন্দে নেই। তার ভিতরে প্রতিশ্রুত পোষ্ট লেখার চাপ তাই ঝেকে বসা মাথা ব্যাথা পোষ্টটা লিখছি।
এই বাংলাদেশে আমার মতো অপদার্থের সংখ্যা কত তা জানি না। কিন্তু এরকম টিভি দেখতে পছন্দ করে টিভি নিয়া ভাবে এরকম সমবয়সী কাউকে পাই না। সাঈদী অনেক কাল আগে বলেছিলো টেলিভিশন শয়তানে বাক্সো। তিনিও এটিএনে সেই শয়তান টিভিতে অনুষ্ঠান করে ইসলামীর খেদমত করেছেন। ইসলামে ভাষ্কর্য নির্মান কেনো হারাম তার ক্রিয়েটিভ ব্যাখা দিয়েছেন। অথচ দিন বদলের টানে সেই এটিএন এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এই সরকার খুশী হয়ে তাদের দিলো এটিএন নিউজ। সব কিছু মিলিয়ে তাদের অবস্থা রমরমা। কাল তারেক যদি পাওয়ারে আসে পরশু তারেককে বগুড়ার দইয়ের মতই প্রচার করবে সবার আগে। সব চ্যানেলই একি কেউ বেশী বা কেউ কম হিপোক্রেট। তাই তাদের মেধা চিন্তা ভাবনা সব কিছুর ভেতরেই এই নীচ মানসিকতার আলামত পাওয়া যায়। আর আমিও সেই আবুল যে এগুলা হজম করে লোকজনকে কি দেখছি তা শুনাই! এবার ঈদেও তার ব্যাতিক্রম না। তবে আমার রিমোট চালনার হাত দেখে আব্বু অনেক বিরক্ত। মাঝে মধ্যে মনোমালিন্যের কারনে সাময়িক সময়ে টিভি দেখা অফ ছিলো। ঘন্টা দুয়েক পরে আবার ঠিক। রাতের লাইভ শো দেখতে পারি নাই। কারন লোকজনের ঘুমের কারনে মাঝরাতে টিভি দেখা অসস্তিকর। আমাদের জামালপুরের বাড়িতে মাছরাঙ্গা ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর ইসলামিক টিভি আসে না তাই এই তিনটা চ্যানেল আমার আলোচনায় আসবে না। এতো চ্যানেলে এত অনুষ্ঠান মনে রাখা দুস্কর তাই ভুল ভ্রান্তি ও গুলিয়ে ফেলা স্বাভাবিক। এইটা সামান্য ব্যাক্তি ভালো লাগা মন্দ লাগার গল্প তাহলে শুরু করি!~
ঈদের প্রথম দিনে সকালেই উঠলাম। ভাবছিলাম ঘুমাবো না তাও সাড়ে চারটার দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম আব্বূর হাউকাউতে উঠা।অনেক দেরীতে মাঠে নামায হয় গ্রামে তা শেষ করে এগারোটায় বাসায় আসা। এসেই দেখি চলে সব চ্যানেলে বাংলা সিনেমা। এইটী পারসেন্ট চ্যানেলেই শাকিব নয়তো ডিপজলের সিনেমা। এর মধ্যে আমার প্রানের প্রিয়া শাকীবের এক হিট ছবি তা দেখা শুরু করলাম এনটিভিতে। কাহিনীটা অনেকটা জিতের ২০০৪ য়ে এক সিনেমা হিরোর কাছাকাছি। জিতের হিরো নিশ্চই তামিল তেলেগু মালায়লাম থেকেই মেরে দিছে। এই চক্রের ভেতর চলছে রিসেন্ট সিনেমা। তবে জিতের হিরো আরেকটু ভালো তার তুলনায় সব দিক দিয়েই শাকিব খান গড় পরতা। খালি তার লম্বা লম্বা লাল চুল দেখলেই ক্যাম্পের বাজারে এক ছেলে ছিলো তার কথা মনে পড়ে। সে আমারে একদিন বলছিলো ভাইয়া আমারে নামায়া দেন এফডিসি দেখেন কি করি এই সব হিজ্রা._____ টাইম নাই। তার চুলও ঠিক শাকিবের মতো লালচে কালারে ছিলো। যাই রিমোট টিপে গেলাম চ্যানেল আইতে কেকা ফেরদৌসীর অনুষ্ঠান। সেখানে পাতি তারকাদের নাচাচ্ছেন আর আইরন ওভেন দিচ্ছেন। দেশটা আসলেই তাদের বাপের দিনের কলা। আমার ভাবি গত কালকে জানালো ফেসবুকে যে হেরা গুহা বা এরকম টাইপের ইসলামিক জায়গা স্থানের সামনেও তিনি চুলা নিয়ে রেসিপি দিয়ে ধন্য করেছেন। বড়ই আজব এই দুনিয়া। কত সার্কাস চলে টিভিতে। চ্যানেল আইয়ে দেখালো একটা ছবি প্রিমিয়ার হঠাৎ সেদিন নাম। পছন্দ হয় নাই। ফেরদুসের অভিনয় তো পারেই না তার সাথে রাখছে কলকাতার রিদিমা। কলকাতায় কত নায়িকা আছে তাদের হলেও হতো। বাসু চ্যাটার্জীরা এতো চেনা জানা পরিচালক তাও যদি তাদের চিত্রনাট্যে খামতি থাকে তাহলে সিনেমা বানাবে কে? চ্যানেল আইতে পুর্নিমা নোবেল অভিনীত সুইজারল্যান্ডে চিত্রায়িত ভালো না লাগলে দিয়ো না মন হুমায়ূন আহমেদের লেখা। ভাগ্যিস স্যার আগেই মরছে নয়তো এই নাটক দেখলে উনি আবার মরতো। তার সাথে পুর্নিমার সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য আর কো আর্টিষ্টদের অভিনয়ের নামে ন্যাকামী প্রশ্ন জাগে রায়হান খান এই সব বাল বানাইতে সুইজারল্যান্ড গেছিলো নাকি অন্য ধান্দা পাতি। এটিএনে সজলের টেলিফিল্ম শুধুই ভালোবাসা। মোহন খানের নাটক গুলা এখন ব্যাতিক্রমী। নায়িকা থাকবে তিনজন। সজল সবাইকে নিয়ে নাচাবে নাচবে গানে গানে। শেষে একজনের কোলে ঢলে পড়বে এই হলো গিয়ে নাটক। তার ভেতরে নিম্নরুচির কমেডি থাকবে এতো টুকুই। গাজী টিভি আর এনটিভিতে দুটো টেলিফিল্ম ভাল হইছে। এনটিভিতে গোলাম সোহরাব দোদুলের তিন ফোটা বৃষ্টি আর জিটিভিতে মেকার মজিদ ভালো প্রোডাকশন। সততার সাথে গল্প বুনছে এইটাই আশার কথা। চ্যানেল আইতে হুমায়ূন আহমেদের লিখিত পিপীলিকা নামে একটা হইছে নাটক। পুরাই যা তা। এটিএনে ইভা রহমানে গানের লম্বা একটা প্রোগ্রাম হলো রাতে। আহা গান নাকি অন্য কিছু সাথে মীর সাব্বিরের উপস্থাপনা। কি সোনায় সোহাগা। অথচ তার আগে হানিফ সংকেতের নাটকটা ভালোই। দেখতে উপভোগ্য। বাংলা ভিশনে লাভলুর নাটক বাড়াবাড়ি আরটিভিতে একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটেছিল। এই পাবনার প্যাটার্নের নাটক থেকে জাতি মুক্তি চায়। সেই তাই নে তাইনে করে বলেই যাবে এইটা অসহ্য। মোশারফ করিমের অভিনয় এক গেয়ে। তার নায়িকা হলো রাখী। রাখী আরেক ফকীরনী যারে দেখলেই মনে হয় টিভিটা তুলে তার মাথায় ফেলি। এই রাগে কোনো পর্বের নাটকই দেখি নাই চোখে যা পড়ছে তাই দেখছি। চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের সাত পর্ব ভালো ছিলো। লেখা সব্যসাচী লেখক শামসুল হকের। নাম রক্ত মাংশের মানুষ সাজ্জাদ সুমনের ডিরেকশনে। ঈদের দিনে লাইভে ছিলেন শুভমিতা দেশটিভিতে। দারুন পুরোটা যদিও দেখি নি তবুও যে যত্নের সাথে তিনি গান গাইছেন তা অনন্য। মেয়ে ভক্তদের যে ভালবাসা প্রতিটা কলে তা বুঝে গেছি। পুতুলের উপস্থাপনা ভালো না তাও চলে। আইয়ুব বাচ্চু লাইভে গান গাইছেন। ভালো ভাবে শুনার জন্যে সাউন্ড দিয়ে দেখা উচিত ছিলো। কিন্তু বাবা মার ঘুমের ডিস্টার্ব হবে তাই দেই নাই। তবুও এলআরবি বস তারা জানে কি করতে হবে। তবে সবচেয়ে ফালতু আরটিভিতে যেখানে ছিলেন মিলা। তার চুলে যে স্টাইল আর উপস্থাপকের যা দশা তাতে মোটামুটি সেই সামুর নাফে এনামের হররের মতো ভয় পাইছি। তবে এনটিভিতে যে নাটকটা হইছে সেই সময় সবুজ ভেলভেট। আমার দেখা ঈদের অন্যতম সেরা নাটক। তারিন একজন উচ্চ পদস্থ জাতিসংঘে চাকুরে দেশে বেড়াতে এসে ইচ্ছা করেই নরমাল ট্রেনে লালমনিরহাট যাবে। তার পাশে সিটে আজব সব কাজ কারবার করা সাধারন মানুষ আজাদ আবুল কালাম। এদের দুই জনের আলাপ চারিতায় নানান চলমান ঘটনায় দুইজনের শ্রেনী চরিত্র পার্থক্য চিন্তা শিক্ষার ব্যাবধানের মিশেলে যে অসাধারন ভাবে নাটকে উপস্থাপন হইছে তা অনন্য। কিন্তু যাত্রার প্রায় যখন শেষ নাম জানতে চাওয়া হয় তখনি হয় এক্সিডেন্ট। জাতিসংঘের কর্মকর্তার আহত সংবাদে নিউজ কাভারে হইচই শুরু করে। কর্তৃপক্ষ তোরজোর করে তাকে এম্বুলেন্সে তুলে ব্যাস্ত হয় সবাই, অথচ ট্রেনের জানলা থেকে তারিনকে বের করে এনে যে বাচায় সবুজ ভেলবেট প্যান্ট পড়া পাভেল সে বা মুরগীওয়ালা পড়ে থাকে সেখানেই। আবূ রায়হান জুয়েল নামের যে ভদ্রলোক নাটকটা বানাইছে তাকে স্যালুট। অদ্ভুত সুন্দর হইছে। ট্রেনে যখনি যাই কত মানুষ দেখি প্রত্যেকজনের জীবনের কত শত গল্প আছে। এই নিয়ে একটা বিশাল সিরিয়াল বানাতে চাই একদিন। ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রজাপতি সিনেমাটা ভালো লাগছে কিন্তু এতো এড গল্পটা টিভি নাটক উপযোগী তাই দেখে একটু মন খারাপ হইছে। একাত্তর টিভিতে লাইভ গানের অনুষ্ঠান ভালোই। এই দিনেও ছিলো শাকীব ময়। তার ভেতরে দেবাশীষ বিশ্বাসের ফালতু ছবি শুভ বিবাহ দেখলাম। একাধিক হিন্দী সিনেমা বহুমাত্রিক ভাবে মারছে। সিনেমাতে কানিজ সুবর্নার এক আইটেম গান আছে পুরাই জঘন্য। একুশে আগস্ট তাই টেলিভিসন জুড়ে গ্রেনেড হামলার খবরাখবর। সময় টিভিতে জাফর ইকবালের প্রোগ্রামটা ভালো। তবে লোকদেখানো পরিচিত প্রশ্ন ও তার উত্তর আমার পছন্দ না। তার আগের দিনে শমী আর কবি হেলাল হাফিজের অনুষ্ঠানটা দারুন। বিশেষ করে সোনারগাও এত ভালো ক্যামেরা ওয়ার্ক আগে দেখি নি। বিকেলে চলে গেলাম নানা বাড়ী সেখানে চায়ের দোকানে মামার সাথেই সময় গেছে। তবে চ্যানেল আইতে ফারূকীর ভাইয়ের নাটক বলি রেখার দিনগুলোতে ভালোবাসা নাটকটা ভালো। আবেগের খেলাটা ভালো খেলাইছে। এরপর ইত্যাদি দেখলাম। ইত্যাদি দেখে আমি হ্যাপী। খারাপ না ভালো না। চেষ্টা করছে হানিফ তার চেষ্টায় সততা ছিলো। তাই বলবো তিনি সফল।
ঈদের তৃতীয় দিনও টিভি নানু বাড়িতে ছিলাম বলে কম দেখা হইছে। আর খালাতো বোন সাথে মামী হিন্দী সিরিয়ালের চাপে টিভি মুখ হই নাই। তার ভিতরেই সকালে চ্যানেল আইতে ডেকে এনে অনুষ্ঠান। কি জঘন্য উপস্থাপনা। কবির কাছে প্রশ্ন করে বললো স্যার আপনি বিয়ে কেনো করেন নি? কত ফ্যান ছিল তখন। তবে শিমুল মোস্তফার কবিতা পাঠ লা জবাব। এই দেখে ঘুরছি ফিরছি। তবে রাতে টিভি দেখছি ভালই। তার ভিতরে অনিমেষ আইচের বাবা নাটকটা অসাধারন নাটক। ওয়াদুদের আগের ঘরে ছেলেকে সে খুব মিস করে নতুন সংসারে। কিন্তু তার আগের বউ তাতে বিরক্ত। দেয়না দেখা হয় না মিথ্যা বলে। অনেক কষ্টে রাজী করিয়ে সেই ছেলেকে নিয়ে ঈদে ঘুরতে আসে গ্রামে। সেখানে ওয়াদুদের সরল বাবা তাদের পেয়ে অনেক খুশী। এই যে সরল কাহিনী অসাধারন উপস্থাপন তা মনো মুগ্ধোকর। দেশ টিভিতে জনৈক পর্যটক নামে একটা নাটক তা ব্যাতিক্রমী। এন্টিভিতে তিশা ইরেশের লিটমাস নাটকটা ভালো। তবে নাটকে শেষে দেখি কাহিনী পুরাই অন্য। ধাক্কা খাইলাম। টিভিতে ঈদে আনন্দ আড্ডা বা গানের আড্ডা নামে যা হয় তা হলো সেলিব্রেটিরা একে অন্যের তেল বিনিময়। লিবিয়া ইরাকের তেল একত্রে মারা হয় প্রতিটা প্রোগ্রামে কি আজব ম্যানার এই জাতির। দিগন্ত টিভিতে ফাহমিদা নবীর লাইভ ভালোই। কিন্তু প্রশ্ন কর্তাদের প্রশ্ন যখন আপ্নার পছন্দের একটা গান গান বা আপনাকে খুব সুন্দর লাগতেছে। এ এক ছোটলোকী কালচার দাঁড়িয়ে গেছে লাইভের নামে।
ঈদের চতুর্থ দিন নানু বাড়ি থেকে জামালপুরে নিজের বাড়িতে আসি তাই সকালে টিভি দেখি না। চ্যানেল আইতে রওনকের নাটকের ভালো গল্পটা। ভালো গল্পের নাটক দেখতেও ভালো। বাংলা ভিশনে দেজ্যাভু নামে একটা টেলিফিল্ম জয়া আহসানের ভালো অভিনয়। এবার ঈদে জয়া আহসান যত গুলা নাটক করছে সব গুলাই ভিন্ন রকমের। এরকম শিল্পীর দরকার।এরকম আরেকটা জয়ার এনটিভিতে নাম চন্দ্রাবতী লটারী। টিভি জুড়ে অনেক চ্যানেলেই সজলের নাটক সহ্য করাই কঠিন এর ভেতরে একুশে এক নম্বর। তাদের নাটক সবজান্তা শমসেরে জাহিদ হাসানের অভিনয় এবং স্ক্রীপ্ট দারুন। সাথে সাথে তার আরমান ভাইয়ের সিকুয়েলটাও খারাপ না। অনেক ডাক ডোল পেটানো কিক অফ দেখলাম। রেদোয়ান রনির ফালতু ডিরেকশন ও ভোগাস গল্পে মেজাজ খারাপ। এই নাটকটাই শুধু অনেকেই দেখছে তাদের সবার মনে ধারনা হবে যে এই সব বুলশীট জিনিস মনে হয় সারাদিন হয় টিভিতে। অর্নবের গান টুয়েন্টিফোরে পছন্দ করছি। বৈশাখী টিভিতে আধুনিক যাত্রা পালা হইছে পুরাই নিম্নরুচি। যাত্রা পালা অনেক ভালো বিনোদন মাধ্যম। তারে নিয়ে টিভি শিল্পীদের এই কাজ আমি ঘৃনা করি। আজ এ পর্যন্তই বাকী দুই তিন দিনের টিভি দেখা নিয়ে পরশু লিখবো! আজ আর শক্তি নাই এক ফোটাও!
সজল, বিন্দু আর মোশারফ করিম- এই তিনজনের ওপর মহাবিরক্ত হইসি! আমার ধারণা, এরা এক প্যাকেট বিড়ি কিংবা এক কাপ চায়ের বদলেও মানুষকে নাটক করে দেয়!
অবস্থা মনে হয় সেরকমই!
আমিও একটা লিখবো ভাবছি.. মত বিভেদ হইলে মন খারাপ করবেন না প্লিইইইইজ...
কি যে বলেন না! যত মত তত পথ
তাড়াতাড়ি লিখেন ফেলান!
টিভিতে এই সব নাটক সিনেমা দেখার চাইতে ইউটিউবে দেখা উত্তম।
ইউটিউব তো বস জিনিস তবে অনেক কিছুই খুজে পাই না যা পাওয়া যুক্তি যুক্ত ছিলো!
টিভি রিভিউ ভালো পাইলাম।
আছেন কেমুন? শইল্ডা ভালা ভাইয়ের?
বেশি ভালা না তাও বেচে আছি এইটাই!
আমি কিছুই দেখি নাইক্কা...তুমার পুষ্ট পড়ে মনে হইতেছে না দেখে ভালই করছি.... তুমার তো মিডিয়াতে কাজ করা উচিৎ..অনুষ্টান নিয়া আলুচনা সুমালুচনা করবা আমরা বাসায় বসে বসে দেখুম ..
দোয়া কইরো আর পুষ্ট তুষ্ট দিয়ো!
টিভি রিভিউ ভাল হইছে।
টিভিটা থাকে বৌ আর মেয়ের দখলে, একজনের সিরিয়াল আরেকজনের কার্টুন। তাই টিভি প্রোগ্রাম দেখার সুযোগ নাই।
টিভি না দেখাই ভালো। দেখলেই দেখার ইচ্ছা জাগে! তবে ইচ্ছা জাগানোর মতো প্রোগ্রাম এখন আর রেডী হয় না এইটাই আপসোস!
আমি বাঁইচা গেছি। ঈদের দিন রাইতের বাসে দেশ ছাড়ছি... কোনো প্রোগ্রাম দেখা হয় নাই... তোমার লেখা ভালু পাইলাম
আমরা ভারতের চ্যানেল দেখি আর আপনে এক ডিগ্রী উপরে ভারত মাতারেই দেইখা আসলেন। তবে সব চেয়ে ভালো লাগছে আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস গুলান!
টিভি রিভিউ ভালো পাইলাম।
টাইপোগুলো ঠিক করে দিও
ধন্যবাদ ম্যাডাম! অলও নাই তাই পিসিতেই বসা হয় কম আর ব্লগে আরও কিমি। তাই আর ঠিক করলাম! যা লিখছি লিখছি পরের বার কেয়ারফুলী লেখার চেষ্টা করবো। শুভকামনা!
আমার বাবাও আমার রিমোট চালনা দেখে মহা বিরক্ত। আমি রিমোট টিপি আর সব চ্যানেল ঘুরি। তাই নাটকগুলোর নাম মনে থাকে না। যদিও মনে রাখার মত কিছু পাই না খুঁজে। টিভিতে নাটক, অভিনয়..অন্যান্য প্রোগ্রাম দেখে ভাবি...কি করে এরা, কি বলে...কেন বলে!কিভাবে এসব বানায়...অভিনয় জানতে হয় না, কথা বলতে জানতে হয় না...তবু তারা জনপ্রিয়...স্টার!!!!!!
একদম ঠিক বলছো। কি একটা বানাইলো! ভাগ্যিস হু.আহমেদকে দেখতে হয়নি।
সামনে এই সমস্ত অনাচার আরও হবে!
গুড জব শান্ত, পছন্দ করলাম।
থ্যান্কস ভাইয়া!
এই লেখাটার জন্য ইস্পিশাল স্যালুট।
স্যালুট আপনাকেও হে নতুন ফেসবুক বন্ধু!
কিক অফ নামের একটা নাটকের শেষ দুইমিনিট দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। মনে হল জাগো মুভির মত করতে চেয়েছে। শেষ দুই মিনিটে ট্রাইব্রেকার দেখালো, তাতে মনে হল একটা খেলার শেষ দুইমিনিটই দেখছি। মুভি বলে মনে হল না। ধারাভাষ্যকার বলে যাচ্ছে আর খেলোয়ারেরা শট দিয়ে যাচ্ছে।
একজন ডিরেক্টররের কাজই হল ষ্টোরিটেলিং। তার আর তেমন কোন কাজ নাই। এই বেসিক কাজটাই বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ডিরেক্টর পারে না। ঘাস খাওয়া ছাড়া আর কি পারে এতগুলো দিন ক্যামেরার পিছে কাটিয়ে একের পর এক টেলিভিশন প্রডাকশন বানিয়ে?
দারুন বলছো ভাইয়া। তুমিও আইসা শুরু করে দেও!
এখানে বলে নেয়া উচিত। জাগো নামের মুভিটা খুব ভাল একটা মুভি ছিল। খিজির হায়াত খান ভদ্রলোকের আর কোন খোজ পাই না। তার যেকোন কাজ দেখার প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে বসে আছি।
জাগো মুভিটা হলে গিয়ে দেখছিলাম ভালো লাগছিলো!
ঈদ প্রোগ্রামের সেই রকম রিভিউ! ধন্যবাদ! প্রতি ঈদে মনে হয় এইবার সব অনুষ্ঠান দেখেই ছাড়ব তবে এইবারও সেইম অবস্থা বেশি কিছু দেখতে পারি নাই! ঈদের দিন সকালে মাছরাঙা তে একটা টেলিফিল্ম দেখা হইসে, অপূর্ব আর সাবা ছিল! নাটক টায় হাতে গোনা কয়েকটা শিল্পী ছিলেন এবং একজনকেও পুরো নাটকে একটা টু শব্দ করতে শুনলাম না! অদ্ভুত সুন্দর একটা বাংলো তে নাটক টা করা হয়েছে। অদ্ভুত আইডিয়ার একটা নাটকও বটে এবং ভালোও লাগসে! এছাড়া ইত্যাদি দেখতে পারসিলাম, আর কিছুই না
আমাদের বাড়ীর ডিস লাইনে মাছরাঙ্গা আসে না। আপসোস!
দেখে দুঃখ পাওয়ার চেয়ে না দেখে শান্তি পাওয়াই ভালো।
জাফর ইকবালের সবুজ ভেলভেট নিয়ে নাটক করছে জানলে দেখতাম। এটার জন্য আফসুস হচ্ছে।
তাই নাকি? সেই জন্যেই তো বলি এতো ভাল কাহিনী কোথায় পেলো? থ্যাঙ্কস ভাইয়া আপনার জানা শুনার পরিধি এভারেস্টের মতো!
ঈদ মোবারক
তোমাকেও মোবারক বাদ মামা। অনেক সুখে শান্তিতে দিন গুলো যাক। শুভকামনা!
আরমান ভাই হাউজ হাজবেন্ড নাটকটা দেখতা ভাল্লাগসে। কিন্তু বিজ্ঞাপনের সেইরম যন্ত্রনা পোহানো লাগসে নাটকটা দেখার জন্য।
নানু বাড়িতে ডিশ ছিল না সেই সময় তাই দেখা হয় নাই। পুনঃপ্রচারের আশায় ছিলাম দেখায় নাই বাংলা ভিশনে!
মন্তব্য করুন