১৪ ডিসেম্বর
বিসিএসের রিটেন আর পেছালো না। টিকবো না কারন পড়ি না। একে তো সেমিস্টার ফাইনাল তারপর দুই বেলা করে রিটেন এক্সামের শিডিউল দেখেই মাথা ব্যাথা। জাহান্নামে যাক সব। আমি থাকি আমার মতো।ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে ছিলো বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড নিয়ে একটা বাংলা পড়া। ক্লাস ফোরে নয়তো ফাইভে। তখন ম্যাডাম ছিলো খুলনা স্কুলের আলম আরা ম্যাডাম। তিনি বলছিলেন এরা বেচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশ হতো। উন্নত দেশ বলতে তখন আমার মনে ধারনা নেভীর কলোনীর পাশে যে বাস্তোহারা কলোনী সেখানে সবাই বিল্ডিংয়ে থাকবে। গোলপাতার ঘর কোথাও চোখে পড়বে না। শীতের কাপড় থাকবে সবার আগুন জ্বালতে হবে না কারোর। ছোটো মানুষ ছোটো চিন্তা। কিন্তু তা আর হয় নাই ঘাতকদের সুচারু প্ল্যানে তাদের সবাইকে ধরে নিয়ে মারা হইছে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বর্বরতায়। একেকটা উজ্জল মানুষের ঘটনা যখন পড়ি তখন অবাক হই কি অসাধারন একেকটা তারকা। তারা চাইলে পালাতে পারতো, নিরাপদে সটকে যেয়ে ভারতে কলমযোদ্ধা হতে পারতো। কিন্তু সেই চরম ক্রান্তিকালেও তারা দেশ ছাড়ে নাই। তার খেসারত দিলো শহীদ হয়ে। আর তাদের চিনিয়ে দেয়া সাথে ধরে নেয়ার দারুন কাজটা করে দিলো তাদেরই ছাত্রসম আলবদরের লোকেরা। বিচার হলো না এদের কারো। আসামীরা দেশে বিদেশে কত ভাবে বেচে আছে অথচ বিচার হলো না এতো দিনেও। ঢাকা শহরে প্রথম মোহাম্মদপুরে যখন ফ্যামিলি শিফট করলো। তার মাস খানেকের মধ্যেই আমি প্রথম যাই রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবির স্মূতির মিনারে। জায়গাটা আমার খুব প্রিয়। গনগনে রোদে গিয়ে অসংখ্য দিন সেখানে বসে কেটেছে। এখন আর যাই না। ব্যাস্ততা বন্ধু বান্ধব চায়ের দোকানের এত মুখরিত সময়ে এখন আর যাওয়া হয় না কাছের এই জায়গায়। তবে ১৪ ই ডিসেম্বর এলেই আমাকে খুব মন খারাপ করিয়ে দেয়। ভাবতে বসি মানুষ কেনো এতো দামী প্রানটা দিয়ে দেয় নিজের দেশ সমাজ কালের জন্য। অথচ আমরা কত স্বার্থপর। দেশ থেকে পালাতে চাই নিজের একটা ভুবন ঘরে তার পর দেশ নিয়ে ভাবি। কি হিপোক্রেটের জালে বন্ধি আমরা। যাদের হত্যা করা হয়েছিলো তাদের খুনী সহযোগীদের বিচার চাই। যতদিন বেচে আছি চাইতেই থাকবো।
এই দুঃখের দিনেই লীনা আপু আর কামাল ভাইয়ের জন্মদিন। কামাল ভাই যখন সামুতে ব্লগিং করতো। তখন আমি আলো পেপারের ব্যাপক ফ্যান। সেখানেই দেখতাম কামাল ভাই লিখে আবার পুরুস্কার পায় তার বই এরকম লোক সামুতে ব্লগিং করে আমিও করি। এইটা থেকেই শুরু। তারপর উনার সাইট থেকে উনার বই পড়া কেনা নিয়মিত খোজ খবর রাখা। দারুন লাগে উনার লেখা। উনার গল্প বয়ানের ভংগী, বিষয়, প্রবন্ধ, সম্পাদনা সব কিছু্রই আমি ফ্যান। উনার একটা উপন্যাস আছে নাম অন্ধ জাদুকর। ওটা আমি এতো বার পড়ছি যে কোনো পাতায় কি আছে নাম্বার দেখে বলতে পারি। টুকটাক উনার সাথে যখন দেখা হইছে জানাইনি এতো ভালো লাগার কথা। খালি মুগ্ধ হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে ভাবি মানুষটা কি অসাধারন লিখে। এতো বড় মানুষ দেখাও পুন্যের। এই কালো দিবসে উনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। অনেক ভালো থাকেন ভাইয়া অনেক ভালো ভালো লেখা এখনো বাকী। আপনাকে আরো লিখতে হবে। সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর দিন কামনা করি।
লীনা আপু আমার ব্লগিং জীবনের অন্যতম কাছের মানুষ। আপুর মতো এত মায়ময় স্নেহময় মেয়ে আমি খুব কম দেখছি। উনার মতো বই পড়ুয়া মানুষও আমার কম দেখা। এবির কাছে আমি অশেষ থ্যাঙ্কস জানাই যে ছোটো খাটো ব্লগটার কারনে লীনা আপুর সাথে আমার পরিচয় হইছে। উনার লেখার বিশাল ফ্যান হইছি আমি এবিতে এসেই। সামুতে উনার লেখা পড়তাম কিন্তু যা হয় আর কি ভালো লাগে নাই বেশী। কিন্তু এখানে উনার যা পোষ্ট পড়ছি সব খুব ভালো লাগে। উনার রিভিঊ লেখার হাত অসাধারন। মনে হয় বইটা আমি পড়ে আমি লিখছি এমন একটা ভাব জাগে। উনার গল্পেরও বড় ভক্ত আমি। পিকনিকে দেখা তারপর যখন টুকটাক দেখা চিন পরিচয় টেক্সট বিনিময় তখন পেলাম উনার আসল পরিচয়। মানুষ হিসেবে উনি সব কিছু ছাপিয়ে গেছে। আমার মতো এক হতভাগারে উনি যে পরিমান স্নেহ মায়া খোজখবর পাত্তা দিয়ে বেড়ায় ভুলে যাই তিনি আমার আপন বোন না। মুগ্ধ হই বারবার। আমার একেকটা ছাইপাস লেখা উনি যে প্রশংসায় গাছে তুলে আমি অবাক হই বারবার। মনে মনে ভাবি আর যাই লীনা আপুতো ভালো বলবে তাই লিখতে দোষ কি। ব্লগে বলা যায় একেকটা লেখার অনুপ্রেরনা উনি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো উনি এখন লিখেন না। কেনো তা জানি না। জানতে চেয়ে তাকে বিব্রত করি নাই। একান্তই উনার ইচ্ছা। তবে আমি খুব চাই উনি লিখুক আবার এই ব্লগে বা যেকোনো ব্লগে মুগ্ধ হয়ে পড়বো আবার। আজ উনার জন্মদিন। শুভেচ্ছা রাশি রাশি। শ্রেয়া দুলাভাইকে নিয়ে দারুন থাকেন আপু। অনেক অনেক শুভকামনা। আমি খুব লাকি আপনার মতো বোন পেয়ে। যদিও দেখা হয় না তবুও মনের যোগাযোগে অতি কাছের মানুষ তাই থাকবেন সবসময়। আগামী বছরেই আপনার লিখিত মুদ্রিত বইয়ের দাবী তুলে রাখলাম!





আজকে দুই প্রিয় মানুষের একসঙ্গে জন্মদিন নাকি? বাপ্রে! মনে হচ্ছে খুশিতে এখুনি মিতালীতে গিয়ে কালো ভুনা দিয়ে শাদা ভাত খাই, উইথ আলু ভাজি এন্ড করলা।
যাই হোক্ জন্মদিনের শুভেচ্ছা কামাল ভাইকে, জন্মদিনের শুভেচ্ছা লীনা আপুকে। শুভকামনা থাকলো, জীবন সুন্দর হোক। ভালোবাসায় ভরপুর হোক। সফলতা ভীড় করুক চারপাশে। স্মুথ, স্পীডি এন' এক্সক্লুসিভ দুইটা লাইফ আপনাদের দুইজনের জন্য অ্যালোকেট করা হোক। তাহলেই আপাতত আমার আর কিছু চাওয়ার থাকছে না
জন্মদিনের শুভেচ্ছা লীনা আর কামাল ভাই। শুভকামনা থাকল.
কতো সুনদর করে সত্য কথাগুলো তুমি লিখো। এমন আমরা সবাই টুকটাক ভেবেছি ছোটবেলায়।
কিনতু আজকাল মনে হয় তারা বেচে থাকলেও কি কিছু হতো। সবাইতো আর মারা যাননি। যারা বেচে আছেন, বেশির ভাগই বেচে আছেন, তারা কি করেছেন বা করছেন? আর কি আলোকিত মানুষ জনমায়নি দেশে? তারাই বা কি করেন?
জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রিয় আহমাদ মোস্তফা কামাল ও কাজী দিলরুবা আক্তার লীনা কে।
এক অনুষ্ঠানে আহমাদ মোস্তফা কামালের চমতকার বক্তৃতা শুনে তার ভক্ত হয়েছিলাম। পরে ব্লগে তাকে পেয়ে খুব ভাল লেগেছিল। তিনি মনে হয় বাংলাদেশের লেখকদের মাঝে অনলাইনে সবচেয়ে সক্রিয় এবং আধুনিক। তার সব প্রকাশিত এবং কিছু অপ্রকাশিত লেখা আর নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। খুবই দারুন একটা ব্যাপার।
কাজী দিলরুবা আক্তার লীনার লেখা পড়ে আসছি সেই বন্ধুসভার আমল থেকে। বন্ধুসভার করিৎকর্মা একজন ছিলেন, আহা সেই দিনগুলি!
কিন্তু তিনি যে আমার খুব সবচাইতে প্রিয় মানুষের লিষ্টির উপরের দিকের একজন পান্থ ভাই এর খালা সেইটা জানতাম না। কদিন আগে মাত্র জানলাম। পান্থ ভাই এর পরিবারের মানুষ মানে আমার পরিবারের মানুষ। তার সদা হাস্যোজ্জল জীবন কামনা করি।
একাত্তরের ঘাতক -দালাল ,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে।এর কোনো বিকল্প নাই।
লীনা আপুর ভক্ত আমিও সেই বন্ধুসভার দিন থেকে।অথচ কত দীর্ঘ সময় পরে ফেসবুকের কল্যানে লীনা আপুর সাথে যোগাযোগ হলো।
বই পড়ুয়াতে লীনা আপুর রিভিউ গুলো যখন পড়ি একই অনুভূতি কাজ করে আমার ও।
ধন্যবাদ শান্ত চমৎকার লেখাটার জন্য।অবশ্য শান্ত বরাবরই চমৎকার লিখে।
শুভ জন্মদিন প্রিয় কামাল ভাই, লীনাপা । অনেক অনেক ভালোবাসা, শুভেচ্ছা আর শুভকামনা । দীর্ঘজীবি হোন, জীবন আনন্দময় হোক, ভালোবাসায় ভরে থাকুক ।
এই দুই জনের লেখা এত্ত এত্ত এত্ত মিস করি..
দুইজন প্রিয় মানুষকে ডেডিকেট করে একটা লেখা এগোলো কত সাবলীলভাবে .. ভাব ও ভালবাসা প্রকাশের সাবলীল ও বৈচিত্র্যময়ী ভঙ্গিটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
আরো লিখেন।
মন্তব্য করুন