লাইক এ্যা ডায়মন্ড ইন দ্যা স্কাই!
শিরোনামটা একটা ইংরেজী ফিকশনের নামে। লেখক সাজিয়া ওমর বাংলাদেশী। যখন নিউএইজে চিঠিপত্র লিখতাম নিয়মিত আর তারা ছাপাতো তখন এই বই ও লেখিকার নাম খুব শুনা। ইন্ডিয়ান প্যাংগুইন থেকে বই প্রকাশ করছে। এতো দিন পরে আমি বইটা পড়া শুরু করছি কারন নীলখেতে ১০০ টাকা কিনে ফেলেই রাখা ছিলো পড়া আর হয় নি। শিরোনামটা পছন্দ হইছে তাই লাগিয়ে দিলাম বইয়ের নামে। বইটা পড়া শেষ হলে একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া হয়তো লেখা যেতো কিন্তু এখন তা আর লিখছি না। তবে অনেকের কাছেই বইটা খুব ভাল লাগছে আমার কাছে লাগবে কিনা জানি কারন ইংরেজী বই আমি টেক্সট আর নিউজপেপার ছাড়া পড়ি না আর চেতন ভগত অরুনদ্যোতি রায় ছাড়া কারো বই মন জয় করতে পারে নাই যদিও বন্ধু অঞ্জন অনেক চেষ্টা করছিলো অমিতাভ ঘোষ গেলানোর পারে নাই। বাংলা বই এখনো হাজারে হাজারে পড়া বাকী তা বাদ দিয়ে পুজিবাদী ভাষা চিন্তা মাথায় নিয়ে আমার সিডনী সেল্ডন বা মারিও পুজো পড়ার আহলাদ জাগে না। প্রতিদিন নিউএইজ কিনে পড়ি, ইংরেজীতে লিখে এক্সাম পাস করি তাই ভালো এরচেয়ে বেশী আর দরকার নাই দেশে থাকলে!
গতকাল জন্মদিন আমার। বয়স সার্টিফিকেটে হলো ২৫ আর এমনি ২৬। যদিও নিজের বোকামীর জন্য আরো ১ কমানো যেতো। আমার হেকমতী ভাইয়া আমার বয়েস স্কুলে দিয়ে রাখছিলো ২০-১-৮৯ চিটাগাং নেভী স্কুল এন্ড কলেজের বুদ্ধিমান টিচাররা তা বানিয়ে দেয় ২০-১২-৮৮। আমি রেজ়িস্ট্রেশন করার ব্রড শীটে ভুল করে দেখলাম ২০-১-৮৮ তাই পুরন করলাম আর কাগজপত্রেও তাই বয়স ১ কমে গেলো। তবে অরজিনালী এক বছর এদিক সেদিক একিই দিনের একি মাসের এইটা কোনো ঘটনা। এখন নেভীর কোনো প্রিন্টেড অফিসার নিয়োগের এড দেখলে দেখবেন এক মেয়ের ছবি স্যালুট দিতেছে। সে আমার ক্লাস মেট ও চেনাজানা একি সাথে ৫ বছর পড়া বন্ধু। তার জন্ম ছিলো ৮৫ তে এক লাফে পল্টি নিয়ে হলো ৮৮ তে কি দারুন কলমের জোর। এই সব সামান্য এক দুই বছর ভেবে কাজ নাই। মোট কথা হলো বয়স থেমে থাকছে না। দিন শুধু চলেই যাচ্ছে সময়ের হিসেবে। এখন বয়সটা নিয়ে আমার খুব টেনশন হতো ইস কবে যে বড় হবো। ক্লাস ফোরে থাকতে সন্ধ্যা ম্যাডাম নামে এক টিচার ক্লাস নিতে সমাজের। তিনি শুধু বলতেন এই বিষয়ে তোমরা অনেক জানবা সেভেন এইটে উঠলে। তখন ভাবতাম কবে যে সেভেন এইটে উঠবো। সেভেন এইটে উঠে মুলা ঝুলানো ছিলো নাইন টেনের। নাইনটেনের মুলা এসএসসির পর। এস এসসির পরে ইন্টারমিডিয়েট হয়ে ভার্সিটি পার শুধু মুলা ঝুলছেই বড় হবার। এখন আর তাই মুলা নাই এখন আছে প্রেশার বন্ধু বান্ধবদের উন্নতি দেখে হতাশ হবার প্রেশার, ভালো চাকরি কেনো পাচ্ছো না তা খুজার প্রেশার, এত সময় নিয়ে মাস্টারস করতেছো ভালো রেজাল্ট না হলে তার প্রেশার সব কিছু মিলিয়ে মনে হয় সেই মুলা ঝুলানোর দিন গুলোই ভালো ছিলো অনেক বড় চিন্তা মাথায় আসতো অনেক বড় হবার স্বপ্ন ছিলো। এখন বলা যায় বড় হয়ে ফ্যাসাদেই আছি নিজের প্রত্যাশা ও মানুষজনের প্রত্যাশার এই দোলাচলে। তবে আপতত ভালোই যাচ্ছে দিনকাল তার ভিতরে আসলো এই জন্মদিন। জন্মদিন পালন করতে হবে এই রুটিন বাবা মা শেখায় নাই। ছোটবেলা থেকেই জানি জন্মদিন পালন কেককাটা কবীর গুনাহর মচ্ছব। তাই আমারো জন্মদিন নিয়ে অতো আদিখ্যেতা ছিলো না কোনো কালেই। তবে বাবা মা ভাইয়া খুব দারুন ভাবে মনে রাখতো এই দিন। পছন্দের খাবার দাবার খেতাম এই করেই কাটতো। তখন খুলনায় বিএনএস তিতুমীর ঘাটির পাশেই এক মিস্টির দোকান ছিলো নাম ঘোষ ডেয়ারী। তার দইটার যা টেস্ট তা বলার না। আমি এখন দই খাই না কারন স্বপ্নে সেই দইয়ের স্বাদ পেয়ে যাই মাঝে সাজেই। জন্মদিনে তখন কমন ছবি এইটাই চোখে ভাসে যে দই খাচ্ছি আমি আর ভাইয়া চামচ দিয়ে। পিরিচ বাটিতে আসার আগেই সেই হাড়িতেই শেষ। যাই হোক আস্তে আস্তে বড় হলাম জন্মদিন নিয়ে বাড়তি কোনো ইচ্ছা শখ নাই। ভাইয়া বই গিফট দিতো তা পড়তাম এই তো আর আম্মু কেক বানাতো খেতাম। বন্ধু বান্ধব কেউ তখন জন্মদিনের কথা খুব একটা বলতাম বলে মনে হয় না। আমার বন্ধু ছিলো বাপ্পী ক্লাস নাইনে থাকতে সে কিভাবে জানি আংকেলের কাছ থেকে অনেক গুলান টাকা পায়। তার জন্মদিন উপলক্ষে সে পোলাপাইনে নতুন হওয়া ফাস্টফুডের দোকান সিজলে ব্যাপক খাওয়াইছে। আমি কোনোদিন খাই নাই কারন আমি খাওয়াই না জন্মদিনে মানুষের জন্মদিনে কেনো খাবো! দিন কেটে গেলো এক মেয়ে বন্ধুর সাথে আমার খুব ভাব ছিলো। সে আমার জন্মদিনে আমাকে খাওয়াতো। আমিও টাকা জমিয়ে বা টিউশনী থেকে মেরে দিয়ে তাকে জন্মদিনে কেক কিনে খাওয়াতাম। সামান্য পেস্ট্রি, চকলেট খেয়েই তার যে উচ্ছাস থাকতো মুগ্ধ হতাম। সেই উচ্ছাস মাঠে মারা গেলো সে এখন এক বিমান বাহিনী কর্মকর্তার স্ত্রী। ঢাকায় এসে ভার্সিটিতে যেয়ে জন্মদিন পালন করা হতো ক্লোজ বন্ধুদের খাইয়ে। বেশীর ভাগ সময় ভেন্যু ছিলো দুপুরে স্টার সন্ধ্যায় কাদেরের চাপ। আমার এই দেদারসে খরচা দেইখা অনেকে সেই দিন অবাক হইতো। কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমি আর কাউকে খাওয়াই না কারন একটা গোলোযোগ হইছিলো বলে। একবার খাওয়াতে ডাকলাম একজন বললো ও থাকলে আমি আসবো না আর মেয়ে বললো এই কথা বলছে তাহলে আমিও আসবোই না। মেজাজটা হলো খারাপ এই দুঃখে দল বেধে খাওয়া বন্ধ। আর তখন আবার আমার এক হুজুর বন্ধু ছিলো সে তো জন্মদিনের খাবার খাওয়াতেই মানা। আমি যত বুঝাই জন্মদিন না এমনি খাওয়াচ্ছি সে তত বলে আমি আজ খাবো না আরেকদিন। এইভাবে দিন যেতে থাকলো। গত জন্মদিনে আমি আর পুলক ভাবছিলাম মাদ্রাসায় খাওয়াবো। যেই ভাবা সেই কাজ টাকা দিলাম এতিম খানায় বাজার করতে। এখন তারা বাজার করছে নাকি পান খাইছে তার মনিটরিং আর রাখি নাই। আমি এক অতি সাধারন মানুষকে চিনি। যার মোটেও সংগতি নেই জন্মদিনে লোক দাওয়াত করে খাওয়ানোর। তাও তিনি ৫০-৬০ লোককে প্রতি বছর মেয়ের জন্মদিনে খাওয়ান। আমাকে দাওয়াত দিলে আমি তাকে হেদায়েতের বানী শুনাই বলি ধুর মিয়া জন্মদিন পালন করা কোনো একটা কাজ হলো এরচেয়ে ছোটো মেয়ে অনেক সময় পড়ে আছে ভালো জায়গায় পড়াতে হবে অনেক খরচ টাকা জমাও। সে বলে মামা আমি যখন কাজী হায়াতের ছেলের সেক্রেটারীর চাকরী করতাম তখন কাজী হায়াত ২৬০০ টাকার কি এক বিদেশ থেকে টিব্যাগ এনে চা খেতো আমার তো অই খায়েশ নাই মেয়ের জন্মদিন তাই সবাইরে একটু খাওয়াই ভালো মন্দ এতো টুকুও আপনারা চান না। আমি তো পড়ি বাটে আমি চাইলেও কি আর না চাইলেও তবে আমি যাই না। এবারো দাওয়াত ছিলো সেই দিন এবির পিকনিক। এবির পিকনিকের কারন বাস ডাকাতের শিকার বন্ধুরে সান্তনা দিতেই যায় নাই আর জন্মদিন খাবো এইটা কোনো কথা হলো।
এখন ফেসবুকে জন্মদিন মনে রাখা সহজ একটা ব্যাপার । সেই কারনে উইশও হয় মেলা গুলা। ফেসবুকের কারনে আমি আর কারো জন্মদিন ভুলি না। তাছাড়া প্রিয় মানুষদের জন্মদিন আমার একটা খাতায় লিখে রাখা। তা মাঝে মধ্যেই উল্টাই আর দেখে রাখি এ মাসে কার কবে। সময় মতো ফোন দিয়ে উইশ করা কোনো ব্যাপারই না আমার। আমার এই গুনে মুগ্ধ কাছের বন্ধুরা। দেখা যায় এক দুই মাস কথা নাই হুট করে তার জন্মদিনের উইশ সবার আগে করে জানাই ফেসবুকের কারনে নয় লিখে রেখে ছিলাম বলেই জানালাম।
এবারের জন্মদিন গেলো ভালোই। আগেরদিন সন্ধ্যা থেকেই মেসেজ আসছে দেখছি রিপ্লাই দিচ্ছি। ফেসবুকে রাত বাড়ার সাথে সাথে উইশ আসছে জবাব দিচ্ছি ভালোই আনন্দ পাচ্ছি। সকালে অনেক ভোরে ঘুম ভেঙ্গে বসে ছিলাম প্রভাতী প্রত্যুষা শুনলাম। কেনো জানি আমার ঘুমাতে ভালো লাগে না জানি না এখন। পিসিতে বসে পত্রিকা তত্রিকা পড়ে নিলাম। চায়ের দোকানে আমাকে দেখে পুলক আনন্দিত। হোটেলে নাস্তা করালো কোনো ভাবেই বিল দিতে দিবে না। হোটেল থেকে ফিরে চায়ের দোকানে। কেনো জানি চায়ের দোকান বিরক্তিকর লাগতেছে আর চায়েও টেস্ট নাই বাসায় আসলাম। আব্বুর ঢাকায় আসার কথা কারন একুশ তারিখে তাদের চিটাগংয়ের অবসর প্রাপ্ত নেভাল পারসনদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। সকালেই আব্বু ট্রেনে রওনা দিয়ে ডাইরেক্ট আমার বাসা। বাসাতে নেমেই আম্মু কি কি খাবার পাঠাইছে তার ফিরিস্তি। মামারে ফোন দিয়া জানানো কোন খাবার কিভাবে সংরক্ষন হবে তার কথা বারবার বলে দেয়া। আব্বু আম্মু ভুলে গেছে যে আমার জন্মদিনের কথা। কিন্তু ভাইয়া ভাবী সকালে বিশাল ফোন দিয়ে খোজ খবর নিছে। আম্মু তা ভুলেও যে গরুর মাংস, মিস্টি, পিঠা, কলিজা ভুড়ি আনছে তা দেখে আমি টাশকি। আমি আর আব্বু মিলে খেলাম ভাত। আব্বু ঘুমালো মামার বিছানায় আমি চেয়ে থাকলাম অপলক আব্বুর দিকে। এই তো কিছুদিন আগেও যখন এলপিয়ারে ছিলো কত ঝরঝড়ে মধ্যবয়স্ক। এই জামালপুরে থেকে আর দাড়ী রেখে হুট করে মনে হয় আব্বুর বয়স বেড়ে গেলো। আমার আব্বু যে পরিমান হ্যান্ডসাম আর পরিপাটী ছিলো তার টেন পার্সেন্টও আমি পাই নি। এই তো কিছুদিন আগেও সাদা রংয়ের নেভীর ফরমাল ড্রেসে আব্বুকে যত দারুন লাগছে এখন ততটাই অনুজ্জল। যাই হোক আব্বু এসেই আমার দাতের দিকে তাকিয়ে বললো চা খেতে খেতে তো দাতের বারোটা বাজাইছিস আমার মতো বয়সে তোর চাপার দাত বাদে আর কিছুই থাকবে না। আমি বললাম তুমি চা খাইতা দিনে একটা পান খাওনা বছরে একটা দিনে ব্রাশ করতা তিন বার। আমি চা খাই এভারেজে ৬ কাপ ব্রাশ করি একবার জন্মের পর থেকে মাড়ি উইক আমার দাত তো ঐতিহাসিক কারনেই একটু মলিন হবে। ক্লাস ছিলো বের হবো আব্বুকে বিদায় দিয়ে গেলাম আব্বু যাবে মিরপুর ১৪ সন্ধ্যাতেই সেখান থেকেই বাসে উঠবে। তার বন্ধুরা টিকেট কেটে রাখছে। চায়ের দোকানে এসে ভাবলাম জন্মদিনের দিন ক্লাসে গিয়ে কি করবো? এরচেয়ে বসে থাকি। আমার এক আদরের চায়ের দোকান ছোটোভাই সাইফ। অনেকটা জোর করে সে আমার ফেসবুকে এড। সে জানছে জন্মদিনের খবর। সে আরেক ছোটো ভাই তানভীর অনিক পাভেল মিলে নিউট্রিয়েন্ট থেকে আমার জন্য আনছে কেক। কেকের গায়ে লেখা হ্যাপী বার্থ ডে শান্ত ভাই। নান্নুর দোকানে পুরা উৎসবের আমেজ। জীবনে অনেক বন্ধুকে কুপারস থেকে কেক কিনে দিলেও কাটতে হয় নাই কখনোই। এবারই প্রথম আমার কেক কাটতে হবে হাত কাপছে আনন্দে এই সব ২২-২৩ বছরের ছোটো ভাইদের ভালোবাসায় চোখে পানি আসার জোগার। শেষে কেক টেক কেটে ন্যাকামির চুড়ান্ত। সবাই মিলে কেক খেলাম। সাধারনত বার্থডে কেক খেলেই আমার বমি আসে এই প্রথম আমি টুক করে গিলে ফেললাম। অতো বড় কেক না কিন্তু সবাই মিলে খেলাম। আমি পোলাপানদের বললাম চলো তোমাদেরকে খাওয়াই তারা বললো কেক কিনে আনছি বলে খাওয়াবেন এই সব বদলাবদলি খানাতে আমরা নাই। কি আর করা খাওয়ানো হলো না। সবাই মিলে শান্ত ভাইয়ের গ্যারেজে চেলসি আর্সেনালের খেলা দেখলাম তারপর বাসায়। বাসায় এসেই মামা গরম করে দিলো আম্মুর রান্না কি টেস্ট গরুর। জন্মদিনের সেরা প্রাপ্তি মায়ের হাতে রান্না এরকম ভাবে খেতে পারা। শেষ হয়ে গেলো জন্মদিন। আজ সকালে খেলাম বাড়ী থেকে আনা জামাল্পুরের মুঠে পিঠা। মামা দারুন করে ভাজলো চরম লাগছে। দুপুরে মামা আমি ভাইয়া ভাবীর দুই বন্ধু লালন ভাই আর কাইয়্যুম ভাই মিলে খেলাম তেহেরী। আমি ব্লগে কি লিখি না লিখি সব কিছুর ফিরিস্তি কাইয়্যুম ভাইয়ের মুখে শুনে টাসকি। আমি আগে জানতাম কাইয়্যুম ভাই ক্যাডেট কলেজ ব্লগের নিবেদিত প্রান ব্লগার কিন্তু এখন দেখি উনি নান্নুর চায়ের দোকান এবির ব্লগারদের নাম হরহর করে ফেলতেছেন। জয়তু এবি। এবিতে এই সব ছাইপাশ দিনলিপি না লিখলে কে আর আমার এইসব জিনিস মনে রাখতো। খেয়েদেয়ে বাসায় যাই দেখি নড়তে পারি না। ঘুমালাম হালকা। বাচ্চু সাহেবের ফাসি ঘোষনা হইছে মনটা টনটনে। চায়ের দোকান এসে ভাবলাম জন্মদিনে তো কিছু খাওয়ালাম না এই রায় উপলক্ষে খাওয়াই। পুলক আর তানভীর যেতে পারলোনা তাদের ছাড়াই আমি আর অনিক সাইফ মিলে নাদিমে সাটালাম গ্রীল লাচ্ছি। বাসায় এসে অল্প ভাত আর আম্মুর প্রেরিত সেই ভুরি। এতো খেয়ে দেয়ে বলা যায় অবস্থা বেশী ভালো না। তানবীরা আপু ক্লোরেস্ট্ররলের কথা চিন্তা করে রিচ ফুড কম খায় আমার তো রিচ ফুড ছাড়া আর কিছু ভালো লাগে না। তবে গলা ব্যাথা আর ঠান্ডায় রেস্ট নেয়া জরুরী কিন্তু আমার তো ঘরে শুয়ে থাকতেই বিরক্ত লাগে। যে জীবনটা এখন পার করছি বলা যায় অসাধারন। ফেসবুকে দারুন কিছু বন্ধু আছে, অনলাইনে এবির মতো একটা দারুন প্লাটফর্মে লিখি যাই লিখি তারই প্রশংসায় আসমানে উঠি আর বাস্তবজীবনে বন্ধু ছোট ভাইরা মা বাবা ভাই ভাবী সবার ভালোবাসায় বলা যায় আদরে আটখানা অবস্থা। দেশ জাতি নিয়ে মেজাজ খারাপ হয় হতাশায় ভুগি কিন্তু তার কিছু সময় পরে মনে হয় আমার মতো সুখী কে আছে? এই নষ্ট ভ্রষ্ট সমাজে উপভোগ করে সময় পার করানোটাও তো কম সৌভাগ্যের না!
শুভ জন্মদিন, সুপ্রিয় শান্ত ভাই।
শুভকামনা বাসি হয় না!
এই পোস্ট ৩ ঘন্টা আগে দিলে কি এমন ক্ষতি হইতো?
আগে জানলে অবশ্যই আইসা জোড় কইরা ট্রিট আদায় কইরা যাইতাম!
দোয়া করি
এখন যে মন টা আছে
এই মন টা নিয়া
হাসিখুশি ইয়েট সফল একটা লাইফ
আল্লাহ আপনেরে দান করুক।
ভালা থাকেন, লাইফের প্রত্যেকটা মুহূর্তের ছোট বড় সব ভালোলাগায়.. <3
থ্যাঙ্কু ভাইয়া। আপনারে সেই অনেক কাল থেকেই ভালো পাই। মন দিয়া পড়াশুনা করে আর পোস্ট দেন। শুভকামনা!
১। আমার একটু গাইয়াঁ গাইয়াঁ বাতিকতো। আমি নিজের সারাউন্ডিং এর লেখা ভালা পাই। অরুন্ধতী এর থেকেও আমার ভাল লাগে ঝুম্প লাহিড়ি। খালিদ হুসাইনীর কাইট রানারও ভাল লেগেছিল। আমার আজকাল ইংরেজি বইয়ের থেকে বেশি ডাচ বই পড়া হয়
২। ফেবুতে জন্মদিনটা অফ করে দিলে মজা দেখবা, কয়জন উইশ করে
কে তোমারে মনে রেখেছে। জানতে যতোদিন না লাগে ভুলে তারচেয়ে দ্রুত। ফেবু জন্মদিন উইশ পুরা ভুয়া খেলা একটা। অনলাইন লাইফ - খেল খতম পয়সা হজম লাইফ
জন্মদিন ভাল কেটেছে জেনে আনন্দিত হলাম। এইতো বয়স আনন্দ করার।
কোলষ্টোরল জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। একজনের কারণে বহুজন ভুগে। জীবন উলটে পালটে যায়। তুমি এখনো সেই ধাপে আসোনি। ধরো একটা বাচ্চা মেয়ে নয়/দশ বছর, চিংড়ি মাছ খেতে খুব ভালবাসে। কিন্তু তার বাবা মা কারো হাই কোলষ্টোরল ধরা পড়ল। তারা আর চিংড়ি কিনে না। মেয়েটি কিন্তু নিজের সংসার না পাওয়া পর্যন্ত চিংড়ি বঞ্চিত। মেয়ে কি দোষে ভুগল বলতে পারো?
যাহোক জীবন আনন্দে কাটুক এই শুভকামনা রইলো।
এতো বিশাল কমেন্ট দেখিয়া সেই দিন সকালে যে মুগ্ধ হইছিলাম। আমি ঝুম্পা লাহিড়ী পড়ি নাই কাইট রানারের নাম শুনছি তাও পড়ি নাই মনে রাখলাম সব। ফেসবুকের জন্মদিন আইসা পাব্লিকের খরচা বাড়ছে আগে যেই সব পাবলিক জন্মদিন চাপায়া যাইতো তারা এখন খানাদানা করায়া ঝাপায়া পড়ে। তাতে আমাদের ভালো। ভালো মন্দ জায়গায় ভালো ভালো জিনিস খাওয়া যায়। ক্লোস্টেরল আসলেই ভাবনার কিন্তু এখন যেহেতু দিন আসে না ভুড়িও হালকার উপরে তাই টেনশন ছাড়া খাই আর কী খাই তাতো আপনি জানেনই!
শুভকামনা মন দিয়া সংসার অফিস ফেসবুক ব্লগে থাকেন!
সুখ দেখতেও সুখ সুখ লাগে
আপনার এই সুখ দেখতেও সুখ লাগে কথাটা পড়ে অনেকেই খোচা মারে। মন খারাপ করে চায়ের দোকানে বসে থাকলেই আদনান বলে আপনার সুখ দেখতেও নাকি অনেকের সুখ লাগে আর আপনি মন খারাপ করে বসে থাকেন
শান্তদা অনেক কথাই বলার ছিলো... বলা হলোনা কোন কথাই, শুধু এতটুকু বলি অসাধারন বললেও কম হবে!!
থ্যাঙ্কস রোমান। স্বাগতম আমার ব্লগে। নিয়মিত আইসেন!
বেশ ভাল
ধন্যবাদ বি মা ভাই আপ্নেও খুব ভালো
ইয়ে মানে আমাদের খাওয়াটা জানি কবে
যেইদিন আপ্নারা খাইতে চান মেনু ভেন্যুতো অইটাই!
শান্ত পোস্ট পড়তে যে ভালো লাগে এটা বারবার কেন বলি!

জন্মদিনে কত কি খাইলা একা একা।
আবারো তোমার জন্য দোয়া, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, শুভকামনা।
আপনারে ভালো লাগার জন্যই এইসব ডেইলী ঘটনা লেইখা পোস্টায়। একা একাই তো খামু ডাক দিলে আপ্নারা তো কেউ আসবেন না। আপ্নে আরো একদিন খাওয়ায়েন
তুমি বুদ্ধিজীবি মানুষ তাই এফবিতে দেখেও উইশ করিনাই। ভাবলাম তোমার কাছে এইসবের কোন দাম নাই। কিন্তু এখনতো দেখতাছি কাহিনী উল্টা। যাই হোক লেখা অনেক ভাল হছে।
লেখায় তো লিখছিই কিন্তু বিশ্বাস করেন সত্যিই ভ্যালু নাই। আমার রিয়েল লাইফ চিটাগাংয়ের কোনো দোস্ত উইশ করে নাই কারন তারা জানে ফোন দিলেই গালি খাবে আমার। ফেসবুকে যারা যারা জানায় তাদেরকে থ্যাঙ্কস দেই কষ্ট করে লিখছে বলে। আপ্নে আগে আমার প্রত্যেক পোস্টে কমেন্ট দিতেন এখন আর দেন না তাতেই বুঝে গেছি লেখার কি হাল!
শুধু জন্মদিন নয়, ভাল কাটুক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ!
থ্যাঙ্কস বড় ভাই। শুভকামনা আপ্নাকেও!
জন্মদিনের শুভ কামনার মিছিলে দেরীতে হলেও সামিল হলাম।
আরে দেরী কোনও ব্যাপার না। ধন্যবাদ আপু!
শুভ জন্মদিন, বরাবরের মতোই দারুণ লেখা
থ্যাঙ্কু মাসুম ভাইয়ের। আপনাদের প্রশংসা পাইলে আহলাদে গাছে উঠি
শুভ জন্মদি্ন

দোয়াখায়ের আরো দিন,
দিন কে দিন!
স্পেশাল দোয়া সময় হলেই করা হবে!
লাইক এ ডায়মন্ড ইন দ্যা স্কাই ? আমার কেন জানি মনে হয়, রিহানার গান থেকে শিরোনাম নেয়া হয়েছ
শাইন ব্রাইট লাইক এ ডায়মন্ড বলে রিহানা যে জান্তব চিতকার দেয়, তা প্রবাসী আধা ইংরেজ আধা বাঙালী প্রজন্মের খুবই ভাল লাগে।
শান্তর জন্মদিনে একটা আস্ত ব্লগ পোষ্ট্ লেখার খুব ইচ্ছে ছিল এবার। জ্বরে মরে আর সেইটুকু ধৈয্য এক করতে পারলাম না। পরে ভাবলাম ফোন দেব। অন্তত ফেইসবুকে উইশ করার চেয়ে ভাল হবে ব্যাপারটা। তাও করা হল না। বেশ ভাল অসুখ ছিল, ৬০ ইউরো খরচ করে ডাক্তার দেখানো লাগছে, অবস্থা সঙ্গিন না হলে জীবনেও ডাক্তারের পিছে টাকা নষ্ট করতাম না, এত বড় কলিজা আমার নাই
শুভ লেইট জন্মদিন শান্ত।
আমার সার্টিফিকেটে আমার বয়স ছমাস বাড়িয়ে দেয়া। কিন্ডারগার্টেনে খুব বাচ্চাকালে ভর্তি হয়েছিলাম। পরে এক ক্লাস লাফ দিয়ে সরাসরি গভট স্কুলে থ্রিতে ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্যে বাসায় প্যাচাল পারা শুরু করেছিলাম, কেননা বড় ভাই পড়ত ওই স্কুলে। একটু বেশী পিচ্চি ছিলাম তাই বয়সটা মাস ছয়েক বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ছোটচাচা ভর্তিফরমে। ওটা আর পরিবর্তন করা হয় নি। ক্লাস নাইনে রেজিষ্ট্রেশনের সময় স্যার সবাইকে একজন একজন করে জিগ্গেস করেছেন কিছু বদলাতে হবে কিনা। সবাই লাইন ধরে বয়স কমিয়েছে। আমার মাথায় সেটা আসে নি। খুব বোকা ছিলাম। ভুল যা হবার হয়েই গেছে।
ছমাস বাড়ানো আজব তো!
তবে আপনে এখনো আমাদের চেয়ে বেশী তরুন খালি বিয়েটা করে মাইর খেয়ে গেছেন। কি আর করা আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই নাকি করে। পোষ্ট দেন নাই ভালো হইছে। থ্যাঙ্কস ভাইয়া ভালো থাকেন আর শরীরের যত্ন নেন!
মন্তব্য করুন