কামাল ভাই, শ্রদ্ধাভাজনেষু!
গত পরশুদিন রাতে বাসায় ফিরে আমার মনটা কোনো একটা অদ্ভুত কারনে খুবই খারাপ ছিলো। হুট করেই আম্মুর কথা খুব মনে হলো। তবে দেশ গ্রামে থাকে ১১ টাতে ফোন দিয়ে বিরক্ত করার মানে নাই সেইরাতে। কি আর করা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম ওয়ারফেইজের একটা গানের একটা লাইন আছে এমন 'এ সবই তো সুন্দর, এ জীবনের আনন্দ/ তার থেকেও সুন্দর আমার মা।' আর তখনি দেখলাম টেবিল পড়ে আছে কামাল ভাইয়ের দেয়া উপহার লিটলম্যাগ 'ধাবমান ৯' যার ট্যাগ লাইনে বলা আছে সাহিত্য আন্দোলনের কাগজ। এবারের বিষয় যার যার মা। মেলার ভীড়ে তা ভালো করে দেখা হয় নাই। খালি একটা জিনিসই দেখছিলাম সলিমুল্লাহ খানের লেখা আছে। ছফা ভক্ত হবার কারনে বাই ডিফল্ট আমার সলিমুল্লাহ খান পছন্দ। যদিও তার বিভিন্ন শব্দের আরবী ফারসী সাধু বাংলা করন আমার পছন্দ না। তাও তার লেখা চিন্তা ভাবনা, রেফারেন্স আমাকে মুগ্ধ করে। আমি এখনো বই মেলার থেকে কেনা বই গুলা পড়া শুরু করি নাই সেভাবে। শুধু মাসুম ভাইয়ের বই, তাতা আপুর বই, আর মোস্তাক শরীফের একটা বই পড়ে শেষ করছি। আর পড়ছিলাম মাহবুব মোর্শেদের গুরু ও চন্ডাল আর নাসির আলী মামুনের আহমদ ছফার সময়। আমি সাধারনত যেগুলা বই পড়ছি তার বাইরে কোনো বই নিয়ে বসি না। কিন্তু মা নিয়ে মন খারাপ গত চার মাস আম্মুকে দেখি না তাই সলিমুল্লাহ খানের লেখা 'মা, মাতৃভূমি ও স্বাধীনতা ব্যবসায়' পড়ার মোহ বাদ দিয়ে পড়লাম প্রিয় লেখক প্রিয় ভাই কামাল ভাইয়ের 'মায়ের কথা বলি'। যে দুর্দান্ত লাগলো বলার ভাষা নাই আমার। এতো সাবলীল ভাষায় এতো সহজিয়ায় উনি উনার মা কে নিয়ে কিভাবে লিখলেন সেই মেধায় আমি বিস্মিত। তার বাল্যকালের স্মৃতি, মায়ের সাথে সম্পর্ক, পদ্মার জীবন, ছোটবেলার গল্প, মায়ের সাথে সমুদ্র পাহাড় দেখার অপরুপ সুখ সবই আমাকে একটা মোহের ভিতরে ঢূকিয়ে দিলো। সব মায়েরাই অসাধারন কিন্তু সব সন্তানরা নিশ্চই কামাল ভাইয়ের মতো এতো দারুন লিখতে পারে না। আর কখনো জানাতেও পারে না সে কথা। তবে তারপরেও আমি কামাল ভাইয়ের চেয়ে ভাগ্যবান কারন এখনো আমার মায়ের বয়স পঞ্চাশের একটু উপরে। দিব্যি সুস্থ আছেন আর আমাকে নিয়ে হতাশায় ভুগতেছেন। তবে আমি লাকি এই কারনেই যে চাইলেই আমি মা কে দেখতে পারি। তিনি ১৭৫ কিলোমিটার দূরে থাকলেও তার স্নেহ আমি টের পাই প্রতিমুহুর্তে। কামাল ভাইয়ের লেখা পড়ে আমার নিজেকে ধন্য মনে হলো। কারন কামাল ভাইয়ের তার মাকে দেখতে পাবে না কোনোদিনও। স্পর্শ পেতে হলে সেই ফাকা বাড়ীটার পাশে বেলী ফুলের দেয়া কবরটার ধারে বসতে হবে। এই যে বুক হাহাকার কষ্ট এই কষ্ট সবাইকেই পেতে হয়তো হয়, কিন্তু এখন যেহেতু ভাইয়া পাচ্ছে তাই উনার জন্যই আমার চোখে পানি এসে গেলো। নিজের মায়ের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে গেলো আরও।।
লেখকরা আসলে যেমন পাঠক আশা করে আমি আসলে তেমন না। আমি অনেকটা সেই পাঠকদের মতোই যারা মোটা দাগে বলে যায় ভালো লাগছে নাকি ভালো লাগে নাই! কিন্তু আমি অনেক লেখা পড়ে এখন অনেক প্রশ্ন, অনেক ভালো লাগা খারাপ লাগা বিষয় তৈরী হয় কিন্ত তা বলতে পারি না। আসলে একাডেমিক সমালোচনা বা আলোচনা আমার মাথায় আসে না। এই যে এবারের বই মেলায় কামাল ভাইয়ের সব বইই কিনলাম আর দুটা গিফট পাইলাম কিংবা গত চার পাচ বছর ধরে ঈদ সংখ্যা বলেন আর যেখানেই লেখা দেখি তাই কিনি, এই ভালো লাগার বা এতো ভালো লাগার কারন একটাই আহমদ মোস্তফা কামালের লেখা আমার ভালো লাগে। যাই লেখুক তাই ভালো লাগে এইটা আমার মতো স্বল্প বুদ্ধির পাঠকের ব্ল্যাংক চেক। এই ব্ল্যাংক চেকের শুরু সামহোয়্যার ইনের আমলে। কামাল ভাই কি মনে করি জানি তখন ব্লগে সময় দিতো। তখন আমার কাছে পুরুষ্কারের প্রতি একটা ভালোবাসা ছিলো। পুরুস্কারকে মুল্যায়ন করতে ভালো লাগতো। কামাল ভাইয়ের তখন প্রথম আলোর এক পুরুষ্কার পাইছে গল্পের জন্য। আমি ভাবছিলাম আমি কেনো পড়তে পারবো না! আজিজে গিয়ে কিনে আনলাম বইটা। কেনো জানি বইটা খুব বেশী ভালো লাগে নাই। হয়তো বুঝতে পারি নাই। তা যাই হোক লেখককে তো চিনলাম। তার কিছুদিন পরেই উনার সামহ্যোয়ার ইনের পাতায় একটা ওয়েব সাইটের ঠিকানা দেখলাম। ঢুকলাম। দেখলাম অনেক লেখা কত সুন্দর ভাবে দেয়া। পড়লাম আগন্তুক উপন্যাসটা। কি যে অসাধারন লাগছে! আমি কোনো কালেই পদ্মার এমন রুপ বা নদী দেখি নাই। কিন্তু প্রত্যেকটা কথা খুব দারুন ভাবে ফিল করলাম। নেভাল একাডেমী বা পতেংগা সীবীচের পাশে যে আমার কিশোর বেলা কাটছে সেই দিনগুলোর কথা শুধু মনে হচ্ছিলো। ব্লগে লেখককে তা জানালাম এবং আজিজ থেকে কেনার ইচ্ছা পোষন করলাম। উনি খুবই সুন্দর ভাবে বললেন হয়তো আজিজে পাবেন না। আসলেই তাই আজিজে পেলাম না। আমার তখন বাসায় প্রিন্টার আছে। ভাইয়াকে বললাম। ভাইয়া তখন অল্প টাকার চাকরি করে। কাগজ কালির ওতো বিলাসীতা নাই। কিন্তু ভাইয়া কত অসাধারন যে দোকান থেকে প্রিন্ট না নিয়ে, নিজেই বাসায় প্রিন্ট দিয়ে দিলো। আর বললো "চাইলে অফিস থেকে প্রিন্ট দিয়ে কাগজ কালি খরচ বাচানো যেতো কিন্তু তোর এই পড়ার প্রতি ভালোবাসার সম্মান জানালাম"। আমি মুগ্ধ হইছিলাম দারুন। যাই হোক তার পর বই মেলা আসে কামাল ভাইয়ের যত বই সবই কিনি। অন্ধ জাদুকর বইটা আমার সব চাইতে প্রিয়। এই বইটা পড়ে আমি এতোই মুগ্ধ হইছিলাম যে বারবার পড়ে তা প্রায় মুখস্থের পর্যায়ে ছিলো। এখন অবশ্য সেভাবে মনে নাই। কারন সবাই তো আর কামাল চৌধুরীর মতো লাকি না যে উনার কবিতা মুখস্থ রাখবে। এছাড়াও কামাল ভাইয়ের বই আরও যা আছে সংশয়ীদের ইশ্বর, কান্না পর্ব, অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না বলে, বিভিন্ন ইদসংখ্যার উপন্যাস, উনার সম্পাদিত বিসাকের বই গুলান সব আছে বাসায় সব কিনে পড়া। আমার এক মামা আছে যিনি খুব বড় পাঠক নানান বইয়ের, এখন একটা কলেজের লেকচারার। রাজশাহীতে থাকতে একটা লিটলম্যাগে নিয়মিত গল্প লিখতো, উনি একবার বলছিলেন বাসায় এসে যে ' বাসাটারে তো পুরা আহমাদ মোস্তফা কামালের বইয়ের গোডাউন বানায় ফেললা '। এই টিপন্নী মার্কা কথাটাও আমার খুব ভালো লাগছিলো কারন কয়জন পারে এরকম এক লেখকের বই কিনতে?
এবির আমলে আমার পোস্ট দেয়ার দিন শুরু। অজস্র দিনলিপি লিখে গেছি। কিছু মানুষ তো পড়ে, ভালো লাগে বলে, এই ভেবেই। লেখা ইচ্ছা করলেই লিখে ফেলি সাত পাচ না ভেবে। কারেন্ট যাওয়ার ভয়, পিসি হ্যাং নানান কারনে লেখাগুলান খুব তাড়াহুড়ায় লেখতে হয়। সেই কারনেই বানান ভুল যতি চিন্হ এসবে মারাত্মক সব ভুল হয়। এবং তা হচ্ছেই। এসব নিয়ে আমি ভাবতাম না আগে। এখন ভাবি কিন্তু কাজ করি না। কারন লেখাটা পোস্ট হিসাবে দেওয়াই আমার টার্গেট। যেমন সকাল থেকে এই পোস্টটা লিখছি প্রায় দুইবার যখন শেষ তখন দুইবারই চলে গেলো কারেন্ট। পুরা পোস্ট গায়েব। মন খারাপ হলো না ওতো। কারন আমি জানি আবার লিখতে বসবো যত ভুলই থাকুক। এই এবির সুত্রেই এবারের বইমেলার শুরুর দিকে কামাল ভাই একদিন আমাকে বুঝালো যতি চিন্হের ব্যাপারে আরো অনেক সতর্ক থাকতে। এতো স্নেহ ঢেলে উনি কথাগুলান বলছিলেন আমি মাথা নিচু করে শুনছিলাম। অনেকদিন পরে মনে হলো আমার ভাইয়া বিদেশ যাবার সময় বাসা থেকে নেমে আমাকে কিছু কথা বলতো আমি মাথা নিচু করে শুনতাম সেরকম। আমি ভাইয়ার সাথে কখনোই এয়ারপোর্টে যেতাম না কারন তীব্র মন খারাপে কান্নাকাটি করতে পারি তার চেয়ে বাসাতেই থাকা ভালো। অনেকদিন পর কামাল ভাই যখন আমাকে বলছিলেন তখন আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলার সেই সময়ে ফিরে গেলাম। এই স্নেহ মোটেও ঠুনকো কিছু না। বইমেলায় উনার সাথে দেখা হলেই উনি আমাকে বই কিনে দেন উদ্যোগ নিয়ে। আর জিগেষ করবেন এটা পড়ছো? ওটা পড়ছো? তবে আমি মুগ্ধ হই উনার বই চেনার চোখ দেখে। তিনি খুব অসাধারন ভাবে বই কোনটা ভালো-কোনটা খারাপ চিনতে পারেন। কোনটা পড়া জরুরী তাও বলে দেন। আমি নিজেও চেষ্টা করি উনার এই চেনানোর কথাগুলান লোকজনকে জানাতে। তাই সাধ্য অনুযায়ী তেমন কিছু বইও নিজে কিনছি বন্ধু নুরকেও কিনে দিছি। আমি প্রতিদিন মেলা থেকে ফিরি ভাবি ইস যদি অনেক টাকা থাকতো আর কামাল ভাইয়ের বই চেনার আএ অনুধাবন করার চোখটা পেতাম তবে দারুন হতো। তবে সব স্বপ্নই অমুলক। তাই ওতো ভেবে লাভ নাই। কামাল ভাই আমাকে দারুন স্নেহ করেন এই ব্যাপারটার জন্যই স্রস্টার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া!
এই পোষ্টটার লিখতে যেয়ে আমার ছয়ঘন্টা লাগছে। এতো সময়ে উপন্যাস লিখে ফেলা যায় আর আমি লিখলাম একটা যুতের না এমন পোস্ট। তাও দুইবার কারেন্ট যাবার পরেও যে আবার শুরু থেকে লিখতে পারছি বিরক্ত না হয়ে তাতেই আমি আনন্দিত। এই পোস্টটা নিবেদন করলাম জ্যোতি আপুকে। উনার মায়ের চোখের অপারেশন। আন্টি খুব নার্ভাস। খোজ নেয়া হয় নি আর। ভালো থাকুক মা মেয়ে!
একজন উঁচুমানের লেখক এবং সহৃদয় ব্যক্তিকে শান্তর অসাধারণ-সাবলীল লেখনিতে নতুন পরিচয়ে চিনলাম যেন। যদিও উনার এই পরিচয়গুলো অনেকটাই জানা ছিল। এবার কামাল ভাই-এর লেখা নতুন-পুরনো অনেকগুলো বই বেরিয়েছে। শক্তিমান এই লেখক এখনই বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট একটি চরিত্র, তিনি আরো অনেকদূর যাবেন এটা সহজেই অনুমান করা যায়...।
জয়িতার আম্মা, আন্টির জন্য অনেক শুভকামনা।
এমন সব কথা বললেন, নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছে না ; কানে শুনলে কানকেও বিশ্বাস হতো না! অনেক ধন্যবাদ সহৃদয় মন্তব্যের জন্য।
কি বলেন ! একটা কথাও তো বাড়ায় বলি নাই
আপনার সহৃদয় উপস্থিতির জন্যও ধন্যবাদ
না, মানে, আপনার মুখে এই প্রথম নিজের প্রশংসা শুনে একটু ঘাবড়ে গিয়েছি আর কি!
কামাল ভাই এর জন্য শ্রদ্ধা।
জ্যোতিপুর আম্মুর জন্য শুভকামনা।
আপনার জন্য ভালোবাসা..
ধন্যবাদ বিষণ্ন।
কত ভালোবাসা, শ্রদ্ধা নিয়ে লেখা কত কত কথা। তোমার লেখাই এমন যে ফিল করা যায় অনুভূতিটা। কামাল ভাই এর ভালোবাসা এমনই বহমান থাকুক।
পোষ্ট আমাকে উৎসর্গ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চোখে পানি চলে আসছে। কয়দিন ধরে চোখ ভরা পানিতে তাই হয়ত আরো ভরলো। দোয়া করো জানি। তবু বলি দোয়া করো। কখনো বাবা-মায়েরা সন্তানের মত হয়ে যায়। বাবা-মায়ের কষ্ট থাকলে পৃথিবী অর্থহীন লাগে। আমার মা যে কষ্ট পাচ্ছে বুকের ভেতর মুচরে ধরে যেন।
বাড়ী যাও। মাকে দেখে আস। থেকে আস কয়েকদিন। ভালো লাগবে।
আর সবাইকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, গভীর ভালোবাসার একটা লেখা। শান্তকে ধন্যবাদ দিলেও যথেষ্ট হয় না।
আন্টির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
যাদের মা আছে আরো বহুকাল মায়ের কাছে থাকুন, থাকার সুযোগ ঘটুক, দীর্ঘায়ু পান মায়েরা, সুস্থ ও কল্যাণকর জীবন হোক তাঁদের। অনেক শুভকামনা।
একজন উঁচুমানের লেখক এবং সহৃদয় ব্যক্তিকে শান্তর অসাধারণ-সাবলীল লেখনিতে নতুন পরিচয়ে চিনলাম যেন। যদিও উনার এই পরিচয়গুলো অনেকটাই জানা ছিল। এবার কামাল ভাই-এর লেখা নতুন-পুরনো অনেকগুলো বই বেরিয়েছে। শক্তিমান এই লেখক এখনই বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট একটি চরিত্র, তিনি আরো অনেকদূর যাবেন এটা সহজেই অনুমান করা যায়...।
কপিপেস্ট
কি যে আবেগ দিয়া লেখা হইছে!
শান্তরে ধুমধাম এই মনের কথাগুলা জানা দিয়া যাইও!
কামাল্ভাই'র কাছে কয়টা যেন বই জমছে! খালি নেবার বাকি!
কাউকে কাউকে সেধেও বই দেয়া যায় না! পাষাণ নারীজাতি!
সাক্ষাৎ গিয়া উপস্থিত হইলাম, তাও এমন বানী শুনি!

থাক, আমাদের আছে রকমারি, অনলাইনেই বই কিনি!
চোখে পানি আসার মতই লেখা
হ্যাঁ, সত্যিই।
কামাল ভাই এর জন্য শ্রদ্ধা।
জ্যোতিপুর আম্মুর জন্য শুভকামনা।
তোমার জন্য ভালোবাসা..
ধন্যবাদ তানবীরা
অসাধারণ সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। বাংলা সাহিত্যে কামাল ভাই বহুদূর যাবেন।
শান্তর মতো একটা ছোট ভাই পাওয়াটাও অনেক আনন্দের।
দ্বিতীয় লাইন পড়ে ধন্ধে পড়লুম!
শান্তর মতো ছোট ভাই পাওয়াটা সত্যিই অনেক আনন্দের।
আমাদের প্রিয় কামাল ভাই
আবারো খুব ভাল একটা লেখা পড়লাম, শান্ত।
কামাল ভাইয়ের লেখার সাথে আমারও প্রথম পরিচয় ‘আগন্তুক’ এর মাধ্যমে, তারপর থেকে আমিও ভক্ত।
অনেক ধন্যবাদ নিভৃত স্বপ্নচারী
শান্তর আবেগটা বরাবরই সরল ও বিশুদ্ধ। প্রকাশটিও তীব্র। খুবই আটপৌরে ভাষায় সে তার ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেয় দ্বিধাহীনভাবে, নিঃসংকোচে। ব্লগে যেমন, ফেসবুকেও তেমনই - কারো কোনো তোয়াক্কা না করে নিজের মতামতটি খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে এতটুকু দ্বিধা করে না সে। কে কি ভাবলো, কে কি মনে করলো - এইসব নিয়ে জটিল চিন্তায় নিমগ্ন হওয়ার মতো মানুষই নয় শান্ত! এত সহজভাবে যে মনের কথা বলতে পারে, তার হৃদয়ের শুদ্ধতা নিয়ে কোনো সংশয় থাকে না।
সামুর কথা মনে পড়লো। ভার্চুয়াল চরিত্র নিয়ে কী যেন একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, কোনো এক শান্ত এসে জিজ্ঞেস করেছিল - তাকে আমার কেমন মনে হয়? (এই শান্ত আর ওই শান্ত কি একই মানুষ?) আমি বোধ হয় উত্তর দিয়েছিলাম - 'অশান্ত মনে হয়?' - 'কেন?' - উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেছিলাম, - 'শান্ত নামের কোনো ছেলেকে আমি আজ পর্যন্ত শান্ত হতে দেখিনি!' (মনে পড়ে, শান্ত?)
আমাদের শান্ত ব্যক্তিগত জীবনে নম্র-বিনয়ী-ভালোমানুষ। কিন্তু ভেতরে তীব্র- অশান্ত-প্রতিবাদী। এই ছেলেটিকে এই সব কারণে, এবং আরো বহু অকথিত কারণে এত স্নেহ করি আমি।
লেখাটি পড়ে যে এত তীব্র আবেগ দেখাবে শান্ত, বুঝতে পারিনি। কিন্তু এই পাঠ-প্রতিক্রিয়াটি পড়ে মনে হলো - এরকম একজন পাঠকের কাছেও যদি পৌঁছানো যায় একটা লেখা নিয়ে, তাতেই স্বার্থক হয় সেটি।
অনেক ধন্যবাদ শান্ত।
ধন্যবাদ ভাই এতো বিশাল কমেন্ট করার জন্য। কিছু বলার নাই। পোস্ট খুব তাড়াহুরায় লেখা তাও যে নানান মানুষের যে এতো পছন্দ হইছে তাতে আমি একটু অবাক। তবে প্রাপ্তির ভিতরে সেরা প্রাপ্তি আপনার এই দারুন মন্তব্যটা। আপনার বই নিয়ে লিখতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু কেবল পড়া শুরু করছি! আর আগের মতো সেই ফুলফর্মে বই পড়তে পারি না। লিখবো আপনার বই নিয়ে নিজের মতো করেই। ভালো থাকবেন ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। দিনগুলো একঘেয়ে না কাটুক!
মন্তব্য করুন