মে দিবস মেজাজ খারাপের দিবস
মে দিবস আসলেই আমার শুধু ফকির আলমগীরের গানটার কথা মনে পড়ে। গানটার শিরোনাম ছিলো সম্ভবত নাম তার ছিলো জন হেনরী। কলকাতাতেও এক শিল্পী গান টা দারুন গায়। গানটা লিরিক তো না যেনো একটা রচনা। সেই রচনা আর শব্দে ভরপুর গানটা আমি আমার বন্ধু ফখরুদ্দিনকে বলছিলাম এক দিন সময় দিলাম গানটা পুরাটা মুখস্থ করে শুনাবি ১০০ টাকা পাবি। সে একদিনে পারে নাই তিন চার দিন লাগায়ছিলো। মুখস্থ করে গাওয়ার সময় আটকে গেছিলো। তাও তাকে ১০০ টাকা দিছি। কারন এই গান মুখস্থ করে গাওয়া সহজ কাজ না। তাই এই দিনটাতে আমার এই গানটার কথাই মনে পড়ে। সেই কবে কোন রেল সুরঙ্গ খোদাই শ্রমিক হেনরীর দুর্ভাগ্যময় মেশিনকে হারিয়ে দেবার জেদের সাথে বাংলাদেশের লাখো লাখো শ্রমিকের জীবনের সাথে মিলে যায় এমনিতেই । বাংলাদেশের যেকোনো কল কারখানা বা প্রতিস্টানের শ্রমিকের জীবন কতও নির্মানবিক দিন যাপন তা বুঝার সাধ্য আমাদের নাই। কারন শ্রেনী দৃষ্টিভংগী একটা বড় ব্যাপার। আমি আপনে সারাজীবন শ্রমিকদের সাইডে থেকে আহাজারি করতে পারি কিন্তু কোনো দিন বুঝবো না গতর খাটা এই সব মানুষদের অজস্র টানাপড়েনের ইতিহাস। তাই আমি মে দিবসে একদিনের জন্য শ্রমিকদের মহান বানাই না। কারন মহান জীবনে এতো ক্লেদ কষ্ট দরিদ্রতা থাকে না। তবে বাংলাদেশের মানুষরাই অসাধারন। এই মর্মান্তিক জীবনটাকেও তারা হাসি আনন্দ প্রেমে ভরাতে জানে। তাই তো এখনো এখানে মানুষ বাচে। এত আকস্মিক হত্যা মরন দুঃখ দুর্দশার ভেতরেও মানুষ টিকে থাকে তা আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। এই নেয়ামত হেলিকপ্টার শফি সাহেবদের কারনে না। এই নেয়ামত শ্রমে ঘামে রক্ত পানি করা মানুষদের জন্য নিয়ামত।
মোহাম্মদপুর আল্লাহকরিম সুপার মার্কেটের পাশে তিন তলা জুড়ে বিশাল গার্মেন্টস। সেই বিল্ডিংয়ে দেখা গেছে ফাটল। তিন চার দিন ধরে ফ্যাক্টরী বন্ধ। পুরা জামিয়া আরাবীয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়ে যে রাস্তা মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডকে সংযোগ করছে তা বন্ধ। তাই প্রতিটা সকাল এখন পুরা এলাকায় খালি জ্যাম আর জ্যাম। সাভারের ডামাডোলের কারনে মালিকরা ফ্যাক্টরী খোলার সাহস পায় না। তাও প্রতিটা দিন হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে রোদের ভিতরে। এরকম শ্রমিক সারা দুনিয়াতে বিরল যে অফিস বন্ধ তাও যদি শুরু করে এই ভেবে প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকা। কী এক ভয়াবহ একেকটা সকালের অপেক্ষা তাদের। আমি এমন একজন শ্রমিককে চিনি যিনি আমাকে বলছিলেন। কেবল ফাটল ধরছে হেলে তো পড়ে নাই কাজ করাই যায়, বেতন দরকার। হায়রে বেতন! সামান্য কটা টাকার জন্য মরন বাচা তুচ্ছ তাদের কাছে। আর মাসের হাত খরচ একটু দেরীতে আসলেই আমার নাভিশ্বাস উঠে যায়, মনে হয় এই অভাব আর শেষ হবে না কোনো দিন। এতো সামান্য সাময়িক অর্থকষ্ট তাই সহ্য হয় না। তাও কাজের কাজ কিছুই করি না। অহেতুক সময় নস্টের বিলাসী দিন যাপন। চায়ের দোকানে চাপা পিটায়া দেশ উদ্ধার করি। ধিক এই জীবনকে!
মে দিবস নিয়ে আমার দুই বছর আগে সাপ্তাহিক বুধবারে একটা লেখা ছিলো। লেখাটায় আমি বলছিলাম গার্মেন্টস মালিকদের বিত্ত বিলাস আর শ্রমিকদের অনটনের দিনযাপন নিয়ে। দুই বছর পরে অবস্থা আরো ভয়াবহ। বৈষম্যের চেয়ে এখন বড় সমস্যা কর্ম পরিবেশ ও নিশ্চয়তা। পলিটিক্যাল আনরেস্টে এমনিতেই শ্রমিকদের উপর প্রেশার বেশী তার ভেতরে এখন জান প্রান নিয়েই টানাটানি। এতো টানাটানির ভেতরে দেশে ভালো থাকার কিছু নেই। তাও গড়পড়তা শহুরে মানুষেরা ভালোই আছে। শামসুর রাহমানের ভাষায় বলতে গেলে মনে পড়ে যায় খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুমাচ্ছি চকচকে ব্লেডে শেভ করছি। মনে পড়ে গেলো এক মজার কথা। আগের রাতে শামসুর রাহমান মারা গেছে। তখন আমি সারাদিন টিভি দেখি। পরের দিন সকালে আব্দুল মান্নান সৈয়দ আসছিলেন চ্যানেল আই তে। অনেক দর্শকের খালি প্রশ্ন। শামসুর রাহমান কি ইসলাম মানতেন? তিনি কি নাস্তিক ছিলেন? এখন দেশটার অবস্থা এই- কাউকে খারিজ করে দেবার একমাত্র উপায় আস্তিক নাস্তিক ধোয়া তুলে তাকে প্রথমেই ঘায়েল করে দেয়া। বিষয়টা আওয়ামীলীগ বিএনপি যে তথাকথিত বিভাজন তা হলেও মানা যাইতো। কিন্তু ৪২ বছর ধরে স্বাধীন একটা দেশের এই সময়ে এসে হিন্দু মুসলিম নাস্তিকদের নিয়ে পড়ে থাকবে এর চেয়ে মর্মান্তিক বিষয় আর হতে পারে না।
এবার দিনলিপি নিয়া লিখি। তার আগে বলে নেই আজ সকালে আমার মনটা খুব খারাপ। শাপলা আপুর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে। দেশে ফিরে আসাটাকে উনার কাছে এখন খুব বাজে সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে। সকাল সকাল হেটে এসেই ফেসবুকে তার কারন জানলাম। আসলেই এই দেশে থাকতে থাকতে আমাদের অনুভুতিগুলো খুব ভোতা হয়ে যাচ্ছে। তাই কত কিছু মেনে নেই সহজেই। কিন্তু বিষয় গুলা এতো সিমপ্লী জঘন্য বিষয় যা মানতে অনেকের জন্যই খুব কষ্ট। আমরা লজ্জিত আপু। এই দেশটা এরকম জঘন্য ছোটলোকদের। তার ভেতরেই আমরা পালিয়ে বাচি। যে দেশপ্রেমের চুড়ান্ত করে আপনি এই দেশে থাকতে আসছিলেন। এরকম আচরন পাচ্ছেন তার বদলে তার জন্য আমরাই লজ্জিত খুব।
মে দিবসের দিনটা গেলো খারাপ না। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। নিজের কোনো অফিস নাই তাও ছুটির দিনের সকাল ভালো লাগে খুব। হাটতে বেরিয়েই দেখি পুরা জিয়া উদ্যানে হাজারে হাজারে মানুষ। এক দিনের ব্যায়ামওয়ালাদের ভীড়ে এলাকা মুখরিত। একা একাই হাটলাম কানে অনুপমের গান শুনতে শুনতে। গানের শিরোনাম আমি আজকাল খুব ভালো আছি। খারাপ আছি তাও মনকে সান্তনা দেয়া যে ভালো আছি। গান শুনতে শুনতে একজন দেখি আমার দিকে তাকায় আছে। চিনতে পারলাম আপুটাকে। দুই তিন বছর আগে কি কারনে জানি কথা হইছিলো। মনে পড়ে গেলো সব কিছুই। উনি সোস্যালোজী তে মাস্টারস করছে ২০১১ তে। আইবিএর জন্য ট্রাই করতেছিলো। উনার জামাই বড় এনজিও অফিসার। উনার সাথে কথা হলো খোজ খবর নিলো। উনি মাঠা থেকে শুরু করে ডাব সব খেলো আর আমাকে সাধতে থাকলো। য়ামি কিছুই খাই নি। খেয়ে দেয়ে উনি শুরু করলো দোড় স্টারট। আমি বসে ছিলাম। কালপুরুষ দা কিসিমের এক মুরুব্বী উনারে দিলো থামিয়ে। আর বলা শুরু করলো এইভাবে ফুট ফেলবা আর দেখিয়ে দেয়ার উসিলায় সামান্য গায়ের দিকেও ঢলে পড়া। আমি সাত সকাল বেলা এই সিন দেখে অবাক। নিজের মেয়ের বয়সী মেয়ের সাথেও কোন কিছিমের লুলামী। আপু না পাইড়া আমারে ডাক দিলো আমার ছোটো ভাই বসে আছে আজ আর দোড় ঝাপ করবো না। থ্যাঙ্কস আংকেল। এতো প্যারা খায়াও দেখলাম আপু স্বাভাবিক। বাংলাদেশের মেয়েদের এই এক দারুন পাওয়ার। খুব মেজাজ খারাপেও খিচ মেরে নরমাল থাকার ভান করতে পারে। আমি আর কি করার আপুর সাথে হেটে হেটে আসলাম। উনার বাসা মারা চায়ের দোকানে তিন রাস্তা আগেই। দাওয়াত দিলাম আসার। উনি আমারে কইলো শান্ত তুমার সিভি দিও। শুনে হলো মেজাজ খারাপ। আমি কি কইছি যে আমার জব দরকার। কিছুইতো করতে পারবে না হুদে আমার রিপুটেশন নষ্ট। আমি বললাম দেখি আপু। মে দিবস উপলক্ষে হোটেল মোটেল সব বন্ধ। ভালো লাগলো দেখে। কিন্তু পেটে খিদা কি আর করা নান্নুর দোকানে গিয়ে খেলাম রুটি কলা। ঢাকা ট্রিবিউন আর আনন্দলোক কিনতে কিনতে বাসায় ফেরা। দেখি মামা নাই। খুব অবাক হলাম। কারন মামা এতো সকালে কোথাও যায় না। শুনলাম মিরপুরে গেছে। যাই হোক গোসল টোসল করে পত্রিকা পড়া শেষে চায়ের দোকানের দিকে যাওয়া। যেয়ে দেখি সবাই চায়ের দোকানে বসে আছে। ভালো লাগলো। আড্ডা হলো। পচানো পচানির খেলা চললো। বাসায় গেলাম বুয়া জঘন্য মুরগীর মাংস রান্না করছে তা খেলাম গোগ্রাসে। সন্ধ্যায় হুলিয়া জারি হলো যে যেতেই হবে আমার আম্মুর মামতো বোনের বিয়েতে। আব্বু আসতেছে জামালপুর থেকে। কি আর করা, বিকালে চায়ের দোকানে গিয়ে পাভেলের সাথে মন ভালো করার চেষ্টা করলাম। মামা আর আমি সেই সন্ধ্যাতেই ধানমন্ডির মেডিনোভার পাশে সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে। গিয়ে দেখি লোকজন কেউ আসে নাই। আগে জানলে আমি এই চান্সে লীনাপুর বাসা থেকে ঘুরে আসতাম। যাই হোক আটটার দিকে লোকজন আসলো। আমার নানু বাড়ীর লোকজনের আনাগোনায় মুখরিত। যা হয় আর কী, রিলেটিভ লোকজন দেখলেই আমার মুড অফ হয়ে যায়। মুড অফ হয়ে বসে থাকা। লোকজন কিছু জিগেষ করলে এন্সার দেয়া এই এতোটুকুই। সবার প্রশ্ন তোমার আম্মু আসলো না। আমি বললাম তাতে কি আব্বু তো আসছে। সাভার ট্রাজেডী তারপর মে দিবস এমন দিনে রিসিপশন আসলেই প্যাথেটিক। প্রচন্ড মেজাজ খারাপ তাও ছবি তুলছিলাম। হাসি হাসি ভান করছিলাম। খানাদানার পর্ব আসলো। মামা খুব যত্ন করে বেরে খাওয়ালো। মামা আসলেই অসাম। আমার সব কিছুতেই উনার খেয়াল। খেয়ে দেয়ে ঘামছিলাম। অথচ খুব বেশী খাই নি। আমি রিচ ফুড খুব পছন্দ করি, কিন্তু বিয়ে বাড়ীর রিচফুড খেতে আসলেই পেইন। মামা খালারা পান খেলো। সব বিয়েতে পানের ব্যাবস্থা আছে কিন্তু চা কফি খাওয়ার ব্যাবস্থা থাকে না। দেখি নিজে তো বিয়ে করার কোনো প্ল্যান নাই। বন্ধু বান্ধবের কোনো বিয়েতে যদি আয়োজনে থাকি তবে অবশ্যই চা কফির ইন্তেজাম রাখবো। আমাকে পেয়ে আম্মুর মামী মানে আমার নানু খুব খুশি। বলে শান্ত প্রতিদিন আমার বাসার সামনে চায়ের দোকানে যায় ভুলেও আসে না। আসলেই তাই ভুলেও যাই না। তাই আমি যাদের বাসায় যাই তারা নিজেদেরকে গর্ব অনুভব করতে পারেন। যে কত আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদেরকে তুচ্ছ করে আপনাদের একেক জনের বাসায় যাই। তাও পাবলিক আমারে আগের মতো ভালো পায় না। রিক্সা দিয়ে চায়ের দোকানে ফিরলাম। ফাকা রাস্তায় রিক্সায় বাতাস খেতে খুব মজা। রং চা খেলাম নান্নুর। রিক্সা দিয়ে আবার বাসায়। এসে দেখি আব্বু বাসায় আসছে, খুশি হলাম। কারন কতো হাই ভোল্টেজ তার নানান আত্মীয়দের বাকী রেখে উনি একদিনের জন্যে হলেও আমার এই নোংরা রুমে অবস্থান নেয়। আর কি হাল হাকিকত তা আম্মুর কাছে রিপোর্ট দেয়। আম্মু সে অনুযায়ী বয়ান দেয় আমাকে। সকালেই চলে গেলো আব্বু। উনার একমাত্র বেয়াইয়ের বাসায়। ভাবীর আব্বুটা একটা অসাধারন মানুষ। আমি খুব কম যাই। কিন্তু তাও তার অসাধারনত্ব বুঝতে সময় লাগে না। আমার আব্বু আম্মুকে তিনি অত্যন্ত ভালোবাসেন। তাই আব্বুর এখন বন্ধু বান্ধবের আড্ডা, নেভীর খোজ খবর নেয়ার চেয়েও ইম্পোরটেন্ট হলো উনার বেয়াই বাড়ী গিয়ে ১-২ দিন থেকে আতিথ্য গ্রহন। যাই হোক আব্বু গতানুগতিক বিএনপি মনস্ক মানুষ। তাও আব্বুর কথা শুনতে আমার ভালোই লাগলো। ধারনা করি এখন উনি একি সংবাদ টিভিতে বারবার দেখে তাই সব মুখস্থ। আমার পড়াশুনার খোজ খবর নিলো। তবে আব্বুর প্রচ্ছন্ন হতাশা খুজে পাই যে আমি কিছু করছি না এই কারনে হয়তো। যাই হোক দিন চলে যায়। আরেকটা সকাল আসে আমি হাটতে বের হই!
এই পোস্ট নিবেদন করলাম শাপলাপুকে। যাই হোক আপু আপনার সাথে আছি। আপনি একা ভাববেন না। যারা ছোটোলোক তারাই এমন আপনি তো আর তা নন।
এই পোস্ট নিবেদন করলাম সামিয়াকেও। আমার একনিস্ট পাঠক পারিবারিক ব্যাস্ততায় আমার লেখা পড়ার সময় পায় না। আর নতুন বিন্যাসে আগের মতো টেক্সট চালাচালি হয় না। তাই খুব মিস করি তাকে। ভালো থাকুক বন্ধু আমার!
শাপলাপুর মন ভালো হয়ে যাক আস্তে আস্তে।
আপনের বন্ধুও ভাল থাকুক।
আমি আপনেরে অলওয়েজ ভালু পাই!
আই নোউ দেট। আমিও তুমারে ভালো পাই। মোবাইলে খোজ নেয়া হয় না খালি। টাইম তো অফুরন্ত মোহাম্মদপুরের দিকে আইসো।
কির আলমগীরের ঐ গানটা আসলেই অসাধারণ! ভাল লাগলো দিনলিপি
ভালো থাকেন ভাইয়া। লাখো লাখো শুভকামনা!
সাবলীল লেখা, যদিও বড় এক নিশ্বাসে পড়ার মত।
থ্যাঙ্কস ব্রো। আপনার লেখাও ভালো!
শাপলারও একসময় সহ্য হয়ে যাবে। যেমন, আমাদের সয়ে গেছে
আমিও আপুকে সেইটাই বুঝাইলাম।। সবাই সয়ে যায় যদি না সইতে পারেন তবে কষ্ট করে এতো দেশ প্রেম দেখানোর দরকার নাই। আরামসে চলে যান!
যারা তিনমাস বা বছর আগে থেকে বিয়ে ঠিক করছে, তারা কি করবে? আবার ডেট ঠিক করলে এমন ট্র্যাজেডী ঘটবে আবার ঘটবে তা কে বলতে পারবে?
এক পোষট দুইজনরে নিবেদনের মানে কি?
আমি ভাবছি কিছুতেই দেশপ্রেম দেখানোর ভুল করবো না
(
দুইজনরে তো নিবেদন করাই যায়। এক কালে সামুতে ১০-১২ জন করে লোককে পোস্ট নিবেদন করার সিস্টেম আছিলো। পোস্টটা লেখার সময় দুই জনের সাম্প্রতিক দিনযাপনের কথাই মনে হয়ছিলো তাই তাদের নাম লেখা।
তবে মে দিবসের দিনে বিয়ে শাদীর রিসিপশন কেমন জানি গোলমেলে। তিন মাস না তারা ১০-১২ দিন আগেই ডেট ফিক্সড করছে!
দেশপ্রেম দেখাই কারন তো আর কিছু দেখানোর নাই!
মন্তব্য করুন