বিষণ্ণ বাউন্ডুলের জন্মদিন ও আমার দিনকাল!
ভেবেছিলাম মোবাইলে পোষ্ট লিখবো না তাও সাহস করে লিখতে বসলাম। মোবাইল হ্যাং করার কারনে পোষ্ট না প্রকাশ করতে পারার হান্ড্রেড পারসেন্ট সম্ভাবনা নিয়েই এই পোষ্ট লিখছি। আড়াই ইন্চির স্ক্রীনে লিখতে গেলে ব্যাপক ধৈর্য তার সাথে চোখের ও হাতের অনেক ব্যাথা সহ্য করতে হয়, অনেকদিন মোবাইলে লিখি না তাই পারবো কিনা জানি না তাও চেষ্টা করি। দেখা যাক কী হয়!
আজ বর্ণ ওরফে বিষন্ন বাউন্ডুলের জন্মদিন ফেসবুকের কল্যানে তা জানা হলো, তার আগে তিন তারিখে রন্টি ভাইয়েরটা আমি জানতাম এমনিতেই। ইদানিং নিজের বাদে আর কারো জন্মদিনের কথাই খুব একটা মনে পড়ে না। এক নিজের আর আপন ভাই ভাতিজি ও ভাবীরটা ছাড়া। আগে খুব ভাল বন্ধুদেরটা মনে রাখতাম এখন তাও পারি না। কেউ এমনি জিগেষ করলে বলতে পারবো, তবে তা উপলক্ষে আগে ভাগে মাসের শুরুতেই প্ল্যান করা আমার মাথায় আর আসে না। আর ফেসবুক এসে সব প্রতিভা নষ্ট করেছে। যারা ডেট শেয়ার করে নাই তাদের জন্মদিনের কথা বেমালুম খেয়ে ফেলা হয়েছে। আর আজাইরা অনেক মানুষকে জন্মদিনে উইশ করা শেখাচ্ছে। এত কিছুর পরেও কিছু পরিচিত বন্ধুর জন্মদিন চাইলেও ভোলা যায় না। রন্টি ভাইয়ের জন্মদিন নিয়ে কয়েক বছরই আমি পোষ্ট দিয়েছি। লোকটারে আমি খুব ভালো পাই সেই সামুর আমল থেকেই। আমার এই ভালো পাওয়া পাওই শর্তহীন ভাবে কাজ করে। সম্পর্কে একটা ব্ল্যাংকচেক দিয়ে দেই। যেমনই হোক সে তাকে তেমন করেই ভালো পাই। তিন তারিখে খুব ব্যাস্ত ছিলাম বাড়ীতে আসা নিয়ে, তাই আর সেদিন পোষ্ট লেখা হলো না। তবে ভুলি নি সেই কথা। টেক্সটে জানিয়ে দিয়েছি। তিন তারিখের দুইদিন আগেই উনার সাথে আমার অনেকদিন পরে কথা হয় মুঠোফোনে। সেদিন আমার আবার পারভীন আপুর বাসায় ইফতারীর কথা তাই আর দেখা হলো না। নয়তো সব ছেড়েছুড়ে রন্টি ভাইকে বলে দিতাম কই আপনে ঢাকার? বলেন, এখনি আসতেছি। কিন্তু আর রন্টি ভাইয়ের সাথে দেখাই হলো না। আর দুই তারিখে বাড়ী আসার ট্রেন সফর তাই চাইলেও পোষ্ট লেখা হলো না। যে একটা দুর্বিষহ সফর দিলাম তার কথা আর নাই বলি! ট্রেন তিনঘন্টা লেইট, রোজার দিন সেই কোন সকালে গিয়ে বসেছিলাম প্লাটফর্মে, কি যে যন্ত্রনা খালি আমি আর আমার এক বন্ধুই জানে এসেমেসে। আমার যন্ত্রনাদায়ক সফরেরের টেক্সট মেসেজে খবরা খবর পেতে পেতে সেই বেচারাও নিশ্চয়ই ক্লান্ত। ইফতার বলতে এক বোতল পানি আর এক কাপ চা খেলাম জামালপুরে স্টেশনে নেমেই। তখনই আবার ঝুম বৃষ্টি। ভাগ্যিস রিকশা নিয়েছিলাম তাই কাদায় পারাতে হয় নি। ট্রেন স্টেশনের এক মাইলের পরেই আমাদের বাড়ী। বাড়ীতে নেমেই অন্ধকারের পালা। কারেন্ট থাকে না মোটেও। সংগে নিয়ে আসা এক দংগল বই কিছুই পড়া হচ্ছে না। রোজার দিন খাওয়া দাওয়া করি মাত্র দুবেলাই। মোটামুটি নিরামিষ দিন বলা যায়। আম্মু আব্বুর সাথে কথাবার্তা বলাই একমাত্র আনন্দ। মোম কিংবা চার্জারের আলোতে এখন আর পড়তে পারি না তাই এত বই আর ঈদসংখ্যা দেখে মায়া লাগে খুব। তার ভেতরে এমনই কপাল অসাবধনতাবশত হেচকা টানে একমাত্র হেডফোন ছিড়লো। এত দাম দিয়ে সেই দিন কেনা। আজকেই দেখলাম ফার্স্ট কারেন্ট থাকলো ভালোই। হয়তো মহিমান্বিত রাত বলেই। ফেসবুকে দেখলাম বিষণ্নর জন্মদিন। তাতে মনটা আনন্দিত হলো খুব। রন্টি ভাইয়ের জন্মদিন বাসী হলো তাতে কি? বিষণ্ণর জন্মদিনে হাত ব্যাথা করে হলেও মোবাইলে একটা পোষ্ট লেখার চেষ্টা করাই যায়। ছেলেটাকে খুব স্নেহ করি আমি। ব্লগে আমার সব আপন মানুষেরাই বড় বড়। তাদের অসীম স্নেহ পেতেই আমি অভ্যস্ত। বর্ণর প্রতি বাইরে বাইরে স্নেহ দেখাতে না পারলেও. ভেতরে ভেতরে কমতি নাই। সামিয়ার গায়ে হলুদে কেউ আসলো না যখন, তখন খুব মেজাজ বিগড়ালো। সাম্পানের বাইরের লনে দাড়িয়ে ভাবছিলাম। শালার ব্লগটাও যেমন, এখানেও তেমন কোথাও কেউ আসে না। বর্ণ আসলো, জম্পেশ আড্ডায় মন ভালো হয়ে গেলো। শাহবাগের সময়েও ছবির হাটে চা খেতে খেতে অনেক আলাপ করা হয়ে ছিল। কিছুদিন ধরে বর্ণের ফোন ধরি না। কারন যখনই ও ফোন দেয় তখনি আমার মেজাজ খারাপ হয়তো অন্য কোন কারনে। মেজাজ খারাপ অবস্থায় আমি বাপেরও ফোন ধরি না। যার হোটেলে এখনও প্রেসিডেন্ট স্যুটে খেয়ে পড়ে বেচে বর্তে আছি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা বিষণ্ণ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মহিমান্বিত এই রাতে ইবাদত করে হাজার বছর বেচে থাকো। সুখে কাটুক দিন রজনী। ভালো বই আর ভালো সিনেমা সমানে পড়তে আর দেখতে থাকো। দারুন সময় যাক এই ব্লগে, এই প্রত্যাশাই করলাম। আর রন্টি ভাইকে জানাই বাসী জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বিশ্বসুন্দরী ভাবীকে নিয়ে অসাধারন সুইট দিন কাটান দেশে বিদেশে। আজ সারারাত কারেন্ট আছে এই খুশিতে অনেক পড়লাম। ঈদসংখ্যা নিয়ে ফিরিস্তি আরেকদিন দিবো আজ বিদায়!
বাহ , মোবাইলেই এত সুন্দর গোছান লেখা ! চমৎকার!! আশা করছি ভাল দিন কাটছে আপনার বাবা মা'র সাথে। অনেকদিন আপনার লেখা না পেয়ে হায় হুতাশ করছিলাম মনে মনে। যাক, লিখলেন অবশেষে। ভাল থাকুন, সুন্দর দিন কাটান। আগাম ঈদ মোবারক রইলো।
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে এবার নির্ঘাত্ প্রসন্ন বাউন্ডুলে হয়ে যাবে, আজকের দিনের জন্য হলেও! ওর জন্য শুভ কামনা
অট: চুপচাপ পড়ে যাওয়ার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ আছে ভাল লাগা আছে। পড়লাম নিজের মত ভাবলাম এরপর অন্য কিছুতে ব্যস্ত হলাম। এ অভ্যাসটা না থাকলে হয়ত আপনার পোস্টে সব সময় আলাপ হত!
মাঝে মধ্যে মন্তব্য পেলে ভালো লাগে ভাইয়া। নিয়মিত যে পড়েন তা তো জানি। সম্ভব হলে নিয়মিত লেইখেন। খুব খুশী হবো
হ!
:')
সব সময় সবাইকে ধন্যা পাতা দেওয়া যায় না,
দেওয়া টা অন্যায় মনে হয়।
তাই এই পোস্ট নিয়ে কিছু বললাম না -
আপনার মত বড় ভাই পেয়েই আমার ব্লগ জীবন সার্থক।
আপাতত, আর কিছুই চাওয়ার নাই।
ওইদিন ফোন দিছিলাম,
কালি ও কলম ছোটগল্প সংখ্যা পাইছেন কি না তা জানতে।
ঢাকায় ফিরা আওয়াজ দিয়েন,
স্টারবাকসের কফি খাওয়ামু নে একদিন!
ভালো থাকেন। অনেক ভালো। সব সময়।
তোমারেও চা সংগে টা হিসেবে বিস্কুট কলা রুটি কেক, চাপ, গ্রীল যা খেতে চাও তার দাওয়াত দিয়ে রাখলাম!
জন্মদিনের শুভেচ্ছা বাউন্ডুলে
ঈদসংখ্যা নিয়ে ফিরিস্তির আশায় রইলাম
দেখা যাক, মোবাইলে লেখতে পারি কিনা। ভাল থাকেন আপু! মিস করি আপনেরে.
ধইন্যা, তানবীরাপু।
শুভ জন্মদিন বিবা
নতুন লেখা কই?
ধন্যবাদ, মীর ভাই।
নতুন একটা গল্প দেন এইবার।
শুভ জন্মদিন বর্ণ। ভালো কাটুক আগামী দিন গুলো।
বিষণ্ণর জীবন প্রসন্নে ভরে উঠুক
মন্তব্য করুন