এইভাবে রাত নামে, শহরে শীতের টান বাড়ছে!
সকাল থেকে ভাবছিলাম হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে। কয়েকদিন আগে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ঢাকা শহর, ৬৬ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে। আমার ভাবনার পয়েন্ট ছিল, মাত্র ৬৪ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন, আমি তো কত অকম্ম মানুষদের দেখি, যারা সত্তর আশি বছর বেঁচে থাকে মূর্খ ও হতাশ জীবন নিয়ে, হয়তো তাঁদেরও বেঁচে থাকতেও ভালো লাগে না। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ কঠিনভাবে জীবনকেই ভালোবাসতেন। আপসোস করে বলতেন, কচ্ছপ নামের প্রানীর আয়ু ৩০০ বছর, আর মানুষ নামের শ্রেষ্ঠ জীবের আয়ু ৫০-৬০, ঈশ্বরের এই ব্যাপার স্যাপার মেনে নেয়া কষ্টের। ছেলের সাথে ছবি তুলতে চাইতেন, কারন ধারনা ছিল ছেলে হয়তো তাঁকে ভুলে যাবে। মৃত্যুর পর সবাইকে জীবিতরা ভুলে যায়। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, কলোনীর শোয়েব নামের এক ছেলের বাবা মারা যায়। প্রায় সমবয়সী সে দুদিন পরেই ক্রিকেট খেলতে আসে। আমি আর আমার বন্ধু আক্তার অবাক হয়ে ভাবতাম, কিভাবে পারে খেলতে যার বাবা কোনোদিন ফিরে আসবে না। আম্মুর কাছে জিগেষ করলাম, কিভাবে মানুষ স্বাভাবিক হয়। আম্মু বললো, মানুষ তো হতে পারে না, আল্লাহ নরমাল বানিয়ে ফেলে- বেঁচে থাকার তাগিদেই। আমিও বড় হয়ে জেনে গেছি, যত বড় মৃত্যু শোকই হোক মানুষ সইতে পারে কয়েকদিনের মধ্যেই। কবি শামসুর রাহমানের এক গল্প পড়েছিলাম সৈয়দ হকের বইতে। সবাই মিলে তারা নৌকা ভ্রমনে, সাতার জানা না জানা নিয়ে তর্ক হচ্ছিলো। তখন কে জানি বলে বসলো, 'এই নদীর সাধ্য কি শামসুর রাহমানের মতো কবির ডুবে যাওয়ার ভার সইতে পারবে?' দুর্ভাগ্য হলো অনেকদিন পর শামসুর রাহমানের এক আদরের সন্তানই পানিতে ডুবে মারা যায়। তাই মৃত্যু ও তারপরে শোক নিয়ে ভাবা নিতান্তই অর্থহীন, যখন সেই অবস্থায় পড়বো তখন হয়তো বুঝে যাবো জীবনের হিসাব নিকেশ। সৈয়দ হকের এক লেখায় বলছিলেন, উনার বাবা মারা যাচ্ছে উনি কিছুতেই শোকের আবেগে ভাসতে পারছেন না, তাঁর লেখক সত্তা বারবার খুটিয়ে দেখছে সব অভিজ্ঞতা, লেখক জীবনই এমনই নির্মম, যে শোকের সময়েও কিছুটা দূরে থেকে সব কিছু দেখে যেতে হয়, আগামী কোনো লেখার জন্য! সলিমুল্লাহ খানের এক উক্তি ছিল, 'প্রত্যেকটা মৃত প্রখ্যাত মানুষের স্মরন সভাই হলো একেকটা শোকের ব্যাবসা, সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষের আলোয় নিজেকে আলোকিত করার লাভজনক প্রচেষ্টা, আমরা যেমন করি 'ছফা ব্যবসা' '।
তবে হুমায়ূন আহমেদ ব্যবসায় চ্যানেল আইয়ের চেয়ে অগ্রগামী কিছু নেই, তাঁদের কাছে অন্য প্রকাশও বেইল পাবে না। অনুষ্ঠান ঘোষক- কবি বলে তাকে ঘোষণা দিচ্ছেন, প্রমো চলছে নির্মাণের কারিগর কিংবা গল্পের জাদুকর, অফিশিয়াল ভাবে পালন করছেন হিমু দিবস, আশিয়ান সিটির টাকায় হুমায়ূন মেলা, হচ্ছে সব বিশেষ টকশো ও সৈয়দ হক ভাই ও আনিসুল হককে নিয়ে হাই ভোল্টেজ তৃতীয় মাত্রা, সেরাকন্ঠের শিল্পীরা গাইবে গানা, এত কিছু আর কে পারবে আগামীতে! সবচেয়ে উইয়ার্ড লাগলো বাচ্চাদের ছবি আঁকার আয়োজন হচ্ছে, সবাই কটকটা হলুদের গেঞ্জী পড়ে ছবি আঁকছে। হিমু তো আমাদের সবারই ভালো লাগে, তবে উনার আসলে ভালো লাগানো উচিত ছিল মিসির আলীকে। তবে যেরকম ভাবে উনি অনেক কিছুই ফরমায়েশী ইচ্ছার কাছে আত্মনিয়োগ করেছেন, সেই একই কারনেই মিসির আলীর পপুলারিটি তাঁর ক্যারেক্টার রঞ্জু কিংবা হাসানদের মতোও হাইলাইট হয় না। শাওনের ডিরেকশনে হুমায়ূন আহমেদের নাটক খুব একটা কনভিন্সিং না হলেও, এখন যা বাজে বাজে সব নাটকের আমল- তার তুলনায় বেটার। আর শাওন অনেক ভালো ও বিচিত্র কাষ্টিং জানেন, যা হুমায়ূন থাকতে ইজাজ-ফারুক-স্বাধীন খসরুতেই আটকে ছিলেন। শাওন মৌটুসি, ওমর সানি, রওনক, স্পর্শিয়া, আগুন, আরো কত অভিনেতাদের দিয়ে ট্রাই করে নাটকে। তবে আমি সময় কাটানোর জন্য হলেও এখন আর সবার 'স্যার' এর বই পড়ি না, পিসিতে ডাউনলোড করা দেড়শো বই আছে উনার, খুলেই দেখা হয় না ফোল্ডারটা। কত বই এখনো পড়া বাকি, পড়তে হবে, পড়ে আছে মেঝেতে পড়ার অপেক্ষায়, সময় কই শুধু টাইমপাসের জন্য পড়া। টাইমপাসের জন্য আড্ডা মারা যায়, বাসায় বসে হিন্দি ছবি দেখা যায়, পিসিতে থাকা টু এন্ড হাফম্যান কিংবা মর্ডান ফ্যামিলী ভাজা ভাজা করা যায়, কি দরকার হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ার। এক কালে যা পড়েছি, এখনো কোন উপন্যাসে কোন ক্যারেক্টার কি করে মুখস্থ বলে দিতে পারবো। কেউ কেউ আমার চেয়ে অনেক কম পড়ে নিজেকে উনার শ্রেষ্ঠ ফ্যান দাবি করে, উনাকে নিয়ে ঝগড়াঝাটি করে। স্বয়ং লেখকই বলে গেছেন, তিনি কালজয়ী কিছু লিখেন না তাঁর চেষ্টাতেও তিনি থাকেন না, তিনি ইচ্ছা হলে লিখেন, পাঠকরা তাঁর লেখা ভালোবাসে তাই তিনি লিখে যান, সেই আয়েই তিনি বিত্তবিলাসী জীবন যাপন করেন। যেখানে তিনি নিজেই নিজেকে তেমন সিগনিফিকেন্ট লেখক মনে করতেন না, সেখানে আমরা আর কি বলবো? তিনি নিজেকে ভালোবাসতেন বলতে একজন পাঠক, যে পাঠক চাইলেই সব কিছু আগ্রহ নিয়ে রাতের পর রাত পড়তে পারে। আমার ধারনা সামান্য 'ব্ল্যাক ম্যাজিক' নিয়ে উনার যা পড়াশুনা তা বাংলাদেশে কারোর নাই।
কি সব লেখা শুরু করলাম, আমি তো চেষ্টা করছিলাম দিনলিপি লেখার। দিনলিপি আর কি লিখবো, সেই পুরাতন কচকচানি আলাপ- বাসা থেকে বের হই না, সারাদিন পিসি আর পড়াশুনা, বন্ধুরা আসে বাসায়, খেলা দেখি- চা খাই- লেকচার দেই। সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হই, হাটি আর হাটি, চায়ের দোকানে বসি তবে চা খাই মাত্র ১ কাপ কারন মন ভালো থাকে না। বন্ধুরা আসে, আমাকে খুব হাসানোর কিংবা আমার মুখ থেকে কথা শোনার আগ্রহ নিয়ে আলোচনা চালায়, আমি উদ্যমী হই না। ভালো লাগে না। এক ইউনির বন্ধু ফোন দেয় সপ্তাহে ১০ বার করে, ধরি না, ভালো লাগে না, এত বিশাল এক মাল্টি ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স কোম্পানীতে চাকরী করে রিলেশন মেইনটেইন ভয় লাগে। সিরিয়াসলি খুব পছন্দ করে আমাকে, আমার সঙ্গ প্রত্যাশা করে, একটা সময় তো আমাদের দিনের পর দিন এক সাথেই কাটছে তাই হয়তো ভুলতে পারে না। তবে আমি ভুলতে পারি, যাদের সাথে মিশতে ইচ্ছা করে না তাঁদের ছায়া থেকেও দূরে থাকি। যাই হোক তাঁকে ফোনে পেয়ে জিগেষ করলাম, 'কিরে তোর ভাই মিরাক্কেলে এত এডাল্ট জোকস বলে আন্টি কিছু বলে না। সে দিলো দারুন ডায়লগ, 'আমার আম্মা আব্বা সন্তানের ইন্টারন্যাশনাল সাফল্যে এতই দিশেহারা যে এডাল্ট জোকসের সর্ব নিম্ন ছ্যাবলামীতেও হাহা করে শুধু হাসতেই থাকে। তারা যে হুজুরের জীবন যাপন করে তা ভুলে যায়। আর আমার ছোট বোন কিছু না বুঝেই, বলে পরশ ভাই কি কিউট ভাবে বলছে সব'। এইটাই আত্মীয় স্বজনরা চায়- সফলতা, আপনি যাই করেন না কেন, ভালো করলেই সবাই আপনার প্রশংসাতেই পাঁচমুখ হবে। তবে আমি ব্যাতিক্রম সফলতা ছাড়াই, বন্ধু বান্ধব আত্মীয়রা আমাকে ভালোবাসে, আমার সামান্য সব গুনের অনেক প্রশংসা কানে ভেসে আসে প্রায়শই।
ক্লাসিক পড়ার দিকে এখন আমার মন। বসে বসে শরৎচন্দ্রের উপন্যাস পড়ছিলাম গত দু তিন ধরে। আমার নানু বেঁচে থাকলে খুব খুশী হতেন, আমার দেখা শরৎচন্দ্রের এক নিখাদ ও নিরীহ ব্র্যান্ড এম্বাস্যাডর হলেন তিনি। তিনি আমার আম্মু মামাদের ছোটবেলা থেকে শুরু করে আমার অবধি সবাইকে শুধু শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের গ্রেটনেস বুঝাতেন। আমি অবশ্য সেরকম গ্রেটফুল নই, শরৎচন্দ্র নিয়ে বসলেই আমার শুধু প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটা বইয়ের কথা মনে পড়ে। সেই বইতে উনার সব উপন্যাস কিভাবে সামন্তবাদী ও হিন্দু প্রাচীন অনুশাসনের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন, সেই বর্ণনায় ঠাসা। তবে ভালো লাগে শরৎচন্দ্রের ভাষা ও মন নিয়ে আবেগের সাগরে অবিরাম বয়ে চলার আখ্যান পড়তে। বিভূতিভুষনও চোখ বুলাচ্ছি। আগে থেকেই পড়া তাও দেখি তাঁর গদ্যের অসম্ভব সুন্দর কারুকাজ। ক্লাসিক পড়ার বিকল্প নাই আমাকে এ কথা সব সময় বলতেন আমার প্রিয় এক ভাই। তবে নিজের লেখার উন্নতির জন্য ক্লাসিক পড়ি না, আমি ক্লাসিক পড়ি সব সময় নিজের সময়ের সাথে সেই সময়কে মেলাতে। লেখা চুলোয় যাক, সবার দ্বারা সব হয় না। আমাকে দিয়ে এইসব ব্লগর ব্লগর আর দিনলিপি ছাড়া আর কিছু হবে না। অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটলো গত দেড় দুই বছরের মধ্যে। যে আমরা বন্ধুর প্রথম পেইজে আমার কোনো লেখা নাই, ছিল না রাতে, এখন আবার দেখছি লেখা আছে পোষ্ট রিমুভ করছে কেউ। অথচ আমার চারটা পাঁচটা করে লেখা থাকতো প্রথম পাতায়- এ প্রায় নিয়ম ফেলেছিলাম গত অনেক দিন ধরে! এমন নয় যে ইচ্ছে করে এমন করছি, লিখতে বসছি কিন্তু কি লিখবো ভেবে পাই না। তাই লেখা হয় নাই। এই পোষ্টটাও লিখলাম কেমন জানি খাপছাড়া, তাও আমি তো এমনি। লেখায় যেমন, নিজের জীবন যাপনেও তেমন!
ক্রিকেটের সময় চলছে- এখন চারিদিকে খেলা। আমি অবশ্য বাংলাদেশের খেলা ছাড়া আর কিছুই দেখি না। মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল দেখতাম, এখন বোরিং লাগে। আর্জেন্টিনার ফাইনালে হারের পর থেকে ছাড়ছি খেলা দেখা। ফুটবল আসলে আমার জিনিস না। আমার ভালো লাগে ক্রিকেট তবে তা এইসব রোহিত শর্মার ২৬৪ এক ইনিংসে করা ম্যাচ না। জীবনে কোনোদিন ভাবি নাই, ২৬৪ রান কেউ একা করতে পারে। ক্রিকেট এখন ভারতের সিরিয়ালের মতো, সব সম্ভব। আর পাকিস্তানের খেলা দেখে তো আরো অবাক লাগে, রুচি ঝালমুড়ির দরে সব ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরী করছে। তবে মাঝে মধ্যে মনে হয়, আসলে আমাদের জীবনটা অনেকটা ফ্ল্যাট পিচের বোলারদের মতো। যে যেভাবে পারছে খালি পিটিয়ে তক্তা বানাচ্ছে আর চার ছক্কা হাকাচ্ছে। তবে দেশে ক্রমাগত সামাজিক ও চলা ফেরার নিরাপত্তা শুন্যের কোঠায় যাচ্ছে। আমার এক পরিচিত বড় ভাই, রাত দশটার সময়ই মেইনরোডে এমন বাজে ভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হলো অবাক হলাম। উনি অনেক চেষ্টা করছিলেন, উনার বাবার শেষ স্মৃতি ঘড়িটা বাচাতে, বিনা বাধায় তিনি সব দিয়েও তা রক্ষে হলো না। আর ফেসবুকে তো শুধু দেখি কত নির্মমতার সব আপডেট। ভার্সিটি গিয়েছিলাম এক কাজে, মানুষে মানুষে জনারন্য, এক লোক আসলো জিগেষ করছে সমানে- জগন্নাথ হল কোথায় কেউ বলতে পারে না। আমি দেখিয়ে দিলাম। এই নিয়ে অবশ্য আমার মনে হয় নাই যে এত বহিরাগত লোকেরা কেন আসবে? যাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে বিশ্ববিদ্যালয় তারা আসুক, প্রেম করুক, জায়গা কই এই শহরে নিরিবিলি কথা বলার। যারা আজ বলছেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ বিনষ্ঠ হয় এমন কিছু হলে ছাত্রলীগ ব্যবস্থা নেয়াটা অন্যায় না। আমি তাঁদের বলি সামনে আপনারাও এই নিপীড়নের শিকার হতে পারেন, তখন আইডি কার্ড দেখালেও মারের হাত থেকে বাঁচবেন না। তাই সিদ্ধান্ত আপনার- কুকুর ঠেকাবেন, নাকি কুকুরের জন্য নিজেও কুকুর হবেন। কে বহিরাগত আর কে ছাত্র ছাত্র তা কুকুর চিনে না, কামড়াতে পারে সবাইকে। যখন ছাত্র নই তখন অসংখ্য দিন আমার কাটছে ঢাকা ভার্সিটির লাইব্রেরীর সামনে কিংবা চারুকলা বা কার্জন হলের সবুজ লনে, ইভিনিং এমবিএ করেছি এরপর, তেমন রেগুলার এই ঢাবির ছাত্র নই, তবে আমার বিন্দুমাত্র কোনো অনুভুতি আঘাত প্রাপ্ত হয় নাই। কারন এই সব প্রতিষ্ঠান অনুভুতি দিয়া হিন্দি ভাষায় চুলের ফায়দা নাই, আমাদেরকে কেউ ওউন করে না, আমরা সব জায়গাতেই সংখ্যালঘু সেই জীবনেই অভ্যস্ত।
এই পোষ্ট উৎসর্গ করলাম আমাকেই। কারন এত বাজে প্যাচাল ব্লগে লেখার টেম্পারমেন্ট যে কই থেকে আসে নিজেই অবাক হই।
বরাবরের মতোই দারুণ পোস্ট।
থ্যাঙ্কস এ লট দোস্ত। তোমাদের তেলের উপরেই বেঁচে আছি!
শান্তর লেখার এই ধরণটা সবসময়ই ভালো লাগে যে, একটা কথা দিয়ে শুরু করে কত কি বিষয়ে বলে যায়!
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে চ্যানেল আইয়ের অতিরঞ্জিত প্রোগ্রামগুলি দেখতেও ইচ্ছা হয় না।
টাইম পাস যখন হয় না, তখন কোন কিছু করেই আমার টাইম পাস হতে চায় না, সময় আটকে থাকে যেন একটা জায়গায়।
ধন্যবাদ আপু। আটকে আছেন কেন এদেশে, বইদেশ যান গা
ভাল লাগল...
মন্তব্য টা উৎসর্গ করলাম ।
আপ্নের পোস্টগুলি পড়লেই মনে হয় আপ্নের সাথে বইসা আড্ডা দিতেছি, এইজন্যই মনে হয় আপ্নের দিনলিপি পড়তে কখনও খারাপ লাগে না।
এইখানে আমার কোনো গুন নাই, লিখতে লিখতে হাত এসে গেছে। তোমার পোষ্ট কই? গান সিনেমা জীবনযাপন কিংবা কবিতা কিছু নিয়েই তো আর লেখো না!
মুভি দেখা হয় কিন্তু গুছিয়ে লেখার মত মন পাই না। আর ইদানিং খুব বেশি ভালো লাগা কোন গানও পাচ্ছি না।
আর আমার কাব্যকথন, ঘুরেফিরে সব একই কথা। আর কত?
পড়ে নিলাম,
ভেরী গুড!
আপনার অধিকাংশ লেখাতেই দেখি আপনি কিছু করেন না, আপনি তো ভাইয়া নিজেই হিমু। শুধু হলুদ পাঞ্জাবী পড়া বাকী
কিছু করি না মানেই অনেক কিছু করি বা করতে হয়। বিসিএস ক্যাডার হয়ে বসে আছি নিয়োগের অপেক্ষায়।
মন্তব্য করুন