ইউজার লগইন

নিতান্তই ব্যাক্তিগত!

রাতে আজকাল ঘুম আসে না। আগে তিনটার দিকেও ঘুম আসতো, এখন তাও আসে না। শরীরের ক্লান্তির সব ঘুম আসে দুপুর কিংবা বিকেলে। বিকেলে ঘুমিয়ে সন্ধ্যা সাতটা বাজিয়ে দেই অনায়াসে। আমার বন্ধু কামরুল ইসলাম সুখী মানুষ। সে বারোটায় ঘুমায়, বিছানায় গা এলানোর সাথে সাথেই নাকি তাঁর ঘুম চলে আসে। আমার এ জীবনে তা কখনোই হলো না, অসুস্থ না থাকলে যত ক্লান্তই হই বিছানার সাথে রীতিমত যুদ্ধ করে ঘুমাতে হয়। এই সমস্যা অনেকেরই। আমার তাঁদের চেয়েও বেশী। তাই বিছানার সাথে যুদ্ধের সময়টুকু আমি বই পড়ে কাটাই, পড়তে ইচ্ছে না করলে মোবাইল নিয়ে গুতাই। ফেসবুক কিংবা ব্লগ দেখি। কথাই তো আছে, যারা মোবাইলে ফেসবুক চালায় তারা শুয়ে পরার আরো ২ ঘন্টা পড়ে ঘুমায়। মাঝে মধ্যেই আমার মাথায় ভাবনা আসে, বেঁচে থেকে লাভ কি? যদি সকাল বেলা না আর উঠতে হতো কি ভালো হতো। তখন দুই ব্যক্তির ছবি মাথায় আসে এক আম্মু, দুই আমার দুই ভাতিজির বড় জন মাহদীয়া। মরে গেলে তো আর এদেরকে দেখা হবে না, দেখা হবে না আম্মুকে যিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় আর মাহদীয়ার বেড়ে উঠা। যদিও বাড়ীতে যাই না পাঁচ ছয় মাস ধরে, মাহাদীয়ার ছবি ছাড়া আর কিছুই আমার দেখা হয় না তবুও কেন জানি মনে হয় এদেরকেই বেঁচে থাকার কারন। আব্বুর কথা বলা যায়, ভাবী ভাইয়াও আসে লিষ্টে, প্রিয় বন্ধুরা যারা খুব ভালোবাসে আমায়, কিন্তু বেঁচে থাকার কারন হয়তো এই দুইজনই। তবে বলা সহজ, সিনেমা তে প্রেমিকরাও বলে তোমার জন্য মরতে পারি, কিন্তু মরতে বললে আসলেই পারবে কিনা তা আমাদের অজানা। কারন সবাই সবার জীবনের ব্যাপারে সেলফিস।

মা দিবসে মা নিয়ে আদিখ্যেতা করার জন্য এই পোষ্ট লিখতে বসি নাই। লেখার কারন টাইমপাস। ঘুম আসছে না। চা বানালাম, চা পান করতে করতে লিখছি। আমার চায়ের নেশার ঘোর বিরোধী ছিল আম্মু। বলতো ছোট মানুষ এত চা খাওয়ার কি আছে? আমার আব্বু আম্মু চা খায় একদমই মাঝে সাজে। তখন আমি চা বানিয়ে খেতাম বেলায় বেলায়। আম্মু বেঁধে দিয়েছিলো সকাল সন্ধ্যা দু কাপের বেশি না। আমি আরো দু কাপ বানিয়ে খাওয়ার জন্য কত ফন্দি ফিকির করতাম, আম্মু ঘুমালে তো কথাই না, নয়তো অপেক্ষা কখন আম্মু বিজি হবে। চান্স পেলেই চা বানিয়ে খেয়ে ফেলতাম। এরকম মেস জীবন তো তখন ছিল না। বাসায় সব কিছুই বেশী বেশী থাকে, নেভীতে চাকরী করলে রেশনে পাবেন ১ কেজি চা পাতি। আমার ধারনা আধা কেজি চা আমিই খেতাম। কি কড়া লিকারের অসাধারন চা বানাতে পারতাম। এখনো আমার চিটাগাংয়ের বন্ধুর নষ্টালজিক আলাপ হলো, 'শান্ত আগে যে অখাদ্য কড়া লিকারের চা খাওয়াতো, মিস করি শালার চা, প্রথমে বিরক্ত লাগবে, দু তিনবার খেলে দেখবি সব চা বোগাস, ঐ চায়ের উপরে চা নাই'। ঢাকাতে এসেই আমি পাই যখন তখন চা বানানোর স্বাধীনতা। তবে তখন আর ভালো লাগতো না, তারচেয়ে করম আলী কিংবা আলামীনের দোকানের চা ই খেতাম সময় সুযোগ পেলে। বাসার নিচে দোকান, তিন তালা থেকে নামতে যতক্ষণ। আম্মু মাঝে মধ্যেই ধরে ফেলতো, আর দিতো দরজা আটকে, কি উপায়, আমাকে দরজায় প্রায় মিনিট বিশেক দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এরপর দরজা খুলে বলতো, 'তুই দেখি পুরো নেশাখোরদের মতো চা খাস, এত সেমিষ্টার ফি দিয়ে বিবিএ করার কি দরকার, করম আলীর বাপরে বলি তোরে একটা দোকান খুঁজে দিক, সারাদিন দোকান চালাবি, কত খরচ বাচবে আমাদের, দিনে আশিকাপ চা খেতে পারবি'। এইটা জাষ্ট চা নিয়ে বললাম, আম্মু আমাকে কত অন্যরকম বানাতে চেয়েছে, আমি কোনও কথাই শুনতাম না। তখন মনে হতো কথা শোনাটা বলদের কাজ, বরং কথা না শুনে চলাই ব্যাপক স্মার্টনেস। এখন বুঝি মা বাবা কেন এত কথা বলতো, কেন এত মার দিতো, কেন এত চেষ্টা করতো আমাকে নিয়ে। আমি অবশ্য অন্য ড্যাম কেয়ার ছেলেদের মত জীবনে ভালো কিছু করতে পারি নাই, তবে খারাপ কিছুও করি নাই কখনো। আমার যত নীতি নৈতিকতা, ভালো মানুষের ভাব ধরা, যত ভালো গুন সবই আমার বাবা মা আর ভাই থেকে আসা। আর খারাপ গুন গুলো আমারই আবিষ্কার, আমি বাইরের মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি যার বেশির ভাগই খুব একটা ভালো অভ্যাস না। সেগুলো কাটাতে আম্মু কম মেহনত করে নাই, কিন্তু সব মেহনতই আমি ব্যর্থ করেছি দারুণ সফলতার সাথে।

প্রতিটা পরিবারের কিছু গল্প থাকে নিজস্ব, যা মানুষ পাড়া প্রতিবেশী বা বন্ধু বান্ধবদের সাথে করে। আমার আম্মুরও কিছু গল্প আছে। এই গল্পগুলো আম্মু অনেক বার নানান জনের সাথে করেছে দীর্ঘদিন যাবত। আমি এখনো কান পাতলে সেই গল্পগুলো শুনতে পারি, স্মৃতিতে এমন ভাবে রাখা। মনে হয় পাশের রুমেই আম্মু গল্প গুলো করছে। এরকম এক গল্প হলো, আমার ছোট খালা মারা গেছে ভীষন জ্বরে, আম্মু ট্রেনে আমাকে নিয়ে বাড়ী আসছে, বয়স তখন আমার পাঁচ, পাশের যাত্রীর কোলে যে আমি তা আর আম্মুর মনে নাই। এদিকে আম্মু নেমে গেছে। আমাকে না দেখে তো আম্মুর প্রান যায় যায় অবস্থা। শেষে সেই লোক আমাকে দিয়ে আসলো,পেয়ে আম্মু খুশি না। বোন হারানোর বেদনা আর আমার প্রায় হারিয়ে যাওয়ায় আম্মু পুরো রাস্তায় নাকি কেঁদেছে। আমার কিছুই মনে নাই, তবে আমি ভিজুয়ালাইজ করি, আর তখন চোখ দিয়ে টপটপ পানি এসে। আম্মুর এই একটা অভ্যাসই আমি পেয়েছি, যা খুবই বিরক্তিকর, অল্পতেই কেঁদে ভাসিয়ে দেই। আগে তা আরো ছিল, এখন কিছুটা কমেছে। কত সামান্য ব্যাপারে কেঁদেছি। আমার বন্ধু পরাগ ওর আম্মু অসুস্থ নাকি কি এক কারনে সেমিস্টার ড্রপ দিয়েছিল, প্রতিদিন ইউনিতে আসতাম পরাগকে না দেখে আমার চোখে পানি চলে আসতো। সবাই পচাবে, এইজন্য ওয়াশরুমে চোখে মুখে পানি দিতাম, কেউ বুঝতোই না। এখনো কোন মুভিতে দুঃখের দৃশ্য, কিংবা মানুষের বেদনার গল্প শুনলেই চোখে জল আসে, আমার প্রিয় যেকোনো বিষয় তা মুক্তিযুদ্ধ হোক, দেশপ্রেম হোক, বঙ্গবন্ধু, ছফা, ইলিয়াস যাই হোক তা নিয়ে কেউ আবেগপ্রবণ কিছু বললেই চোখে পানি আসে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে। সবাই বলে ছেলেদের কাঁদতে নেই, আমার জন্য কাঁদা জরুরী। না কাঁদলে বেঁচে আছি বোঝাই যায় না। কান্নাও আমাদের একটা বড় আশ্রয়। সুন্দর একটা ভারতের ভিডিও দেখেছিলাম, সেখানে বলে, আমরা যে বলি ছেলেদের না কাঁদতে, ছেলেদের যেন বলা হয় মেয়েদের যেন না কাঁদায়। তবে তা কি আর হয়, ছেলেদের জন্মই তো হয়েছে মেয়েদের উপর পুরুষ গিরি দেখানোর জন্য। অনেকেই পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কথা বলে, ঠাট্টা মশকরা করে, দশ হাজারে ১ টা পুরুষও যদি নির্যাতিত হয় তার ঠিক নাই, তবে তখনও নিশ্চয়ই কোনো নারী বেধড়ক ভাবে তাঁর সঙ্গী পুরুষকে পিটিয়ে ফালাফালা করে না। তাও অনেকের একটা প্রবণতা আছে পুরুষরা কত বেচারা, কিভাবে বঊ জোর খাটায় তা নিয়ে আহা উহু কথা বলতে। তখন মনটা চায় ডন ভাইরে ডাক দেই, ভাই সাউজ করেন এদের। ডন ভাই হলো এলাকার মোটামুটি প্রসিদ্ধ জিনিস এক খান, যার ছেলে ভালো লাগে। আজ অনেকেই মা নিয়ে লিখে, লিখবে, প্রোফাইলে ছবি চেঞ্জ হবে, মলিন চেহারার কিংবা হাসোজ্জল মায়েরা আসবে, এই জাতি পুরোটাই মায়ের গুনগানে মুখর হবে, কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতায় আমরাই আবার এগিয়ে। বেশীর ভাগ পুরুষ মানুষই দিনশেষে পুরুষ মানুষ, তা যত মহাপুরুষই হোক, আর যত মাতৃভক্ত বায়োজিদ বোস্তামীই হোক। তবে মাদার ডে পালন করা খারাপ কিছু না। যার যা ভালো লাগে করুক, মাদার ডে ফাদারসডে পালন করে শান্তি পাক, দরকার হলে শ্বাশুরী দিবস পালন করুক, দিবস পালনে সবাই স্বাধীন, আমরা কে আর পুঁজিবাদী বেনিয়াদের দাস না?

তবে আজকাল একটা প্রবণতা দেখলাম, মাতৃভক্তি নাকি অসুস্থ জিনিস কিংবা মায়ের যে ভালোবাসা তাও নাকি স্বার্থের কারন, তা বলার চেষ্টা। ব্যাপারটায় আমার সিরিয়াস আপত্তি। মায়ের প্রতি সন্তানের ভক্তি ন্যাচারাল, সেইখানে অতি আর কম কি, দুনিয়ার সব চেয়ে পিশাচও তাঁর মাকে কখনো ভালোবাসতো বা ভালোবাসছে। কে বাসে না তা? বিয়ের পরে মা নাকি বউকে প্রায়োরিটি দিবে এই অসম প্রতিযোগীতা আসবেই বা কেন? বাংলা সিনেমার ডায়লগ যা চতুস্কোণে ভালো ইউস করলো, 'বউ হারালে বউ পাওয়া যায়, মা হারালে মা পাওয়া যায় না। আমার ধারনা সত্যিকারের স্বামী হলে দুটোই হারায়, কারন ভালোবাসার স্ত্রীর মৃত্যু কোনো বিবেকবান স্বামীর কখনই কম বেদনার ব্যাপার হতে পারে না। আবার আরেক কথা শোনা যায়, মা বড় না বউ বড়, আরে এইটা কোনো লজিক? মা অবশ্যই বড়, বয়সে কি সম্পর্কে সব দিকেই। কিন্তু কোনো ভালো মানুষ নিশ্চয়ই তার বউকে এই অসম প্রতিযোগীতায় ছোট করতে নামবে না? সমস্যা হলো ব্যাক্তির। ব্যাক্তি কেমন তার উপরেই সবকিছু। মাতৃভক্তি কেন পথের বাঁধা হবে? ভালো সন্তানের মায়েরা এত অবুঝ না যে বউয়ের সাথে এই অসম কম্পিটিশানে নামবে? নামলে দোষ দেয়াটাও খুব ন্যায়ের কিছু হবে না। কারন তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল একটা দেশের সারাজীবন পোড় খাওয়া মায়েরা যখন অর্থ উপার্জনকারী সন্তানের বিয়ের পরে বউমুখীতা দেখে নিশ্চয়ই তাঁর নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টা ভাবিয়ে তোলে। আমি এমন কয়েকজনকে চিনি যারা খুব দেখে শুনে এই ব্যাপারটা মাথায় রেখেই ছেলের জন্য আদর্শ সংসারী পাত্রী খুজেছে। পরে যে পাত্রী পেয়েছে তাঁর সাথেও বনে না। তখন আমি বুঝেছি সমস্যাটা মায়েদেরও কম না। মানিয়ে চলার ক্ষমতা আমাদের মায়েদের কিছুটা কম তা মেনে নিয়েই বলি বঊরাও স্বর্গ নিবাসী ফেরেশতা না। অনেক মেয়েদের ভেতরেও পুরুষতান্ত্রিকতার ভুত- বোন বাই বোন মানে হাড়ে হাড়ে উপস্থিত।

এখন দুইটা মায়ের সাথে আমাকে এক বাসায় থাকতে হয়, এক মামী, দুই নানু(আম্মুর মা)। দুইজনই দুইরকমের। তাও দুইজন যখন কথা বলে মনে হয় যেন দুজনের কত দিনের চেনা, আমার নানু রান্না নিয়ে অনেক কিছুই বলে, তবে তা সময় অনুযায়ী। যখন দেখে মামীর মুড ভালো তখন রান্না নিয়ে উপদেশ দেয় নয়তো নাই। নানু অনেক কিছুই খায় না, মামী তা হিসেব করে রান্না করে। মামীর রান্নার হাত যেমন ভালো, মানুষ হিসেবেও নাম্বার ওয়ান। আমি মুগ্ধ হই। মন হয়তো খারাপ তাও উনি বুঝতেই দিবে না। আর আমার পাশের রুমেই তো থাকে, দেখি- সন্তানকে যে কি দারুন ভাবে আগলে যত্নে রেখে, সংসার সামলানো, বুয়া না আসলে কাজে নামা, দুপুরে রাতে তিন চার পদের রান্না করা সত্যিই অসাধারণ। উনাকে দেখেই আমি বুঝি ছোটবেলায় কি যত্নে ছিলাম, কত কষ্টে আম্মু সামলেছেন কত কিছু। মামীর তাও স্বচ্ছলতা আছে, মামাকে বললেই হাজির হয় সবকিছু, আমার মায়েদের তো টানাটানি ছিল নিয়মিত লিমিটেড বেতনের সংসারে। কিভাবে চালিয়েছেন তা টের পাই। আমার পাঁচ মাস বয়সী ভাই যথেষ্ট ড্রামাবাজ, ঘুমায় না, অযথা অনেক সময় কান্নাকাটি করে, কিন্তু মামী অনেক বিরক্ত হয়েও বাচ্চার পিছনেই থাকে। আমাদের মায়েদের এইটা জন্মসুত্রে পাওয়া কিছুতেই ধৈর্য্যহারা হন না। আমার আম্মুকেও দেখি সেইম। মায়েদের নিয়ে আসলে লিখে শেষ করা যাবে না। আমি কোনো মাদার ডের আবেগ ঠাসা পোষ্টও লিখছি না। মা দিবস একদম মন্দ জিনিস নয়। ফেসবুকের নিউজফিড জুড়ে বন্ধু ভাই বোনদের মায়েদের ছবি দেখার এমন অবকাশ আর আসে না কখনো। মনে হয় সবার বাসায় বসে পুরানো এলব্যামে ছবি দেখছি, আর আমাকে বলা হচ্ছে এইটা আমার মা, কি সুন্দর না? তখন আমিও মুগ্ধ হয়ে বলছি আন্টি তো দারুন ছিলেন, 'আপনে মিয়া উনার কিছুই পান নাই! তবে আমি প্রত্যাশা করি অন্তত আমাদের মায়েরা তাঁদের সন্তানদের থেকে যেন হেফাজতে থাকে, রাস্তাঘাটে সব জায়গায় যে নিগ্রহ নিপীড়নের শিকার হয় তা থেকে পরিত্রান আশু পাক। মা দিবসের দরকার আছে হয়তো এইজন্যেই যে একটা দিন আমাদের অন্য মায়েদের কথা সবার মনে পড়ুক। একটা মেয়েকে অপমান করা, গায়ে হাত তোলা, নিপীড়ন, নির্যাতন মানে দুনিয়ার সব মায়েকেই অপমান করা এই ভেদবুদ্ধি আমাদের মাথায় আসুক।

পোস্টটি ১৫ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

জ্যোতি's picture


মাঝে মাঝে দুনিয়াদারী অসহ্য লাগলেই মনে আসে, আমি না থাকলে আমার মা কেমনে বাঁচবে!!কে রোজ মায়ের খোঁজ নিবে, কার জন্য জীবনের সব আয়োজন থাকবে আমার মায়ের!! তখনই লাগে, মায়ের জন্যই বেঁচে থাকতে হবে। Smile
অসাধারণ মামী পেয়েছ, এমন আদর-ভালোবাসায় কাটুক জীবন।
মাকে নিয়ে লিখতে, ভাবতে, বলতে গেলেই আজকাল চোখ ভরে যায়।

আরাফাত শান্ত's picture


Glasses

জাকির's picture


আসলেই কাঁদতে না পারলে বুঝতে যায় না যে বেঁচে আছি। মনটা আর আগের মত নেই, তবু আগের মতই কেঁদে ওঠে। একবার ত আতসী মামি গল্পটা পড়ে আমি দুই দিন কিছুই খাই নি, বিন্দুর ছেলে বইটা পড়েও বুকে যেন ব্যাথার শূল বিঁদেছিল।

আরাফাত শান্ত's picture


Sad

চাঙ্কু's picture


কান্নাকাটি ব্যাপারটা কেন জানি আমার পছন্দ না। কান্নাকাটি আবেগীয় এবং এতে মানসিকভাবে হাল্কা হওয়ার একটা ব্যাপার হয়তো আছে তবে কান্নাকাটি কোন সমস্যার সমাধান করে না।

মা নিয়ে বেশ কিছু সুন্দর কথা কইছ। পেলাস Smile

আরাফাত শান্ত's picture


থ্যাঙ্কস চাঙ্কু ভাই। কষ্ট করে পড়ে যাও!

তানবীরা's picture


ফেসবুকে বুদ্ধিজীবিদের মা দিবসের ভুল-ভাল ব্যাখা আর অপপ্রচার দেখে আগে রাগ লাগতো এখন হাসি পায় এই না হলে এরা চান্দে সাঈদী দেখে আর হুজুরের কাজে পানি পড়া আনে।

বিদেশীরা লিভিং টুগেদার করে এরা খারাপ
বিদেশীরা ছোট ছোট কাপড় পরে, মদ খায় এরা খারাপ
বিদেশীরা কাফের এরা খারাপ
বিদেশীরা মাদার্স ডে পালন করে এরা খারাপ

বাস্তবতা

লিভিং টুগেদার খারাপ আর পিটাইয়া বউ মেরে ফেলা ভাল!
ছোট কাপড়, মদ নিরাপদ কিন্তু জমজমের পানি খানেওয়ালারা রেপ করে যাচ্ছে
কাফেররা যতো টাকা প্যালেস্টাইন, নেপাল, বাংলাদেশে সাহায্য পাঠায়, মুসলমান বিশ্ব পাঠায় না, এক রোনাদোই দিয়ে ৭৯ হাজার ডলার, মুসলমান দুনিয়া কতো দিয়েছে নেপালে?
সারা বছর মা-বউ সংসারের কাজ করবে, চুলাচুলি করবে তাতে কী ঈমান নিয়েতো আছে এক বাড়িতে। বছরে একদিন মা'কে বলবে আজ তোমার ছুটি মা, বলো তুমি কী চাও, সেটা আদিখ্যেতা, আরে কয়দিন তোমরা বাংলাদেশে নিজের মা'কে এক গ্লাস পানি এনে দাও?

শালার ভন্ড জাতি

মায়ের সাথে বউয়ের তুলনা কিংবা বউয়ের সাথে ভাইয়ের তুলনা! কী অসম। আমের সাথে কাঠাল আর কাঠালের সাথে তরমুজের তুলনার মতো

আরাফাত শান্ত's picture


মিনি পোষ্ট হয়ে গেল আপা। দারুণ!

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

আরাফাত শান্ত's picture

নিজের সম্পর্কে

দুই কলমের বিদ্যা লইয়া শরীরে আমার গরম নাই!