হ্যাপি বার্থ ডে, মাই ডিয়ার তাতাপু!
অনেকদিন ব্লগ লেখি না। অনেকদিন মানে দু মাস। দুমাসে আমি পোষ্ট সংখ্যা ৩৩০ থেকে হয়তো ৩৫০-৩৬০ লিখে ফেলতে পারতাম। কিন্তু লিখতে ভালো লাগে না আর, লেখার সময় থাকলেও অন্য কাজ করে ভুলে যাই লেখার কথা। আজও যে খুব লিখতে ইচ্ছে করছে বলে লিখছি এমন নয়। লিখছি, পোষ্ট দিবো কারন আজ তানবীরা আপুর জন্মদিন। এই খবর খুব বেশী মানুষ জানার কথা না, আমিও জানতাম না- যদি দু বছর আগে বাসায় হুট করে গিয়ে দেখি কেক কাটা চলছে, তার চাক্ষুষ সাক্ষী না হতাম। এরপর এই দিনটার কথা মনেই রাখা যায়। আমার স্মৃতি শক্তি ভালোই, কোনো কিছু মনে রাখতে চাইলেই তা পারি। আগে আরো পারতাম এখন তা বয়সের কারনে কমেছে। আমি বই মার্ক করে পড়তাম না কখনো, কারন যা মনে রাখতে চাই তা সব না পারলেও বেশীর ভাগই মনে রাখতে পারি। তাই তানবীরা আপার জন্মদিন ২ বছর আগের সেই উপস্থিতির উসিলায় স্মৃতি থেকে মুছে যাই নি। তাই লেখার উপরে চরম অনীহা থাকার পরেও লিখছি কারন জন্মদিনটা তানবীরা আপুর বলেই।
এই ব্লগের যদি সত্যিকারের কোনো ব্লগার থাকে সেটা তানবীরা আপু। উনি এই ব্লগে নিয়মিত লিখেন, নিয়মিত পড়েন, নিয়ম করে সব পোষ্টেই কমেন্ট করেন। ব্লগিং জিনিসটাকে তিনি যে স্পোর্টিং ওয়েতে নেন এই জিনিসটাই আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে। অনেক পোষ্টই আমার ভালো লাগে না, ভালো লাগলেও হয়তো কমেন্ট করতে ভুলে যাই। তানবীরা আপুর তা হবার নয়। উনি ভালো লেখাকে প্রশংসা করেন, মোটামুটি লেখাতেও নিজের অবজারভেশন জানান, আর যে লেখা উনার ভালোই লাগে নি মোটেও তা নিয়ে নিজের ভালো না লাগার কারন বলে যান। এই যুগে, ফেসবুকের ডামাডোলে এইটা এক ইউনিক ব্যাপার। উনি যে কি পরিমানে ব্যস্ত তার কিছু নজির আমার জানা, তারমধ্যেও উনার এই ব্লগ প্রীতি আমাদের সবার জন্য শিক্ষণীয়। আমার মতো এক অতি সাধারণ ব্লগ লেখককেও উনি যে পরিমান উৎসাহ দেন লেখার ব্যাপারে তা বিস্ময়কর। ব্লগের বাইরে বাস্তব জীবনেও উনার সাথে আমার যথেষ্ট আলাপ পরিচয়, চেনা জানা আড্ডা হয়েছে, মিশেও অবাক লেগেছে ব্লগে উনি যেমন বাস্তবেও তাই। আমার হয়তো একটা কথায় উনার ভিন্নমত আছে সাথে সাথে উনি আমাকে বলে দিয়েছেন, শান্ত এইভাবে বলা ঠিক না। এই সময়ে এমন বন্ধু বড়বোন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি ভাগ্যবান যে তানবীরা আপুর মতো মানুষ আমার আপনজন। আমার সবচেয়ে মজা লাগতো আগে যখন উনি বলতো- শান্ত তোমাকে ছাড়া ব্লগটা এতিম এতিম লাগে। হাসতাম খুব, ভাবতাম যাক কেউ তো ব্লগে আমার উপস্থিতি খুব প্রত্যাশা করে। এমন কপাল কয়জনের হয় ব্লগ লিখতে গিয়ে? আমি তো আর সাহিত্য লিখি না, নিজের দিনলিপি ও নিজের কথাতেই ঘুরে ফিরে আসি। নিজের কথা লিখে প্রশংসা পাওয়া এক দুর্লভ অনুভূতি।
তানবীরা আপুর এখনকার লেখালেখি আমার আরো বেশী পছন্দের। এখন উনি মোটামুটি পরোয়াহীন ভাবে লিখেন। অজনপ্রিয় অনেক সঠিক কথা বলে দেন। হয়তো সেই কথাগুলো আমার মত ও ভাবনার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও আমার ভালো লাগে। কারন আমরা তো হাহা হিহি কিংবা দুঃখ দুঃখ ভাব নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেই, দেশ উদ্ধার ফেসবুকেই পারি। কজন পারে উনার মতো সত্য কথা গুলো বলতে। উনি জানে এইসব কথা ভার্চুয়ালে বলা অনেকেরই ভালো লাগবে না। তাও তিনি লিখে যান ফেসবুকে ও ব্লগে। এই স্পিরিটকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। এই অসভ্য ও অন্ধকার দেশে এই স্পিরিটটা খুব জরুরী।
তানবীরা আপু অনেকের কাছেই প্রিয়। তবে আমার কাছে বেশী প্রিয় কারন অন্যদের তুলনায় উনার স্নেহ ও সময় দুটোই বেশী পেয়েছি। দেশে আসলেই উনার বাসায় যাওয়া হয়, আড্ডা দেয়া হয়, অনেক সময় নিয়ে গল্প করা হয়। আর সামিয়ার কারনে ঐ বাসায় আগেই আমার যাওয়া। বন্ধু সামিয়া তো ব্যস্ত, ব্লগ লেখার প্ল্যান প্রোগ্রাম করে কিন্তু লিখে আর না। তাই তানবীরা আপুই ভরসা, কারন শত ব্যস্ততাতেও, এত নিম্নমানের উৎসাহেও- উনি এই মৃত ব্লগেও সবসময় লিখেন। আর উনি তো এখন বইমেলারও বড় লেখক। দুটো বইই আমার কেনা ও বুক রিভিউ লেখা। উনার গদ্যের হাত অনেক ভালো। দিন দিন তা আরো ভালো হবে, হয়তো আমি থাকবো না কিন্তু আমার আশাবাদ যতদিন আমরা বন্ধু থাকবে ততদিন তানবীরা আপুর লেখা থাকবে, একইরকম এই ব্লগিং উনি বজায় রাখবেন। জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু। ফেসবুকে কেউ জানে না বলে ভাববেন না আমরা উইশ করবো না। আপনি এই ব্লগকে যেভাবে ভালোবাসেন, অন্যদের কথা জানিনা আমিও আপনাকে সেভাবেই পছন্দ করি। আপনার মতো মানুষ যেকোনো ব্লগেই দারুণ সম্পদ। জন্মদিনে সবাই খেতে চায়, আমি চাই না, খাওয়া দাওয়া আমার ওতো ভালো লাগে না আর। চাই আপনি সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন, নিজের যত্ন নেন। মেঘের জন্য অনেক শুভকামনা। বড় মানুষ হোক। মেঘ আগামী দিনগুলোতে যখন আরো বড় হবে তখন বুঝবে তার মা কত অসাধারণ। সে কত ভাগ্যবতী। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আবার জানিয়ে গেলাম।
শুভ জন্মদিন!
শুভ জন্মদিন তানবীরা আপু
শুভ জন্মদিন তাতাপু
অনেক অনেক শুভ কামনা
শুভ জন্মদিন সুইটু

অন্নেক ভলোবাসা, শুভেচ্ছা রাশি রাশি। ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, শতায়ূ হোন।
২ বছর আগের সেই কেক কাটার দিনে আমিও গিয়েছিলাম
শুভ ভূমিষ্ঠদিন ক্যাপ্টেন
সবাইকে এত্তোগুলা থ্যাঙ্কু আর ভালবাসাআআআআআআআআআআআআ

একটু দেরিতে হলেও, শুভ জন্মদিন।।
মন ভালো হয়ে থাকুক, বেঁচে থাকার সবগুলো রাত্রি দিন।
শুভ জন্মদিন তানবীরা'পু

ভালো থেকো সব সময়, সবাইকে নিয়ে , সবার জন্যে, যদিও অতি মাত্রায় কঠিন কাজ এই অস্থির সময়ে ভালো থাকা, তবুও ভালো থাকবে এই শুভ কামনা
ধন্যবাদ - ধন্যবাদ সবাইকে
শুভ জন্মদিন আফা। কেক্কুক বা হালিম-কিছুই কি পাবো না?
মন্তব্য করুন