জন্মদিনের শুভেচ্ছা অভি!
সময়টা যে খুব ভালো তা বলা যাবে না। আমার অবস্থা খুব একটা খারাপ না হলেও দেশের অবস্থা তেরোটা। আগে যেসব দুর্যোগ- দুর্বিপাক ছিল, এখন তা আরো বেড়েছে। রাস্তায় জ্যাম মাত্রা ছাড়িয়ে অনন্তকালের দিকে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবতা দেখাতে গিয়ে আমরাই কোনো জালে আটকে পড়ে যাচ্ছি কিনা, সে খবর আর কে রাখে। বন্যা হলো, পাহাড় ধ্বসে কত গুলো প্রাণ চলে গেল তখন আমাদের লুকিয়ে থাকা মানবতা অন্য অনেক সময়ের মত লুকিয়ে ছিল। কিন্তু এখন ফেসবুক খুললেই দেখি মানবতার জয়গান। আমি অবশ্য তাতে অসন্তুষ্ট না। আমি চাই এই মানবতা ব্রাদার হুড অন্য সময়তেও খাড়া থাকুক। আবার আরেক পক্ষ আরো সরেস। তারা একাত্তরকে ছাড়িয়ে যাবার ও মেলানোর ধান্দায় বিজি। একাত্তরকে যারা ছোট করতে চায়, তাদের দিয়ে আর যাই হোক মানবতা আশা করা ঠিক না।
অযথা কথা বললাম। আসল কথা বলি। ব্যস্ত দিন যাচ্ছে খুব। ব্লগে লেখা হয় না। যখন লেখার সময় তখন আসলে রাজ্যের ক্লান্ত লাগে। তখন মনে হয় সিনেমা দেখি। এই করে করেই আর কিছু হচ্ছে না। আজ লিখলাম কারন আজ আমার এক বন্ধুর জন্মদিন। যার নাম প্রিয়। ডাক নাম অভি। প্রিয় নিয়ে লিখেছি। আগে লিখতো এখন আর লিখে না। খুব মিস করি তার লেখা। এবার শিরোনাম একটু পাল্টে দিলাম। অভির সাথে কথা হয় না অনেকদিন। আমিও ব্যস্ত সে তার চেয়েও ছয়গুন বেশী ব্যস্ত। ফেসবুকের চেকইনে দেখি, বিদেশ বিভূঁইতে ও দেশের নানান প্রান্তে সে কাজের সুত্রে যাচ্ছে, খুব টাইট শিডিউল। অনুমান করি ভালোই আছে, তাই আর টেক্সট করা হয় না। আর সেও ব্যস্ত এই কারনে হয়তো আমার খোঁজ নিতে পারে না। সবার সব খোঁজ রাখতে হবে এরকম কোনো কথা না। কত বন্ধু আমার, কজনের সাথেই আর যোগাযোগ রাখা যায়? সেদিন এক স্কুল বন্ধুর সাথে দেখা, সে আশাই করে নি, আমি এটা। আলাপ হলো, সে আমাকে মনে রাখতে না পারলেও, স্কুলে কি কি করতাম আমি, কেমন ঘটনা ঘটাইছি স্কুলে সব গড়্গড় করে বলে দিচ্ছে। এটাই বন্ধুত্ব। এই জ্যামের ক্লান্তি আর আগ্রাসী সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকোপে আমাদের রিলেশন গুলো সব স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে বন্দি হচ্ছে। মুক্তির পথ খোজা জরুরী।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা, প্রিয়। অনেক অনেক ভালো থাকো। চারপাশে থাকুক তোমার প্রিয় মানুষেরা। যেমন বিন্দাস আছো, তেমন লাইফ লিড করো। জীবন হোক সুন্দর। অনেক অনেক ভালো থাকুক আদরের পুত্র উচ্ছাসও। দিন যাপন হোক আনন্দের। অনেক খানাদানা বাকি। ভালো ভালো ট্রিট দিও। জয় বাংলা। জন্মদিন অনেক মাস্তিতে কাটাও।
অনেকদিন পর শান্তর লেখা পড়লাম।
তোমার বন্ধুর জন্য শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করুন