ইউজার লগইন
স্যাটায়ার
সুঁই আর চালনের গল্প
সুঁই চিনেনতো ? যাহা দ্বারা কাপড়-চোপড় সিলাই করা হয়। এইবার চিনিয়াছেন ? বেশ, আপনাকে ধন্যবাদ সুঁই চিনিবার জন্য। তো এইবার একটা কোশ্চেন করি আপনাদের। না না, সবাইরে না। কেবলমাত্র যাহারা সুঁই চিনিতে পারিয়াছেন তাহাদের জন্য আমার এই কোশ্চেন:
বলেনতো, একটি সুঁইয়ের পাছায় কতগুলি ছিদ্র থাকে ?
সবাই একসাথে বলিলেতো হইবে না। একজন করিয়া বলেন। জ্বি, আপনারা সঠিক উত্তর দিতে পারিয়াছেন। সুঁইয়ের পাছায় একটাই ছিদ্র থাকে। যাহার মাধ্যমে সুতা প্রবেশ করানো হয় এবং কাপড়-চোপড় সিলাই করা হয়।
এইবার অনুমতি দিলে আরেকটি কোশ্চেন করি। তাহার পূর্বে জানিয়া রাখা অবশ্যক যে, আপনাদের মধ্যে কাহারা চালন চিনেন ? অনেকেই দেখি চিনিতে পারিয়াছেন। ধন্যবাদ আপনাদেরকে। এইবার কোশ্চেনের উত্তর বলেন দেখি:
বলেনতো, একটি চালনের পাছায় কতগুলি ছিদ্র থাকে ?
কী বলিলেন, অনেকগুলি ? ঠিক বলিয়াছেন।
পৃথিবীর প্রতি ভালবাসা
জীবন নদীর মত। বিভিন্নভাবেই। নদী শুরুতে নদী থাকেনা; অন্তেও নয়। জীবনও এরকমই মাতৃঝর্ণায় শুরু হওয়া এক আকষ্মিক প্রবাহের নাম যা অনিবার্যভাবেই অকরুণ মৃত্যুসাগরে বিলীন হয়ে যায়। হ্যাঁ, আমাদের জীবন আমাদের নদীগুলোর মতই। নির্দৃষ্ট্যভাবে বললে ১৭০ টন ফর্নেস অয়েল বুকে নিয়ে শোকের মত বয়ে চলা কর্ণফুলী নদীর মত। বিবর্তনবাদ বলে, জলই জীবনদাত্রী। সে হিসেবে আমরাও নদী থেকে উঠে এসেছি। খুব অল্পকাল আগে। এখনো শরীর থেকে শুকিয়ে যায়নি জলের রেখা। আর এরই মধ্যেই আমরা পৃথিবীকে হত্যায় উদ্যত হয়েছি। আমরা মনে হয় অভিষপ্ত, একিলিসের মত। ব্রিসেইস একিলিসকে বলেছিল, Killing is your only talent is your curse. হ্যাঁ, হত্যাই আমাদের একমাত্র প্রতিভা, আমাদের অভিষাপও।
অস্ত্র
মগের বেটি কিক বক্সিং শিখছে। এই অসিলায় তার সাথে হেবি ফাইট হল। ফাইটটা কথার( যে ফাইটে প্রেমিকরা সবসময় হারে)। তো, অস্ত্র, আত্নরক্ষা, ইত্যাদি বিষয়ে আমার হেরে যাওয়া আর্গুমেন্টগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এ লেখা।
My father never raised his hand to any one of his children, except in self-defense.
Fred Allen
কুকুরায়ন:
মোটা বন্ধুগো ফটুক
আমগো দুই মোটা বন্ধু ,
সুমন পাটোয়ারী ও মাসুদ পারভেজ;।
তাগোরে নিয়া একটা পোস্ট দিছিলাম। শিরোনাম আছিল
মোটা কাহিনী ।
মাগার জনগনের দাবীর কারণে দুই জনের দুইটা ছবি পোস্ট দিলাম।
আরো অনেক ছবি আছিল। খুঁইজা পাইতেছিনা।

এই ছবিটা বন্ধু স্বপনের বিয়ার, এক পোলা আর এক মাইয়ারে সুমন পাটোয়ারী
পেটের মধ্যে ধইরা আদর করতাছে।

আরেকটা মাসুদ পারভেজের। হের দোস্ত হাতির লগে তুলছে...দেখেন মাসুদের সামনে হাতিও কত ছুডো দেখায়..
আশা করি সবতের আগ্রহ মিটবো...
প্রেমিকের ভালমন্দ
(আমার প্রতিটি লেখার মত এটিও প্রাত্যহিক জীবনের কথোপকথনের ফলে তৈরী।আমার এক বন্ধূর 'আমার প্রেমিক ভাল না' টাইপের অভিযোগ থেকেই আমি বিষয়টি নিয়ে ভাবি।)
মানুষ ভাংগা চেয়ারেরই প্রেমে পড়ে।
প্রেমের ইনিশিয়াল ইমপেক্ট মারাত্নক, মানুষ সরাসরি ভেংগে পড়ে। তবে ধকল কাটিয়ে উঠার পর মানুষের মনে হয় আসলে সে ভাংগা চেয়ারেরই প্রেমে পড়েছে। তিন পা নিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ায় এমন চেয়ার। সারফেসে পেরেক ওঠা, 'বসলে-নড়াচড়া-বারণ' এমন চেয়ার।
সমস্যা আপনার মধ্যে:
রুটি ও রবীন্দ্রনাথ -

রবীন্দ্রনাথকে চিনতে হলে আমাদের রুটি সেঁকতে হবে... আমাদের আটার দলা মাখতে হবে... বর্ষার অমোঘ মেঘে ঝরা প্রথম বৃষ্টির পানিতে ভাজতে হবে... রুটি!
হ্যাঁ... কবিগুরুও রুটি ভেজেছেন... না বউকে খুশি করতে বা তার রাগ দমাতে নয়, ভেজেছেন জীবনকে জানতে... রুটির ফুটো দিয়ে চেষ্টা করেছেন বিশ্বকে দেখতে...
আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে...
কবিগুরুর এই অদম্য ইচ্ছের মূলেও রুটি...
শুধু বিশ্ব লয়ে নয়... কবিগুরু খেলেছেন রুটি লয়েও...
তবে রুটিকে আমরা যেভাবে চিনি, বা যেভাবে চিনতে চাই, কবিগুরু কখনোই চাননি সেভাবে রুটিকে আমাদের সামনে তুলে ধরতে। অবশ্যই! তাহলে আর বিশ্বকবি আলাদা হলেন কিভাবে। রুটিকে রবীন্দ্রনাথ ভেলা বানিয়েছেন। না ভেলা নয়! সোনার তরী!
পিনোমাইসিন-১
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাঁর যমুনা তীরের কাচারি বাড়ীর দোতলায় একটি আরাম কেদারায় অলস ভঙ্গিতে বসে আছেন। একটু নজর করে দেখলেই বুঝা যায় তিনি যমুনার জলের দিকে চেয়ে কোন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে আছেন। এমন গম্ভীর সময়ে আরাম কেদারার হাতলে রাখা তাঁর মোবাইলখানা বেরসিকের মত বারবার বেজে উঠছে আবার প্রায় সাথে-সাথেই নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। কবিগুরুর ভাবনায় ঘনঘন ছেদ পড়ায় কপালের রেখাগুলো বিরক্তির সাথে প্রকট হয়ে ফুটে উঠছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মোবাইলখানা হাতে নিয়ে দেখলেন লালন ফকিরের আটটা মিসকল। কবিগুরু কিঞ্চিত বিরক্ত হয়ে লালনকে কল ব্যাক করলেন।
ফোন রিসিভ করেই লালন সুধালেন "পেন্নাম হই ঠাকুর মশাই, শরীর স্বাস্থ্য ভালোতো?"
এহেন নির্দোষ প্রশ্নের উত্তরে কবিগুরু খেঁকিয়ে উঠে বললেন "সময় গময় নাই এইরূপ উথাল-পাথল মিসকল দেয়ার হেতু কি লালন?"
আমরা বন্ধুর প্রোডাক্ট বাই প্রোডাক্ট নিয়ে চিন্তা ভাবনা (আপডেটেড)
সারাদিনে দুটো জায়গায় থাকি আমি চরম কমফোর্ট নিয়ে। বাড়িতে আমার নিজের ইজি চেয়ারে ঠ্যাং লম্বা করে বসে কোলে ল্যাপটপ নিয়ে ফেসবুকে টুকুর টুকুর আর এবিতে কুটুর কুটুর। ফেসবুকের উন্নয়ন সাধনে আমার অবদানেরতো শেষ নাই সবাই জানেন। এখন ভাবলাম এবির জন্য কি করা যায়। এবি ভর্তি আবিয়াইত্তা পোলাপান, খালি ম্যাসেজ দেয় ইনবক্সে, আপু ডাচ যোগাড় করে দেন, আলুই খাই তবুও খাই। বিমার বিয়েতো দেখা যায় আগুনে ঘৃতের কাজ করেছে। কেউ কেউ মনের দুঃখে ফেসবুকে নিজের খোমার ছবি সরাইয়া দিয়া, মোমবাত্তির ছবি লাগাইয়া শোক পালন করতেছে। আমার ফেসবুকের ইনবক্স তাদের দুঃখে কষ্ট উথলাইয়া উথলাইয়া উঠছে আর ঠারে ঠোরে আমারে বড় হওয়ার দায়িত্ব কর্তব্যে সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছে। ভাবছি বড় বড় ব্যবসায়ীরা মূল ব্যবসার সাথে কিছু সাইড ব্যবসা রাখেন, প্রোডাক্ট বাই প্রোডাক্ট। টেক্সটাইল মিলের মালিকরা আস্তে আস্তে গার্মেন্টস খুলেন, এরপর খুলেন নিজের শোরুম আর তারপর নিজের মার্কে
একটা নোবেল প্রাপ্তির সুখবর
যেকোনো দিন বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার পাতা খুলে পড়লেই আঁতকে উঠি, মনে হয় ক্রাইম থ্রিলার পড়ছি, গুমখুন, গুপ্তহত্যা, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা, বিদেশী শক্তির উস্কানি আর বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার স্বদেশী এজেন্টদের পারস্পরিক সংঘর্ষ আর এদের মুখোশ উন্মোচনে নিবেদিতপ্রাণ সংবাদপত্রকর্মীদের দেশপ্রেম দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই।
দেশের দুটো গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ মন্তব্য প্রতিবেদনের উপসংহারে বলেছে " দেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করবার চক্রান্তে লিপ্ত আছে বিদেশী রাষ্ট্রের এজেন্টগণ।" তবে আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন 'কোনো চক্রান্তেই এ দেশের গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করা সম্ভব হবে না।'
পিতৃত্বের মূল্য
পুরুষ বন্ধ্যা প্রাণী(barren animal)- এ অভিযোগের বয়স অনেক।এ বন্ধ্যাত্ব ছোট্ট একটি কণাকে প্রাণ করে তুলতে না পারার, প্রাণকে লালন করতে না পারার। কলকাতার কবি জয়া মিত্র এই অভিযোগের সচ্ছল কাব্যভাষা দিয়েছেন। কবিতাটা খুব প্রিয় বিধায় পুরটাই কোট করছি। পড়ুন:
ওড টু অ্যালিস ওয়াকার
ইভ, তুমি কালো মেয়ে
তাই আদি সরীসৃপ
আদিম রহস্যবার্তা
বলে গেছে তোরই কানে কানে
বলে কি যাদুবিদ্যা বলে
তীব্রতম রূপোল্লাস গোপনে সঙ্চয় করে
গর্ভে ধরতে পারে শুধু তোমার শরীর
গভীর যোনীর মধ্যে
যে রৌদ্র চুঁইয়ে পড়ে
তাকে তুমি পরমরহস্য বলে
প্রাণকণা করে তোল
পুরুষ, সে কতদূরে
কেবল ইন্দ্রিয়সুখ সম্বল করে
অভাগ্য দাঁড়িয়ে থাকে
তোমার রাজ্যের বাইরে দীনহীন
হাতে হাতে মূল্য চুকিয়ে নিয়ে
একা
আমি ডেকে বলছি তোমাকে
ইভ, আদিম জননী নও
জায়া কিংবা ভার্যা নও
জন্ম সাম্রাজ্যের রহস্য ঐশ্বর্যমূলে
অধীশ্বরী তুমি
বন্ধুদের প্রতি খোলাচিঠি
এই লেখাটার একটা ইনট্রো দেয়া দরকার। লেখাটা খুবই ব্যাক্তিগত। কিন্তু যে জমানা পড়েছে, প্রাইভেট স্পেস বলে কিছু নেই।আমার চিটাগাং এর কিছু বন্ধু গোপনে গোপনে প্রেম করে এই খবরের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এটা তাদের উদ্দশ্যে লেখা। কিন্তু বন্ধু বাফড়া বললো যে রেফারেন্চ না থাকলেও এটা পড়া যেতে পারে। তার কথায় বিশ্বাস করেই এটা পোস্ট করা...
বন্ধুদের প্রতি খোলাচিঠি
যাইবি দক্ষিনে, বলিবি পশ্চিমে, রহিবি পুরবমুখে
গোপন পিরিতি গোপনে রাখিবি তবে ত রহিবি সুখে
গোপন পিরিতি গোপনে রাখিবি সাধিবি মনের কাজ
সাপের মুখেতে ভেকেরে নাচাবি তবে তো রসিকরাজ
কার্পেট ব্যাপারীর জাহাজের খবর
আদিম যুগে যখন মানুষ বাড়িঘর তৈরি করতো তখন আমাদের পিতা আমাদের জন্য ঢাকা শহরের কোন এক কোনায় একটা মাথা গুজবার ঠাঁই তৈরি করেছিলেন। এখন মর্ডান যুগ, চারদিকে হাল ফ্যাশনের ফ্ল্যাট আর আমাদের বাড়িঘর নিতান্তই পুরানো। আমরা বুকে দীর্ঘশ্বাস চেপে একষ্ট ভাইবোনেরা মেনে নিয়েছি, সবার ভাগ্যে সব থাকে না। কিন্তু আমার মা জননী এই কষ্ট সহ্য করতে পারেন না। ওনার বান্ধবীদের নতুন চকচকা ঝকঝকা ফ্ল্যাট, কিচেন ক্যাবিনেট, টাইলস, স্লাইডিং ডোর আরো কতোকি। আর আমাদের প্রায় ছাল ওঠা মেঝে, ঘুনে ধরা দরজা। জননীর দীর্ঘ শ্বাসে প্রকম্পিত হয়ে আমি বললাম, ঠিকাছে টাইলস করাতো আপাততঃ সম্ভব নয়, তোমার ঘরটাকে পুরো কার্পেট করে নাও, তাহলে মেঝে দেখতে হবে না, তোমার বান্ধবীদের কাছেও প্রেষ্টিজ ঠিক থাকবে।
”তোমার ব্লগ এতো হিট কেন?”
আমি বলছি না চুপচাপ ব্লগ পড়ে গেলেই চলবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার পোস্টে মন্তব্য দিক
শুধু পোস্টের হিট বাড়াবার জন্য
বার বার রিফ্রেশ করতে করতে মাউস প্যাডটা নষ্ট
আমি বলছি না কেবল মন্তব্য দিলেই হবে, আমি চাই
কেউ একটা প্লাস দিক। আমি সিঙ্গেল নিকে
কাউকে মন্তব্য করার জন্য বলছি না।
আমি জানি এই ইন্টারনেটের যুগ
ব্লগারদের মুক্তি দিয়েছে মাত্র একটি নিকে ব্লগানোর দায় থেকে
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক, আমার কাউকে ’ট্যাগিং’ করা লাগবে কিনা
ক্যাচাল পোস্টকে উস্কে দিতে আরো একটা
রিভার্স গেম লাগবে কিনা
ছোটখাট খোঁচাখুঁচি, লাল বাটনে টিপ আমি নিজেও করে নিতে পারি
আমি বলছি না আমাকেই লগইন করতে হবে, আমি চাই
কেউ একজন কমন নিকের পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্লগে
লগইন করুক, কেউ আমাকে তাদের ’মালটি নিক’ -টাও দিক
আস্তিক-নাস্তিক সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক, ”তোমার ব্লগ এত হিট কেন?”
‘আমরা বন্ধু’ যেসব ক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ নয়...
ডিসক্লেইমার: ‘আমরা বন্ধু’ অনেকক্ষেত্রেই বন্ধুসুলভ। কিন্তু নিন্দামন্দ না করলে নাকি পেটের ভাত হজম হয় না! গত দুদিনে দুটো বিয়ের দাওয়াত খেয়ে এসেছি, পেট এখনো ভুটভুট করছে। গত কদিন কারো নিন্দামন্দ করি নি বলেই হয়তো রোস্ট, কাচ্চি বিরানী বা টিকিয়া কাবাবগুলো এখনো হজম হচ্ছে না। সামনের শুক্রবারে আবার এবির পিকনিক। ইচ্ছা আছে অন্তত দুটো খাসি আর চার-পাঁচেক মুরগি সাবাড় করা, সাথে এক লিটার কোক আর যা যা থাকে, সেগুলোর একটু একটু করে চেখে দেখা। নিন্দামন্দ না করলে যদি ওগুলো হজম না হয়, তাইলে পিকনিকটা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবো না। তাই এই লেখা। পরিষ্কার কথা- এর মধ্যে কোনো ভংচং নেই। 
রাজনীতির রঙ্গ
দু’জন বৃটিশ এক হলে নাকি আবহাওয়া নিয়ে আলাপ শুরু করেন। দু’জন ফরাসী এক হলে শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনায় করেন। দুজন আমেরিকান এক হলে মশগুল হয়ে পড়েন শেয়ার মার্কেট নিয়ে। আর দু’জন বাঙ্গালী এক হলে নির্ঘাত রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দেন। গণতান্ত্রিক দেশ অথচ গণতন্ত্রের কোন চর্চা নেই, যতটা না রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। পল্টন ময়দান থেকে চায়ের দোকান পর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রী থেকে রিকশাচালক পর্যন্ত-এদেশে সবাই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।