দাম্পত্যঃ আহা, উত্তাপ কতো সুন্দর তুই থার্মোমিটারে মাপলে!!
দিল্লী’র লাড্ডু আসলেই খেতে কেমন তা কেউ পরিষ্কার করে জানায় না। সবাই কেবল দাম্পত্যের সাথে তুলনা দিতে গিয়ে টেনে আনে দিল্লী কা লাড্ডুর কথা যেটা নাকি খেয়েও পস্তাতে হয় আবার জেনে শুনে না খেয়েও গতি নাই কারুরই। লাড্ডুটা খাওয়া মেয়েটা যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারাজীবন মনে রাখে। আর ভাবে একআধটু উল্টোপাল্টা থাকলেও বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না। আবার উলটো ক্ষেত্রে বরটা সেসব নারীকে আজীবন মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি। আবার মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থেকে যাবে, কিন্তু, হায়! স্ত্রী বদলে যায়।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যতই মুখে রৈ রৈ করে বেড়াক পস্তাচ্ছে কিন্তু ঠিকই সেইজনের সাথেই দাম্পত্যের লাড্ডু খেয়ে যেতেই আনন্দ সবার। আমাদের ঈশান মাহমুদের বিয়ে বার্ষিকীর লেখাটাই পড়ে দেখেন, কি আনন্দের সাথে জানালেন নিজের সুখের কথাগুলো। সবকিছুরই পজেটিভ দিক আছে, আমাদের খুজেঁ পেতেই যা দেরি।
দার্শনিক সক্রেটিসের বৌ প্রচন্ড মুখরা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এমনকি প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাড়ু হাতে তাড়া করেছেনও ভাবুক স্বামীকে। তবে সক্রেটিসের জগৎ ভুলে গভীর চিন্তায় মশগুল থাকার কারনেই তেমনটা যে ঘটেছিল তা সহজেই অনুমেয়। তো একদিন তীব্র বাক্যবানে ঘর ছেড়ে বাইরে এমনই চিন্তায় মশগুল ছিলেন সক্রেটিস, ওইদিকে বৌ বানী বর্ষন করেই যাচ্ছেন। একসময় রেগেমেগে বৌ একবালতি পানি এনে ঢেলে দিলেন তার মাথায়। পড়শী’র হাসি দেখে সক্রেটিসের উত্তর -“আরে, যে হারে গর্জন হলো, বর্ষন না হওয়াটাই তো আশ্চর্যান্বিত ব্যাপার হতো!” আর অন্যদের প্রতি তার উপদেশ হলো, “পুরুষরা অবশ্যই বিয়ে করবে, যদি একজন ভালো স্ত্রী পাও, জীবনে সুখী হবে। আর যদি খারাপ স্ত্রী পাও, দার্শনিক হওয়া তোমার নিশ্চিত!’
অপরের দুঃক্ষ দেখে নাকি নিজের দুঃখ হালকা করে সবাই। জানুন এবার প্রেমের মুরতি সম্রাট শাহজাহানের দুঃক্ষের কাহিনী। শাহজাহান ও মমতাজমহল পরস্পরের প্রতি নিবিড় ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেও তাদের বিবাহিত জীবন ছিল ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ। সম্রাটকে নানা দুর্গম স্থানে ছুটতে হয়েছে, যুদ্ধের ময়দানে লড়তে হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে পালাতেও হয়েছে। সব যাতনা সহ্য করেও মমতাজমহল তাকে ছায়ার মতো সঙ্গ দিয়েছেন, তাকে উদ্দীপ্ত রেখেছেন। ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে একদিনের জন্য স্বামীকে ছেড়ে অন্য কোথায়ও থাকেননি। এই কাহিনী থেকে কেউ মমতাজের কষ্ট কিবা শাজাহানের কষ্টের জন্যে সমব্যাথী হবেন তা নিজ নিজ ব্যাপার।
দার্শনিক, সম্রাট’রা মহান ততোধিক মহান তাদের কীর্তিকলাপ, তাদের কথা বাদ দেই, আসুন জানি কিছু আমজনতার কাহিনী।
মঈন ঊ’র আমলে ঢাকার সুনির্দিষ্টস্থানে রাতের বেলা বাইরে থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হতো, তেমনি একসময়ে ভাগ্যের ফেরে একবার রাতে থেকে যেতে হয়েছিল একবাসায়। জীবনের নানান ঝামেলায় এখন কিছুটা দূরে হলেও অনেক পছন্দের ভাইয়ের বাসা সেটা, আথিতেয়তার আতিশয্যে প্রান যায় যায় হাল। খুব ব্যস্ততায় সারাদিন কেটেছিল বলে প্রচন্ড ক্লান্ত তাও ভাবী রাত চারটা অব্দি গল্প করেই যাচ্ছেন টিভি’র মতো করে। মানে উনি বলছেন আমি শুনছি, এছাড়া উপায়ও নাই কারন শুনতে শুনতে ঝিমিয়ে পড়ে গেলে কাধঁ ঝাকিয়ে তুলে দিয়ে নতুন গল্প শুরু করছেন, এই বলে যে, “ওহ! এই গল্পটা তোমায় বোর করছে, শুনো এবার একটা মজার গল্প, হলো কি একবার ..... ”। এর মাঝে কয়েকবার দেখে যাচ্ছিলেন ভাইয়া, কিন্তু উকিঁ দিয়ে যাওয়াই সার, আমার চোখের করুন আর্তি দেখলেও মিনমিন করে দুয়েকবার ডেকে যাওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারছিলেন না উনি, ভাবীর জমায়ে গল্প বলা দেখে। সাড়ে চারটার দিকে ভাবী হাকঁডাক ছাড়া শুরু করলেন,”বুয়া, চা বানাও তো, ঘুমে কাতর মেয়েটার জন্যে, তবেই না পরে মজা করে গল্প করা যাবে!” এবার ভাই বৌয়ের হাত চেপে ধরে টানতে টানতে বললেন, “তোমাকে দরকার এদিকে এসো, আর ওকে ঘুমাতে দাও”। সাথে সাথে তারস্বরে অনুযোগ ভাবীর “তোমার সংসার করে করেই আমার জীবন জেরবার হতে চললো, মন খুলে দু’দন্ড কারো সাথে গল্প করবো তারও উপায় নাই!!...”। কোনমতে আলিশান ঘরে অস্বস্থি নিয়ে ঘুম দিলাম, কিন্তু সকাল না হতেই আবার শুরু। ছুটিরদিন ছিলো বলে ভাইও ঘরেই ছিলো, অনেক কেয়ারিং আমার এই ভাইটা, বাচ্চাদের জন্যে তার টানটা অনেক। সেদিন দেখলাম তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, ভেবেছিলাম ফাকঁ পেলেই বাসায় পালাবো, সেই সুযোগ আর পাইনি। মজার ব্যাপার দেখলাম একটা, মোবাইল আর গাড়ির চাবি ভাবীর জিম্মায় আছে ছুটির দিন বলে, ফোন এলে ভাবী রিসিভ করে পরে ভাইকে দেন!
এবার দুই লতায়পাতায় বন্ধুর গল্প, যাদের মাসে ছ’মাসে কথা হতো। তাদের জানার চলার গন্ডি পুরোটা আলাদা আলাদা বলেই যেন হরেক রকমের কথা শেয়ার করতো দু’জন, জানতে পেতো নতুন নতুন কিছু। ছেলেটার কথার অনেকটা জুড়ে ছিলো বৌ আর কাজ আর অফিসের লোক। একটা ব্যাপার নিয়ে তারা মজা করতো যে, মেয়েটার বাড়ি এলাকায় ছেলেটার শ্বশুড়বাড়ি আবার মেয়েটার নাম ছেলেটার প্রেমিকার নামের সাথে মিল, যাকে ভুলাতে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে তার। আগের সব কথা জেনেশুনেই বৌ তার প্রেমে পড়েছিল, কিন্তু ওর নানান কথায় বুঝা যায় এখনও অনেক ইন্সিকিউরড। তাই যত সম্ভব পারে বৌকে সময় দেয় যেটা বন্ধুদের থেকে অনেকটাই একা করে তুলেছে তাকে। মেয়েটা জানাতো তার ফ্যামিলি, বন্ধুদের নিয়ে হৈ-হুল্লোড়ের গল্প। একদিন মেয়েটার ফোনে অচেনা নম্বর থেকে মিষ্টি গলায় কেউ জানতে চাইলো, “আপনি কি অমুক আপু?” –“হ্যাঁ, আপনি কে?” আবার প্রশ্ন, যেন আশ্বস্থ হতে চায়, “আপনি আসলেই অমুক আপু বলছেন?” – “জ্বি, আপনি কে বলছেন?” একটা হাসি দিয়ে কিছুই না বলে খট করে ফোন কেটে দেয়া হলো। মেয়েটা একটু অবাক হলেও নিজের ব্যস্ততায় ভুলেই গেলো ব্যাপারটা। পরদিন ভোরে দেখা গেলো ৬/৭টা মিসকল আর একটা এসএমএস ছেলেটার, যেটা রাত২/৩টার দিকে করা, ফোন সাইলেন্ট করা ছিলো বলে টেরই পায়নি। কলব্যাক করতে গিয়ে পাওয়া গেলো ফোন সুইচড অফ! এসএমএস থেকে যা জানা গেলো, বৌ ফোন চেক করতে গিয়ে দেখেছে এক নম্বরে এতো কথা বলা হয়েছে, তার উপর নিজের সন্দেহ থেকে যাচাই করতে গিয়েও পাওয়া গেছে “সেই নাম”, দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে বরের সাথে কয়েক চোট করে নিয়ে সে রাতদুপুরে রওনা দিয়েছে বাবার বাড়ি সাথে দিয়ে গেছে ডিভোর্সের ঝাড়ি! ঐসময় মেয়েটাকে বৌয়ের সাথে কথা বলার জন্যেই ফোন করেছিলো ছেলেটা। এরপর অনেকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি ছেলেটাকে, যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলো তাদের।
নতুন বিয়ে করা একদম্পতি, মধ্যবিত্ত। নতুন সম্পর্ক তাই কেনাকাটা, উপহার দেয়া নেয়া চলছেই। একবছর পার হয়ে গেলেও ভাটা পড়েনি উপহার নেয়াতে। জন্মদিনের, নাক ফূড়ানোতে, বোনের বাচ্চা হবার খুশিতে, বসন্তের কারনে, ভ্যালেইন্টাইন্স দিনে, শীতের আগমনে(!) কতো কি দিবসের উপহার। ছেলেটা যদিও দেয়, তবে বন্ধুদের কাছে অনুযোগ তার এইসব নিয়ে। সবচেয়ে মজার ছিলো যখন বিজয়দিবস এলো, মেয়েটার বায়না, - “শোন, দেশের এমন খুশির উপলক্ষে তুমি আমাকে কি কিনে দিবে?”
দিল্লীর লাড্ডু না খেয়েই গুনীজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপদেশ বয়ান করছি, - “দাম্পত্য জীবনের একটাই সূত্র বলে দিতে চাই, কখনো বউয়ের অবাধ্য হবে না, গৃহপালিত একান্ত বাধ্যানুগত স্বামীদের কদরই এই জগতে সবচাইতে বেশি। সফল স্বামী সেই, যে মুখ বন্ধ রাখে, আর খোলা রাখে চেক বই”।
কখনো সঙ্গীকে অভিযোগের সুরে কথা বলবেন না, অভিযোগ পুরুষরা সহ্য করতে পারেন না, অভিযোগহীন থাকুন, সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করুন। (সংযোজন- লীনা'পা)
দাম্পত্য বিষয়ে গুরুর বহুল পঠিত লেখাটা পড়েন।
সাথে ফ্রী একখান কবিতা
দাম্পত্য কৌশল
লিখেছেন শ্যামল চন্দ্র দাস
হে বন্ধু মোর
যারে তুমি কাছে নিলে বাঁধি প্রেমডোর
এ বিশ্ব সংসারে।
স্থান দিলে হৃদয় মাঝারে
পবিত্র বন্ধনে।..
যার মুক্ত বিচরণ তব হৃদয় অঙ্গনে ।
যারে তুমি বসিয়েছো হৃদয় আসনে
সব বাধা করি অতিক্রম।
যার দুটি হাত ধরে
জীবন নদীর তীরে
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এলে
সুখ দুঃখ ভাগ করে নিলে
নিভৃতে নির্জনে।
আজ কেন এতকাল পরে
তাহার সকল কাজে ত্রুটি চোখে পড়ে ?
তার শুধু দোষ খুঁজে ফের
নিজের দোষের কথা মনে নাহি ধর ?
স্থির হয়ে ভাবো বসে মনে
প্রতিটি মানুষ আছে নিজ দোষ গুনে।
ছোট ছোট দোষ ত্রুটি পরিহার করে
গুনের সকল ক্ষেত্র আলোকিত কর
কপটতাহীন।
আমি নিশ্চিত, আবার আসিবে সুদিন।
একটি কথা চুপি চুপি বলি
অন্তর্মুখী ভালবাসা জ্বালায় কেবলি।
তোমার সকল কাজে
ভালবাসার সুর যেন তার প্রাণে বাজে।
মনের আলোয় তুমি আপনারে দেখো।
বন্ধু শুনে রাখো,
শেষ কথা নয় শুধু ভালবাসাটাই
মনের সে ছবিখানি প্রকাশ করা চাই।
ক্ষুদ্র স্বার্থ, অহমিকা দূরে ছুড়ে ফেলে
তারে তুমি কাছে টানো, তার কাছে গিয়ে
দু’হাত বাড়িয়ে।
তুমি জয়ী হবে।
উৎসর্গঃ সেই আমরা আমরাই ( রায়হানভাই - বিচক্ষন, মেসবাহভাই -যার ঝাড়ি খেয়েই আমরা বুঝি তার আদর/আবেগ, মাসুমভাই -সুপার কুল, টুটুলভাই - প্রচন্ড প্রানবন্ত, উনারে পছন্দ না করে কেউ পার পায় না, লিনা’পু- কথা বলে লাগে ইনি এক চুটকিতে পাহাড় সরায়ে ফেলতে পারবে, বাফড়া- এ্যামেইজিংলি আনপ্রেডিক্টেবল, রুবাই -বিশ্বাসযোগ্য করে যেকোন প্রেজেন্টেশনেই আশ্চর্য রকমের দক্ষ, জয়িতা - আসলেই ছায়া আপা, মুরাদ - দোস্ত, নাজ - দারুন সুইটু, আমি - চরম গাধী)
ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হিসাবে আমাদের নাম না দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।
তয় লেখা অতিশয় ভালো হয়েছে বরাবরের মতো।
আরে, আপ্নেরে কেম্নে তিন নম্বর বানাই, এই উৎসর্গে তো কোন এক নম্বর, দুই নম্বর নাই সব আমরা আমরাই...
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ...
আপনার ব্লগে আমার প্রথম মন্তব্য। লেখা অতিশয় উপাদেয় হয়েছে
আমরা বন্ধুতে স্বাগতম, আর লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আরিশ...
মাহবুব ভাই, আমার সব পোষ্টে এই বাকেরভাই স্টাইলের ইমো দেন ক্যান!!...

নতুন কিছু একটা কন ভাইডি...
আমার জামাই অরফে টুটুল সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষন!
আজ ছুটির দিনে তুমি কই? টঙ্গী। খালি নাজ'রে বউ হিসেবে পাইছিলা দেইখা এইটা সম্ভব হইছে। নাইলে তো আজ মটর সাইকেলের চাবি, মোবাইল সব বউ এর হাতে দিয়া সারাদিন ঋহান'রে দেখা শোনা করা লাগতো। যাও, দুই রাকাত নফল নামাজ পড় জলদি
নাজ, এম্নে কইরা লেখার পয়েন্টে হাত দিয়া ফেললে কেম্নে কি!!...
লিখলেন আপনি, আমি আবার কি ধুষ করলাম
জীবনের পরথম উৎসর্গ
আপনারে এক কেজি ধইন্যাপাতা, আপু!
আমাকেও করে নাই, তাই দেখো না নিজেই নিজেরে উৎসর্গ করে ফেললাম...
আইলা !!
সিডর!!...
ইনিংস শুরু না করেই এত
দাম্পত্য জীবন নিয়ে নারীদের জন্য একটা টিপস (যিনি টিপসটা দিয়েছেন তাকে ধইন্যা)
কখনো সঙ্গীকে অভিযোগের সুরে কথা বলবেন না, অভিযোগ পুরুষরা সহ্য করতে পারেন না, অভিযোগহীন থাকুন, সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করুন
আর ইয়ে মানে আমাকে এইটা কি খেতাব দেয়া হৈল!
টিপস মনে রাখবো ;) তবে অভিযোগ না করে কেম্নে থাকুম, অতিমানবী হইতাম পারুম না!!!...
খেতাব দিছি বুইঝা শুনেই, এখন যদি বলি একটা পজিটিভ ভাইভ ছড়ান আপ্নে, এটা শুনলে বড়ভাই'রা উলটা মানে বাইর করবো, তাই বললাম না...
আপনারে আকারে ইংগিতে চুটকিবাজ কইতে চাইছে। খুবই খারাপ
তোমারে এক কথায় কি কইছি আগে সেইটা ভাঙ্গাও তো?...
চুটকিবাজ
হাহামগে.......
দাম্পত্য কলহে সবচেয়ে খারাপ দিক হলো সন্দেহবাতিকতা। মুল সমস্যাটা এখানেই শুরু হয়। এদিক থেকে আমি মহাভাগ্যবান। আমার বউ এদিক থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয় আমাকে। আমার ফোন ধরেও দেখে না। কই যাই, কেন যাই কোনোদিনও জানতে চায় না। আর আমি সময় দিতে পারি না, অফিসের সময় উল্টাপাল্টা, অহেতুক খরচ করি। আর আমার বউ আমার এসব ঘাটতি ঠিকঠাক করে দেয়।
আমার এই বউয়ের জন্মদিন আজ। রাত ১২টায় একটি শাড়ি হাতে দিয়ে আপাতত আগামি ৩ মাসের জন্য মুগ্ধ করে রাখতো পারবো বলেই মনে হয়।
ইতি
সুপার কুল
মাসুম
ওয়াও!... ভাবীকে আগাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা... :)
শাড়ি কেনা হয়ে গেছে?... কি শাড়ি, কালার কি... শাড়ি দেয়ার টাইমে কি গান গাইবেন, "জন্মদিনে কি আর দিবো তোমায় উপহার, বাংলায় নেও ভালোবাসা, হিন্দিতে পেয়ার!!..." :p
শাড়ি তো দেওয়া শেষ গতকাল রাতে। জন্মদিন তো আজ মানে ১৭ মার্চ।
শাড়ি কাল একা একা কিনছি। বউ আমার পছন্দে মুগ্ধ।
ওহ! আজ রাত ১২টা বলছেন বলে ভাবলাম ১৮ তারিখে জন্মদিন...
বিবাহ না কৈরাই এত্ত অভিজ্ঞতা? বিবাহ কর্লে তো দাম্পত্য জীবনের আদি-অন্ত লইয়া সাড়ে তিনহাজার পেজের উপন্যাস নামায়া ফেলতে পার্বা
দুয়া করি যাতে তারাতারি উপন্যাস লেখায় হাত দিতারো...

পেইজ এতো কম!!... আরে! ওইটা তো নেভার এন্ডিং উপন্যাস হইবো...
আর মন দিয়া দুয়া করো ...
সেইদিন বাসের কন্ডাক্টারি তো ভালোই করছিলা ... মহিলা প্যাসেঞ্জার'রা দেখি দরজা ছাড়তেই চাইছিল নাহ...
কত অভিজ্ঞতা!!

দিল্লীর লাড্ডু জলদি খেয়ে নেন ।
নিজের গুলা কিবা জানাশোনা গুলো জানায়েন আপনিও...
সবকিছু অতি চ্রম। আর টুটুল ভাই যে ঝাড়িটা খাইলো ওইটা অদ্ভুত।
জেবীন আপুর পোস্ট প্রিয়তে গেল।
8) হ! নাজের চক্ষু মারাত্নক!! ...
ধইন্যা ...
ওই মিয়া, আমি ঝাড়ি দিলাম কই? আমি তো তারে নামাজ পড়তে কইলাম
এ তো বিশাল গ্যাঞ্জামের জীবন! তবে লাড্ডু না খেয়ে কেমনে কই? কি বলো তুমি?

। পোষ্ট উৎসর্গের লাগি। তবে বিমারে কও দুস্ত আর আমি পেকিকোট? 
আমি যেহেতু নিজের স্বাধীনতা চাই তাই অন্যের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। প্রত্যেকটা মানুষের একটা নিজস্ব জায়গা নিশ্চয়ই থাকা উচিত। যদিও প্র্যাকটিকেল লাইফে আসলে কি করুম কে জানে!
নেও
আরে, লাড্ডু খাইতে মানা করি নাই তো!... উৎসাহিতই তো করলাম...
প্র্যাক্টিক্যালে যে কে কি করে বুঝাই মুস্কিল... কিছু করুম না বলেও ধুম করে দিয়া বসতে পারি কিল!!
যারে যা কইছি কইছি, ভাঙ্গামু না কিছুই...
জেবীন জাহাজ নিয়ে পোষ্ট দিল ক্যান? আদা বাটা কি শেষ?
এটা বোধহয় চৌদ্দ বছর হবে। মমতাজের কোন অপশন ছিল না কিন্তু শাজান তখনও আরো কয়েকটা বিয়ে করেছিলেন বলে জানি। যদিও মমতাজ তার প্রথম স্ত্রীও ছিলেন না। ব্যাটার এমনিতেই বিল্ডিং বানানোর ইচ্ছা হইছিল। ম্যাঙ্গো পাব্লিক হইলে নাম হইতো হাছিনা মঞ্জিল, বাদশাহ দেইখ্যা নাম দিছে তাজমহল
আরে, আজকাল কি আর পাটাপুতায় আদা বাটা হয় নাকি, সাথে পানি মিশাইয়া ব্লেন্ডারে দিয়া ৩মিনিটেই কাজ সাবার!!... তবে পানি বেশি দিয়া ফেলছিলাম তাই আবাটা আদা ভাসতেছিল, সেই দেখেই শখ করে জাহাজের পোষ্ট দিলাম!!...
মমতাজমহল শুনেছিলাম সম্রাটের ১৪ না জানি ১৯তম স্ত্রী, আর বাকিজনদের কথা আর কি বলবো। দাম্পত্যজীবনের ব্যাপারে আসলে আমি সিঊর না, এক লেখায় পেয়েছিলাম, এটা রম্যলেখা বলেই বাছবিচার না করেই লিখে দিয়েছি...
ওই মেয়ের উপহারের বায়নাগুলা আসলেই ইউনিক!...
উৎসর্গপত্রে নাম নাই বলে প্রথমে মনে করছিল, কমেন্টই করবনা!! তয় আবার করলাম, হেহে।
দাম্পত্যজীবন শুরু হওয়ার ঢংকা বেজে গেছে নাকি?
আরে, নাম না লেখলেও নিজের মনে কইরা পইড়ো... কারন তুমি না সেইদিন এফবি'তে আমারে সাহায্য করার জন্যে কতো উপায় জানাইলা, তাই এটা দিয়া তোমার ঋন শোধের চেষ্টা করলাম ...
দাম্পত্যের ডংকা বাজে নাই সিউর... তয় "ঢং-কা" বাজছিল কিনা বুঝতাছি না!!...
নাম না দিয়াই আমার ঋণ করে দিলা? তাইলে নাম দিলে কি হত?! মনে বড়ই কষ্ট পাইলাম!
ডংকা আর ঢংকার পার্থক্য করতে গিয়ে ভুল হয়া গেছে গা! গরীব মানুষ, হাতের লেখা খারাপ, তাই এট্টু ভুল হয় আর কি।
আমি কি বলছি যে তুমি ভুল লেখছো?... ফ্রিজ খুলে কে রে? শুনেই, নিজেই যদি বলো "আমি আইস্ক্রীম খাই না!" তাইলে কি আর কমু!!।।
ব্লা ব্লা ব্লা। লেখা পড়ে দারুন মজা পেলাম।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ...
ও আল্লা !! বিয়া না কইরাই এই মাইয়া এই থিসিস লেখছে
ওরে অচিরেই বিবাহ করান উচিত।
এই রকম একটা প্রতিভার যদি সামান্যতম একটু প্রাক্টিক্যাল গিয়ান থাকত তাইলে ম্যারিড মানুষগো কত্ত উপকার হইত
আফা আপ্নে জলদি লাড্ডু খান আর আমাগো হেদায়েত করেন 
আরে, সবাই খালি খাইতেই বলছে! :| মানলাম লাড্ডুটা কষ্ট করে আমিই খামু, কিন্তু আপনাদের তো একটা দায়িত্ব আছে নাকি, লাড্ডুর ব্যবস্থা করেন ... দেখেন থিসিস কারে বলে!!...
নিজেরেই উৎসর্গ করলা?
নিজের ঢোল নিজেরেই পিটাইতে হয় আজকাল... আর আপ্নেরা কেউ করেন নাই, তাই নিজে নিজেই ... :p আর লগে তো আপনাদের সবাইরেও করলাম, সেইটা?
থিসিস যা করার এহনই কইরা লও। বিয়ার পর আর থিসিস করা লাগবে না।
ডর দেখাইলেন মনে হয়?... ডরাইলাম নাহ...
মন্তব্য করুন