সুখ তুমি কি বড়ো জানতে ইচ্ছে করে
সুখ নিয়ে কতজনের কতো কথকতা। ভালো নাই, চারিদিক খাঁ খাঁ, মন সে এক তলাবিহীন ঝুড়ি কিছুতেই ভরে না, সব থেকেও ঠিক যেন কি নাই নাই - ইত্যাকার হাহাকারে প্রকম্পিত চারিধার। কেউ বিষন্নতার শেকড়ঁ সন্ধানে মেঘবালকের সাথে বন্ধুত্বতার অভিপ্রায়ে আছেন। কেউ আবার “তোমার লগে হইলো না প্রেম অপেক্ষাতেই হইলো সার, আমার হৃদয় হইলো তোমার গোলাপ গাছের জৈবসার!” ভাব নিয়ে রাতদিন হাপিতেষ্য করে তেনাতেই সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস এতেই মজে আছেন।
সুখি হবার পন্থা কি, আদৌ কি আছে নিরন্তর সুখি হবার উপায়? যতই অবারিত পেয়ে যাই তবুও অধরার পানে ছুটেই না পাওয়ার হাহাকার নিয়েই যেন সবার দুঃখবিলাস। বিলাসী আমিও, অনেক উচ্চমাত্রার। কে জানে এই বিলাসী হওয়াটাও সুখের কোন রুপ কিনা!
সৈয়দ মুজতবা আলী’র “সুখী হবার পন্থা” গল্পটা পড়ছিলাম। মূলত ওটা পড়বার পরই মাথায় ঢুকলো এই লেখাটার পোকা। তবে তিনি যা লিখেছেন, যেমনটা মজার করে উপস্থাপন করেন বক্তব্য তার ধারেকাছে যাওয়া অনেক মুস্কিল! লেখকের মতে, - “সুখী হবার পন্থাটাই যদি আমার জানা থাকতো তবে এই টক্ (লেখাটাকে টক্ বলছেন!!) দিতে যাবো কেন? আপনাদের আনন্দ দেবার তৃষ্ণা থেকেই এই টক্ দিচ্ছি। আর বুদ্ধদেবের মতে এই তৃষ্ণা থেকেই সর্ব দুখের উৎপত্তি! ”
তবে কি কোন কিছুর তৃষ্ণা মিটে গেলেই সুখী হয়ে পড়ি আমরা? যা সুখ পাবার পেলাম ভেবে অন্যত্র সুখের সন্ধানে বেরিয়ে পড়াই কি বুদ্ধিমানের কাজ?
কবি হেলাল হাফিজের “তৃষ্ণা” কবিতাটাতে দেখা যায় যে,
”কোনো প্রাপ্তিই পূর্ণ প্রাপ্তি নয়
কোনো প্রাপ্তির দেয় না পূর্ণ তৃপ্তি
সব প্রাপ্তি ও তৃপ্তি লালন করে
গোপনে গহীনে তৃষ্ণা তৃষ্ণা তৃষ্ণা।
আমার তো ছিলো কিছু না কিছু যে প্রাপ্য
আমার তো ছিলো কাম্য স্বল্প তৃপ্তি
অথচ এ পোড়া কপালের ক্যানভাসে
আজন্ম শুধু শুন্য শুন্য শুন্য।
তবে বেঁচে আছি একা নিদারুণ সুখে
অনাবিষ্কৃত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বুকে
অবর্ণনীয় শুশ্রূষাহীন কষ্টে
যায় যায় দিন ক্লান্ত ক্লান্ত ক্লান্ত”।
আবার কবি’র “নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী” কবিতাটাতে আছে,
“পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো বলে
মনে পড়ে একদিন জীবনের সবুজ সকালে
নদীর উলটো জলে সাঁতার দিয়েছিলাম।
......
তবে কি মানুষ চোখে মেখেছে স্বপন
পতন দিয়েই আজ ফেরাবে পতন”।
তবে কি নতুন কিছু দুঃখ নিয়েই আপাত দুঃখকে কাটাবো, আর ক্ষনিকের এই দুঃখ জয়ের আনন্দেই সুখকে খুজেঁ নেবো?
একবার এক মাইগ্রেনের রোগীকে দেখা গেলো দেয়ালে মাথা ঠুকছে, জিজ্ঞেস করতেই সহাস্য উত্তর, “অমন করলে কি আরাম যে লাগে!” কবি হাইনে নাকি বলেছিলেন, “কড়া ঠান্ডায় রাত-দুপুরে লেপের তলা থেকে পা বের করাতে দারুন শীত লাগলো, এরপরই পা টেনে ভেতরে নিয়েই আয়েস করে যে কেঊ বলে উঠবে, “আঃ কি সুখ রে!” এমনতর নেতিবাচক সুখ - মানে দুঃখের অভাবে সুখ পাওয়ার অনেক ঘটনা বর্তমান। আর সুখের আবডালে ভর করে নয় সরাসরি সুখ চাওয়ার সংজ্ঞা তো অনেকে সরাসরি দিয়েছেন, যদিও নাগালে আসে ক’জনার।
সৈয়দ মুজতবা আলী’র গল্পটা থেকে আরেকটা অংশ তুলে দেই -
“আমাদেরই মহর্ষি চার্বাক সুখী হবার নির্ঘন্ট আরো সস্তায় সেরেছেন; তিনি বলেছেন, “যাবজ্জীবৎ সুখং জীবেৎ, ঋনং কৃত্ম ঘৃতং পিবেৎ!” অর্থাৎ ঋন করেও ঘি খাও, ফেরৎ তো দিতে হবে না, কারন এ দেহ ভস্মীভূত হবেই! এখানেই ওমর খৈয়ামের সাথে তার তফাৎ! নিজের নানান লেখায় ওমর খৈয়াম স্পষ্ট ভাষায় সুখের কথা বলেছেন, কিন্তু যেটা তিনি বারবার বলেছেন, “পরের মনে কষ্ট দিয়ে সুখ হওয়া যায় না, কেউ সুখী হয় না”!
তাই যতই হাপিতেষ্য করি, নেতিবাচক সুখরে আলিঙ্গন করতে নিজেকে কষ্ট দেই তবু যেন অপররে দুঃখি না করি তাতেই সচেষ্ট হই। শাস্ত্রে নাকি আছে - আমার ঘাড়ে বোঝা ছিলো, সেটা নেমে যেতেই বললাম, “আহা কি আরাম, এসো গো ক্ষুদিরাম - আহা কি সুখ, ঘুচে গেছে দুখ!” তাই কারো সুখকে আড়াল করা বোঝা হয়ে গিয়ে পপাতধরনীতল হলে যেন বিধাতা দুঃখি না করুন। এইটুকু বুঝবার সুবুদ্ধি আমাদের দিন উনি যে, সুখের লাগিই সে ওমনটা করলো, তাই সুখি হোক সে নিজ আনন্দলোকে।
ছোট ছোট ঘটনার সম্ভারে গল্পটার বুননি কিন্তু বেশ মজার। অবশ্য নানান মানুষের সাথে চলা, নানান দেশ ঘোরা এই লেখকের প্রায় লেখাই দারুন সুখপাঠ্য। প্রায় বললাম এই অর্থে, কিছু কিছু লেখা আসলেই বুঝে উঠতে পারি না, সে আমার অক্ষমতা।
সৈয়দ মুজতবা আলী’র লেখা আর তাতে খাবারের গল্প আসবে না এমনটা হতেই পারেনা। কি আশ্চর্য দক্ষতায় সবটাতেই উনি খাবারের প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন! যেমন এই লেখাতে বলেছেন, “নানান দেশের নানানটা হলেও ভারতবর্ষ অমৃতেই সুখ চেয়েছে! রাধা-কৃষ্ণ থেকে রবীন্দ্রনাথেও এই জাতীয় সুখের কথা এসেছে। তবে অমৃতের অত্যুত্তম বর্ননা পেয়েছি একটি শ্লোকে -
“কেচিদ্ বদন্তি, অমৃতস্তি সুরালয়েসু,
কেচিদ্ বদন্তি বণিতাধরপল্লবেষু,
ব্রুমো স্বয়ং সকল শাস্ত্র বিচারদক্ষা,
জম্বীরনীরপূরিত মৎস্যখন্ডে!!
- আহা হা! কেউ কেউ বলেন অমৃত আছে সুরালয়ে মদের দোকানে, কেউ বা বলেন, না, অমৃত বণিতার অধর পল্লবে। আর আমরা সকল শাস্ত্র অধ্যয়ন করে বিচারদক্ষা - আমরা বলি জম্বীরনীরপূরিত - অর্থাৎ, নেবু, জম্বীর, জামীর - সিলেটিতে- নেবু- লেবুর রসে পূরিত - ভর্তি- মৎস্যখন্ডে! সোজা বাংলায়, মাছের উপর কষে ঠেসে লেবুর রস লাগানো- সেটাই অমৃত!!”
তাই হেথায় হোথায় কই যে পাবো সুখটারে এই ভাবনায় দিনমান দেয়াই বৃথা! সারাদিনের হাজারো ক্লান্তিকর মূহুর্তের মাঝে নিজের ঘরের দেবশিশুটার অর্থহীন আধোবোল কিংবা বাধঁভাঙ্গা হাসি পলকেই সুখের শিখরে উঠে যাবার জন্যেই তো যথেষ্ট। নতুবা শুধু আমার জন্যেই আনাড়ী কেউ মনপ্রান দিয়ে কিছু তৈরী করে মুখপানে চেয়ে প্রতিক্ষায় থাকে আমার মতামতের জন্যে, নিজেকে তো পৃথিবীর মহামূল্যবান কেউ ভাবাই স্বাভাবিক, সুখের আবেশে বুজেঁ আসে সমস্ত স্বত্তা। এই সবই তো সুখ।
“দূরে দূরে তুমি কেন খুজেঁ মরো?
সুখ তো আছে হাতের কাছে,
শিখে নাও শুধু তারে ধরিবারে,
সুখ সেতো রয় সদা কাছে কাছে!” - মহাকবি গেট্যে
-------------------------------------------------------------
লেখাটা এখানেই শেষ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু একটা গল্প তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। এটাও হুবহু তুলে দিচ্ছি।
এক ছোকরার বিয়ে করার বড়ই শখ, তার মতে এতেই তার সকল সুখ নিহিত। কিন্তু কিছুতে হয়ে ঊঠছে না। ওদের পরিবার একমাত্র শ্রীহনুমানের পূজো করে- অন্যে দেবতা সেখানে কল্কে পান না - তাই ত্রিসুন্ধ্যা তারঁই পূজো করে কাকুতি-মিনতি করে, “হে ঠাকুর, আমায় একটি বউ জুটিয়ে দেও গো”। ওদিকে নিত্য এমন ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে হনুমানের পিত্তি চটে গিয়েছে। শেষটায় একদিন স্বপ্নে দর্শন দিয়ে হুঙ্কার দিলেন, “ওরে বুদ্ধু, বউ যদি জোটাতেই পারতুম, তবে আমি নিজে বিয়ে না করে confirmed bachelor হয়ে রইলুম কেন?!!”
-----------------------------------------------------------------------------------------------
এই লেখাটা সদ্য অপার সুখের সাগরে ঝাপঁ দেয়া বন্ধু আনোয়ার সাদাত শিমুল আর অনেক সৌভাগ্যের দুয়ারে দাঁড়ানো বন্ধু লিজাকে মনে করে লেখা।
আপনি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন নাকি? পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছিল বাংলা ৩০১ এর উত্তরপত্র পড়ছি
সাহিত্যের ছাত্রী!!
বাংলায় আমি টিটিপি!
হ! গরুর রচনা টাইপ লেখা হইয়া গেলো, কি আর করা, ভাব আসছে লেখছি, কি আছে দুনিয়ায়!


৩০১ এর উত্তরপত্রের মাজেজা বুঝলাম না কিন্তু
তবে আপ্নের মন্তব্য দারুন লাগছে!
সুখটাকে খুব কঠিন লাগছে
হ!
পোষ্টটা পড়ে শেষ করে দেখি আমার দাঁত আর গাল ব্যাথা করতেছে। কার উপড়ে রাগ করে এখানে রাগ ঝাড়লা?
বেগম খানম! আপনি এইভাবে আমার লেখা অবমাননা করতে পারেন না! একটা সিরিকাস লেখা আপনার এমনি হাসির উদ্রেগ করছে যে আপনার গাল ব্যাথা করতেছে!! আর, আক্কেল দাতেঁর সমস্যাকে আপনি এইখানে কেন টেনে আনছেন আমার বোধগম্য হচ্ছে না!!
রাগ কই, লেখাটা পড়ে মজা লাগছে বলেই হুট করেই এই প্যাচালি শুরু করছি!
আপনি আবারো ভুল বুঝলেন!
(
ও এইটা কি হাসির লেখা? কুনখানে হাসতে হৈব কইয়া দেও , তাইলে আবার পড়ি। আমি তো বানাম করে পড়ে শেষ করে দেখি অটো গাল ব্যাথা হয়ে গেলো!
শুনো, লেখা কি কেমন বিষয় না সেইটা, কথা হইলো ট্যাগিং দিছি রম্য, সো তোমাকে হাসি আহসি মুখ নিয়েই পড়তে হবে!! এতো কিছু শিখাইতে হলে কেম্নে কি!!
সুখ এত কঠিন কেনে রে আফা?ইরাম সুখ সহ্য করে কেমনে মাইনষে?
হীরা অনেক মূল্যবান জানো তো, কিন্তু সবচেয়ে কঠিন শিলা। আর সুখ তো অতি অতি মূল্যবান তাই এট্টু কঠিন তো হইবোই!
ভাইরে আমার একখান দাঁত নৈড়া গেছেগা, আর লগে সতেরটা চুল পৈড়া গেছে তুমার লেখা পড়তে পড়তে...
তুমি তাইলে স্বীকার করলে যে বয়েস হইছে! থাক এইসব নড়বইড়া দাতঁ আর ড্যামেজড চুলের মায়া বাদ দেও!
তোমার কবিতার কাছে এইগুলা নস্যি!
তুমি সাহিত্যাঘাত কৈরা দাঁত নড়ায়া দিবা, চুলা ফালায়া দিবা আর আম্গোরে ভুয়া অপবাদ দিবা বুড়া হৈয়া যাওনের??? দিক্কার তীব্রতর দিক্কার...
পিকনিকের সময় ফলাঘাতের কথা শুঞ্ছিলাম, যদিও দূর্জনেরা নারিকেল, তাল এইগুলার কথা তুলছিলো কিন্তু আমরা যেই বাদাম, কলা, বরই এর ফলাঘাত পাইছিলাম মজারই তো ছিলো, মনে আছে?
সাহিত্যঘাত! মষ্করা করলা!!
ইয়ে লেখা পড়ে তো সুখ পাইলাম না, মাথা ঘুরতেছে এখন। অনেক আগে সুখ নিয়ে আমিও লিখেছিলাম। http://www.somewhereinblog.net/blog/Naradhamblog/28878274
ছিঃ অন্যের লেখার চিন্তাভাবনা কপি করো তুমি!!
তাও আবার ব্যাক ডেটে সামুতে দিয়ে রেখেছো!!
এহ! আইছে আমার লেখা পড়ে মাথা ঘুরানি'ওলা!
তবে তোমার লেখাটার শুরু আর শেষটা পড়ে বড়োই পরিতৃপ্তি পেলাম(পুরাটা পরার সাহস হয় নাই), আমার মন থেকে বোঝা নেমে গেছে! এমন প্যাচালি খালি আমি একলাই পাড়ি নাই, এর থেকেও বিকট করেও কেউ লিখছে, তাও আবার আমাদের চেনা কেউ!! 
জলিল
ও ছ্যরি জটিল।
কোন জলিল, খোজঁ দা সার্চ এর হইলে খারাপ না!!
আসলেই জটিল,
নিজেই কি লেখলাম ডরাইছি! কিন্তু লেখছি তো লেখছিই মুছামুছি নাই কোন 
লেখা কিন্তু ভাল্লাগছে। সুখ নাইরে পাগল।
সুখ হইল তেজপাতা ।লেখা ভালো হইসে
তেজপাতা তো বেশ ভালো জিনিস!
ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্যে
নো কমেন্টস

মন-মেজাজ-অবসর-সুযোগ সব এক হলে এই নিয়া একটা পোস্ট দেওনের ইচ্ছা আছে
নো কমেন্টস - পড়ে মনে পড়লো, পিকনিকে সবাই চা খেতে চাইলে আপ্নে যে চেচায়েঁ বলছিলেন - নো টি! নো টি!
এই নিয়া কিছু না বলি
বরং একটা পোস্ট লেখনের পরিকল্পনা করতেছি
কিচ্ছু একটা না বললে কেম্নে হপে!
সুখের সন্ধান না করিলেই বোধহয় সুখ কাছে থাকে .............
চ্রম লেখা হইয়াছে।
তাই হবে মনে হয়, পাত্তা না দিলেই কাছেকাছে থাকে 'সুখ' নচ্ছারটা!
লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
আরেকটা লিখা মাথার উপরে দিয়ে গেল।এন্টেনায় মনে হয় সত্যি জং ধইরা গেছে।



এন্টেনায় থালাবাটি লাগাইয়া নইলে কারেন্ট জাল লাগাইয়া ফ্রিকোন্সি ধরার স্পেস বাড়ান!
প্রজ্ঞাজনিত বিবেচনাবোধই সুখ। সুখের জন্য অর্থ চাই, আয়োজন চাই। কিন্তু সবার আগে চাই তিল তিল করে গড়ে তোলা প্রজ্ঞার সংগ্রহশালা (আকারে ছোট হলেও চলবে)।
সুন্দর একটা মন্তব্যের জনে ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়লাম সেই সাথে সবার মন্তব্যও পড়লাম। সুখ নিয়ে এত গো এষণা এত কিছু কিন্তু সামান্য গোপাল ভাড়ের গল্পটাই বাদ পড়ে গেল দেখছি। আমি ভাই গোপাল ভাড়ের ভক্ত । তাই স্বীকার করি সুখ তাহাতেই নিহিত।
গোপাল ভাড়েঁর কোন গল্পটার কথা বলছেন আপু? ত্যাগেই সকল সুখ নিহিত - ওইটা?
লেখাটা সত্যিই খুব ভালো লাগলো জেবীন। যদিও সুখ ব্যাপারটাকেই অধরা মনে হয় আমার কাছে। মনে হয় - সুখ নয়, বেদনাই মৌলিক মানুষের জীবনে; তবু সুখের ভাবনায় মানুষের এই অনন্ত সন্ধান দেখতে খারাপ লাগে না। পুরোপুরি সুখী না হওয়াটাই হয়তো নিয়তি - সকল মানুষেরই; তেমন হয়ে পড়লে অতৃপ্তি থাকে না, আর তৃপ্ত মানুষ আসলে প্রায়-মৃত মানুষই তো! জীবনে অতৃপ্তি থাকুক, বেদনাবোধ থাকুক, থাকুক সুখের সন্ধান - কারণ, তেমন জীবনই চলমান, বহমান; কখনো স্থির-আবদ্ধ নয়।
হুম! দারুন করে বলছেন!

লেখাটা ভালো লাগার কথা জানতে পেরে ভালো লাগছে
কেউ বিষন্নতার শেকড়ঁ সন্ধানে মেঘবালকের সাথে বন্ধুত্বতার অভিপ্রায়ে আছেন। - আফা কথাডা মন কয় আমারে কইলেন।
লেখাটা সত্যিই খুব ভালো হয়েছে জেবীন। অনেক বাস্তব অনেক সত্য !!
হ্যাঁ গো আপু! ঐটা আপনারই কথা,
আপনার ঐ ব্যখ্যাটা অনেক ভালো লাগছিল, শেকড়ঁ সন্ধানে আপনি মাটিতে না মেঘের দেশে যেতে চান! কবিরা কতো কি চিন্তা করে ফেলতে পারেন আপনারা!
আসলে এইখানে নিজের সাথে সাথে আরো অনেকগুলো বন্ধুর মনের ছোট্ট কিছু কথাই এনেছি! আমি আসলে গল্প বানাতে পারি না, নিজের কাছের মানুষগুলোর কথা / আশপাশের জানা ঘটনাগুলোর তালমেল দিয়েই লেখা তৈরী করতে চেষ্টা করি।
জানতে পারছো?
জানতে চাওন বাদ দিমু ঠিক করছি, আশা একটা শব্দ তার সাথে দেখেন কি কি সব লেগে হতাশা, নিরাশা, দুরাশা উৎপন্ন হয়! তাই যত দোষ আশা ঘোষ! তার ধার ধারতে ক্ষ্যান্তি দিলাম
তোমার সমস্যা কি? বুড়া বুড়া ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ভাবনা চিন্তা খালি
সবসময় দুষ্টামি ফাইজলামি করে সব উড়ায়ে দেই বলে পাব্লিক ভাবে যে যাই হোক না কেন হেসেই সব মুছে ফেলবে এই মেয়ে, মনে পুষে রাখবে না। কিন্তু তাই কি হয়? তাই হাসিঠাট্টা কমানোর ধান্ধায় আছি, কতোদূর কি করতে পারবো জানি না, ফিআমানিল্লাহ বলে শুরু করলাম, দোয়া রাইখেন!
লেখাটা কেমন লাগছে বললেন না যে তাতা'পু?
কী কান্ড! জেবীন এমন করেও লিখতে পারে!
উত্তম জাঝাঁ!
হ! চিনলেন না তো!
মন্তব্য করুন