টুকটুক গল্প - ৩
কাল ছিলো কাঠ ফাটা রোদ, আর কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার মত গরম। আমার মত যাদের বাসে-রিক্সায়, হেঁটে অফিস/ স্কুল কলেজে / কাজে যেতে হয় তারা বুঝে এই রোদ আর গরম কিভাবে কলিজা শুকিয়ে ফেলে। এই গরমের মধ্যে ঋহান নাকি কান্নাকাটি শুরু করেছে সে মাধূর্যকে দেখতে যেতে চায়, কোনভাবেই নাজ কান্না থামাতে না পারলো না। অবশেষে গরমে মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে লীনাপার লোকাল গাড়িতে আমি , জেবীন, নাজ, লীনাপা, ঋহান গেলাম মাধূর্যের সাথে ঋহানের সাক্ষাৎ ঘটাতে। ঋহানের ফুপু, মাধূর্যের খালা জেবীন ভাতিজা, ভাগ্গ্নীর ডেটিং উপলক্ষে সাজগোজ-মেকাপ করতে গিয়া আমাদের পথে বসিয়ে রাখলো আধা ঘন্টা। লীনাপা রাগে চুল টানে, জিজ্ঞেস করি--- চুলে কি? বলে ...না, এমনি, গরম। অবশেষে গিয়ে তো তাজ্জব হলাম! মাধূর্য সাজুগুজু করে একটা ফুলপরী হয়ে আসলো। তাকে দেখে ঋহান মা-ফুপুদের সামনে ভীষণ লজ্জায় কাইকুই শুরু করলো। মাধূর্য তো দারুণ স্মার্ট! সে মন ভোলানো হাসি দিয়ে সবার সাথে গল্পগুজব, খেলাধুলা শুরু করলো। সারাদিনের ক্লান্তি, গরমের কষ্ট নিমিষেই দূর হলো আমাদের।এই দেবশিশুগুলো এমনই মন ভরিয়ে রাখুক চারপাশের মানুষদের। প্রকৃতিও যেনো দেবশিশুদের হাসি-কান্নায় উদার হয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরিয়ে প্রশান্তি নিয়ে এলো সবার জন্য। পোষ্ট লিখতে বসেও কাল রাতের বৃষ্টিটা টের পাচ্ছিলাম আর আবারও শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। কয়েকদিন আগেই শাতিলকে বলছিলাম যে, গরমে জান যায়, ভাল্লাগে না কিছুই। শাতিল বলে , বুবু আপনার পাংখা নাই। কইলাম, গরীবের একটা পাংখাও নাই।
খালি আকবরের হাত পাংখার গানটা মনে পড়ে।
জীবনের নানা সমস্যা, খারাপ থাকা, সংকট সবকিছুর মাঝেও কোথাও কোথাও অনেক ভালো লাগার দেখা মিলে। আবার খারাপ লাগা, বিরক্তি, বিতৃষ্ণা ও তৈরী হয়। সেগুলো মন কে ভালো লাগার জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়।রাগের, ঘৃণার তীব্র প্রকাশ ঘটাতে পারি না বলেই হয়তো মন গুটিয়ে ফেলতে চায় নিজেকে। কিন্তু ভেবে দেখলাম যাদের জন্য আমার মন আহত হয় সেই মানুষেরা আমাকে/ আমার চারপাশের মানুষকে / বন্ধু, স্বজনকে গুটি কয়েকের নরদমা বলে আনন্দ পেতে, আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গিয়ে ভেতরের কদর্য ভাবটাই ছড়িয়ে দেয়। ভার্চুয়াল জগতের অনেক জটিলতা, কুটিলতা এড়িয়ে সত্যিকার বন্ধু হওয়ার, বন্ধু পাওয়ার আমার জায়গাটা পরিচ্ছন্ন থাকুক এটাই মনেপ্রাণে সবসময়ই চাওয়া।
বুঝলাম অনেক কিছু, আবার বুঝলামনা কিছুই...
শাতিলের নতুন নামের আকিকা পাইলাম নাহ তো!!
তোমারে কি ছোঁয়াছে রোগে ধরছে জেবীন ?
তুমি দেখি খালি মাইনসের বানাম্ভুল ধর !
জেবীনের বানাম্ভুল ধরার ভয়ে আমি পোষ্ট দেয়া ছাইড়া দিছি।
আমিও
আরে, মেসবাহভাই! আমি বানাম্ভুল ধরি নাই, এইখানে আকিকা উপলক্ষে খানা খাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতেছিলাম আমি! আপ্নে আমারে, আমারে ভুল বুঝছেন? ( আমারে?
জীবনটাইতো ভুলরে বইন !
ভাবছি, আর পোস্ট দিমুনা, সময় পাইলে খালি কমেন্টস দিমু
মেসবাহ ভাই এরম করে বইলেন না তো! তাইলে আমাদের মনের জোর কমে যায় তো!
আরে আমি লেখছি শাতিল, তুমি দেখছো পাতিল...তাইলে আকিকা তুমি দিপা।
আড্ডার গল্প আরো একটু বেশি থাকলে কি হইত? ঋহান আর মাধূর্য্যএর ডেটিং এর ছবি দেখতে চাই ।
আরো বেশী থাকলে বেশী বানাম্ভুল হইতো।
ছবি ২ লীনাপার কাছে আছে। দিতে বললাম।
বানাম্ভুল করতে করতে একদিন ঠিক হয়ে যাবে । তাই বলে বানানের ভয়ে কম লেখা, মানি না মানবো না ।
আপনি কেন লেখেন না ম্যাডাম?
মাধূর্যের সাথে ঋহানের সাক্ষাৎপর্ব নিয়া কুন ছবি-টবি আসলো না কেন! মাধূর্য পরীতো পুরা নাটক দেখালো, বৃত্তর কোল থেকে আমাদের কাছে আসলোনা মানলাম, কিন্তু ফেরার সময় লীনার কাছেও নাকী যাচ্ছিলো না!!!!! বৃত্তর জাদুটা বুঝতে পারলামনা
তারপর সারাপথও সাজলো! ইয়া মাবুদ কত সাজ যে উনাকে দিতে হয়!!!
তাও যদি গতি হয়
লীনা'পু@চুপচাপ পড়ে গেলাম!
মেসবাহভাই @ আপ্নের স্টাইলের গতির থেকে আল্লাহ মাফ করুক!
জেবীনসুন্দরী, সাজের পেছনে যে কর্মঘন্টা ব্যয় করো তার কিছুমাত্র যদি লেখালেখির পেছনে ব্যয় করতা তাহলে ঝাতি কিছু পাইতো, কিন্তু এতে ঝাতি কি পাইলো
আচ্ছা লীনাদি ডেটিং্যে গেলো ভাতিজা,কিন্তু অবিবাহিতা খালা-ফুপুর সাজগোজের কাহিনী ঘটলো ক্যান??
হ
আমি বলতে ভুলেই গেছিলাম সারাপথে সাজগোজের কথা।
রাসেলের কথা আর কি কমু! কিছুই বুঝে না। অবিবাহিত কুনু চাচা-মামা কি দু্ন্যাইত নাই?
রাসেল তুমি আসলেই কিছু বুঝ না, অবিবাহিত 'মামা' 'চাচা' আছে তো
তাইলে আমার দোস্তের ডেটিংয়ের কথা বলা হচ্ছে কেন?
চুপচাপ পড়ে গেলাম।
আমার অফিস টাইমে যারা কাচ্চি খায় এবং আয়োজন করে তারা বন্ধু না, শত্রু।
মানুষ চিনতে আমি ভুল করছি। আসলেই মানুষ চেনা সহজ না।
আর কী কী ডেন বলতে হয়?
আর কোন কুয়ার কোন ব্যাঙ কী বললো সেইটা মনে রাখার কোনো কারণ নাই।
আসো তোমার নামে একটা পাঙ্খা দোকান খুলি
পাংখাগুলার সম্ভাব্য নাম কি হবে, জয়িতা তালের শীতলপাখা, জয়িতা প্লাস্টিক হাল্কাপাখা, জয়িতা ফ্যাশনেবল নেটের পাখা আরো কমু?
জেবীন ইচ্ছা কইরা আগে থেকে পঁচা কতগুলা নাম কইতাছে। জেবীনরে আমি গুল্লি করুম।
১.কাচ্চি কে খায়? কেমনে খায়? খাইতে কেমুন?
২. হ। ভুল কেমনে করলেন? কন।
৩.
৪. মনে কে রাখে? তাইতো ফেলে দিলাম। মন কাদা মাখতে রাজী না। স্বচ্ছ , সুন্দর থাকতে চায়।
৫. ডরাইছি।
মেথরের কামই হইলে নর্দমা নিয়া... সো এইগুলার কথা ভাইবো না ...
ইজ্জত দিতে শিখেন চৌধুরী সাহেব। নাইলে আপনেরেও পরিষ্কার কইরা ফেলবে
হ. এই জীবনে কতো *ল *ল দেখলাম
আপনেও লল বলেন?
দেখলে বললে দুষ্কী?
এইসব দেখেন? আপনেরে কত্ত ভালু মনে কর্ছিলাম!
মাধূর্য্য, বৃত্ত মামার সঙ্গে সারাটিক্ষণ এমন আনন্দেই ছিল
কালকে ঋহান বেবীটার শরীরটা ভালো ছিল না, মুখ টা তাই শুকনো আর চোখগুলো কেমন ছলছলে
বাবাহ্ দুই-দুইটা টুকটুকে পিচ্চি
লীনা আপুকে
জান্টুসদের হৃদয় ফালা ফালা করা ফটুকের জন্য লীনাপাকে
আহারে আমার দোস্তটার কি হয়ছে??
মাধূর্য্য মামণিটারে পরীর মতো লাগছে।
আপনার দোস্তের চোখ উঠছে
আমার বেবি'টাকে এত্ত শুকনা লাগছে
আর মাধুর্য্য তো খালি পোজ এর উপরে ছিলো
ছবি'র জন্য লীনা আপুকে ধইন্যা
কে এটা বলসে? আমি বেশ কিছুক্ষণ খুঁজেও কিছু পাইলাম না।
আপনের পাংখা আছে না নাই, এটা সময়ে জানতে পারবেন
সবকিছু না দেখাই তো ভালো। বেহুদা মেজাক খ্রাপ করার দরকার কি?
গরীবের পাংখাও থাকে না।
আছেন কেমন, বললেন না তো! যেমনই থাকেন, ভালো থাইকেন।
আপ্নের কি মনে হয় না, যারা এবি'কে নিজের ঘর-বাড়ির মতোই ভাবে; তাদের এ জিনিসটা জানা থাকা দরকার? এর আগে একজনকে দেখেছিলাম এবি নিয়ে খুবই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কিছু কথা লিখতে (ববস্ বিষয়ে একটা বিশ্লেষণে)। একসময় সেই লোকের কিছু নেটজাত কর্মকাণ্ডে আমার প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিলো। এখন সজ্ঞানে avoid করি।
গালিগালাজকারীকে চেনা থাকা দর্কার। অজ্ঞানে কেউ স্ববিরোধীতায় জড়িয়ে পড়ুক, চাই না। মনে রাখতে হবে, যার মন নীচ নয়; কাঁদা ছুঁড়ে তাকে স্পর্শ করা কঠিন। অবশ্য উন্মুক্ত মঞ্চের বাইরে, ব্যক্তি পরিসরে কেউ কোনো মতামত দিয়ে থাকলে, সেটা তার ব্যপার। সেখানে ব্যয় করার মতো বাড়তি সময় হাতে নাই।
ভালো আছি। সুখে-শান্তিতে-পেরেশানিতে জড়িয়ে আছি। ইন দ্য মীন টাইম, আপনার প্রতি মুগ্ধতা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
যারা এসব করে, যারা কাদা ছুড়তে চায় তাদের স্বভাবই হলো এমন। সম্মান করার গুণ বিধাতা তাদের দেয়নি বলে াসম্মান করার আপ্রাণ চেষ্টা। এই অসম্মান করার প্রচেষ্টাকেই মানতে পারি না। যে বলছে সে বহু আগেই বিতাড়িত।
ভালো আছেন জেনে ভালো লাগে। পেরেশানি হয়েই তো সুখ শান্তি আসপে। প্রিয়জনেরা কেমন থাকে এইটা জানার অপেক্ষা থাকে।
কি কারণে মুগ্ধতা বাড়ে স্যার?
বাক্সবহির্ভূত পুতুলএ লিখেছিলাম, দুরত্ব কমলে মুগ্ধতাও কমে যায়।
ফুপা আপ্নের উদ্দেশ্যে এই ইমোটা দিতে বলসে । তার কবিতা শুনতে চান না কেন?
দুরত্ব কমলে মুগ্ধতাও কমে যায়।.... সত্যিই বোধ হয়।
ফুপার কবিতা শুনতে ইচ্ছা করছে।
বুঝলাম অনেক কিছু, আবার বুঝলামনা কিছুই...
হ, পোলায় এখনই যা করে না
আরে আপু, কথায় আছে না "রতনে রতন চিনে", এখানে সেটাই হয়েছে আর কি। যে নিজে নর্দমায় থাকে সে তো আশে-পাশের সবার সম্পর্কে এমন কথাই বলবে। আর এমন জিনিস যেকোন সুন্দর জায়গা অথবা নদী/সমুদ্র যেখানেই যায়, সেটাকে নর্দমাই বানিয়ে ফেলে।
বুঝলাম অনেক কিছু, আবার বুঝলামনা কিছুই...
লেখাটা অনেক অনেক ভাল লাগল জয়িতা। তোমাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আমার মেয়ের জন্য সেদিন যে কষ্টটা তোমরা করেছো। তোমরা সবাই আমার মেয়েকে আদর কর এটা ওর জন্য অনেক পাওয়া। নাজ বেচারী অসুস্হ বাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। আমার মেয়েতো বৃত্তের মহা ভক্ত!! মেয়ে কি আমার মামার প্রেমে পড়ল!!
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার মেয়েকে দোয়া করার জন্য।
ছবি দেখে তো মইরা গেলামরে.........
একদম হিরো-হিরোইন। জান দুইটারে
ফটো ক্যাপসন
১। বৃত্ত মামার প্রেমে মত্ত আমার মেয়ে
২। টাংকি মারছে ঋহানের সাথে আমার মেয়ে
৩। আমার মেয়ের দুই ব্লগ গুরু জ়য়িতা খালা আর আরিফ মামা
টাঙ্কিবাজী চলুক!
ছবি সৌন্দর্য হইছে
দুই নাম্বারটা জটিল হইছে
মাধূর্যের ভুবন ভুলানো হাসি। মন ভরে যায় হাসি দেখলে। মাশাল্লাহ। মেয়ে মামা-খালাদের মত ব্লগবাজি, পোজবাজি, টাংকিবাজিতে উস্তাদ। লীনাপুকে ধন্যবাদ ছবির জন্য। বিশেষ করে হিরো-হিরোইনের টাংকিবাজির ছবিটার জন্য।
টুকটুকিদের ছবি দেখে এতটাই মন ভরে গেল যে লেখা পড়ে কী কী বলতে চেয়েছিলাম ভুলে গেছি!
টুকটুকিদের ছবি দেখে এতটাই মন ভরে গেল যে লেখা পড়ে কী কী বলতে চেয়েছিলাম ভুলে গেছি!
জীবনের নানা সমস্যা, খারাপ থাকা, সংকট সবকিছুর মাঝেও কোথাও কোথাও অনেক ভালো লাগার দেখা মিলে। আবার খারাপ লাগা, বিরক্তি, বিতৃষ্ণা ও তৈরী হয়। সেগুলো মন কে ভালো লাগার জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়।রাগের, ঘৃণার তীব্র প্রকাশ ঘটাতে পারি না বলেই হয়তো মন গুটিয়ে ফেলতে চায় নিজেকে!
লাইনগুলো আসলেই দারুন লাগলো!
মন্তব্য করুন