ব্লগর ব্লগর
ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার আমার পিসিতে বসে ব্লগ পড়া, ব্লগ লেখার অপচেষ্টা করে দারুণ ভালোলাগার সময়গুলো কেড়ে নিচ্ছে। সকালবেলায় অফিস যাওয়ার লম্বা সময়টাতে ফোনে পত্রিকার হেডিং দেখি পাঁচ মিনিট, তারপর ব্লগ পড়া শুরু করি। কখনও ভুলভাল বানানে হলেও কোথাও কমেন্ট করি, পোস্ট শেয়ার করি। ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করতেই থাকি। আমার আর পিসিতে বসাই হয় না। পিসিতে বসি মুভি দেখতে। ইদানীং খেয়াল করছি শরীরটা খারাপ লাগে..গা গোলানো ভাব, মোবাইলে বেশী টাইপ করতে পারি না আমি....আঙ্গুলগুলো যেন বলতেই থাকে 'প্লিজ এবার আমাদের বিশ্রাম দাও'।ঘুম হচ্ছে না ঠিকমতো। শান্তর সাথে কয়েকদিন কথা হলো...সেও বলে-- আপু এত রাত জাগেন কেন? তাকে মোবাইল কাহিনী বলাতে সে বললো, মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে পিসিতে বসেন। সেটা আর হয় না। আমার ক্লান্তি বাড়তেই থাকে। কেন জানিনা হঠাৎ করেই অকারণ বিষন্নতা আষ্টেপৃষ্ঠে ধরছে। পার্কে হাঁটতে গেলেও মনে হয় সুন্দর বেঞ্চটাতে বসে থাকি চুপচাপ। কখনও এমন একজন বন্ধুর খুব অভাব বোধ করি যে সবকিছুতে থাকবে পাশে, যার সবকিছুতে থাকব আমি। কোন দূরত্ব, লুকোচুরির প্রয়োজন হবে না। জানিনা কেন এমন করে শুধুই খুব কাছের মানুষদের সান্নিধ্য পেতে মনের ভেতরটা অস্থির হয়।শুনেছি বয়স বাড়তে থাকলে মানুষ এমন মায়ায় আটকে যায়। তাহলে হয়ত বয়সই বাড়ছে! যদিও পেছনে ফেলে আসা দিনেই ফিরে যেতে চাই শুধু। মনে হয় বয়স বেড়ে যদি বৃদ্ধ হয়ে যাই...নিজেকে গ্রীণ মনে না হয়... তাহলে মরেই যাব। কি হবে তখন আর বেঁচে থেকে!
ক্লান্ত ভাবটাকে থেকে একটু দূরে সরানোর উদ্দেশ্যে কাল সারাদিন ফোনে নেট ব্যবহার করলাম না, অফিস গেলাম না। ভালো সময় কাটছিলো...দুপুরে পিসিতে বসে ব্লগে ঢুকেই রুনাপার পোস্ট দেখলাম যাত্রা নিয়ে। প্রিয় বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম...কথা প্রসঙ্গে 'আকাশটা কাঁপছিলো কেন' গানের লাইন বলাতে সে আমাকে এই গানের পেছনের গল্প বললো যতটা সে জানে। আমি তো পুরা অবাক! আমি আগে কখনও এভাবে খেয়াল করে গানটা শুনিনি। মনের মানুষ সিনেটমা দেখেছি , তারপরও গানটা খুব খেয়াল করে শোনা হয়নি। আজ হঠাৎই ফোনে ইউটিউব পেলাম।আজই প্রথম পুরা গান মন দিয়ে শুনলাম। গানের ভেতরের কথাগুলি অদ্ভুত লাগলো। মুগ্ধ হলাম। মাথা থেকে গানটা যাচ্ছে না।
আকাশটা কাঁপছিলো কেন
জমিনটা নাচছিলো কেন
বড়পীড় ঘামছিলো কেন সেইদনি সেইদিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন
আল্লাহ নবীজীর গান
পীড় আওলিয়ার শাং
যে বলে হারাম সে তো জ্ঞানহীন, জ্ঞানহীন
আল্লাহ নবীজীর গান
পীর আওলিয়ার শাং
যে বলে হারাম সে তো জ্ঞানহীন, জ্ঞানহীন।
না বুঝে ভেদবিধান হারাম তোমরা বলছ কেন।।
এই গান শোনেন নবী ইয়াসিন, ইয়াসিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন।
না করে গন্ডগোল
ইক্ষন খোল তোরা হাদিস খোল
বিল্লাল কেন বাজায় ঢোল সেইদিন, সেইদিন।।
যেদিন দীনের নবী ছেড়ে যান পৃথিবী।।
ঢোল বাজিয়ে ক্ষমা চা্ইরিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন।
সুরেতে দেয় আজান
সুরে পড়ে কোরান
সুরেতে ওয়াজ করে মোয়াজ্জিম।।
কয় সরকার শাহ্আলাম গান আছে দুইরকম
বাউল গান স্বাগতম মোমিন, মোমিন
গান গেয়েছিলো যেইদিন
গান গেয়েছিলো খাজা যেইদিন।
কি অসাধারণ কথাগুলো! পেছনের গল্পটা আরো ভালো করে জানার ব্যপক আগ্রহ তৈরী হলো।খুঁজব ,কোথাও যদি পাই! রুনাপাকে ধন্যবাদ গানটা শেয়ার করার জন্য। আর আমার সেই প্রিয় মানুষটাকে ধন্যবাদ আমাকে গানটা শুনতে উৎসাহী করার জন্য।
মুগ্ধতায় মুগ্ধতায় কেটেছে কাল সকাল থেকে রাত। তাতাপুর পোস্ট পড়ে ইংলিশ ভিংলিশ দেখার আগ্রহ হয়েছিলো। কাল সন্ধ্যায় কিনে আনলাম ডিভিডি। রাতে দেখতে বসলাম। পুরাটা না দেখে আর উঠতে পারলাম না। দারুণ সময় কাটলো। তাতাপুকে ধন্যবাদ অনেক। মাসুম ভাই এর মুভি লিস্টের Nathalie দেখলাম। কি দারুণ মুভি! হেমলক সোসাইটি দেখে খুবই দারুণ সময় কাটলো। কি অসাধারণ সব গান! কি অসাধারণ আইডিয়া! অদ্ভুত!
আরও অনেক অনেক মুভি দেখেছি, দেখছি। খুব সহজেই মুগ্ধ হই আমি। সৃষ্টিকর্তা মুগ্ধ হওয়ার অসীম এক ক্ষমতা দিয়েছেন। সেই মুগ্ধতার কথাগুলি গুছিয়ে শেয়ার করতে পারি না মীরের মত লেখনীতে। শান্তর মত , মেজবাহ ভাই, মাসুম ভাই এর মত লিখে।
রাসেল তো ভুলেই যাচ্ছে ব্লগিং! আহারে বেচারা!
ব্লগে লীনাপা, কামাল ভাই, নাজ, রায়হান ভাই, বিমা, -কে খুব মিস করি।সবাই কি ফিরে আসতে পারে না! কাউকেই কোথাও না দেখলে ফাঁকা লাগে অনেক।
(গানের কথাগুলো কোথাও ভুল থাকতে পারে, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো ২/১ টা শব্দ বুঝতে পারছিলাম না।কেউ ঠিক করে দিবেন যদি ভুল হয়ে থাকে)
গানটা শাহ আলম সরকারের।
বেশি বেশি পিসি চালান
হাতের উপর চাপ কমান!
লেখা অনেক সুন্দর। কত দিন পরে লিখলেন!
মোবাইলে ইন্টারনেট বেশী ব্যবহার করাটা কমাতে চেষ্টা করছি।
আমার হাতের লেখা ভালো বলছ!
এই মেয়েটা জানে না, সে কত ভাল লেখে। কত মায়া করে লেখে। মন জুড়ায়। আহা!
আহারে! মিথ্যা কথা শুনতেও মাঝে মাঝে কত্ত ভালু লাগে! কিরামাছেন?
অসাধারন লিখেন আপনি এই কথা ধ্রুব সত্য!
জোরে বইলো না। মাইনষে শুনলে হাসব
অসাধারণভাবে অনেকগুলো কথা লিখেছেন। আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম শুধু এই একটা লেখা পড়েই।
লেখাটা প্রিয়তে না নেয়া পর্যন্ত শান্তি হচ্ছিলো না আসলে। মাঝে মাঝে এটা বের করে পড়তে হবে। লিংকটা তাই হাতের কাছে রাখলাম
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। যদিও আমি জানি আমি কখনওই ভালো লিখি না, মনে যা আসে তাই লেখার অপচেষ্টা মাত্র।
লিখেন না কেন?
হাই জ্যোতি'পু! সুন্দর লেখা। সকালটাকে সুন্দর করে দিলেন। থ্যাংক ইউ ভেরী মাচ।
একদম ঠিক
মুরাদ ভাইতো তাও মাঝে-মধ্যে দেখা দেন। আর রায়হান ভাই সেদিন আমার পোস্টে পদধূলি দিয়ে গেছেন। তাই এ দু'জনকে লিস্ট থেকে বাদ দেয়া যায়। কিন্তু বাকী ৩ জনকে মিস্ করি খুব।
রায়হান ভাই বছরে ২/১ বার ব্লগে আসে। মিস করি আগের সেই রায়হান ভাইকে। বিমাও বছরে ২/১ বার লিখে। সেই বিমাকে মিস করি খুব। মানুকেও।

কি লিখলাম! যা ই লিখলাম আপনাকে আর শান্তকে কথা দিলাম তাই।
আপনার জন্য
আজকে রাতের সালাদটা আসলেই দারুণ হবে। প্রচুর তরতাজা ধনেপাতা পাওয়া গেলো বন্ধু-বান্ধবের সুবাদে।
হাতের জং ছুটছে দেখি

জ্বি স্যার। আপনার হাতের জং কি এই জীবনে ছুটপে?
মনে হয় না।
জয়িপু তুমি আসলেই দারুন লেখো....!!!খুবই সুন্দর....
নিয়মিত লেখো,বুঝলা...
বুঝলাম আফা। কিন্তু আপনের লেখা, দেখা কবে পাব বললেন না!
রুমিয়াকে এই প্রশ্নটা আমিও করতে চাই। ভক্তকূলের অপার অপেক্ষা কি কখনো শেষ হবে?
আমারো হয়, ফোনে নেট ব্যবহার করার কুফল। সারাদিন টিপাটিপি করি যে। ফোনে নেটটা সুফলের থেকে কুফলই বেশি দিচছে।
লেখায় পাচতারা
তাতাপু, আমার মারাত্নক সমস্যা হচ্ছে। আমাকে একজন বলে মানুষ তো দেখি সারাদিন ধুমাইয়া নেটে টাইপ করতেই থাকে, তুমি যে কি! গাধা! কি করব বলেন! আমার পিসি, মোবাইল কোথাও মেসেঞ্জারও নেই। আমি ফোনে তেমন চ্যাটও করি না, তারপরও খেয়াল যে করি সারাক্ষণ সেটাতে মাথায় জ্যাম ধরে গেছে।

আর আপনার জন্য
ইংলিশ ভিংলিশ এখনো দেখা হয় নাই। আজকে দেখবো। হেমলক সোসাইটির গান গুলা আসলেই সুন্দর।

কেমন আছেন আপু? ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলেন।
আছি রে! দিন চলে যায়। অনেকদিন পর তোমাকে ব্লগে দেখলাম। পোস্ট দাও না কেন? কেমন আছ?
আর সিনেমাটা দেখ আজই।সেটা নিয়ে পোস্ট দিও।
কি যে বলেন আপু আমি পোস্ট দিবো সিনেমা নিয়া!!
আপ্নের লেখা অলুএজ ভালু পাই।
তয় আমারে মিস না করায় মাইনাস। পাজি আপু!
তোমাকে মিস করি না কে বললো! যে বলছে তারে ধরে আনো দেখি! তাদের কথা বললাম যাদের একদমই পাই না। জানো তো! একসময় ব্লগে আমরা দারুণ সময কাটাতাম। সেই লোকজনগুলা একবোরেই নাই।

তোমার মিষ্টি লেখাটা সকালেই অফিস যেতে পড়েছি
থ্যাঙ্কুস!
ইদানীং খেয়াল করছি শরীরটা খারাপ লাগে..গা গোলানো ভাব, ------------
ফোন বা ট্যাব সব সময় ব্যাবহার করলে এমন হয়, আমি তো বছর খানেক এই সব বস্তু থেকে ফেস বুক বা ব্লগে ঘুরে যেতাম তাই কোথাও কিছু লেখা হত না কারন আমি ফোন বা ট্যাব থেকে বাংলা লিখতে পারি না। কয়েকদিন শরীর খারাপ থেকে একেবারে ব্লাড প্রেসার ও ধরিয়ে ফেললাম। গাড়িতে তো একেবারেই নিচের দিকে তাকাতেই পারি না। এখন আবার ফিরে এলাম পিসিতে। --ব্যাক টু দা প্যাভিলিয়ন।
গানটার কথাগুলি লিখে দেবার জন্য ধন্যবাদ। দেখি সুর যদি মনে থাকে আজই মা মেয়ে মিলে গাইব।
মনটা এই রকম করা খুব খারাপ লক্ষণ

লেখা দারুন
"শুনেছি বয়স বাড়তে থাকলে মানুষ এমন মায়ায় আটকে যায়। তাহলে হয়ত বয়সই বাড়ছে! যদিও পেছনে ফেলে আসা দিনেই ফিরে যেতে চাই শুধু। মনে হয় বয়স বেড়ে যদি বৃদ্ধ হয়ে যাই...নিজেকে গ্রীণ মনে না হয়... তাহলে মরেই যাব। কি হবে তখন আর বেঁচে থেকে!"
মন খারাপ করলেই মন খারাপ।
আনন্দে থেকো। এভাবে সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিয়ে যাও।
Apner Lekha Onek Sundor jotey! Oneker cheye Sundor r jhor-jhoree! Darun!!!
হাই জয়িতা'পু

কিরামাছেন? লে মী মিস্ য়ু। কৈ আপনি? দেখি না কেন
খুব মন কেমন করা লেখা!!!
আসলেই আপনি অনেক ভালো লেখেন জ্যোতি।
মন্তব্য করুন