বইমেলা ২০১২ (টুকিটাকি-২)
প্রায় প্রতিদিনই যাচ্ছি বইমেলায়।প্রতিদিনই ভাবি, কাল আর আসব না,২/১ দিন পর আবার আসব। সেটা আর হয়ে উঠে না। হয় আমি নিজেই যাই, অথবা লীনাপা বা অন্য বন্ধুরা বলে যেতে... সেই ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা ঈশ্বর আমাকে দেয়নি। বই কিনি আর না কিনি লিটল ম্যাগ চত্বরে গিয়ে বসি, গল্প, আড্ডা চলে। স্টলে ঘুরেফিরে দেখি পরিচিত কারো কোন বই আসলো কিনা। এবার আমাদের ব্লগের বই বের হবে, সেই বহু প্রতিক্ষিত বই - 'ম্যুরাল' এর জন্য রোজ অপেক্ষা-- কবে আসবে, কতদূর কি হলো। কাজ আমি কিছুই করিনি কিন্তু অপেক্ষা, আগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নেই। জানা গেলো 'ম্যুরাল' সম্ভবত আসবে আগামীকাল, ০৯ ফেব্রুয়ারী। পাওয়া যাবে লিটল ম্যাগ চত্বরে। ম্যুরাল এর জন্য সবসময়ই শুভকামনা।
এরইমধ্যে গত রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় আসলো লীনাপার বড় ভাই মোস্তাক শরীফের প্রথম উপন্যাস 'সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে'।বইটি অ্যাডর্ন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ তে অ্যাডর্ন লেখকের প্রথম উপন্যাস প্রকাশ করবে বলে লেখা আহ্বান করে । সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক নবীন-প্রবীন লেখক তাদের প্রথম উপন্যাসের পান্ডুলিপি জমা দেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচারকমন্ডলীর নির্বাচনে তিনটি উপন্যাস মনোনীত হয়। তার মধ্যে একটি হলো মোস্তাক শরীফের 'সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে'। অনেকদিন থেকেই বইটির কথা শুনছিলাম। বইটি বের হয়েছে শুনে কিনতে গেলে লীনাপাই গিফট্ দেয় আমাকে। অনেকদিন পর কোন উপন্যাস পড়া শুরু করে শেষ না করে আর রাখতে পারলাম না..এত ভালো লাগলো!
আজ অল্প সময়ের জন্য গেলাম বইমেলায়, ভাবলাম মেসবাহ ভাই এর সাথে দেখা হলে ম্যুরাল -এর খোঁজ নেব। মেলায় ঢুকেই গেলাম শুদ্ধস্বর -এ । শওকত হোসেন মাসুম ভাই -এর লেখা বই 'রঙ্গরসে জীবনযাপন' তখনই মাত্র আসলো স্টলে। 'রঙ্গরসে জীবনযাপন' এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল ভাই এর লেখা উপন্যাস 'কান্নাপর্ব' কিনলাম । এবারও অটোগ্রাফ ছাড়াই। মাসুম ভাই -এর রম্যগল্পের ভক্ত আমি অনেক আগে থেকেই, যখন ব্লগিং করতাম সামহোয়ারইন ব্লগে তখন থেকে। তখন অবশ্য অনেক পোস্ট অফলাইনে পড়তাম, কমেন্ট না করে। আমার এই দলে আরো কেউ কেউ আছে নিশ্চিত। এখন রম্য গল্পগুলো বই আকারে একসাথে পাওয়াটা অবশ্যই অনেক ভালো লাগার। বইটা পড়া শুরু করে দেখলাম প্রথমেই বেতন রঙ্গ। এটা সামুতে পড়ে কমেন্ট করার সাহস পাইনি। গল্পটা প্রিন্ট করে বোনকে বলেছিলাম, দেখো কত মজার গল্প কিন্তু পুরা বুঝি নাই। সে পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। পুরো বইটা পড়লাম কেনার পর। রঙ্গরসে ভরপুর। পুরা বই পড়ার পর মনে হলো পত্নীভক্ত এক স্বামীর লেখা বই ।
কান্নাপর্ব পড়া শুরু করব। কামাল ভাই এর লেখার আমি ভক্ত, কারণ লেখাজুড়ে ভীষণ মায়া থাকে। সেদিন একজনকে কথাটা বলাতে তিনি বললেন, আসলে মানুষটাই এমন
প্রত্যেকটা বই এর জন্য অনেক অনেক অনেক শুভকামনা। আর লেখকদের অভিনন্দন।
সবাইকে বলি-- সবাই বই কিনুন।
তুমি আমার বইয়ের প্রথম ক্রেতা
মানীর মান আল্লায় রাখবে আশা করি।

অটোগ্রাফ পাইনি ।
দুই দিন মেলা বিচ্ছিন্ন
তারপর মিসেস পুলিশ কি ময়মনসিংহের দিকে গেলো ?
কড়চা ভাল হৈছে, চালিয়ে যাও
মিসেস পুলিশ আমাদের ফুলিশ বানিয়ে আজ ঢাকায় অবস্থান করছেন। আগামীকাল তিনি ময়মনসিংহ যাত্রা করিবেন বলে মনস্থির করেছেন।
এটা কড়চা না অসলে। এমনেই। টুকটাক ভালোলাগার কথা।আজ কি হলো লিখেন আপনি।
আমার কি কুন নাম নাই!
থ্যাংকস জয়িতা, আমার জন্য আপনার লেখায় মূল্যবান দুটি লাইন বরাদ্দ করার জন্য।
বই অটোগ্রাফ ছাড়া কেনাই ভালো, সহজেই অন্য কাউকে দিয়ে দেয়া যায়!
আর একান্তই অটোগ্রাফ চাইলে আমার উপস্থিতিতে আরেকটা বই কিনলেই চলবে।
ম্যুরাল-এর জন্য শুভকামনা। আর মাসুম ভাইয়ের বই তো এমনিতেই বাজার মাত করবে, আলাদাভাবে আর শুভকামনার দরকার কি?
আমার পোস্টে আপনার আগমন দেখে যারপর নাই আচানক হইলাম।
গতবার আপনার উপস্থিতিতেই বই কিনেছিলাম কিন্তু অটোগ্রাফ দেন নাই। আরেকজনকে দেবার জন্য কিনি নাই, আমি গরীপ মানুষ। নিজে পড়তে কিনেছি। এবার তাইলে অটোগ্রাফসহ সৌজন্য কপি দিয়েন।
আপনার জন্য দুইটা লাইন বরাদ্দ করিনি। নিজের মনেই লিখেছি কামাল ভাই। আপনার গতবছরের অশ্রু ও রক্তপাতের গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লেগেছে। সেটা বহুবার বলেছি কিন্তু আমি ভালো লিখতে পারি না বলে কথায় সব কথা হারিয়ে যায়।
আমার কথা বলাতে গেলেই
কথায় সব কথা হারিয়ে যায়
পড়তে খারাপ লাগলে আন্য কাউকে দিয়ে দেয়াই তো ভালো, সেজন্যই বলেছিলাম। আর আমি তো পুরাই সৌজন্য-বিরোধী লোক।
আপনি লেখক মানুষ, আমার মত নীরিহকে কেন কথার প্যাচগিতে ফেলছেন? পাঠক হিসাবে আমি খারাপ না, কিন্তু প্রকাশ করার মত রুক হতে পারিনি।আফসুস। কত কথা যে বলি! বলতেই থাকি, সেগুলো তো হারিয়েই যায়, নাইলে তো আপনার লেখা নিয়ে যা বলি তা লিখতে পারলে এরম করে বলতে পারতেন না।

বেলি দরা খাইচে
নাহ, কামাল্ভাইর কিচ্ছু হইবো না, যে মানুষ মনের ভাব কথা দিয়া বুঝায় না, সেই যখন দুই লাইন লিখছে, তার মানে কত্তো বড়ো জিনিস! এইটা কেম্নে বুঝলেন না, হুর!
আমার যে কিছু হৈব না, সেইটা তো আমি অনেক আগেই বুঝছি, আপ্নে এদ্দিন পর বুঝলেন!
আমার জন্য দুই লাইন বরাদ্দ করার খুশিতে গত রাত থেকে টানা অনলাইনেই আছি, বুঝতেছেন না আমার অবস্থাটা? 
আরে, সর্বনাশ, আপনাকে কেবল অনলাইনে না ডাবল ডাবল দেখাচ্ছে!!
কাহিনী বুঝতেছি না, একই নামে ডবল একাউন্ট আছে নাকি?
নাহ, মোডুও আপ্নের খুশি মালুম করতে পেরে দ্বিগুন করে দিছে আরকি! আর দেখেন জয়িতা রচনা লেখবো বলে ঘোষনাই দিয়ে ফেলছে!!
অটোগ্রাফ ছাড়াই বই কিনলাম, গতবছরও কিনলাম। দুই বিরাট লেখকের একজনও অটোগ্রাফ দেয় নাই। তাও কুনুদিন কিছু বলি নাই। ভাবছি , এত বড় লেখকরা আমারে অটোগ্রাফ কি দিবে! থাক্ কিনছি, পড়ছি ..চুপচাপ থাকি। ভয়ে ভয়ে তাও নিজের দুইটা কথা বললাম। তাতেই ক্ষেপে গেলেন!রচনা লিখলে না জানি কি হয়!
জেবীন থাকে দুরদেশে। সে তো কিছুই জানে না। তাই বলছে। আপ্নেরে এমন অপবাদ কি দেওয়া যায়!
আর আপনার জন্য লেখি নাই দুই লাইন।লেখক হলে লিখতাম। অন্তত: চেষ্টা করতাম।
আপনার জন্য এক্টা রচনা লেখব ভাবছি।
দুজনের কেউই অটোগ্রাফ না দিয়া বাঁচবো না
বাসার ঠিকানা জোগাড় কইরা হামলা দিমু
বই কিনছি, সুদে-আসলে সব উসুম করুম।
একদম ঠিক বলেছেন। বাসায় খাওয়াবে, বাসায় যাওয়ার সিএনজি ভাড়া দিবে, অটোগ্রাফ দিবে।
আরে, অফিসে গেলেই না সিএঞ্জি ভাড়া দিতো, যাইবা তো বাসায়, দু'জনেরই গাড়ি আছে, বাসা পৌছায়ে দিবে গাড়ি করে!
অটোগ্রাফ না নিলেই ভালো!
বই ভালো না লাগলে অন্য কাওরে দিয়া দিলে কি লাভ হয়? যারে দেওয়া হইবো তারও ভালো না লাগলে তো ডাবল ভালো না লাগার দায় নিতে হইতে পারে। বরং মাসুম ভাই কামাল ভাইগো মতো লেখক সেলিব্রিটিগো অটোগ্রাফ থাকলে কওয়া যাইতে পারে,
হাহাহাহা... আপ্নের মতো কুবুদ্ধি সবার মাথায় নাই, এইটাই ভরসার কথা ভাস্কর দা।
অর্থনৈতিক সংকটে আছি, এইবার বই মেলায় কম কম যামু তাইলে কম কম দুঃখ হইবো
আরে! আমি তেমন বই কিনি নাই। ইচ্ছ করে কিন্তু.....। আড্ডা দিতে যাব না তাই বলে!
বইমেলার বই বই আমেজের লেখা!

মাসুম্ভাই তখন বলছিলো, জয়ি বই কিনে ফোন দেয় আর আমি অফিসে আটক!
সেইরকম পোস্ট। পোস্ট পড়ুম না কমেন্ট পড়ুম বুঝতে পারতেছিনা
এতক্ষণে আসলেন? একজনরে গুল্লি করতে হপে। পুলিশরে বলে একটা ব্যবস্থা করে দিবেন!
খাইছে! মাইরাইলাবি!!
বইগুলো কেনার ইচ্ছা রাখলাম!
তবে................... অটোগ্রাফ কি পাবো?
'সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে'র লেখককে পেলে অটোগ্রাফ পাবেন। লুক ভালো, দেখতেও মাশাল্লাহ। অন্যদের কথা জানিনা। ভাবের লেখক!
সেই লেখকরে এখনি এই পোস্টের লিংক দিতাছি
বইমেলা মিস করি। কিছু একটা করেন আপনারা!!
চলে আসেন এক্ষণ। এক্ষণ চলে আসেন।কাইল একসাথে মেলায় যামু। তারপর আজকের মত রুমান্টিক বাতাস থাকলে সবাই মিলে হাটতে বের হব।
বলি নাই নাকি? বইমেলার এই সিরিজটাও জটিল হচ্ছে।
আসেন এখন
সহকারে
খেলি
আমি মোজো খাচ্ছি। আপনার বন্ধু লীনাপা মেয়ের পিকনিকে গিয়ে দোলনায় দুলতেছে। আমারে নেয় নাই

মা'কে নিয়ে পিকনিকে!!! আহা আমার ভাগ্নিটা নিশ্চই বোর হচ্ছে।
কেন?

আমাদের ভাগ্নীর মা তো ভালু।
আরে পিকনিকে মা সঙ্গে থাকলে কি আর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আইসক্রীম খাওয়া যাবে?
আজব!
চিন্তার বিষয়। মা মেয়ে মিলে আইসক্রিম খাবে আরকি বন্ধুর মতন। তবে ভাগ্নীটা খুব সুইট, পাকা কথা বলে।
শুক্রবার--- নামাজ পড়তে না গিয়ে ব্লগে কি?
ঠিক বলসেন। শুক্রবার দিন আসলে নামাজ পড়ার দিন। নামাজ শুরুর একটা এ্যটেম্প্ট নিতে হবে। সমস্যা হচ্ছে আত্তাহিয়াতু সূরাটা ভুলে গেছি। শুধু ভুলে গেলেও অসুবিধা ছিলো না, আবার মুখস্ত করে নিতে পারতাম। কিন্তু কোনো এক বিচিত্র কারণে সূরাটার মাঝামাঝি গিয়ে আমি অন্য একটা সূরা পড়তে শুরু করি। এই সমস্যাটা কাটাইতে পারতেসি না।
বদ পুলাপাইন।
কান্নাপর্বের প্রচ্ছদে কি লেখকে ছবি নাকি?

মাথাটা ফেটে গেছে। এ জোরে কেউ বাড়ি দেয় হুদাই? অজ্ঞাত কোন কারণে আজকাল লুকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হচ্ছে। একটা মিলাদ পড়ামু, এই কুফা কাটানোর জন্য।
আগের কমেন্টের রিপ্লাই দ্যান নাই কেন? আর কোনো খোঁজ-খবরও নিচ্ছেন না
মাঝে মাঝে উদাস হয়ে যাই। জানেন তো! জানেন না?
সেদিন যে গানের লিংক দিয়ে পোস্ট দিলেন, সেই গান্টা তো আমার জন্য। তাইলে বলেন, মন তো বসে না কোথাও!
ইহ্ ঐ গান আমার জন্য। ভাস্করদা' কি বলসে দেখেন নাই? ইনসিকিওর্ড প্রেমিকগো জাতীয় সঙ্গীত ঐটা।
উনারে বলেন, জলদি আপনের জন্য ভিসা পাঠাইতে। তাইলে মন-টন বসে একদম জমে যাবে। শুভকামনা শুভকামনা।
আরে! সেইজন্য তো গান্টা আমার জন্য। জাতীয় সঙ্গীত বলে কথা!
কারে কমু ভিসা পাঠাতে? বৈদেশ যাইতে মন্চায় ।(গালে হাত দিয়া উদাস হয়ে বসে থাকার ইমো হপে)
গালে হাত দিয়ে বসে না থেকে 'তাকে যত তাড়াই দূরে দূরে' গানটা শুনেন। আমার মনে হয় ঐটা আপনের গান হইতে পারে।
দূরে কাউরে তাড়াই না। নিজেই চলে যায়
আচ্ছা খুব ভালো হইসে। এইবার নতুন একটা টুকিটাকি দেন তো, পড়ি।
আফামনি কেমন আছেন?
ভালো না যে, ভাইজান!আপনি?
আমিও তো না। ডিটো...
কেন ভালো না আপনে?
কেন ভালো না- এর বিরাট এক উত্তর। কেমনে বলি! বলবনে কোন এক দিন সুযোগ পেলে।
আপনি কেন ভালো না? কি হইছে?
দৌড়ের ওপর কাটতেসে জীবন। ভালো থাকি কেমনে?
অবশ্য এক অর্থে এটাও ভালো। দৌড়াদৌড়িতে সময় তো কাটে অ্যাট লীস্ট।
হুম। দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত থাকা ভালো। সময়গুলি কেটে যাওয়াটা আজকাল ভীষণ প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাহলে দৌড়ানো শুরু করেন। রান লোলা রান দেখে শুরু করতে পারেন।
দৌড়ে আমি সবার পেছনে।
তাইলে আপনে আর আমি পাশাপাশি।
পেছনে পড়ে থাকতে নেই। দৌড়ে ফার্স্ট হয়ে যান।
মন্তব্য করুন