একার রূপকথা
১৯.
সুন্দর মাত্রই আমার আরাধ্য
মননে ও মেধায়
হোক সে নারী অথবা পুরুষ,
অন্তরে থাকুক মোহাম্মদ কৃষ্ণ
বুদ্ধ বা যীশুর ক্রুশ।
১২.১০.১৩
সুরে সুরে মাতোয়ারা কত না দিন
সেইসব সময় আমাদের
দু বন্ধুতে কেটেছে কি যে উচ্ছ্বল বর্ণিল!
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় কাটকাটি
হ্রস্ব তরল নেশা ভুলিয়েছে
ব্যক্তিগত-পেশাগত হতাশা।
ঐ সব আকাশ পৃথিবী ছোঁয়া আড্ডা
ফিরে আসে না আর
আমরা এখন করি শুধু সংসার!
পূর্ণিমা বর্ষা কেমন করে পার হয়ে যায়,
রিকশাগুলো একাকী ঘোরে
বামপাশ পড়ে থাকে ফাঁকায়।
যায় দিন যায়-মাস-বছর যায়
কত মোবাইল নেট চ্যাট
সাগর পেরোনো কথা উড়ায়,
আমার অপক্ষো তোমার আশায় আশায়
চোখ মুছিয়ে কেউ দেয় না
এন্টিসেপ্টিক হাগ্,
কেউ বলে না যত সমস্যা আসে আসুক
আমরা তুমুল বাঁচব বন্ধু
মরণকে বালাই ষাট্।
ইনবক্স খালি, মেসেজে নেই তোমার
ভালোবাসার বিলোড়ন,
আমার একাকী সময় ক্ষয়ে যাচ্ছে
শুভ মন-বোধন।
হিংসুক মনের ভাবনা!
অতিথি পাখির ডানায় মায়া বাঁধা থাকে
মুঠোফোনে ছুঁড়ে দেয়া শব্দে
প্রবাসী আপনজনের উদ্বিগ্নতা
কখনো কখনো ভালোই লাগে।
দায় দায়িত্বহীন সম্পর্ক আর শব্দের কারুকাজ
বন্ধনকে উপরে উপরে রাখে নিভাঁজ;
ভেতরে ঘুণপোকা কেটে যায়,
বলিরেখা স্বজনতো থাকবেনই
তারচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্লেজার ট্রীপ
কাটানো সময়
দুজনে দুজনায়।
একার রূপকথা
অবসরে বসে আমি দেখেছি
রাঙা বালিকার পায় পথ হেঁটে আমি দেখেছি
পুরুষ-নারী নির্বিশেষে মানুষ ভালোবেসে
আমি দেখেছি,
পূর্ণিমার চাঁদ চোখে রেখে শিখেছি-
সব জোছ্না প্রেমের নয়,
শীত রাতে শরীর ঠেকলেই
কেউ ডুবে যায় না উষ্ণতায়;
দিন রাত উল্টে আমি দেখেছি-
যারা জন্মেছে তারা একা,
যারা চলে গেছে তারাও একা,
পৃথিবীর পথে হাঁটছে যারা জন্মাবে বলে
প্রেমের বুকে একেঁ দিয়ে পান্ডুর ম্লান হাসি
তাদের জন্যেও সত্য একটাই
তারাও থাকবে একা, চাদেঁর মতো
একাকী পূর্ণিমায়, যে কোন প্রাণের বালুকাবেলায়-
পদচিহ্ন মুছে মুছে জলের খেলায়।
কবিতা গুলি খুব কষ্ট কষ্ট।
সুন্দর।

সুন্দর।
ধন্যবাদ বন্ধুরা
শেষেরটা বেশি ভাল হইছে।
মন্তব্য করুন