অপেক্ষা
অ্যশ-ট্রে'টা এতো ভরে উঠেছে যে আর একটা ফিল্টারও ও'র ভেতর গুঁজে দেয়া যাচ্ছে না। এটা একদিনে হয় নি, দিনে দিনে হয়েছে। তিল তিল করে জমতে জমতে আজ ও উপচে পড়া শুরু করেছে। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি।
হাঁড়কাপুনি শীত কয়টা দিন খুব কাবু করে রেখেছিলো। ব্লগ ছাড়া আর কোথাও যেন একবিন্দু উষ্ণতা নেই। আসলে এমন শীতের সঙ্গে পরিচয় নেই তো, যে কারণে প্রথম ধাক্কায় বলা যায়; সব্বাই বেশ কাবু হয়ে পড়েছিলাম।
আমি ১০-১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করে নিতে পারি। এই তাপমাত্রায় শীতের আমেজটা বেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে পড়ার জন্য কালো জ্যকেট আমার খুব পছন্দ। ছেলেদের মনে হয় সবারই একটা কালো জ্যকেট থাকে। মেয়েদের যেমন সবারই একটা লাল শাড়ি।
প্রেমিকাও এ সময় বড় নির্দয় ছিলো। জ্যমে ছাড় দেয় নি একরত্তি। কি আশ্চর্যের কথা, একটা শহরের সবগুলো মানুষ একসঙ্গে কাবু হয়ে যুদ্ধ করছে। জীবন ধারণের লড়াই আর অদম্য অসহায়ত্বের কি অনন্য সহাবস্থান। মুগ্ধ হয়ে মানুষের কর্মস্পৃহা দেখতে হয়। শুধু ব্যটে-বলে মিলছে না বলে, নাহলে বাংলাদেশ একবার ছক্কা মারা শুরু করলে সারা পৃথিবীকে নির্বাক তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে হবে। এ আমি লিখে দিলাম।
একটা বছর কত সহজেই না পার হয়ে গেল! যারা এই ২০১১ তেও বেঁচে আছি তারা আরো একটা বছর দেখে ফেললাম। নতুন বছরে ইতোমধ্যে কিছু কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। আমার বেশ ভালো লাগে, যেকোন রকম একটা ঘটনা ঘটলেই। জীবনটা ঘটনাবহুল না হলে আর মজা কোথায়?
সেদিন গভীর রাতে বাসায় ফিরছি। রাস্তায় পুলিশ আটকালো। কই যান? বাসায়। ক্যান? আমি এ প্রশ্নের কি জবাব দেবো? রাতে তো মানুষ বাসাতেই ফেরে। যখন মানুষ ছুটি পায়, তখন সে কোথায় যায়? আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা দশ বাই আট ফিট সাইজের খোপে ফিরি। আমার প্রিয় খোপ। আমার শরীরের উষ্ণতায় যেটা উষ্ণ হয়ে থাকে। আমি ওকে ছেড়ে বের হয়ে যাবার পর ও আস্তে আস্তে নিস্তেজ আর শীতল হতে শুরু করে। তাই কাজশেষে আমি যখন আমার খোপে ফিরে আসি, তখন প্রবেশ করি একটা প্রায় বরফাচ্ছন্ন হিমঘরে। সেটায় আমি এসে আসন নেবার পর আস্তে আস্তে আবার প্রাণের উল্লাস শুরু হয়। টিউবলাইটের ওপর থেকে হয়তো হঠাৎ একটা গেকো'ও ডেকে ওঠে। টিক টিক টিক।
রাস্তার একপাশে প্রগতি ইন্সুরেন্স ভবন। এই ভবনের ভেতর সব কার্যকলাপ নাকি সিসি ক্যমেরা দিয়ে মনিটর করা হয়। এই রাস্তারই আরেকপাশে বিরাট কাঁচামালের আড়ৎ। যেখানে থেতলে যাওয়া কোটি কোটি বাঁধাকপির পাতার মতোই পুঁতিগন্ধময় মানুষের জীবন।
সেখানকার শিশু-রমণী-যুবক বা তরুণরা অনন্ত সংগ্রামে লিপ্ত। আরো একটি নিদারুণ দিন পার করাই তাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। সে আশার ডিঙিনৌকাও প্রায়ই পুলিশ, স্থানীয় মাস্তান আর কর্পোরেট ডিমন'দের লোলুপ বাসনার তোড়ে টলোমলো হয়ে ওঠে। তবুও মানুষ হাসে, গান গায় ভালবাসে, এই মূহুর্তে।
টং দোকানে চা বিক্রি করে যে আব্দুল্লাহ, সেও তার উপার্জনের সামান্য টাকায় পাঁচ বছরের ছেলেকে একটা ভালো স্কুলে দেয়ার স্বপ্ন দেখে। সেজন্য টিপে টিপে টাকা জমায়। স্বপ্ন আর ধুলিধূসর বাস্তবে কত ফারাক। এই ফারাকের দুই পাশে মানুষের জীবন।
আমি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৩৯ নং ওয়ার্ড কার্যালয়ের লাল টিনের গেটে লেখা 'প্রসাব করা নিষেধ, করলে ১০ টাকা জরিমানা ও দশখানা জুতার বাড়ি' দেখে একটু হেসে নিই। আ'লীগ অফিসের গেটে কি তবে মানুষ এই কাজ প্রায়ই করে? নাহলে এত কড়া ধমক কেন?
আমার আনন্দ হয় ওয়ালটন কোম্পানীর ড্রীম প্রজেক্ট দেখে। ওরা একদিন এ দেশে গাড়ি বানাতে চায়। জার্মানী বা জাপানের মতো আমাদের দেশেও একদিন কমার্শিয়ালি গাড়ি উৎপাদন হবে, ভাবলে ভালোই লাগে কিন্তু।
ইদানীং বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম বেশ ম্যচ-ট্যচ জিতছে। বেশি বেশি জিতছে বলেই হয়তো খুব একটা দোলা আর লাগে না সেই আগের মতো। ৯৭'র ১৩ই এপ্রিলের কথা এখনো মনে আছে। রং ছিটাছিটি আর ঢোলা-তবলা বাজিয়ে, মিছিলে মিছিলে হৈ-হুল্লোড় করে অনেক রাতে বাসায় ফিরেছিলাম। এমনকি অতো রাতে বাসায় ফেরার জন্য আব্বুও কিছু বলেন নি সেদিন।
এমন নিষ্কলুষ আনন্দের উপলক্ষ একটা দেশের কপালে কয়বার আসে? আমি জানি না। আনন্দের বাক্স হাতে নিয়ে বসে আছি। ইচ্ছে করছে চারিদিকে আনন্দ ছিটিয়ে ভরে দিতে। পারছি না। কোনো একদিন কোনো না কোনো এক উপায়ে এই ডালাভরা আনন্দ পুরো পৃথিবীর ওপর ছিটিয়ে দেবো, এ আশায় অপেক্ষা করছি।
---
(এই লেখাটা লীনা আপু'কে উৎসর্গিত )
অনেকদিন পর নিপাট ব্লগ পড়লাম একটা...
অনেক আশাবাদী টোন দেইখা হিংসা হইলো,
আমি আর পেসিমিস্ট অবস্থান থেইকা বাইর হইতে পারলাম না এই জীবনে। আপনের লেখা পড়তে পড়তেও ওয়ালটনের ড্রিম প্রজেক্ট নিয়া সমালোচনা মাথায় চইলা আসলো...তারা এখন যেই সব পণ্যরে দেশী পণ্য কইয়া বেচে তার ১০%'ও আসলে দেশী না। চীনদেশ থেইকা আলাদা আলাদা পার্টস আইনা এইখানে খালি এ্যাসেম্বল করে...দেশের টাকা দেশে রাখনের দেশপ্রেমী শ্লোগান দিয়া কলকাতায় যায় টিভি বিজ্ঞাপন বানাইতে...এইসব হিপোক্রিসি দেখলে অসহ্য লাগে।
ব্যবসায় অবশ্য সব জায়েজ। কিন্তু মানুষরে ঠকতে দেখলে মনে হয় আমিও তো ঠকতে পারি হঠাৎ একদিন। প্রতারিত হইতে নিশ্চিত খুব ভালো লাগবার কথা না...
এইসব ভাবতে ভাবতে অ্যাশ ট্রে'টা আসলেই উপচাইয়া পড়ে...কামের কাম কিছুই হয় না...কেবল আক্ষেপ বাড়ে।
তাও ভাস্করদা', এট লীস্ট ওরা স্বপ্নটা তো দেখতে পারছে। হয়তো ওয়ালটন কেন, তার পরে আরো তিনটা কোম্পানী একই রকম চিন্তা করে গাড়ি উৎপাদনে গেলেও দেশের সেই উপকারটা হবে না, যেটার কথা আপনি-আমি ভাবছি। মানুষ এসেম্বলড্ পার্টসের কার কিনতে ভরসা পাবে না। না পাক। চিটাগাং পোর্ট ভরে থাকুক রিকন্ডিশন্ড গাড়ি দিয়ে। কিন্তু পাঁচ নম্বরে এসে কোনো কোম্পানী হয়তো দেশেই পার্টস বানানোর স্বপ্ন দেখবে। এক সময় সত্যি কোনো সুফল পেতে হলে প্রক্রিয়াটাতো শুরু করতে হবে। আজ হোক কিংবা কাল।
একমত...
হয়তো আজ নয়... কালও নয়... হয়তো পরশু বা তারো পরের কোন এক দিন আমরা পারবো... যাস্ট সময়টা... আর কিছু নায়...
পারবো তো অবশ্যই...
ইনশাল্লাহ
চারপাশের ছোট ছোট জিনিগুলোকে সুক্ষভাবে দেখার আনন্দ ই অন্যরকম ... ভাল লাগলো আপনার লেখাটি । ভাল থাকুন , সবসময়
খুশি হয়ে গেলাম বস্। আপনারে ধইন্যাপাতা বস্তায় বস্তায়।
আমিও অপেক্ষায় আছি আপনার আনন্দের ভাগ নেয়ার জন্যে
।হাসাহাসি ।খুবকরতেসেন ।বাবাহ্
এইতো ফিরে এসেছে মীরের সেই চেনা পরিচিত ফ্লেভার।
থ্যাঙ্কু মীর।
ইউ আর ওয়েলকাম ব্রো।
আপ্নে এখন আন্ডার দ্য হক্স আই। নিয়মিত নিজের আপডেট দিতে ভুইলেন্না।
আর আপ্নে এত সুন্দর কৈরা লেখেন, মুগ্ধর চাইতেও বেশি কিছু হয়ে পড়তে হয়।
এইতো আমাদের মীর, আনন্দ-বেদনার দোলাচলে সহজ-সুন্দর ভাষা ও উপমায় পাঠককে নিয়ে যায় যে তার স্বপ্নলোকে । এই শীতসকালে ঝকঝকে রোদ্দুর, শরীর ও প্রাণকে উজ্জীবিত করে তুলল । অভিনন্দন মীর ।
নাজমুল ভাইএর অভিনন্দন সাদরে গৃহীত। তবে কেন সেটা বুঝতার্লাম্না।
ওহ্ দারুণ লেখা!
লাল শাড়ি সবার থাকে না
আমার কখনোই ছিল না
আমারও নাই ।
নাই বলে হাসে ক্যান?
নুশেরা'পুর মতো আমারো একই কথা, আপুর না থাকলে সমস্যা নাই। কারণ তিনি নিজেই একটা চোখ ধাঁধানো লাল শাড়ি। কিন্তু পরের জন হাসে কেন?
অ.ট. দুইজনের নতুন প্রো-পিক ভাল্লাগসে। নুশেরা'পুর পুরোনো পাসপোর্ট ছবিওয়ালা প্রো-পিকটা অসাধারণ আছিলো। লিজা আপুর পুরোনো প্রো-পিকটায় খানিকটা ভিউ কার্ড ভিউ কার্ড ভাব ছিলো।
লালকাপড়ের সাথে তুলনা ভালো পাইনাই ভাইডি, চোখধাঁধানি হোক আর নাই হোক
যাকগে, আমার পিকের ফটুকটা পদ্মার। বলেন তো দেখি সূর্যোদয় না সূর্যাস্তের?
তাইলে তুলনা উঠায় নিলাম আপুনি। একটা বিগ গ্রীন ইমো দিয়া যায়েন। নাইলে মনের ভিত্রে খচখচানি থাইকা যাইবো। কারণ আপ্নারে প্রচুর ভালো পাই।
পিকটারে এতদিন সূর্যাস্তের মনে হইতেসিলো, কিন্তু জিগাইলেন দেইখা সূর্যোদয় উত্তর দিলাম।
গ্রিন ইমোটা ঈর্ষার দৈত্যের না? সেইটা আর কতোবার দিমু? মনে মনে তো নিয়মিতই দিই। খচখচানি থাকাটা ঠিক না; আমি মন-রাখা কথা বলি না, পোস্ট/মন্তব্য সম্পর্কে অনেস্ট ওপিনিয়ন দিই, আর ব্লগের টকঝালমিষ্টি অতি অবশ্যই ব্লগেই চুকিয়ে ফেলি
উদয় না অস্ত আমি নিজেই জানি না, যার তোলা ছবি সে জিগাইছিল, কইতে পারিনাই
এই কমেন্টটা বুঝতে পারছি
মীরের অনেক বুদ্ধি
আপনি নাই বলে দুক্ষের ইমো দিলেন , তাই আমি আমারো নাই বলে হাসির ইমো দিলাম । ভাবলাম আমার হাসি দেইখা আপনার দুঃখ কইমা যাবে ।
আমার লাল শাড়ি তো দূরের কথা লাল রঙের কামিজ ব্যাগ ক্লিপ টিপ কিচ্ছু নাই । খালি কয়টা লাল চুড়ি আছে (এইগুলাও কাউরে দিয়া দিব ভাবতেছি ) ।
আহারে! আমার অবস্থা দেখি লিজার থেকে কিছুটা ভালো
ভয় পাইছিলাম টুটুলদা বা রোবোটনানা হয়তো আইসা বলবে, "আমারও লাল শাড়ি নাই"
সুযোগ আর পাইলাম কই ... আপ্নেইতো বইলা দিলেন
উৎসর্গিত লেখায় চোখ বুলিয়ে মন হারালো।
চুড়ান্ত খারাপ সময়ে কেমন যেন একটা সান্ত্বনার সূর্যের আলো টের পাই, মনে হয় এই আলোটা আমার দু:খ দিনের সাথী। খাদের সন্নিকটে গিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারি এই আলোর জন্যই, কখনো আমার আলোর ভাবনারা আমাকে আশাহত করেনি। মানুষ আসলেই তার বিশ্বাসের সমান বড়।।
বস্এর এই লাইনের পর আমার আর কি বলার থাকতে পারে? লেখাটার সৌন্দর্যই বেড়ে গেল।
হঠাৎই মনে হলো আমি যখন কলেজে পড়ি, তখন পহেলা বৈশাখের ৪/৫ দিন আগে আমার বাবা বেইলী রোড থেকে আমাকে একটা লাল পাড় সাদা শাড়ী কিনে দেন।তার সাথে সাদা-লাল চুড়ি, লাল টিপ ।সেই শাড়ী পড়ে পহেলা বৈশাখের সকালে বান্ধবীদের সাথে রমনায় গেলাম ঘুরতে। কয়েকবছর আগে নিজেই কিনলাম একটা লাল জামদানী শাড়ী।কিন্তু সেই শাড়ী পাওয়ার আনন্দ আর পাইনি কোনদিন।
জয়িতা'পু সব কমেন্টের উত্তর দিতারি না, কারণ প্রচুর লেখা সারাদিন হাতের মধ্যে নামার জন্য ঠেলাঠেলি করতে থাকে। এখন সেইগুলারে প্রায়োরিটি বেসিসে ডাউনলোডাইতে-ডাইতে বেলা পার হয়া যায়। এইজন্য কি সেন্টু খান বা কখনো খাবেন কি না বলে যান।
সেন্টু খাইতে কেমুন মীর?সুস্বাদু হলে খেয়ে দেখতে পারি। আর সেন্টু খাবো কিনা এইটা বলে কই যেতে বললেন আমাকে?যাবো কেন?হু!আমি তো আপনার লেখার পাংখা।
ভালো থাকেন আর অসাধারণ সব লেখা দিয়ে মন ভরিয়ে রাখেন সবার।
আমার কোনো কালো জ্যাকেট ছিল না, এখনও নাই। আছে হলুদ জ্যাকেট।
লেখাটা সেরাম হৈছে। আমিও আশাবাদী মানুষ। হবে, হতেই হবে। শুধু সময়ের ব্যাপার।
থ্যাংকু মীর...
আপ্নের হলুদ জ্যকেটও আছে।
মনটা তাইলে এত সাদা ক্যন? একটু হলুদ হলুদ ছাপ নাই ক্যন?
শুধু হলুদ জ্যাকেট না, আমার হলুদ যা যা আছে :
মনটা সাদা আপনেরে কে কৈলো ? আমার মনটার রং এক্কেবারে সবুজ, আমৃত্যু...
সেরকম লেখাটা। থ্যান্কু মীর।
ইউ আর ওয়েলকাম ব্রাদার।
মীর গ্রেট।
জয়িতা'পু গ্রেট।
আবার পড়লাম, আবারও ভালো লাগলো, পছন্দ হলো । আনন্দের বাক্স হাতে নিয়ে বসে আছি। ইচ্ছে করছে চারিদিকে আনন্দ ছিটিয়ে ভরে দিতে। পারছি না। কোনো একদিন কোনো না কোনো এক উপায়ে এই ডালাভরা আনন্দ পুরো পৃথিবীর ওপর ছিটিয়ে দেবো, এ আশায় অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার পালা শেষ হোক দ্রুত ।
থ্যংকিউ ভাই।
আগে অপটপিক-
এই কথা মীরের পোস্টে কইছিলাম, পাত্তা দেয় নাই।
পরে আরেক পোস্টে টুটুল কইলো তারে একগাদা ধন্যবাদ দিল মীর।
আর এখন কয় আমি নাকি তারে দৌড়ানি দেই।
আফসুস।
এবির বড় কৃতিত্ব মীরকে আবিস্কার করা। শতভাগ সত্য ।
মাসুম ভাই গ্রেট ম্যান। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি একটা মানুষ কিভাবে এত চমৎকার হইতে পারে? এবি মীরদের আবিস্কার করে, কিন্তু এবি'কে কে আবিস্কার করে? মাসুম ভাইএরা। এরকম মানুষরা না থাকলে এবি এমন দারুণ একটা ব্লগিং প্ল্যটফর্ম হইতে পারতো না।
দেশে আরো ব্লগ আছে। সামু ছাড়া কোনোটাতেই একাউন্ট নাই। কিন্তু দেখি তো, সেইসব জায়গায় ব্লগিংএর নামে আরো একটা ধূলা-কালিময় বাস্তব জীবন চলে। এবি'র মতো স্বপ্নের পরিবেশ সেইসব ব্লগে অচিন্ত্যনীয়। আমি দেখি আর মনে মনে মাসুম ভাইদের ধন্যবাদ দিই, কৃতজ্ঞতা জানাতে থাকি।
:\
একটা অ:ট: আপনে কি ইদানীং পোস্ট উৎসর্গ করা শুরু করছেন? তাইলে একটা- দুইটা আম্রারেও কইরেন...
ব্লগর ব্লগর সহজ- সরল হইছে। ভাল্লাগচ্ছে।
আইচ্ছা করুম্নে। ভাল্লাগসে জাইনা খুশি।
আমার লাল তো লাল, কোনো শাড়ি-ই নাই। বরং একটা কালো জ্যাকেট ছিলো!
আগেই সন্দ' করসিলাম, আপ্নে আমারে ডিটো দিতারেন।
আমার ধারনা ছিলো প্রত্যেক মেয়ের একটা লাল শাড়ী/জামা থাকা কর্তব্য... আমি এমন কাউরে এখনো দেখি নাই যার লাল জামা নাই
আমার লাল কোনো জামাও নাই! কিন্না দ্যান টুটুল ভাই..
হ টুটুল ভাই, কিন্না দ্যান। কি আর করবেন।
আর ইয়ে, যদি দেখেন আপ্নে দিয়ে আসতে গেলে ভাবী সেন্টু খাইতে চায়, তখন আমারে কইয়েন।
আমরা পু'পারা যে যাই ছিলাম তাই রয়ে গেছি, কিন্তু এবি'তে এসে মীরকলি পুরা আনারকলি থুক্কু ফুল হয়ে প্রস্ফূটিত হয়ে গেছেন...
লালশাড়ি আছে কিন্তু কি আজিব কারনে ক্যান জানি পরা হয় নাই একবারও...
আইলাসামিতে কমেন্ট করা হয় না কিন্তু লেখা পইড়া যাই নিয়মিতই...
ভালো লাগল। ছোট্ট ছিলাম যদিও ৯৭ এর ক্রিকেটের সব কিছুই যেন এখনো গতকালের চেয়ে পরিষ্কার।
অপটিমিস্টিক লেখা পড়তেও ভালো লাগে
অ্যানিমেশন মুভির বিশাল পোকা আমি। কারণ একটাই। বেশিরভাগই ফীল গুড মার্কা মুভি। সেরকম একটা লেখা পড়লাম
আচ্ছা মীর তুমি কি সত্যি দেশে থাক?
স্যার আপনার ফোনের অপেক্ষায়।
মন্তব্য করুন