গল্প: হরেক রংএর মার্বেল
১.
সেদিন ঘর থেকে মাত্র বের হয়েছি, সিঁড়িতে একটা কালো হুলো দেখলাম। বেড়ালের চোখ সবসময়ই দর্শনীয়। আমি বেড়াল দেখলেই তার চোখের দিকে তাকাই। ছোটবেলায় মার্বেল জমানোর শখ ছিলো। এখন অবশ্য যেরকম সুন্দর সুন্দর মার্বেল ক্যম্পাস আর এ্যলিফ্যন্ট রোডের ফুটপাথে বিক্রি করে, সেরকম মার্বেল তখন পাওয়া যেতো না। সবুজ বা ঘন কালো রংএর মার্বেল ছিলো শুধু। সেরকম মার্বেল জমিয়েছিলাম এক হাজার। যার বেশিরভাগ খেলে খেলে জেতা। বেড়ালের চোখ আমার কাছে মার্বেলের মতো লাগে। শুনেছি ভুত মরে নাকি মার্বেল হয়।
সাইকেলটা একটা সীজনাল খোর। যখন যে সীজন চলে, তখনকার সহজলভ্য খাদ্যটি সে প্রচুর পরিমাণে খেতে থাকে। বর্ষার সময় সে কাদা খায়। গরমকালে খায় ধুলা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট ধুলা না ঝাড়লে জিনিসটা মনুষ্য সমাজে চলার মতো চেহারায় আসে না। আনমনে ধুলা ঝাড়তে ঝাড়তে ভাবছিলাম, সামনে দিয়ে বেড়াল চলে যাওয়াটা অপয়াই হয় কি না কে জানে।
নতুন দারোয়ানটা বেশ কর্মঠ। প্রতিদিন গ্যারেজটা একবার করে পানি দিয়ে ধোয়। সকালবেলা ফজরের নামাজ শেষে তার প্রথম কাজ হচ্ছে এটা। আমি একদিন সকালে হিসু-টিসু দিয়ে শুতে যাবার আগে একটু নিচে নেমেছিলাম, কোনো কারণ ছাড়াই। দেখি প্রায় অন্ধকারের মধ্যে সে গ্যারেজে হোস পাইপ দিয়ে পানির বন্যা ছুটিয়ে দিয়েছে।
বিষয়টা হলো একটা কাজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করা। এই যে এখন আমি যাচ্ছি একটা জায়গায়, এ যাওয়ার জন্য কি আমাকে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিতে হয় নি? হ্যাঁ, হয়েছে। আমি দিনের পর দিন ধৈর্য্য ধরে আজকের দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছি। শুধু অপেক্ষা নয়, করেছি সাধনাও। আমি জানতাম, একদিন ওরা কেউ আশপাশে থাকতেই পারবে না। অনেক পেছনে পড়ে থাকবে। ওরা যারা চেষ্টাচরিত্র করে আমাকে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছিলো, আজ ওদের সময় এসেছে; মুদ্রার অপর পিঠটি দেখবার। কিছুটা উত্তেজিত মনেই স্টার্টারে কিক করি। এক পশলা মৃদু অকটেন পোড়া ধোঁয়া ছেড়ে ইঞ্জিনটা স্টার্ট নেয়।
২.
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকেরা একেকটা অবুঝ শিশু যেন। পত্রিকার খাতিরে ছাত্রনেতাদের মতো অসংলগ্ন মানসিকতার এক শ্রেণীর মানুষের ফয়দা কাছ থেকে পেয়ে পেয়ে ওরা মর্কট হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকত্ব ঝরে পড়েছে অনেক আগেই। নিজেদের হনু মনে করা শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে ওরা টপ এ্যমং অল্। আমি অবশ্য করেসপন্ডেন্ট হবার আগ থেকেই এ কথাটা জানতাম। এমনকি এটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তার হোমওয়ার্কও করা ছিলো। সুবাদে সেবার করেসপন্ডেন্ট হিসেবে একটা পত্রিকার ঢোকার পর আমি একটা ডায়েরী তৈরী করেছিলাম।
ডায়েরী তৈরীর মূল কারণ ছিলো ভিন্ন। ভেবেছিলাম আমি তো দিনে অল্পই কাজ করি। সেগুলোর যদি একটা তালিকা রাখা যায়, তাহলে কাজগুলোর কোনোটিই আর মিস্ হয় না। সেই ডায়েরীটি প্রথম দিন থেকেই এত ভরে উঠলো যে, আর কোনো দিকে নজর দেবার সুযোগই মিললো না। টানা ৬০-৭০টি দিন স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। কয়েকটা ছোট-বড় প্রাপ্তি শুধু অল্প-বিস্তর দুলুনির অনুভূতি জাগিয়েছিলো মনে।
এরপরে একদিন কয়েকজন করেসপন্ডেন্টএর সুচতুর ফাঁদে পা দিয়ে যখন সেই চাকুরী থেকে ইস্তফা হাতে বেরিয়ে আসি; তখন নিজেই বেশ বিরক্ত হয়েছিলাম, নিজের বোকামীর লেভেল দেখে। আমার তো ক্লাস থ্রি-তে গিয়ে আবার ভর্তি হওয়া উচিত। মানুষের এরকম নির্লজ্জ ছলচাতুরী বুঝতে পারি না। আশ্চর্য!
আমার সঙ্গে এমন করার ওদের কারণ ছিলো। আমি কারো সাতে-পাঁচে ছিলাম না। অফিস থেকে ফিরে টিএসসি'র দোতলায় ডুজা অফিসে গিয়ে তেলের ব্যবসা করতাম না। ব্যবসায় নামলে আমাকে শুধু দিয়ে যাওয়াই না, নিয়ে যাওয়ার কাজটুকুও সমানতালে করতে হতো। জানি সেটা পেতাম ছোটভাই, বড়ভাই, স্যার-ম্যাডাম, অমুক নেতা-তমুক নেত্রী, চতুর্থ শ্রেনী-পঞ্চম শ্রেণী নানান শ্রেণীর উদ্দেশ্যশিকারী মানুষদের কাছ থেকে।
আমি সেসব কোনোকিছুই না করে হেডফোনে সঞ্জীবদা'র 'চোখটা এত পোড়ায় কেন, ও পোড়াচোখ সমুদ্রে যাও; সমুদ্র কি তোমার ছেলে, আদর দিয়ে চোখে মাখাও' শুনতে শুনতে হাঁটতাম ফুটপাথ, রাস্তা, মেঠোপথ আর ঘাসের ওপর দিয়ে। কোনো কারণ ছাড়া, এমনি এমনি।
অবশ্য মনের ভেতর শত্রুতাকে ঠাঁই না দেয়ার ফলাফল হাতে-নাতে পেয়েছিলাম। ভিসি-ট্রেজারার থেকে শুরু করে ছাত্রদলের গুন্ডা-পান্ডাগুলো আর সাংবাদিক সমিতির ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষক উদ্ভটগুলো মহা পেরেশান হয়ে গেল।
সেই চক্রান্তটায় একজন বিভাগীয় প্রধান জড়িত ছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ঘটনা সত্য। হলের এক সিনিয়র এ্যকটিং করলেন। আগ বাড়িয়ে জানিয়ে গেলেন, ঘটনা সত্য। আমিও সন্ধ্যার তাড়াহুড়ো আর চীফ রিপোর্টারের তাগাদায় অস্থির হয়ে, ক্রস চেক না করেই লিখে দিলাম; ঘটনা সত্য। শেষ পেরেকটি ঠুকে সারারাতের জন্য আমাকে অকেজো করে রাখার পেছনে অর্থায়ন ও আয়োজন সারলেন বন্ধু নামধারী সমবয়েসী এক সাংঘাতিক। পরদিন সকাল ১১টায় প্রথম জানতে পারলাম, ঘটনা আসলে মিথ্যা ছিলো।
ততক্ষণে সে খবর দেশের প্রত্যেকটা মানুষের সকালের চাএর সঙ্গে পড়া হয়ে গিয়েছে। দুঃখের কথা আর বাড়ালাম না। অফিসেরও বেশিরভাগ মানুষ বাইরের পৃষ্ঠপোষকগুলোর মতো মাথামোটা ছিলো। এরপরে আমি মনে মনে ঠিক করেছিলাম, নোপ্। এর জবাব দিতেই হবে সবাইকে। আমি কার কি ক্ষতি করেছিলাম, আমাকে বলে যেতে হবে একদিন।
এরপর বছরের পর বছর কেটে গেছে। আজকে যে রেমন্ড'র চকচকে একটা স্যূট পড়া ছেলে বাসা থেকে বের হয়েছে সে এতটা ডেসপারেট্ হতো না, যদি জীবন তার মাথায় সেই ইটের আঘাতটি কখনো না করতো। এজন্য অবশ্য সবচেয়ে বড় ধন্যবাদটা স্টিভ জবস্'এর প্রাপ্য। তিনিই তো ইটের আঘাতকে চিনতে শিখিয়েছেন।
৩.
বয়স্ক দারোয়ানটার জন্য শান্তির বর্ষণ কামনা করে গ্যারেজের রাম্প বেয়ে নেমে আসলাম। যাচ্ছি হোটেল শেরাটনে। জাতিসংঘের একটা বার্তা সংস্থা আছে, আইরিননিউজ ডট অর্গ্। সেখানে আজ আমার জয়েন করার তারিখ। আপাতত ওদের বাংলাদেশ চ্যপ্টারে কাজ শুরু করবো। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে আমার এ্যপয়েন্টমেন্ট হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ভিজিটর করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য। দু-এক মাসের মধ্যেই হয়তো জর্ডান বা ইয়েমেনে পোস্টিং হয়ে যাবে।
ক্লাস ও সমিতির সেই কর্মকার-হাসানেরা প্রত্যেকেই খবরটা শুনে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসে পড়েছিলো বা কিংবা দেয়ালে গিয়ে হেলান নিয়েছিলো। অবশ্য আমিও খুব বিস্মিত হয়েছিলাম প্রথমে। কেননা, পরীক্ষাপর্ব সহজ ছিলো না। প্রতিদ্বন্দীরা কম বাঘা ছিলো না একেকজন। সর্বোপরি জন্মসূত্রে বাংলাভাষী হওয়ার জন্য একমাত্র আমিই অনেক প্রশ্ন পুরোপুরি বুঝতে পারতাম না, যে সুযোগটি অন্য অপোনেন্টরা প্রত্যেকে পেয়েছে। তারপরও আমি চাকুরীটা পেয়ে যাই।
মৎস্য ভবন পেরিয়ে ডানে মোড় নিতেই ইঞ্জিন একফোঁটা অকটেন মিস্ করলো। মাঝে মাঝে এমন হয়। পাম্পগুলোয় অকটেনের সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে তেল সুইচিং করা পুরোনো ঘটনা। আমি সেজন্য সবসময় নির্দিষ্ট ও পরিচিত একটা পাম্প থেকে তেল নিই। তাও কেন মিস্ ফায়ার হলো বুঝতে পারলাম না। এরমধ্যে সামনের এ্যলিওন এ-ফিফটীন'টা ভালো স্পীড তুলে ফেলেছে। পেছনের নোয়া'টা যে আমার জন্যই ওর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না, সেটা বোঝাতে দু্ইটা অস্থির হর্ণ বাজালো। বাম পাশ দিয়ে একটা বিকল্প সিটিং সার্ভিস উঠে আসছে ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচল ত্বরণে। ভাবলাম একটু টেনে এগিয়ে প্রথমে একটা লেফট ডাইভে বাসের সামনে দিয়ে রাস্তা বের করে নেবো, তারপর আরেকটা রাইট ডাইভে এ্যলিওনের সামনে প্লেস করে নেবো। ঢাকার প্রচলিত ভাষায় এটাকে 'বাউলি' দেয়া বলে। দুইটা পারফেক্ট বাউলি দিতে পারলেই আর কিছু দরকার নেই। মাইক্রোবাসটা এ্যলিওন আর বিকল্প- দু'টাকে কাটিয়ে সামনে আসুক দেখি পারলে।
নিজের লাইন ধরেই বাস থেকে তিন ফুট পর্যন্ত সামনে গিয়ে লেফট ডাইভের জন্য মোচড় নিলাম। সাথে সাথে সাইকেলের পেছনের চাকা স্কিড করলো। পুরোপুরি ভারসাম্যহীন অবস্থায় টালমাটাল হয়ে সামনে এগোতে শুরু করলাম। এরমধ্যে দৈত্যাকায় বাসটা লাফ দিয়ে তিন ফুট দুরত্ব অতিক্রম করে গাএর ওপর চলে এসেছে। নিজের পেছনদিকে হল্কার মতো গরম হাওয়া অনুভব করলাম। চাকাটা যেভাবে রাস্তার ওপর পিছলাচ্ছিলো তাতে শেষবার যে আব্বু-আম্মু-পিচ্চিবোন আর প্রিয়জনের মুখটা মনে করবো, সে সুযোগটাও পাচ্ছিলাম না।
কয়েকটা টান টান মুহূর্ত ক্লাচ চেপে সাইকেলটাকে রাস্তায় পড়তে না দিয়ে, সোজা রাখার লড়াই চালিয়ে গেলাম। জানি না আর কয়েক মুহূর্ত পর আবারো এই সুন্দর ভুবনে নিরাপদে নিঃশ্বাস নিতে পারবো কি না। নার্ভের ওপর পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নিঃসৃত রস চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়তে থাকলো।
সেদিন শেষ পর্যন্ত বেঁচে গিয়েছিলাম। একসময় সাইকেলটা রাস্তার বাম দিকে নিজের জন্য একটা নিরাপদ জায়গা করে নিলো। বাসের ড্রাইভারটাও দারুণ ছিলো। ওর বাহনের এত কাছে আমার চাকা পিছলেছিলো যে; সে গতি না কমালে মারা পড়তাম নির্ঘাৎ। অথচ তার যে গতি ছিলো সেটা বাগে আনাও সহজ ছিলো না। মনে মনে ড্রাইভারকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে ধাবমান হলাম।
আসলে এটা হয়তো কোনো ব্যপারই না। কারণ মানুষ যখন অনেক বেশি গতিতে সামনে এগোতে থাকে, তখন মাঝে মাঝে ঝাপটা আসেই। সেটা সামলাতে জানাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
---
আমি বহুদিন এরকম সারপ্রাইজড হচ্ছি না জীবনের দ্বারা। আমি বোরড
সামলাইতে সামলাইতে পাত্থর হোগায়ে
সারপ্রাইজড যেন দ্রুতই হৈতে পারেন সেইজন্য উইশ কর্লাম। আর পাত্থর যেহেতু হয়েই গেছেন, সেহেতু খুশি হন; কোনো ঝড়-ঝাপটাই আপনারে টলাইতে পারবে না আর।
ঝামেলা মেটে নাই তানবীরা?
জীবন মানে যন্ত্রনা। যতোদিন বাঁচবো ততোদিন ঝামেলা থাকবে। যেদিন বডি ফেলে দিব মাসুম ভাই। সেদিন থেকে নিশ্চিত
অভিনব সব ভাবনা, নয়া নয়া প্লট.... চলুক, রোজ একটি, ২৪ ঘন্টা পরপর
এই অংশের পর পাঠককে দু:খের অথই সাগরে না ভাসিয়ে পাঠককে কৃপা করলো গল্পকার! থ্যাঙ্কস!!
কিন্তু লিখতে চাই আসলে প্রেমের গল্প। কয়দিন সেটা না পারার কারণে মাথা হট। যাক, লেখা কেমন হৈসে বলেন। আপনে তো সেটা না বলে পার পাবেন না কোনমতেই।
মাথা হট থাকা কিন্তু ভালুনা
প্রেমের গল্প জোস, লেখেন লেখেন।
আপনার লেখা যেমন হয় এইটাও তেমন। এবারের প্লট টা অন্যরকম। আজকাল শিরোনামগুলো ভাবাচ্ছে। অস্থির আছেন আবার কুল আছেন তাই গল্প আর শিরোনাম দুটোতেই রিস্ক ভাগ হচ্ছে
মোটকথা, লেখা ভালো হয় নাই
গল্প ভালো হয় নাই এই কথা আমি মোটেও বলি নাই
বলছি অভিনব, প্লট টা অন্যরকম।
শব্দ আর কথার কাজতো দারুণ আপনার। সত্যি। কোন পক্ষপাত না করেই বললাম।
অর্থাৎ গল্প মোটেও ভালো হয় নি
গল্প ভালো হয়েছে
গল্পে নতুন চরিত্র আসুক, সচল চরিত্র ।
এত নতুন নতুন গল্পের আইডিয়ার কারণ কি? কমপ্লান? না হরলিক্স? না অন্য কিছু , কোন একজন উৎসাহদায়িনী ? 
আইডিয়ায় ঠাশা আপনার মাথা । কি সুন্দর লিখে যাচ্ছেন একের পর এক ।
সচল চরিত্র কি? নায়িকা? নায়ক-নায়িকা'র গল্প লেখার উৎসাহ দিতে চান?
এইটার উৎসাহ কে দিসে পারলে বলেন দেখি।
উৎসাহদায়িনী তো আছেই
সচল চরিত্র কেম্নে বুঝাই , ইয়ে মানে, বলতে চাইছিলাম গতিশীল চরিত্র । তাও মনে হয় বুঝাতে পারলুম না । আমার পব্লেমই এই, বুঝায়ে কিছু বলতে পারিনা
আফসুস ।
চরিত্র মানেই নায়ক নায়িকা হবে, তা তো না । প্রেম ছাড়াও তো দুনিয়ায় কত কিছু আছে । যেমন আপনে লেখেন কত কিছু নিয়া । সেইরকম । চরিত্র একজনই থাকে, আরো চরিত্র আসুক ।
গল্পের উৎসাহ লীনাপ্পি দিছে । আমি জানি
বলি, অনেক বেশি গতিতে সামনে এগোবার দরকারটা কি?

টুটুল'কেও আমি সবসময় নিষেধ করি। কিন্তু আমার কথা কে শোনে
টুটুল ভাই রক্স
ডিসক্লেইমার টা যে পরে দিবা এটা তো উল্লেখ করলা না??
ডিসক্লেইমারওয়ারা লেখা আসতেছে না রাসেল ভাই। আপনের শরীরের কি অবস্থা?
হুমম। ঠিক।
পড়তে পড়তে ডুবে গেলাম লেখাটায়। লিখতে থাকুন। আমাদের মন তৃপ্ত হোক।শুভকামনা প্রিয় মীরের জন্য।
বড়শি ফেলসি, ধরে ধরে উঠে আসেন প্লীজ। আপনে ডুবে গেলে আমার কি হবে?
মীরের কমেন্টা দেখে
আর এই গানটার কথা মনে হলো
আমার একলা দেলনাটা বদ ডেভু দিলো না।আমি এক্লা দুলুম।
আমি কার খালু! আছি বন্ধু
আপনে কেন খালু হবেন সেইটা বুঝলাম না। সন্দজনক কথাবার্তা। ছি ছি।
চারটা দোলনা নাই?
আসো দুলি।
রাতে ঘুমাই নাই। ঘুম পায়। আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা বড় পুকুর আছে / ছিলো। চারপাশে ছোট ছোট গাছ, একটা বড় শিমুল ফুল গাছ। এমন গরমের দিনে লোকজন পুকুরপাড়ে বসে থাকতো, বাতাসে ঘুম চলে আসতো।
আমার নানী বাড়িতে এমন একটা শিমুল গাছ আছে। পাশেই বড় পুকুর। ঘাটে বসে আমরা কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়তাম। নানী বাড়িটা একটা স্বর্গ। কতদিন স্বর্গে যাইনা
গেছিলাম এক্টা কাজে।ফুলার রোডে দেখি কোকিল ডাকে, শীতল বাতাস, গাছের ছায়া...সব মিলিয়ে মন সরছিলো না, তাই বসলাম কিছুক্ষণ।এখনো ভালোই লাগছে, বাসার সামনে অনেক চড়ুই পাখি কিচিরমিচির করছে।@লীনাপা
আহা আহা! ইস......
এখন জয়ী হওয়ার চাইতে ক্ষমা চাইতে বেশি ভাল লাগে।
এটা প্রকৃত অর্থেই একটা অসাধারণ উপলব্ধিজাত কবিতা।
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
বিকেল বেলায় একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে
একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে পথে ঘুরে ঘুরে
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না
আমিও মানুষ আমার কি আছে অথবা কি ছিল
আমার কি আছে অথবা কি ছিল
ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে
যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায়.....
উত্তম।
very fine
মীর আপনি কোথায়!!!
কই হারাইলেন?দেখি না যে! ভালো আছেন তো!না বলে কয়ে ডুব দেওয়া অন্যায়।
এত নতুন নতুন আইডিয়া কোত্থেকে পান ? আর এত সুন্দর করে আইডিয়াটা পাঠকদের মাঝে ছড়িয়ে দেনই বা কেমন করে? চমৎকার লেখা - চালিয়ে যান।
নতুন পোষ্ট কই?নতুন লেখা দেন।
না দিলে?
তাইলে আমিও তাই হইলাম। তাই করলাম।
ঘুম নাই।এত সকালে ব্লগে কি??
মন্তব্য করুন