ইউজার লগইন

গল্প: অতি সাধারণ কথোপকথন

হানিমুন সহজ কথা না। এটার পরিকল্পনা করাও কম ঝকমারি না। জীবনে একবারের বেশি হানিমুন হয়ও না। হলেও প্রথমবারের ব্যপারই থাকে ভিন্ন। আবার বিয়ের পরপরই হানিমুনে না গেলে পরে আর সেটাকে হানিমুন বলাও যায় না।
সব মিলিয়ে একটা ব্যপারে নিশ্চিত থাকতে পারো যে, হানিমুনের একটা পাকা বন্দোবস্ত না করে বিয়ে করে ফেলাটা আসলে ভালো হবে না। এখন ধরো, বিয়ের অন্য সব রকম প্রস্তুতি তোমার নেয়া হয়ে গেছে। আর হানিমুন সম্পর্কে ভেবে রেখেছো যে, সে পরে দেখা যাবে। তাহলে কিন্তু হবে না। সবার আগে এটা ভেবে রাখা জরুরি। এটা ভাবার আগে অর্থনীতি নিয়ে ভাবাও জরুরি। এজন্য অবশ্য শওকত হোসেন মাসুমের সাদা-কালোর অর্থনীতি বইটি পড়ে রাখতে পারো চাইলে।
তবে অর্থনীতি যেমনই হোক, আসলে দু’জন মানুষ যখন প্রেম করার জন্য কোথাও যায়; এবং শুধু প্রেম না সামথিং মোর দ্যান দ্যট্, তখন অতো ভাবার কিন্তু কিছু নেই। ঝুট-ঝামেলাবিহীন একটা মধুচন্দ্রিমা আয়োজন করা কঠিন নয়। শুধু মাথা ঠান্ডা রাখলেই চলে। কিন্তু এখন যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে না হওয়ায় আমাদের মাথা গরম, তাই হানিমুন নিয়ে না ভেবে বরং তারপরে কি করা যায় সেটা নিয়ে ভাবি আসো।

-তারপরে কি করা যায় মানে কি?

আরে, সারাজীবন তো আলাদা আলাদা থাকলাম। বড় হলাম, পাশ দিলাম, চাকুরী নিলাম। এগুলো ছিলো একরকম বিষয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমরা দুইজন একসঙ্গে থাকবো। এইটা একটা বিরাট বিষয় না? এটা নিয়ে তো ভাবতে হবে। খালি হুট বলতে তুমি বিয়ের পিঁড়িতে বসে গেলে আর আমি শুয়ে পড়লাম, এমন তো না বিষয়টা; নাকি?

-তুমি কি করলা?

আমি শুয়ে পড়লাম, খাটিয়ার ওপর, অন্তিম যাত্রায়। কথা ঠিকই আছে, ওরকম চোখ পাকিও না। তোমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার সঙ্গে বিষয়টার তফাৎ খুবই সামান্য। বলা যায়, সত্যিকারের অন্তিম যাত্রার পর যে আরামদায়ক ঘুমের ব্যবস্থা আছে, সেটা থাকবে না ব্যস্। এছাড়া আর সবই এক। আচ্ছা, সে যাই হোক। আসল কথায় ফিরে আসি। আমার কিন্তু জাস্ট বিয়ের পরই একটা পাওয়ার প্লে নেয়ার ইচ্ছা আছে। তুমি কি বলো?

-আগে পাওয়ার প্লে’র বিষয়টা বুঝাও। তারপর দেখা যাবে।

তার আগে একটু ডাক্তারী করি। মানুষের শরীরে হচ্ছে এমন অসাধারণ এক যন্ত্র যার সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো যন্ত্রের তুলনা চলে না। এটা কি তুমি বিশ্বাস করো? এই শরীরে রয়েছে সব সমস্যার সমাধান। আবার এই শরীরের ভেতরেই রয়েছে সব সমস্যার বীজ। তোমাকে আগে নিজের শরীরের ব্যপারে সচেতন হতে হবে। সেটা কেমন বুঝায়ে বলি। ছোটবেলায় আমি কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠতাম। উঠে দৌড়ে দৌড়ে স্কুলে যেতাম। প্রায় তিন মাইল পথ হবে সেটা। স্কুলে তো ক্লাস টাইম ছাড়া আর বাকী পুরো টাইমটা নানা কারণে দৌড়াদৌড়ি করেই বেড়াতে হতো। এরপর বাসায় এসে দুপুরের ভাত খেতাম। এইবেলা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে ছেলেধরা ধরে নিয়ে যায়, তাই বাইরে যাওয়া বারণ ছিলো। আম্মু দেখতে পেলে খবর করে ছাড়তো। কখন আম্মুর চোখ দু’টো একটু বন্ধ হয়ে আসে সে সময়ের অপেক্ষায় থাকতাম। একবার বন্ধ হলেই ব্যস্। দে ছুট। সেই ছোটাছুটি শেষ হতো মাগরেবের আযান পড়ার পর। প্রথমে এক দফা চারা-মার্বেল চরানো শেষে যখন দুপুরের কড়া রোদ ঝিমিয়ে আসা শুরু হতো, তখন শুরু হতো ক্রিকেট কিংবা ফুটবল। দু'টো খেলাই ব্যপক কায়িক শ্রমের ব্যপার। বিশেষত আগের বেলায় যদি ওয়ার্কিং ডে'তে স্কুলটাইম পার করে আসতে হয়, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও আমার যেন গায়েই লাগতো না কোনকিছু। খেলা শেষের পরও হয়তো এই দেয়ালে, সেই ওয়ালে টপকা-টপকি করা, আড়ালে গিয়ে দুষ্টু বড় ভাইদের সঙ্গে সিগারেটে এক-আধ টান দেয়া, দুদ্দাড় পাঁচতলা-ছ’তলার সিঁড়ি ভেঙ্গে ছাদে উঠে কিছু একটা কাণ্ড করে আসা- চলতেই থাকতো। শেষ হতে চাইতো না দিনগুলো। এরপর আরও আছে। আম্মু হয়তো রাতের খাবার রাঁধতে বসেছেন। এমন সময় দোকান থেকে লবণ কিনে আনতে হবে। চারতলা থেকে লাফ দেয়া তো আর সম্ভব ছিলো না, লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়ি টপকানো সম্ভব ছিলো। সেই যৎসামান্য সময়ের ফাঁকে একটু শারমিনদের বাসার সামনে থেকে চক্কর দিয়ে আসার ব্যপার ছিলো। আমার কোনকিছুতেই আপত্তি ছিলো না। একটা সময় ছিলো যখন ক্লান্তি কি জিনিস জানতামই না।

-আমিও জানো তোমার মতোই ছিলাম। হয়তো এত ঘোড়া ছিলাম না। কিন্তু অনেক দৌড়াদৌড়ি করতাম। স্কুলে আমার ক্লাস ছুটি হবার পর বসে থাকতাম আম্মুর ক্লাস ছুটি হবার জন্য। তিনি টিচার ছিলেন তো। বসে থেকে আমরা তিনজন টিচারের মেয়ে স্কুলের মাঠে দৌড়াদৌড়ি করতাম। অতো বড় মাঠটায় ৫০ জন একসাথে দৌড়ালে হাঁপাতে হয় না। কিন্তু তিনজন বলেই হয়তো খবর বের হয়ে যেতো। আম্মুর ছুটির ঘন্টার পড়তেই বাসায় ফিরে গোসল-খাওয়া কোনোমতে সেরে স্যারের বাসা। স্যারের বাসা থেকে ফেরা মাত্রই নাচের স্কুল। সেখান থেকে ফিরে দেখতাম রুবেল মামা অংক আর বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য বসে আছেন। এরপরে ছিলো টিভি’র নাটক দেখা। ক্লান্ত হবার সুযোগ কোথায়?

টিভি নাটক। আহ্ কি মহান কথা মনে পড়ে গেলো। সাড়ে আটটায় কোনমতে বিটিভির খবর শেষ হলেই হলো। খাবার-টাবার সাজিয়ে নিয়ে টিভি দেখতে বসে পড়া। কোনোদিন ডাইনিং টেবিলে খেয়ে তারপর সবাই মিলে টিভি দেখতে বসা। সেইসব ছিলো অসাধারণ সব দিন। বলছিলাম শরীরের ক্ষমতার কথা। এখন কিন্তু সকালে অফিস গিয়ে বিকালে বাসায় ফিরে তারপরে আর বিছানা থেকে নামতে ইচ্ছে হয় না, খেয়াল করেছো?

-কথা প্রায় ঠিক।

এর কারণ কি? আমাদের শক্তি কমে গেছে? না। শক্তি আগের চেয়ে বেড়েছে। ছোটবেলার চেয়ে এখন বড়ও হয়েছি অনেক। কিন্তু আগের সেই উদ্যম গেল কোথায়? গেছে আসলে শ্বশুর বাড়ি। সেখানে জামাই আদর পেয়ে পেয়ে ওরা অলস হয়ে পড়েছে। তাই শরীর আর আগের মতো চলে না। এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

-দুনিয়ার সব সমস্যা বাদ দিয়ে এই সমস্যা নিয়ে পড়লে কেন?

এইটাই হচ্ছে পাওয়ার প্লে’র মূল কথা। বিয়ের পর প্রথম চার মাস পাওয়ার প্লে চলবে। ফর ইয়, ফর মী। না বোঝার মতো ইমো দিয়ে লাভ নেই। শোনো, শহরে এখন ভালো ভালো ফিজিশিয়ান রয়েছেন। প্রথমে তাদের ভেতর থেকে পারদর্শী একজনকে সিলেক্ট করে একদিন তার চেম্বারে গিয়ে উঠে যেতে হবে। এবং একটা ফুল চেক-আপ করাতে হবে। দুইজনের ফিজিক্যাল গঠন, চলা-ফেরা, কি সমস্যা, কেন এবং সমাধান কি- এসব বিষয়ে ডিটেইল একটা ধারণা নিতে হবে। সঙ্গে একটা পাওয়ার ডায়েট স্কীম বানিয়ে নিতে হবে, ফর বোথ অভ আস্।

-ওকে, দ্যান?

যদিও ডাক্তারের ডায়েটের বাইরে যা কিছু সংযোজন করতে ইচ্ছে হবে, আমরা করবো। কিন্তু তার লিস্টের কোনোকিছু বিয়োজন করা যাবে না। আসলে শরীর সুস্থ্য রাখার অন্যতম উপায় ঠিকমতো খাদ্যগ্রহণ। নিঃসন্দেহে। এই কাজে ফাঁকিবাজি চলবে না। এর সঙ্গে আরেকটা যে কাজ করা হবে, সেটা হলো ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ। শহরে যেমন ভালো ফিজিশিয়ান আছে, তেমনই ভালো ভালো জিমনেশিয়ামও আছে। হয়তো টাকাটা একটু বেশি লাগে। তাতে কি? টাকা তো নিজের জন্যই উপার্জন করা, তাই না?

-সেভিংস্, আমাদের বাচ্চা-কাচ্চা, ভবিষ্যতের চিন্তা?

হবে সবই হবে। আগে বিয়ের পর প্রথম পাওয়ার প্লে’টা তো ভালোমতো খেলে নাও। ব্যাটিং করতে নেমে ধুপ-ধাপ আউট হয়ে চলে আসলে লাভ কি বলো। কনভিন্সিং একটা ওপেনিং পার্টনারশীপ ছাড়া আজ-কাল বড় স্কোর চিন্তাই করা যায় না। আর তুমি ভাবছো বাচ্চা-কাচ্চার কথা!

-কিসের মধ্যে কি! পুরা অফটপিক, মাথায় বাড়ি খাবি কিন্তু।

আচ্ছা, অনটপিক হচ্ছে অফিস সেরে তুমি প্রতিদিন বিকাল সাড়ে চারটায় রেডী-গেটসেট-গো হয়ে থাকবে। আমি জাস্ট যাবো আর তোমাকে পিক করে নেবো। এরপরে কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক ঘোরা। ফুচকা বা বেলালের পাকোড়া বা চা-সিগারেট খাওয়া। এরপর গোল্ড’স জীম। এখানে ঘন্টাখানেক চলবে ফ্রি-হ্যান্ড, তারপর টুক-টাক বেলী ডাউন, যেটা মূলত পেটের শেপ ঠিক রাখার জন্য এবং সপ্তাহান্তে একটা করে স্টীম বাথ; কি বলো? প্রথম মাসে আমাদেরকে আয়রন দেবে না নিশ্চিতভাবেই। তবে পরের মাস থেকে রিস্ট ডাম্বেল, চেস্ট ইঙ্ক্রীজার আর ফুট ম্যাসেজার চলবে, পুরোদমে।

-আমরা কি মার-পিট করতে যাবো কোথাও? এত ঝামেলা করার কি দরকার?

মার-পিট, হুম মার-পিট বলা যায়। নিজেরা নিজেরা তো করবোই। কিন্তু মার-পিট ছাড়া আর কোনো কিছুতে ফিটনেস্ লাগে না এটা কে বললো? বিয়ে করছি কেন? তোমাকে একটু নিরিবিলিভাবে পাওয়ার জন্য। কিরকম সেটা? তুমি একটা মানুষ যার প্রত্যেকটা বিষয় আমি টেক কেয়ার করবো। সকালে ঘুম থেকে ওঠা, নাস্তা করা, অফিসে যাবার জন্য প্রস্তুত হওয়া, অফিসে নিয়ে যাওয়া, আবার দুপুরে তোমার সঙ্গে গিয়ে লাঞ্চ করা, বিকালে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া, সন্ধ্যায় জিমে যাওয়া, রাতে দুইজন ঘরে ঢুকে দরজাটা পা দিয়ে ঠেলে লাগিয়েই তোমাকে জড়িয়ে ধরা; এই কাজগুলোর জন্য ফিটনেস্ দরকার নাই বলতে চাও? ধরো তোমাকে এখন জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিতে চাই। কিন্তু তোমার যে ওয়েট তাতে কি আর একশ’ ভাগ সেভাবে সম্ভব? পার্ফেকশন ছাড়া আমার কিন্তু মোটেও স্যটিসফেকশন আসে না, তুমি যাই বলো। আচ্ছা মনে করো, আইস-স্কী’র খেলোয়াড়দের মতো তুমি দুই পা দিয়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরেছো, আমি দুই হাতের ওপর তোমাকে তুলে নিয়েছি এবং তোমার কমলার টসটসে কোয়ার মতো ঠোঁট দুইটার ভেতরে নিশ্চল ডুবে গেছি। ঐ অবস্থায় অন্তত আধঘন্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে না থাকলে তো চলছে না। তাই না? তখন যদি হঠাৎ আমার পেশী টনটন করা শুরু করে তাহলে আর কেমনে কি? আধঘন্টা তোমার ঠোঁট দু'টো আপ্রাণ চুষে তারপরেই না তোমাকে নিয়ে আস্তে আস্তে সোফাটার দিকে আগানো যায়। অবশ্য ঠোঁট ছাড়া যায় না। জিহ্বাও না। যদিও চুমুর সময় তুমি ইচ্ছা করেই ঐটা দিতে চাও না, কারণ একবার ধরা পড়লে যে খুব একটা তাড়াতাড়ি ছাড়া পাও না, সেটা কি আর আমি...

-ঐ চুপ। একদম পুরাপুরি চুপ। আর একটা কথা বলবি তো মাইর। একবার শুরু হইতে পারলে ব্যস্, চলতেই থাকে তো চলতেই থাকে। কি আজব!
---

পোস্টটি ৮ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

তানবীরা's picture


শেষ অংশটা দারুন। Big smile

মীর, যদিও এটা গল্প তবুও আমি আমার কিছু বক্তব্য এখানে তোমার জন্য তুলে ধরছি। কারণ সাধারণ মানুষের জীবনে গল্প উপন্যাসের প্রভাব কিন্তু কম নয়। উপন্যাসের নায়ক নায়িকার সাথে এক বয়সে সবাই নিজেকে তুলনা করতে ভালোবাসতাম, তাই না।

তুমি যেহেতু প্রমিসিং রাইটার তাই

জীবনে একবারের বেশি হানিমুন হয়ও না। হলেও প্রথমবারের ব্যপারই থাকে ভিন্ন।

এ লাইনগুলোতে আমার সামান্য আপত্তি। প্রথমবারের প্রেম বিয়ে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতেরগুলো সফল আনন্দদায়ক হবে না, এ ধারণা রবীন্দ্রনাথ কিংবা বঙ্কিমচন্দ্রের হতে পারেন, কারণ তারা তাদের সব নায়িকা দেখতে সুন্দরী আর রন্ধনপটিয়সী হিসেবে একেঁছেন কিন্তু তুমি কেনো এমন ভাববে?

আর আমি জানি, আই হ্যাভ এভরি রাইটস টু সে হোয়াট এই থিঙ্ক ইন ইউর পোষ্ট, সো আই এম ইউজিং দিস লিবার্টি Big smile

মীর's picture


শেষ অংশটাই তো Big smile Big smile
আর বাকী সবকিছু হইলো বকবক। ধরেন থার্ড ইয়ারের কোনো এক অলস দুপুরে ক্লাস নাই বা ক্লাস আছে জানি না, মোল্লায় একটা চা আর একটা গোল্ড লীফ হাতে নিয়ে বসে আছি। মেয়েটির হাতে শুধু চাএর কাপ। দুইজন পাশাপাশি, গাএ গা লাগিয়ে বসে আছি। সেই সময় Wink

লিজা's picture


ট্যাগে ১৮+ দেন জলদি । Tongue Tongue
নায়িকারে ১০০ থ্যাঙ্কস নায়কের কথা বন্ধ কইরা দিছে ।
হক সাহেবের ছুটো ভাই Tongue

মীর's picture


ইয়াল্লা কি কন্! স্যার শুনলে তো মাইরালাইবো। আপ্নের জন্য কোক

নরাধম's picture


শেষটা শুরুতে দিলে লোকজন পড়তে আরো আগ্রহী হবে! SmileSmile

মীর's picture


তারপরে শেষে কি দেবো? Smile

জ্যোতি's picture


কি আজব! কি সব কথা বলে! শরম নাই। :\
তবে গল্পটা তো আমার ব্যপক ভালো লাগছে। জট্রিল। Smile Star কোক

মীর's picture


আপ্নের ভালো লাগলো? আমি তো ভাবলাম বলবেন, আস্তাগফেরুল্লাহ...
যাউক্গা এই গল্পের ইনস্পিরেশন কে দিসে বলেন দেখি।

জ্যোতি's picture


জট্রিল লাগছে।সুইট অস্তাগফিরুল্লাহ। Big smile Tongue
ইন্সপিরেশন কে দিলো? বলেন দেখি! আমি বললে উল্টপাল্টা হয়। মাসুম ভাই এর কালকের পোষ্ট আমি আজকে বুঝলাম। আমি কাল একরকম বুঝলাম, আজ যারে জিগাইলাম...সে আরেকরকম বুঝাইলো। কাল একটা কবিতা পড়ে ভাবছি ভূমিকম্পের কথা কইছে। লীনাপা কয়, বাসর রাতের কথা কইছে। গুলাছি। হুক্কা
আপনারে THNX
বলেন তো কেন?

১০

মীর's picture


কথাই ছিলো, আপনে পোস্ট দিলে আমিও দিবো। সো থ্যাংক্স দেওনের কাম নাই। Smile
ইনস্পিরেশন দিসে মাসুম ভাই। ডাইনোসরের গল্পটা এমনভাবে লিখসে, যে কি আর বলবো।

১১

জ্যোতি's picture


Sad বন্ধুরা যদি না বুঝে তাইলে কে বুঝবে? আমি তো চাইলেই লিখতে পারি না। কত কথা মনে ঘুরে কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারি কই! যা লিখি কাকের ঠ্যাং, ব্যাঙ এর ঠ্যাং। আর লিখতে বসলে লুকজন যা তা বলে, আর আমার মুড যায় হারাইয়া।
মাসুম ভাই ইনস্পিরেশন দিছে? কিছু আর কইলাম না। থাক। মাসুম ভাই আইসা এখন আপনেরে কইবো...... বুকে আসতে। ভাগন্তিস

১২

লিজা's picture


Laughing out loud

১৩

রাসেল আশরাফ's picture


পোলাপাইন সব বেশরম হয়ে গেছে।কি সব লিখে। Crazy Crazy

১৪

হাসান রায়হান's picture


জটিল!
তবে একটা কথা মাথায় আসল, এখনকার প্রেমিকা কি চুমুর কথায় এমন লজ্জা পায়? ডালভাত হওয়ার কথা।

১৫

মাহবুব সুমন's picture


আংকেল আমগো জামানা শ্য্াষ Puzzled

১৬

শওকত মাসুম's picture


আমি এক জোড়ারে জানি, তারা ৫ ঘন্টা চুমু ডেটিং করছে। তারে কইছিলাম গ্রিনিজ বুকে নাম পাঠাইতে। Smile রাজি হয় না।
মীরের পোস্ট ব্যাপক লাইক করলাম।
উৎসাহ দেওয়ার জন্য আবার হাজির হইতাছি Wink

১৭

জ্যোতি's picture


নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা নাকি? Tongue

১৮

শওকত মাসুম's picture


আহা, শুইনাই ভাল লাগছিল। কিন্তু এরকম ভদ্রলুক কেমনে হয় মাইনষে?

১৯

নাজ's picture


বিয়ে করছি কেন? তোমাকে একটু নিরিবিলিভাবে পাওয়ার জন্য।

হায়রে! সবাই যদি এইসব বুঝতো Sad
কিন্তু না। কেউ কেউ তো ভাবে, শুধু রাইত হইলেই বুঝি দুনিয়া নিরিবিলি হয় At Wits End

২০

শওকত মাসুম's picture


আমাদের টুটুল পরিশ্রমী ছেলে। দিনে অফিস করে আবার বাসায় পরিশ্রম। সংসার সুখের হোক পরিশ্রমের গুণে Smile

২১

নাজ's picture


এই সুখ আমার দরকার নাই Yawn

২২

শওকত মাসুম's picture


নিলুফার ইয়াসমিনের গানটার কথা মনে পড়লো
এতো সুখ সইবো কেমন করে

২৩

নাজ's picture


সইবার প্রশ্ন আসে কেন? এই সুখ তো আমার দরকার-ই নাই। Yawn

২৪

জ্যোতি's picture


হাহাপেফা

২৫

লীনা দিলরুবা's picture


সইবার প্রশ্ন আসে কেন? এই সুখ তো আমার দরকার-ই নাই।

হাহাপেফা

২৬

লীনা দিলরুবা's picture


গল্প পড়ে কি কি ভাবতেছিলাম সেগুলো কমেন্ট দেবার সময় ভুইলা গেছি হুক্কা
ইয়ে মানে মীর কি বিয়ের পিঁড়িতে বসছে?
Tongue

ওহ আরেকটা কথা...
লাল ভাইরে এই গল্প পড়ানোর ব্যবস্থা করা হোক Smile

২৭

জ্যোতি's picture


দিছি লালভাইরে Big smile

২৮

লীনা দিলরুবা's picture


ধইন্যা Smile

লাল ভাই এবিতে আসেনা কেনু! মীরের জটিল গল্পে লাল ভাইরে নিমন্ত্রণ Big smile

২৯

জেবীন's picture


সবার হইছে কি...  এমন অতি ভাবের লেখা দিতাছে কেন? তাজ্জব ব্যাপার!!...  :O   বড়োরা তাও ডাইনোসর/ আবেদ-সাবেদ নাম লইয়া রেখে ঢেকে লেখেন কিন্তু পুলাপাইন তো খুললাম খুল্লাই!!... এরা তো দিন কে দিন বেশরম হইয়া যাইতাছে!!...  Stare

৩০

সাঈদ's picture


বাহ দারুন গল্প । মীরের কি আগামী বই বেরুবে ?

৩১

অতিথি's picture


Smile ভালো লাগলো।

৩২

অতিথি's picture


ভালো লাগলো। আজই প্রথম পরলাম আপনার লিখা।:)

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মীর's picture

নিজের সম্পর্কে

স্বাগতম। আমার নাম মীর রাকীব-উন-নবী। জীবিকার তাগিদে পরবাসী। মাঝে মাঝে টুকটাক গল্প-কবিতা-আত্মজীবনী ইত্যাদি লিখি। সেসব প্রধানত এই ব্লগেই প্রকাশ করে থাকি। এই ব্লগে আমার সব লেখার কপিরাইট আমার নিজেরই। অনুগ্রহ করে সূ্ত্র উল্লেখ না করে লেখাগুলো কেউ ব্যবহার করবেন না। যেকোন যোগাযোগের জন্য ই-মেইল করুন: bd.mir13@gmail.com.
ধন্যবাদ। হ্যাপি রিডিং!