কবিতা: শুধু তোমার নামটুকু পার হতে পারি নি আজো
বয়সের সঙ্গে সবকিছুতে স্থিরতা চলে আসে। পৃথিবীর বয়সও বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে স্থিতাবস্থার দিকে। আজ-কাল মানুষের মধ্যে একটা প্রাইম পার্ফেকশনের ব্যপার কাজ করে। চেহারায়, আকারে, ভঙ্গিতে, সবকিছুতেই। আমার মনে হয় অনন্য সাধারণ একটি প্রজাতি বিবর্তনের প্রায় শেষ ধাপে এসে পৌঁছেছে।
তবে বিবর্তন মানুষের জন্য সমূহ বিপদও ডেকে আনতে পারে। কারণ মানুষ তার অবস্থানগত কারণে অন্যান্য প্রজাতির ওপর ছড়ি ঘুরাতে সক্ষম। কিন্তু নিজেরা প্রকৃতির অসীম ক্ষমতার কাছে ভীষণ অসহায়। যেকোন সময় ভোজবাজির মতো মিলিয়ে যেতে পারে সবাই, সবকিছুসহ। এই অন্তর্জাল, কম্পিউটার, পারমাণবিক শক্তি বা টেকসই পরিকল্পনা, কোনোকিছুই কাজে আসবে না তখন।
আমি বলি কি, ভরপুর সম্ভাবনা আর ভয়ংকর আশঙ্কার সম্মিলনই জীবন। এর মাঝেই একটু ফাঁক বের করে নিতে হয় বেঁচে থাকার জন্য। নিজেকে ও অন্যকে ভালবাসার জন্য।
আর একটা কথা। কবিতা লেখা সহজ কথা নয়। শিল্পচর্চার সর্বোচ্চ উৎকর্ষে না পৌঁছুনো পর্যন্ত কোনো শিল্পী কবিতা লিখতে পারে না। আছি ভীষণ টেনশনে।
---
একটা হলুদ গাঁদা ফুলের মালা হতে পারতাম,
কিন্তু হই নি, ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে বলে।
শুধু তোমার সংসারে ঝরে পড়া পাপড়ি হয়েছি।
হীরে কিংবা জহরত নয়
প্রিয় তোমার সঙ্গম চাই।
তুমি ভালবেসে ছুঁয়ে দিলে
আমি আরামে মরে যাই।
এই কোমল-পেলব-মধুর নিমীলনে হায়
কেউ উঠিয়ে দেয় নি লাল ঘোমটাটাও।
হয়তো দেবেও না, কেননা এভাবেও
তোমার দিকে এক বছর তাকিয়ে থাকা যায়।
উতল মনে ঢেউএর নেচে চলা
শশীদীপ্ত টুকরো টুকরো
আলোর ছলকে ওঠা,
তোমার নাকে মুক্তো হয়ে একটি ঘামের ফোঁটা
ঠিকরে পড়ে রাতের কালোর মাঝে।
আলতো করে আঙুলে তুলে নিই।
খুশিতে নেচে ওঠা এই দিন কিংবা
মুখর রাতগুলোয়
বার বার হারিয়ে যাই,
তোমার স্পর্শে মহাপুরুষ আমি
আরাধনায় প্রহর কাটাই।
শুধু তোমার নামটুকু কেন পার হতে পারি না?
কেন আজো সেখানেই আটকে আছে সবকিছু?
---
কিন্তু সুন্দর একটা কবিতা লিখে ফেলছেন
প্রথম লাইনটা পড়ে একটা ধাক্কা খেলাম। আজ দুপুরে এফ বি তে আউলার সাথে কথা হচ্ছিলো। তখন নানা কথাবার্তায় ও বললো যে বুড়া হয়ে গেছে। আমি বললাম," বলো কি? তাইলে তো আমাদের এক পা কবরে গেছেগা।" সে বলে...কথা তো ঠিক। তারপর থেকে ভাবছি দিন আসলে চলেই যাচ্ছে। কোন এক গহ্বর থেকে উঠে এসেছি , আবার সেই সেই গহ্বরের দিকেই পা বাড়াচ্ছি।
রাত ১ টায় টিভিতে নিউজ দেখতে বসলাম রাতের খাবার নিয়ে। দেখাচ্ছিলো খন্দকার দেলোয়ারের লাশ এবং জানাজা। মনে হলো , একটা লাশের সামনে বসে খাচ্ছি আমি! খেতে আর পারলাম না। তারপর এখন দেখলাম এই পোষ্ট।
কবিতাটা চ্রম।
অবশ্য বুড়ো হয়েই যে মরতে পারবো, তার নিশ্চয়তা নেই কারুরই।
মরতে চাইলেও তো বেঁচে থাকে অনেকে। একটা হিমশীতল গল্প মনে পড়লো।

আবার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন চোখে নিয়েও কতজন ঝড়ে যায় !
দারুন চেষ্টা হয়েছে। চেষ্টা এমন আরো চলতে থাকুক
আপনার সাথে আমিও একমত যে অনন্য সাধারণ একটি প্রজাতি বিবর্তনের প্রায় শেষ ধাপে এসে পৌঁছেছে।
একটা হলুদ গাঁদা ফুলের মালা হতে পারতাম,
কিন্তু হই নি, ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে বলে।
শুধু তোমার সংসারে ঝরে পড়া পাপড়ি হয়েছি।
ঝরে পড়া পাপড়ি আমি কখন যে তমার পায়ের তলে নিশ্চিহ্ন হব কেউ তা জানে না, হয়ত আমি নিজেও সেই দিনের প্রতেক্ষায়.।.।.।.।.।
*প্রতিক্ষায়
আহা!
উরি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কবিতা খাসা হয়েছে
্বেশ! কবিতা ভালো লাগল
আসলেই তো!
আহারে ছেলেটা !!
আপনি কবিদের ভাত মারা তাল করতেসেন ক্যান?
কবিতার মেজাজ অন্যরকম, এর গড়নটাও। কবিতা শুরু করার আগের কথাগুলোও বেশ লাগলো। কবিতা লিখতে গিয়ে ঠিক কেমন অনুভূতি জাগ্রত হলে এমন কবিতা লেখা সম্ভব সেইটার একটা ডিসক্লেইমার আলোচ্য কবিতার শেষে আসলেও আসতে পারতো
কবিতার মেজাজ কিছুটা এখান থেকে পাওয়া। ক্লিকান।
গান শুনলাম, এটি আগেও শুনেছি। লিরিকটা নামিয়ে পড়ে দেখলাম:
Heere moti main na chaahoon
main toh chaahoon, sangam tera
main toh teri...saiyyan
tu hai mera ....
...saiyyan ...saiyyan
tu jo chhoo le pyaar se
aaraam se mar jaaoon
aaja chanda bahoo mein
tujh mein hi gum ho jaaoon main
tere naam mein kho jaaoon
saiyyan ... saiyyan
mere din khushi se jhoome, gaaye raatein
pal pal mujhe dubaaye jaate jaate
tujhe jeet jeet haaroon
yeh praan praan varoon
hay aise main nihaaroon
teri aarti utaaroon
tere naam se jude hai saare naate
saiyyan ... saiyyan
banke maala prem ki, tere tan pe jhar jhar jaaoon
baithoon naiya preet ki
sansaar se thar jaaoon main
tere pyaar se thar jaaoon
saiyyan ... saiyyan
yeh naram naram nasha hai...badhta jaaye
koi pyaar se ghungatiya deta uthaaye
ab baawra hua mann
jag ho gaya hai roshan
yeh nayee nayee suhaagan
ho gayee hai teri jogan
koi prem ki pujaaran mandir sajaaye
saiyyan ... saiyyan
Saiyyaaaaaaaaan...saiyyan
heere moti main na chaahoon
main toh chaahoon sangam tera
main na jaanu
tu hi jaane
main toh teri
tu hai mera
main na jaanu
tu hi jaane
main toh teri
tu hai mera
main toh teri ............ tu hai mera
আগে এত খেয়াল করে গানটার সবগুলো কথা শোনা হয়নি। গান থেকে চমৎকার একটা কবিতা আসলো... মুগ্ধ হলাম।
গান টা আসলেই দারুণ, কৈলাশ খের এর গলায় কি দরদ!
আজব! শুধু গানটাই ভালো, আর আমার লেখাটা কিস্যূ না?
তার মানে আসলেই আমার লেখাটা কিস্যূ না
লেখাটায় যে মুগ্ধ হলাম, পাত্তাই দিলো না! গরীবের কথার দাম নাই।
আছে আছে। আমিও তো গরীব মানুষ। আমার কাছে গরীবের কথার দাম থাকবে না তো কার কাছে থাকবে? ডিসক্লেইমারওলা একটা পোস্ট দিমুনে রাইতে বা কালকে।
কালকে ছবির হাটে বেশি ভালো লাগসে। দোলপূর্ণিমা ছিলো। আরো ছিলো পাতাহীন ডালগুলোর ফাঁকে ফাঁকে চাঁদের ঝলকানি। অনেক বছর পর পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছে মেয়েটি। তাদের প্রেমলীলা দেখে মুগ্ধ হলাম। বসে বসে দুইটা লাইনই চিন্তা করে ফেললাম। কন কিরাম হৈসে।
The moon is nearer
but not you,
I want so.
It makes me to wait
and to feel one day like
I'm feeling now,
seeing her after years.
ইঞ্জিরি বুঝি না কৈলে মাইর।
উরি বাবা ভাবে দেখি সাহেব বাবুদের মতো ইংরেজী কচ্চো।
বুঝি নাই বাংলায় কও।
না বুঝতে পারলে কমু না।
এমনে জুতাপেটা করলা??না যাই গা কখন আবার অপমান করে বসবা।

আয় হায় ভাই আমারে ভুল বুঝছে। একটু আদর করি
ইয়ামাবুদ...
এর চাইতে লিভটুগেদারইতো ভালাছিলো ... কালে কালে এইসপ ও দেক্তে হইলো
নাহ্ এই লোকগুলা আসলে আজব!
এইটা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এখন আর কোনো ইমো তো নাই, বুঝেন না?
এমন চুম্মা! আবার ভালোবাসা! কেম্মতের দেরী নাই আর।
নাউজুবিল্লাহ মিন----- পোলাডার হইলো কি? বড় হুজুর জরুলী।

বাংলা হইলো .... কাইফা হালুকা @ রাসেল
গরীপ মানুষ ইঞ্জিরি বুঝি না। কাল সন্ধ্যার পর বাসায় যখন ফিরছিলাম দেখলাম সোডিয়াম লাইটের আলো চাঁদের আলোকে ম্লান করে দিচ্ছে।মনে হলো গ্রামে কেন গেলাম না?চুল ছিঁড়লাম।
কেউ কইলো না ছবির হাটে যাইতে।
মীর মীর মীর.................কতদিন পর আইসাই আপনের লেখা পাইলাম।
সুন্দর হৈছে তো কবিতা।
শুরুর কথাও দারুণভাবে মনে এসে লাগল।
মীর মীর মীর.................কতদিন পর আইসাই আপনের লেখা পাইলাম।
সুন্দর হৈছে তো কবিতা।
শুরুর কথাও দারুণভাবে মনে এসে লাগল।
মেঘদি' কতদিন পর আপনারে দেখলাম...
আছেন কেমন?
ভালো আছি ভাই।
খুশি হৈলাম জেনে। এখন জাস্ট একটা পুস্ট দিলেই বিষয়টা পূর্ণতা পায়
মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। আমরা বন্ধু ব্লগের এই ঘরোয়া পরিবেশ ভালো লাগে খুব।
কিন্তু আপনারে মিস্ করতেসি। তাড়াতাড়ি নিয়মিত হন।
হঠাৎ লুক-জন সব ধার্মিক হয়ে গেল।
দারুন!.... গল্পতো ঝটপট লেখে ফেলেন... কবিতায়ও তো দেখছি মাশাল্লাহ... :) আরো ভাব আসুক...
মন্তব্য করুন