কবিতা: প্রার্থনা তোমার হারিয়ে যায় অন্ধকারে
সে যাই হোক, এখনকার সিচুয়েশন ডিমান্ড করতেসে, ঘাসফুলটার ভেতর থেকে একটা ভয়াল অজগর সাপ বেরিয়ে আসুক। ওটার চাপায় গেঁথে থাকা ধারালো দাঁত দু'টোও বের হয়ে আসুক। এসে গ্রাস করে নিক তার নিজের লেজটাকেই। কিন্তু তেমনটি ঘটছে না। এই না ঘটাটা শুভলক্ষণ নয়।
রঞ্জন সেদিন সন্ধ্যায় গার্মেন্টসের ভেতরেই আল্পনাকে জাপটে ধরেছিলো। তাদের দু'জনের শরীরে বা মনে কোথাও মাধুর্য নেই। ওদের জাপটা-জাপটিতেও ছিলো না। দেহভরা কাম হঠাৎ কুল-কিনারা ভাসিয়ে বইতে শুরু করেছিলো। কেউ দেখে নি।
হরতালে প্রথম নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো তিন বছরের মাথায়। উত্তালতাও ইদানীং নতুন মাত্রা পেয়েছে। একদল লোক হিংস্র পশুর মতো রামদা' আর লাঠি হাতে রাস্তায় নামে লুটপাট করতে। কুপিয়ে মানুষ মারতে। আরেকদল নামে বন্দুক হাতে। তাদের পরনে থাকে উর্দি। কিন্তু মননে থাকে জিঘাংসা। কোনো পিকেটিং হয় না। তবু পুলিশের গুলিতে সেই পশুদের একজন মারা যায়। মরেই শহীদ বনে যায়।
সব ঢেউ থেমে আসে একদিন। ইংলিশ ফুটপাথে সুন্দর একটা ছেলেকে দেখে ভালো লেগে যায় ক্যাথরিনের। কেন এমন হয়েছিলো, কেউ বলতে পারে নি। কিন্তু মেয়েটি সত্যিই প্রেমে পড়েছিলো। অথচ জানতো না ছেলেটা কোন্ মহাদেশের। তার বুকে, হৃৎপিন্ডে ভীষণ হুটোপুটি শুরু হয়।
তারপর অজগরটা নিজের পুরো লেজ খেয়ে মাথা ফেলে রেখে গর্তে ঢুকে যায়। সেটা যেখানে গিয়ে মরনপণ ধ্যানে বসে, সেই আসনে বহুযুগ পর একটা সোনার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে মানুষ। এক নতুন বেদ রচনা করতে একজন নতুন ব্রাহ্মণের খোঁজ পড়ে চারিদিকে।
আর রঞ্জনও ঠিক অমন করেই মরে যায়। কিন্তু শহীদের সম্মান তার কাপলে জোটে না পশু না হওয়ায়। সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাবছিলো; হরতালের এই গন্ডগোলোর দিন গার্মেন্টসে যাবে কি যাবে না। না যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়ে ফেলতে পারছিলো না কারণ, যদি ওর চোখের মণি আল্পনা যায়।
তারপর বিদ্রোহের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। স্ফূলিঙ্গের ছোঁয়ায় বদলে যায় সবকিছু। সবাই নষ্ট শাসকের মুণ্ডু শিকারে হন্য হয়ে ওঠে। আর ওদিকে ইংলিশ ফুটপাথে সেই ছেলেটা গ্লাভস্ খুলে হাত বাড়িয়ে দেয়। ক্যাথরিন ওই একবারই কেবল ছেলেটার স্পর্শ পেয়েছে। সে আজো জানে না, ছেলেটা বাংলায় কথা বলতো। হয়তো কোনো একদিন জানতে পাবে, সে অপেক্ষায় দিন কাটায়।
---
তোমাকে
একবার অনুভব করেছিলাম
এরপর ওভাবে আর করি নি।
তোমার বাহুমূল থেকে একটি তীব্র ত্রিভুজ
তুলে এনেছিলাম, আর ফিরিয়ে দিই নি।
এবং কখনো ভুলি নি তোমার ভেতরের স্বাদ, ভেতরের গন্ধ।
কেননা ওরা শুধুই দু'টো শব্দ নয়,
রয়ে গেছে একমাত্র স্মৃতি হয়ে
আমার আগল দেয়া জানালায়।
বুঝি না আমি এত বোকা কেন।
এতো সাজিয়ে রাখার কিছু নয়,
তাহলে তুমিও কি রাখতে না?
তবে কি না, সেই কথাটি তুমিও জানো না বন্ধু
যা আমি জেনেছি অনেক পরে।
মহাকালের দরবারে এসবের মূল্য নেই এক কানাকড়ি
তারচে' শীতের জন্য খাদ্য জমিয়ে রাখা অনেক জরুরি।
---
বাহ!
গদ্য পদ্যের এই সমাহার ভালো।
তেমন যদি হয় তাহলে প্রচুর দিতে পারি। কিন্তু শর্তটা মানতে হবে। রাজি থাকলে বলেন।
সত্যি। এমন করে কে আর বলতে পারে! মীর অলওয়েজ রক্স। গ্রেট।
জয়িতা'পু অলওয়েজ গ্রেট। আর ইদানীং একটু বেশি গ্রেট।
রাসেলের কি হলো! দীর্ঘদিন ধরে বাকহারা!
আফাগো খালি পড়ি কিন্তু কিছুই বুঝি না।

হ লীনা আপু, উনার ক্লাসের পড়ায় মন নাই, খালি সারাদিন ব্লগে পড়ে।
না বুঝার জন্য চুপচাপ আফসুস জানাইয়া গেলাম
চুপচাপ আফসুস জানাইলে হবে না। বোঝার শক্ত চেষ্টা চালাইতে হবে।
আমিও মেসবাহ ভাইয়ের মতো 'না বুঝার জন্য চুপচাপ আফসুস জানাইয়া গেলাম'...
কিছু যে হয় নাই সেইটা বুঝছি।

দারুন... দারুন... দারুন...
থেঙ্কু পেঙ্কু থেঙ্কু
গল্প কবিতা দুইটাই ভালো লাগলো ।
এই কমেন্টটাও ভালো লাগলো।
ওরা রাজহাসঁ হয়ে বেড়ায় আর ওসব সাজাইয়া রাখে গাধারাই, আবার শোকেজ থেকে বার করে চালায় মাঝে মাঝে ঝাড়াই পুছাই!
গদ্যটা বুইঝা উঠি নাই!
আফসুস, আজকাল মীরও কঠিন রেখা লেখে
অসাধারণ লাইনগুলো
মীরের গল্পের মতো কবিতাগুলোও দারুন।
মন্তব্য করুন