একরত্তি ছেলেটার জন্য মন খারাপ
২৩ বছরের আলেক্জান্ডার সুপারট্রাম্পের জন্য মনটা খারাপ লাগছে। অসাধারণ একটা ছেলে ছিলো। গ্রাজুয়েশন শেষ করে বেরিয়ে পড়েছিলো পৃথিবীর পথে। নিজের উপার্জিত প্রায় ২৪ হাজার ইউএস ডলার দান করে দিয়েছিলো অক্সফামে।
সেই ছেলেটাকে পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো। মুভিটা (ইনটু দ্য ওয়াইল্ড) অনেকে হয়তো বান্ধবীকে নিয়ে কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে দেখতে খুব একটা পছন্দ করবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটা সেইরকম পরিবেশে এই মুভিটা শেষ করে বেশ কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে বসে থাকা যায়। এ প্রসঙ্গে নাম নাই'কে কি একটা ধন্যবাদ দেবো? কেননা দুই ঘন্টা ২৮ মিনিটের মুভিটা একবার অর্ধেক দেখে, কেন যেন রেখে দিয়েছিলাম। অন্যান্য মুভি দেখছিলাম, কিন্তু ওটা শেষ করছিলাম না। সে একদিন তাগাদা দিলো!
মুভিটা দেখতে গিয়ে অনেকদিন পর বেলাকেও দেখলাম। এই মেয়েটিকে প্রথম দেখেছিলাম টোয়াইলাইটএ। দারুণ চেহারা। আমার কাছে অবশ্য চেহারা সুন্দর হলে অনেকগুলো দোষ মাফ হয়ে যায়। এটা ছেলে-মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই। এমিল হার্শও কম না। এর আগে ওর একটা মুভি দেখেছিলাম। দ্য গার্ল নেক্সট ডোর (২০০৪)। খারাপ লাগে নি।
যাক্ ইনটু দ্য ওয়াইল্ড নিয়ে বলি। একটা ছেলে; চেনা-জানা জীবন, বাবা-মা-বোনের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় পালিয়ে, একাকীত্বকে আপন করে নেয়া জীবন শুরু করেছে। ও আরিজোনা, সাউথ ডাকোটা, কলোরাডো রিভার, লস এ্যঞ্জেলস্ পার হয়ে আলাস্কা পর্বতমালার দিকে চলছে। পথে অনেকের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে। একটা কমন ব্যপার, সবাই'ই ওকে ব্যপক লাইক করছে। এক হিপি কাপলের সঙ্গে তো বন্ধুত্বই হয়ে গেলো। ওদের কাছ থেকে এক ভোরে বিদায় না নিয়ে চলে যাওয়ার পর, দুইজনের কি কান্না!
পরে একবার সেই হিপি'দের ডেরায় যায় সুপারট্রাম্প। সেখানে গিয়ে দেখা হয় ক্রিস্টিন স্টুয়ার্টের সঙ্গে। ক্রিস্টিন একবার ওকে দেখে লাফ দিয়ে বিছানায় গিয়ে উঠেছিলো। কিন্তু ও ঝগড়া লাগিয়ে দিলো, তখনো নাকি ক্রিস্টিনের বয়সই হয় নি।
এটা ১৯৯২ সালের কাহিনী। শেষতক এক পরিত্যক্ত ক্যারাভানই হয় ছেলেটার শেষ আশ্রয়স্থল। একা থাকার শেষ সময়গুলোতে ওর চূড়ান্ত উপলব্ধিটুকু ছিলো, happiness is real when shared.
অবশ্য আমার কাছে একাকীত্বের সংজ্ঞা ভিন্ন। ভিন্ন প্রকৃত সুখের সংজ্ঞাও। অনেক কিছু আমি শেয়ার না করেও অনুভব করতে পারি। মুভিটার একটা গানের লাইন মাথার ভেতর কেবলই ঘুরছে। আসলেই, সমাজ কি ঝোঁকের মাথায় বেড়ে ওঠা কোনো শিশু?
It's a mystery to me
We have a greed with which we have agreed
You think you have to want more than you need
Until you have it all you won't be free
Society, you're a crazy breed
I hope you're not lonely without me.
---
ছবিটা দেখছি না দেখি নাই পুরা মনে পড়তেছে না। তবে এখন মনে হচ্ছে আবার দেখা দরকার। গানের কলিটা বেশ পছন্দ করলাম।
নাহীদ ভাই কেমন আছেন? অনেকদিন পর দেখলাম। ব্লগেআ সেন্নাক্যান?
পৃথিবীর পথে বের হওয়াটা দরকার এইসব উপলব্ধি পাইতে। খুবই দরকার।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো রাহুল সাংকৃত্যায়নের বই "ভবঘুরে শাস্ত্র" র কথা। একসময় সারাক্ষন বালিশের নিচে থাকতো। ডেইলি পড়তাম আর প্ল্যান করতাম কবে বের হবো। নামনাই লোকটা ভালো ভালো সিনেমা দেখে। ইন্টারেস্টিং আছে মনেহয়। সে কি ভবঘুরে নাকি? জানেন কিছু?
আপনের এই লাইনটা ভাল্লাগলো। চিন্তা-ভাবনার জায়গায় মিল পাইলাম।
ঘটনা হচ্ছে, বন্য আলুর শিকড় চিনি না। সো ভুল করে সেটা খেয়ে বিষক্রিয়ায় মারা যেতে পারি। অবশ্য তাতে খুব একটা আপত্তি নেই। কিন্তু পরিবারের বন্ধন কাটিয়ে ওঠাটা তো সহজ না। সেটাকে কিভাবে কাবু করি?
আর ইয়ে, উনার ভবঘুরে না হওয়ার চান্সই বেশি। গৃহিণীটাইপ হৈতে পারে।
আহেম, খাগরাছড়ি থেকে বলছি। গৃহিনী!! আহারে, আই উইশ!
আমি তো মনে করসিলাম, গৃহিণী শুনে আপনে তেড়ে আসবেন।
যাক্ পাহাড়ে চলে গেলেন? আপনারে বলছিলাম, পার্মানেন্টলি যাওয়ার আগে একটা খবর দিতে
Society, you're a crazy breed
I hope you're not lonely without me.
খুব সত্যি কথা !
খুব সুন্দর দুইটা লাইন।
চেহারা দিয়া কি হইবো?
আপনার মতামত দেখে অবাক হইলাম!
হ, আমিও তাই কই। চেহারা দিয়া কি হইবো?
(নিজের চেহারাডা মনের পর্দায় ভাইসা উঠলো ! চোক্ষে পানি আইসা গেল। তাইলে কি মীর আমারে লাইক করবো না !)
চেহারা দিয়া কিছু না হইলেও, আমার ভাল্লাগে। এইটুকুই।
)
(আর মেসবাহ ভাইএর প্রশংসা সামনাসামনি করলাম না। আবার ইচ্ছা হইলে হয়তো করেও দিতে পারি। ঠিক নাই।
আসলেই
মন্তব্যের জন্য বার্থ ডে গার্লকে
সহকারে 
আপনার সব লেখা পড়ি। কিন্তু মন্তব্য করার সাহস হয় না।
আরেকটা ছবির খোঁজ পাইলাম ।
আপনের নতুন লেখা কৈ?
মিষ্টি আপু, বৃষ্টি আপু, সৃষ্টি আপু
মিষ্টি আপু না, আগে একটা পোস্টে মুভিটা নিয়ে আলাপ হইসিলো। যাক্ ধন্যবাদ।
যা যা অনুভব করা যায় তার সবকিছুই কি প্রকাশ করা যায়? হৃদয়ের সবচেয়ে আপনতম সুখ দুঃখ কখনোই প্রকাশ করা যায় না বোধহয়
তা'প্পু, মতামত পছন্দ হইসে খুব।
আরে, ফাইনালি! একাকীত্ব আর সুখীত্ব নিয়ে আমার নিজের ধারনাও ভিন্ন। মুভিটা যখন প্রথম দেখি তখন জানতাম না যে এইটা সত্যি ঘটনা অবলম্বনে বানানো। শেষ হবার পর জানার পর মোটামুটি কান্না কান্না অবস্থা। আর এডি ভেডারের কথা আর কি কমু, ওর সাথে আমার সারাজীবনের প্রেম। 'society' হইল আমার সবচাইতে প্রিয় গানগুলার একটা।
আচ্ছা এখন অন্য একটা মুভি দেখতে বলি, 'the wristcutters'। আমার অনেক প্রিয় ছবি। মন ভাল হবে গ্যারান্টিড
উপস্, নামটা ভুল লিখসি, 'wristcutters: a love story' হবে।
ঠিকাছে। আপনে অবশ্য আরো ধইন্যাপাতা পাওনা আছেন।
আর প্রেম থাকা ভালু। উহা মন ও শরীরকে চাঙা রাখে।
Wristcutters আমার ভাল লাগেনাই। শুরু করসিলাম, পুরা দেইখা উঠতে পারিনাই। নামনাই, আপনের সাথে একমত হইতে পারলাম না।
wristcutters ভাল লাগেনাই! কতটুক দেখছিলেন? একটু সাররিয়াল ছবি, আমার অনেক পছন্দ হইছিল। আপনার ভাল না লাগতেই পারে, কিন্তু ক্যানো সেইটা জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।
আমি এখনো জিনিসটা দেখারই সুযোগ পাইলাম না। ইন্টারনেট মেজাজটারে পুরা বিলা বানায়ে ছাড়লো।
টরেন্ট? আমার কাছে আছে মুভিটা। দেইখা ফেলেন, তারপর আমাকে একটু জানাইয়েন তো ক্যামন লাগল।
হ টরেন্ট। খুবই বেড়াছেড়া অবস্থা। গত কয়েকমাসে এমন নেট সংকটে পড়ি নাই। আপনে আছেন কেমুন জানান না কেন?
মুভিপোস্ট
কত বকেয়া মুভি........
কথাগুলো সুন্দর বলেছেন, মীর।
ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ। অত্যন্ত আনন্দ হচ্ছে।
কেন সেটা জানাচ্ছি না।
ছবিটা তো সুন্দর! অনেকদিন পর আবারো মুভি দেখছি, বই পড়ছি।
কেমন আছেন মীর? কেমন চলছে সব?
তাইলে এবার আপনে পারফিউমটা দেখেই ফেলেন।
আর কি কি বই পড়লেন, জানান দেখি।
পারফিউম দেখার মত সাহস আমার নাই। আমরা গেরিলা দেখলাম এর মধ্যে
পড়লাম... প্রণীত জীবন, বাদশাহ নামদার, আয়শামঙ্গল, মহব্বত আলীর একদিন। পড়তেছি হুমায়ুন নামা, ক্রাচের কর্ণেল।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
দ্রুতগতিতে চলছে সব।
ভাবের পুস্ট
আপনে তো এই কমেন্টের রিপ্লাই দেখতে আসবেন না। এমনকি এইটাও জানাবেন না, আছেন কিরাম? পিচ্চির মাএর খবর কি? পিচ্চির কি কোনো গার্লফ্রেন্ড হইসে কি না...।
তাইলে আর এই কুশ্চেনগুলা করে লাভটা কি বলেন?
ফটুকটা কৈলাম সৌন্দর্য্য হৈছে

(বাম পাশের কমলা বেগম)
ওই দেশে কি অনেক গরম ?
আরেকটু গরম পর্লে ক্ষেতি কি
আমার মনে হয় মেসবাহ্ ভাই যেটা বলসে সেটাই ঠিক। ওই দেশের লুক-জন অনেক গরম।
ভাবা যায় ছবিটার পরিচালক শেন পেন।
ভাবা যায় শেন পেন এখন স্কারলেট জোহানসনের সঙ্গে প্রেম করছে?
নাহ্ একটা সিনেমা বানাতেই হবে। নাহলে আর হচ্ছে না।
এমনি ক'রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
তাইলে কি প্রেম হৈবে ?
মেসবাহ ভাই, শন পেনের তো হচ্ছে দেখা যায়।
আমিও ছবি দেখার পোকা। আর গুরু হইলেন মাসুম্ভাই। ইদানীং কষ্ট করে কোন মুভি খুঁজতে হয় না। ক'দিন পর পর মাসুম ভাইয়ের পাতায় গেলেই কাজ হয়ে যায়।
তার সাথে মুভি খোঁজা এবং হেল্পানোর তালিকায় যোগ হলেন, মীর এবং নাম নাই।
দুইটা মুভিই দেখে ফেলবো।
মন্তব্য করুন