বন্ধু চালতাগাছ ও অন্যদের নিয়ে একটি গল্প
গরমের সময়টা বড় নির্দয় একটা সময়। কোনো কিছু ভালো না লাগার, কোনো কিছুকে ভালো না বাসার এবং কোনো কিছুতে উচ্ছ্বসিত না হওয়ার একটা সময়। ভালো লাগলেও সীমিত আকারে ভালো লাগে। ভালোবাসলেও পরিমিতহারে ভালবাসি। উচ্ছ্বাসটাও বন্দি হয়ে থাকে কোনো এক অদৃশ্য লিমিটের মধ্যে, যেটাকে আমরা কখনোই দেখতে পাই না। অথচ না দেখা এই লিমিট যেন কখনো ক্রস্ না হয়ে যায়, তা নিয়ে জীবনভর উদ্বিগ্ন থাকি।
বর্ষা আবার অন্যরকম। সে সময়টা পুরোপুরি ভাসার ও ভাসাবার সময়। আর সময়টা ভাসাতে পারেও সেরকম। আমার মনে আছে, একবার কলাভবনের দোতলায়, বাংলা বিভাগের বারান্দায়, দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে আমি আনমনা হয়ে, চলে গিয়েছিলাম শৈশবে। জীবনের হারিয়ে ফেলা সেই সময়টায় একটা চালতাগাছ আমার খুব বন্ধু ছিলো। গাছটার খুব বেশি ডালপালা ছিলো না। বিশেষ করে নিচের দিকটাতো একদমই খাড়া ছিলো। আমি সেই খাড়া কাণ্ড বেয়ে উঠে, বেশ উপরের দিকের একটা ডালে পা ঝুলিয়ে, বসে থাকতাম। সাধারণত বিকেলের দিকে মাঠে যেতে দেরি হলে এ কাজটা করা লাগতো। কারণ একবার বাটাবাটি হয়ে গেলে খেলা এক রাউন্ড না হওয়া পর্যন্ত, বসে থাকা ছাড়া আর চিল্লায়ে গলা ফাটানো ছাড়া আর বিশেষ কোনো কাজ থাকতো না। নিচে হয়তো ছেলে-পানরা দুদ্দাড় ফুটবলে লাথি কষিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে আর আমি গাছের উপর থেকে চিল্লিয়ে যাচ্ছি, 'ওই বাঁধনরে পাস দে, বাঁধনরে পাস দে; ও ফাঁকে আছে'; কিন্তু কে শোনে কার কথা। ওই বয়সের ফুটবল মানে- বল যেখানে, গোলকিপার ছাড়া বাকি সবাই সেখানে। ক্ষেত্রবিশেষে গোলকিপারও সেখানে। পাস দেয়ার ধারণাটাই তখনো শক্তভাবে গড়ে ওঠে নি ছেলেদের ভেতরে।
যা বলছিলাম, কলাভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ নিজেকে এত তীব্রভাবে ওই চালতাগাছের ডালে আবিস্কার করলাম যে, বেশ কয়েকবার আমি হেঁকেও উঠলাম- ওই বাঁধনরে পাস দে, বাঁধনরে পাস দে। ঝুম বৃষ্টির কারণে আমার চিৎকারে কেউ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় নি বা পেছন থেকেও কেউ টের পেয়ে যায় নি। কিন্তু আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। এমনও কখনো হয়? চোখের সামনে ছেলেবেলার সেই জাম্বুরি মাঠ, শিশু হাসপাতাল, আমার প্রিয় চালতাগাছ; দেখতে পাচ্ছিলাম, অনুভব করছিলাম, একেবারে সেই সবকিছুর মধ্যে একটা জলজ্যন্ত আমিই যেন বসেছিলাম। এভাবে কল্পনায় ভেসে যাওয়া বোধহয় বর্ষাকালেই সম্ভব।
আরেকটা নির্দয় ঋতু হচ্ছে শীত। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে যে শৈত্যপ্রবাহগুলো হচ্ছে, সেগুলো বড় বেশি মাত্রায় নির্মম। আমার কিন্তু কনকনে উত্তুরে শীতের ভোরে, সোয়েটার-মাফলারে নাক-কান সবকিছু ঢেকে স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার ঢের অভিজ্ঞতা আছে। সেসব দিনকে অনেক মিসও করি। উর্মি আর শর্মি দুই বোন ছিলো। আমি, দুই বোন আর সাবু, চারজন প্রতিদিন জাকারিয়া স্যারের বাসায় ভোর ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ে ঘুরতে বের হতাম। বিশেষ কোথাও যাওয়া না। আমাদের শহরটা একদম মফস্বল আর গ্রামঘেঁষা ছিলো তো, হাঁটতে হাঁটতে গ্রামের দিকে চলে যেতাম। যাওয়ার পথে একটা নদী পড়তো। নদীর পাড়ে শিশিরভেজা ঘাস পড়তো। আমরা শিশিরে পা ভিজিয়ে হাঁটতাম। ঘন্টাখানেক ঘোরাঘুরি করে তারপরে বাসায় চলে যাওয়া। আবার ঘন্টা দুয়েক পরেই স্কুলে দেখা হওয়া।
চমৎকার একটি বিষয়, তাই না? এখন তো জীবনটা এমন হয়ে গেছে যে, আপনি চাইলেও সারাদিনে একটির বেশি কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু তখন সকালে আমরা একদফা একসঙ্গে ঘুরাঘুরি করতাম। দিনটা শুরু হতো একটা সুন্দর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। তারপরে দশটা থেকে চারটা পর্যন্ত স্কুল করতাম। এরমধ্যে একঘন্টা টিফিন ব্রেক থাকতো। বিকেলে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আর নাস্তা করে আবারো স্যারের বাসায় যেতাম, অংক করতে। আবারো আমরা চারজন। পড়াশেষে যথারীতি আবারো একসঙ্গে হাঁটাহাটি।
অনেক গল্প করতাম মনে আছে। কিন্তু আর কি কি করতাম মনে নেই। এখন ভাবি, আসলেই কি কেবল গল্প করে কখনো এতটা সময় পার করা সম্ভব? ছোটবেলায় মানুষের জীবনটা আসলেই অনেক অন্যরকম থাকে।
এইটের ফাইনাল পরীক্ষার পরের কথা। যারা বৃত্তি পরীক্ষা দেবে, তারা মুখ শুকনো করে স্কুলে আসে। সারাদিন ক্লাস করে। স্যারেরা তাদেরকে দৌড়ের ওপর রাখেন। তারাও বেচারা ভঙ্গিতে স্কুলের বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি করে। আর আমরা যারা বৃত্তি দেবো না, তাদের তো একেবারে পোয়াবারো। কারণ কয়েকদিন পরেই স্পোর্টস্ ডে। সেটার তুমুল প্রস্তুতি চলছে। মূলত সেজন্যই স্কুল খোলা। স্কুলে আসতে হয়, অথচ ক্লাস করতে হয় না; আমার স্পষ্ট মনে আছে, এরচে' সুখের আর কোনো কিছুই ছিলো না সে সময়।
প্রতিদিন কোনো না কোনো খেলার হিট হয়। কে কে ফাইনালে অংশ নেবে তা ঠিক করা হয়। ১০০ আর ২০০ মিটার স্প্রিন্ট আর ৪০০ মিটার রিলেতে টিকে গেলাম। আমি, সাবু দু'জনেই। আমাদের সাফল্যে উর্মি-শর্মি কি খুশি! মূলত সেই স্পোর্টস্ ডে রিলেটেড ঘটনাগুলোর পরেই আমাদের চারজনের খুব কাছের বন্ধু হয়ে যাওয়া, সায়েন্স গ্রুপে ঢোকা আর একই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ার সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছিলো।
এদিকে ক্লাসের ফুটবল টিমেও আমি আর সাবু ছিলাম। সেবার আমরা ক্লাস টেনের কাছে ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিলাম। ফাইনাল হয়েছিলো স্পোর্টস্ ডে'র দু'দিন আগে। সবকিছু ছবির মতো মনে আছে। খেলার ফাইনাল স্কোরলাইন ছিলো ৪-২। অথচ ম্যাচের প্রথম মিনিটে আমিই একটা গোল দিয়ে এগিয়ে দিয়েছিলাম আমার দলকে। আর গোলটা দিয়ে সেই যে ইইইইই চিৎকারের সঙ্গে একটা দৌড় দিয়েছিলাম, সেটা দেখলে আজকালের নেইমার, দ্রগবারা লজ্জা পেয়ে যেতো নিশ্চিত। আমি নিজেও সেটা মনে পড়লে ঈষৎ লজ্জিত হয়ে যাই।
কি করবো, তখন ছোট ছিলাম অনেক। আর মাথায় ঘিলুতো কম ছিলো আজীবনই। তার ওপরে খেলা দেখতে গিয়েছিলো স্কুলের অন্তত শ'পাচেক ছেলেমেয়ে, আমাদের ক্লাসের তো সবাই। উর্মি-শর্মি ছাড়াও ক্লাসের হার্টথ্রব সুন্দরীরা ছিলো, ক্লাসটিচার ছিলেন, হেডস্যার ছিলেন, এমনকি এ্যাসিসটেন্ট হেডমিস্ট্রেস পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন সেদিন গ্যালারিতে। এত লোকের মধ্যে কি নিজেকে সামলানো সম্ভব?
কিন্তু খেলাশেষে আমাদের সবার মুখ অন্ধকার। ক্লাসের সবার মুখ অন্ধকার। তখন সন্ধ্যাও হয়ে গিয়েছিলো। এমনিতেও সবকিছু অন্ধকারই ছিলো। কিন্তু সবচে' বেশি অন্ধকার হয়ে ছিলো বোধহয় শর্মির মুখ। আসলে ওই গোলটা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখ গিয়ে পড়েছিলো শর্মির দিকে। ওর উদ্বাহু লাফ আর চিৎকারের কারণেই যে আমার ওই মাঠকাঁপানো দৌড় দিয়ে গোল সেলিব্রেট করা, সেটা আর কেউ না জানুক; ও তো জানতো। সেদিন আমি জিতলে যেমন ও খুশিও অনেক বেশি হতো, হারার কারণে দুঃখও অনেক বেশি পেয়েছিলো।
পরে সেই দুঃখ ভুলেছিলাম স্পোর্টস্ ডে'র দিন, বেশ কয়েকটা মেডেল বগলদাবা করে। সাবু আমার চেয়েও কয়েকটা বেশি পেয়েছিলো। কারণ ও শুধু দৌড় না, হাইজাম্প-লংজাম্পগুলোও ভালো দিতো। আমি দৌড়ের ইভেন্টগুলো ছাড়া আর কোনোটাতে হিটেই টিকি নাই। সেদিন বিকেলে সবকিছু শেষ করার পর, বাসায় ফিরতে ইচ্ছে করছিলো না একদমই। অমন সোনালী বিকেল, যেগুলো আজীবন নিউরণে নক্ষত্র হয়ে টিকে থাকার ক্ষমতা রাখে, খুব বেশি আসে নি জীবনে। খুব বেশি হয়তো আসেও না।
সেই সাবু টেনে উঠেই স্কুল ছেড়ে চলে গেলো। ক্লাস টেনে যে কেউ স্কুল চেঞ্জ করে, সেটা সাবুকে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতাম না। ওর বাবার মাথায় কি ভুত চেপেছিলো কে জানে, ওকে নিয়ে ভোকেশনালে ভর্তি করে দিলো। তাও আবার ক্লাস নাইন থেকে। বেচারার একাডেমিক লাইনটাই পুরো চেঞ্জ হয়ে গেলো এক লহমায়। দুই বোন আমার সঙ্গেই এসএসসি দিয়েছিলো। উর্মি স্ট্যান্ড করেছিলো। পুরো রাজশাহী বোর্ডে তৃতীয় স্থান।
বাপরে, সেদিন আমাদের স্কুল প্রাঙ্গনে সে কি হই-চই! আমাদের আজপাড়াগাঁয়ের স্কুল থেকে সেই প্রথম কারো একেবারে থার্ড-স্ট্যান্ড করা। হৈ-হুল্লোড়, মিছিল, মিষ্টি বিতরণে সে এক এলাহী কাণ্ডের সৃষ্টি হলো। দুপুরের মধ্যে ডিসিসাহেব চলে আসলেন স্কুলে। দিনশেষে আমরা তিন বন্ধু ওদের বাড়ির ছাদে কিছুক্ষণের জন্য মন খারাপ করেছিলাম, বন্ধু সাবুর কথা ভেবে। সেদিনের অতো আনন্দের মধ্যেও বেদনা হয়ে বেজেছিলো শুধু ওই ছেলেটির অভাব।
অথচ পরে ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে গেলাম আমরা তিনজনও। আর মহাকাল এত নিষ্ঠুর যে আজ জীবনের একটা পর্যায়ে এসে জানিই না, কে কোথায় আছে। হয়তো ফেসবুকে খুঁজলে পাওয়া যাবে। কিন্তু খুঁজে পেতে ভয় হয়। যদি আগের সেই সুরে আর না বাজে বন্ধুত্ব। তারচে' ওরা আজো স্মৃতির বইয়ে সদর্পে বিচরণ করছে, সেটাই কি অনেক বেশি আনন্দের না?
যাক্ বলছিলাম, গরমের কথা। ইদানীং অসহ্য একধরনের গরম পড়ছে। মাঝে মাঝে সেই গরমে মাথার ঘিলুশুদ্ধ ঘেমে ওঠে। বলা হয়ে থাকে, এ ধরনের গরমে একেকজনের একেকরকম সমস্যা হয়। আমার যেমন বেশি গরম লাগলেই, পুরোনো বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যায়। তেমনি এক মাথাগরম দুপুরে, সেদিন আমার মনে পড়লো পুরোনো বন্ধু রুমিয়ার কথা। ভাবছিলাম মেয়েটিকে অনেকানেক দিন এবি'তে দেখা যায় না। ঘটনা কি?
পরে ফেসবুকে গিয়ে দেখি, লোকজন সবাই তাকে শুভ জন্মদিন জানাচ্ছে। বাহ্। শুধু ফেসবুকে ফেসবুকেই? ব্লগ বলে যে একটা জায়গা আছে, আর সেখানেও শুভ জন্মদিন জানানোর লোকজন থাকতে পারে, সেইটা কারো মনেও আসলো না? খুব খ্রাপ!
তারপরেও বেটার লেট দ্যান নেভার। সো রুমিয়াকে বিলেটেড হেপি বার্থডে। আর গিফট হচ্ছে এই ছবিটা-
---
ভালো কথা, এই পোস্টটাও রুমিয়াকেই উৎসর্গিত
বন্ধু রুমিয়াকে শুভ জন্মদিন
পোস্টটি পড়ে স্মৃতিকাতর হলাম তাই লেখককে মাইনাস
মাইনাস সাদরে গৃহীত। স্মৃতিকাতর যেহেতু হইসেন, সেহেতু এইবার একটা স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট দিয়া ফালান ভাইজান। আপনারে আমার ব্লগে দেইখা বিয়াপুক খুশি হইসি
রাসেলকে ধইন্না
রুমিয়া কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
নানা ঋতুতে স্মৃতির সুর মাখা চমত্কার লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। * * * * *
আপনে তো মনে হয় উনাকে চেনেন না। কারণ আপনে এখানে যতদিন আসছেন, উনি তার বহু আগে এখানে উনার আপাত লাস্ট লেখাটা পোস্ট করে উধাও হইসেন। ঠিকানা দিলাম- http://www.amrabondhu.com/rumiyaazmeen. সুযোগ হইলে ঢু মাইরেন।
আইচ্ছা, দেখুম নে।
আরেকটা কথা ভাই।
আপনেরে লাস্ট ওয়ার্নিং দিতাছি!
আর যদি আমারে আপনে আপনে কইরা কিছু কইছেন,
আপনেরে কইলাম আমিঅই তুমি তুমি বলা শুরু কইরা দেম! হুহ.. :@
আপনাকে ধইন্না
মীর ভাই এর লেখা পইড়া কেন জানি মনে হইছিল, আপনে মনে হয় পিচ্চি একটা মেয়ে! তাই, ভুলে নাম ধইরা উইশ কইরা ফেলছি! স্যরি, রুমিয়াপি!
ভালো।
ধইন্যাপাতা।
ইয়ে, তাহলে ইদানীংকালের সব মন খারাপের কারন বুঝি ওই ঊর্মি মেয়েটা ?

লেকা নিয়ে কিছু বলবো না। বলতে পারবো না বলেই হয়তো...
জ্বি না। উর্মি মেয়েটির জন্য মন খারাপ হবে কেন? আশ্চর্য! সে তো কেবল একজন বন্ধু ছিলো। বন্ধুর কথা মনে পড়লে মন খারাপ লাগে ঠিকই, কিন্তু সব মন খারাপ কেবল একজন বন্ধুর জন্য লাগতে পারে না নিশ্চই
লেকা নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না বুঝলাম, কিন্তু লেখা নিয়ে কেন কিছু বললেন না?
ei post ta o muche diben na, asha kori
এই গরমে আমার মেজাজ খারাপ হয় হইতে থাকে। কী করব বুঝে পাই না।
লেখাটা পড়ার পর মনে হল একটা শীতল হাওয়া মনটা ভরে গেল।
আমারো মেজাজ খারাপ হয় এবং হইতেই থাকে। তখন নানারকম ফানি বিষয় ভাবার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় ফানি বিষয়গুলার একটা হচ্ছে আপনের এই ডায়লগটা- 'এই গ্রেট ফটোগ্রাফারগণ সব জায়গায় গিয়ে খালি ছবি তুলে'
মীর কে অনে---------ক ধইন্না
।গিফট খুব লাইক হইছে
।শুধু ফেসবুকে ফেসবুকেই? ব্লগ বলে যে একটা জায়গা আছে, আর সেখানেও শুভ জন্মদিন জানানোর লোকজন থাকতে পারে, সেইটা কারো মনেও আসলো না? খুব খ্রাপ!----ঠিক বলছেন।
হাই রুমিয়া! লট অভ থ্যাংকিউ। আপনাকে অনেকদিন ধরে দেখি নাই। তাই পেট পুড়াচ্ছিলো।
কি বদ! কি খ্রাপ মেয়ে রে বাবা! কান ধরে নিয়ে এলাম, তাও কিনা একলা একলা থ্যাঙ্কু হজম করে ফেল্লো!
মীর, থ্যাঙ্কুর কিছু ভাগ আমার জন্যে বরাদ্দ করেন, (পোষ্টতো কেউ দেয় না
) মাইক বাজায়ে ধরে আনলাম এই কইন্নাকে। 
@ জেবীন আপু, জি আপনের কীর্তি দেখে কালকে আমিও লজ্জা পাইসি। এই বিচ্ছিরি লেখাটার চিকাও আবার আপনে মারতে গেসেন উনার দেয়ালে। কি কাণ্ড!
থ্যাংকুর আরেকটা পুরা প্যাকেট রইলো আপনার জন্য। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা রইলো, ভালোলাগা রইলো আর ভালো থাকেন সবসময় এই শুভকামনাও রইলো।
আমার কীর্তি তো দেখেছেনই, তা সেইখানে অনুযোগটার কি সমাধান করবেন বলেন তো!

হ্যাঁ ওই অনুযোগটা দেখেছি। ওটা থাকুক জেবীন আপু। বন্ধু-বান্ধবদের ব্যপারে যদি খানিকটা অনুযোগ থাকে তাতে দোষ হয় না।
মীর ব্রো আপনার লেখা ভালু পাই।, রুমিয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন। রুমিয়া।
ধনেপাতা ব্রো। আমিও আপনার কমেন্টগুলা ভালো পাই। কিন্তু নিয়মিত দেখা যায় না কেন আপনাকে?
আছিরে ভাই...কখনো সরবে...কখনো নিরবে....
....
ঠিকাসে যখন নীরব থাকেন তখন কিছু করার কথা বললাম না। কিন্তু যখন সরব থাকেন, তখন এবি'র জন্য পোস্ট লেখার রিকুশ রাখলাম ভাইজান
আপনার এর আগের লেখাটায় একখান মন্তব্য করেছিলাম জনাব। কোনো কথা বললেন না যে ! মনটা ভালো হয়েছে

মন থাকলে এটা ভালো-মন্দের দোলাচলে দুলবেই। এইটা নিয়ে আসলে বেশি ব্যস্ত না হওয়া ভালো। আমি যেমন হই না। আপনেও হইয়েন্না, ঠিকাসে?
আপনের কিছু কিছু কমেন্ট এমন হয় যে, উত্তর দেয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস হয় না। কি করুম কন?
আই লাভ য়ু ঠু ম্যান। লাভ য়ু ভ্রি মাচ
আপনার ইদানীংকালের লেখাতে দেখা যাচ্ছে, দুঃখগুলো ক্রমে আপনাকে গ্রাস করছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। আপনাকে সব ঝেড়ে-ঝুড়ে উঠে দাঁড়ানোর বিনীত অনুরোধ জানাই। জীবন একটাই। সে জীবনে দুঃখ আছে, আনন্দ আছে, কষ্ট-বিরহ কত কী আছে। সব কিছুকে এত গুরুত্ব দিলে কি চলে ? ওস্তাদের কাছে প্রার্থনা-
আপনার জীবনের বেশিরভাগ সময় ভালো কাটুক।
আরেকটি অনুরোধ: সাইকেল চালানোর সময় অতশত ভাবতে নেই। এতে যে কোনো সময় ভয়াবহ দূর্ঘটনায় পড়তে পারেন। প্লিজ কু....উ.....ল ড্রাইভ।
সবশেষে, আই লাভ য়্যু ম্যান...
আরে এই মন্তব্যটার উত্তরই তো দিলাম জনাব উপরে।
আর, নাম্বারের জন্য
টা ইচ্ছে করেই বকেয়া বানাচ্ছি। সামনাসামনি দেয়ার ইচ্ছা আছে। কেমন আছেন বলেন?
আমি প্রায়ই ফাস্টক্লাস থাকি।
এখনও তাই
আমি সবসময় ইকোনমি ক্লাসে থাকি। এখনো তাই
আহারে পিচ্ছিকাল মনে পইড়া গেলোগা
হ, বড়ই ঝিক ঝিক দিন ছিলো সেইগুলা
দারূন হইছে। তবে এই সব লেখা পড়লে আমি একটু আপসেট হয়ে পড়ি। দিন খালি চলেই যাইতেছে থামানো গেলো না কোনো ভাবেই!
বাসী হয়ে যাওয়া জন্মদিনের নগদ শুভেচ্ছা!
থামানোর চেষ্টা কৈরা লাভ নাই গো ভাইজান।
আপনারে ওয়েলকাম ব্যাক জানাই, ঢাকায় ফিরে আসচেন তাই
দারুন যথারীতি । মীরের লেখায় দারুন ছাড়া আর কোন কমেন্ট খুইজা পাইনা ।
ধইন্যবাদ সাঈদ ভাই। আপনে আসলে পাত্থুর!
মন্তব্য করুন