ইউজার লগইন

গল্প: যখন আরো কয়েকশ' বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে অকারণে

১.
কবি টং-এর ওপর বসেছিলাম অবন্তি আর আমি। সমুদ্রসৈকতের তিন থেকে চারশ' মিটারের ভেতরেই, তিনশ' ফুট উঁচুতে টং-খানি অবস্থিত। এই টং আসলে চায়ের দোকান নয়, বাঁশ দিয়ে বানানো মাচা- যার উপরে উঠতে পারলে অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখা যায়। তবে পড়ে গেলে কিংবা ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেলে কি হবে সে সম্পর্কে চিন্তা না করাই ভাল। সেদিন সকাল থেকে সাগরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। আর মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সাগরে যেতে নিষেধ করে উপকূলে থাকতে বলা হয়েছিল।

মৃদুমন্দ বাতাসে টংটা বিপজ্জনকভাবেই দুলছিলো, তবে সেদিকে আমাদের খুব বেশি ভ্রুক্ষেপ ছিল না। পরিবেশটা উপভোগ করতে ভাল লাগছিল অনেক বেশি। কবি টং-এর একপাশে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় আর অন্যপাশে বঙ্গোপসাগর। নিচে মেরিন ড্রাইভ। মেরিন ড্রাইভ আর আমাদের অবস্থানের ভেতর আর রয়েছে কেবল সারি সারি নারিকেল গাছের মাথা।

টং-টা নারকেল গাছগুলোর চেয়ে বেশ উপর পর্যন্ত চলে এসেছে। পা ছড়িয়ে উপভোগ করার মতো জায়গা। সেখানে যেদিকে তাকানো যায় ছড়িয়ে রয়েছে শুধু মুগ্ধ হওয়ার উপাদান। একদিকে নারিকেলের ঘন সবুজ পাতার রাশি, আরেকদিকে সাগরের নীল জল। দিগন্তে গিয়ে সেটি হালকা ধূসর বর্ণ ধারণ করে মিলে গেছে আকাশের সাথে। তারপর থেকে আকাশ নিয়ে নিয়েছে রংয়ের খেলা চালিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব। নিয়েই প্রথমে এক পশলা আগুন-হলুদ আর কমলা রং ছড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা এলাকা জুড়ে। তার পেছনে সমাপিকা রেখার মতো আঁকাবাঁকা লাল সিদুঁর। সবকিছুর পেছনে রয়েছে অস্তগামী একটি সূর্য। যার আলো মেঘের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়ে আসছে বলেই অমন রং-এর খেলা সৃষ্টি হয়েছে। দেখতে দেখতে জীবনের প্রতি প্রচণ্ড মায়া জন্মে গেল আমাদের দুজনের।

২.
জায়গাটাতে বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায় কান পাতলে, আর সমুদ্রের বিলম্বিত লয়ের গর্জন শোনা যায় সারাক্ষণই। সমুদ্রের গর্জনই বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র গর্জন যা মানুষের কানকে আতঙ্কিত করে তোলার বদলে শান্তি দেয়। মূলত মেরিন ড্রাইভের ধারেই এক পাহাড়ি ঢিবির ওপর কবি টং-টার অবস্থান। অবন্তি আর আমি যেখানে আশপাশের সৌন্দর্য, নিচের প্রশস্ত রাস্তাটি এবং পুরো উপকূলটির যতটুকু দেখা যায়, খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছিলাম, ছবি আর ভিডিও নিচ্ছিলাম এবং ডালমুট সহযোগে ভদকা পান করছিলাম।

ঝিরঝিরে বৃষ্টির কারণেই বোধহয় সেদিন কক্সবাজারের ট্যুরিস্টরা হোটেল থেকে খুব একটা বের-টের হয় নি। ট্যুরিস্ট সমাগম প্রচুর এমন জায়গায় ঘোরা-ফেরা করার মজাটা ভিন্ন। তবে আমাদের ভাল লাগে নির্জনতার কাছে নিজেদেরকে সঁপতে।

আর সেসব কারণেই সাগরের যেসব দিনে বিপদ বা হুশিয়াঁরি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়, সেসব দিনে আমরা দুজন ঘুরতে বের হতে ভুল করতাম না। আমরা তো ট্যুরিস্ট নই, যে কটা দিন পরই আমাদের সাঙ্গ হবে ওই এলাকার ঘোরাফেরা।

সেদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম অনেক দেরিতে। কাজ ছিল না কারণ সেদিন ছিল শুক্রবার। আগের দিন রাতে ঘুমিয়ে ছিলামও একদম শেষ রাতে গিয়ে। তারপর সকালের নাস্তার ধার না ধরে একেবারে লাঞ্চ করেছিলাম আমরা দুজনে মিলে।

বাড়িতে রান্নার জন্য সুলাইমান ভাই নামের একজন মানুষ থাকতেন। তিনি সেদিন দু'টো সুরমা মাছকে খুব ঝাল করে ভেজেছিলেন। সাধারণত পরের দিন যে মাছটি ভাজা হবে, সেটিকে তিনি আগেরদিনই মশলা মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতেন। আমরা দু'জন পেল্লায় আকারের দু'টি মাছ, জেসমিন চালের ভাত, পোড়া মরিচ দিয়ে বানানো আলু ভর্তা, আর পাতলা ডাল দিয়ে দুপুরের খাবার সেরেছিলাম। একদম শুরুর পাতে ছিল ছোট ছোট লইট্টা মাছের ঝুরি। চানাচুরের মতো স্বাদ ওগুলোর। ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম গুড়ামরিচ আর লবণ ছিটিয়ে খেতে অসাধারণ।

খাওয়ার পর ড্রাইভার রহিমকে ফোন করে জানতে পারলাম, সে নাকি গাড়ির চাকা পাল্টানোর জন্য গ্যারেজে গেছে। জানতে চাইলাম, গাড়িতে কি স্পেয়ার চাকা নেই? জানালো- যেটা ছিলো সেটাই এবার ফেঁসেছে। আধাঘন্টা বা পৌনে একঘন্টা অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।

কি আর করা, আমার স্টাডিরুম-এ ঢুকে জিল পেনডার-এর একটা বই টেনে নিলাম। বইটা ক'দিন ধরে পড়ছি। ১৯২০-এর দশকের পটভূমিতে লেখা একটা উপন্যাস। সে সময়ের ফ্রান্স বিশেষ করে প্যারিসের চিত্র খুব দারুণভাবে ফুটেছে উপন্যাসটাতে। দুর্দান্ত এঁকেছেন শিল্পী সে সময়ে প্রথিতযশা চিত্রকর, লেখক, সমালোচক, সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীদের জীবনের নানান অজানা অধ্যায়ের চিত্র। পাশাপাশি সমসাময়িক লেখক-শিল্পীদের সঙ্গে তার নিজের সম্পর্ককেও কাঁটাছেড়া করেছেন মুন্সিয়ানার সঙ্গে। বইটা পড়তে অদ্ভুত লাগছিল আমার।

হঠাৎ অবন্তি স্টাডিতে ঢুকে কোল পোর্টার-এর "লেট'স ডু ইট" গানটি চালিয়ে দিলো। বাইরে বৃষ্টির ছাঁট ততক্ষণে বেশ বেড়ে গেছে। অবন্তি জানালার কাঁচের সঙ্গে গাল ঠেকিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। আমি বইটি পাশে সরিয়ে রেখে নিজের জায়গায় বসেই অনেকক্ষণ চুপচাপ গানটা শুনলাম আর অবন্তিকে দেখলাম।

৩.
রহিম ফিরে আসার পর গাড়ির চাবিটা নিয়ে ওকে ছুটি দিয়ে দিলাম। সে একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলো। বললাম, এই বৃষ্টির দিনে বাড়ি গিয়ে বউরে ইলিশ মাছ রান্না করে খাওয়াইতে বলো মিয়া। চাকরি-চুকরির টেনশন বাদ দাও। দুইদিনের দুনিয়া।

এ ধরনের একটা ডায়লগ শুধু শুধু দেয়া আর মুখের কথায় চিড়া ভেজানোর চেষ্টা একই ব্যপার। ওর হাতে তাই দু'টো পাচশো'র নোটও গুঁজে দিলাম সেই সময়। তারপর সে হাসিমুখে বাড়ির পানে হাঁটা ধরেছিল।

আমাদের ফ্রিজে একটা লাল রংয়ের স্মিনর্ফের বোতল ছিল। বোতলটার তিন ভাগের একভাগ ভরা ছিলো মাত্র। সেবার বেইরুত থেকে একটা বরফ রাখার বাক্স কিনেছিলাম। দারুণ কাজের জিনিস। দেখতে ছোট্ট, ঢাউস আকৃতির পেন্সিল বক্সের মতো। পানি ভরে ডিপে ঢুকিয়ে রাখলেই উপরে-নিচে ১৬টা করে ৩২টা ছোট ছোট বরফ তৈরি হয়ে থাকে। ছয় ঘন্টা বাইরে ফেলে রাখলেও সে বরফের কিছুই হয় না, কারণ বাক্সটি তাপনিরোধক।

কবি টং-এ বসে সন্ধ্যে নামা দেখলাম। বৃষ্টি ধরে আসলেও ছাঁট রয়ে গিয়েছিলো। তিনশ' ফুট নিচে হাইওয়ে ধরে বাস, মাইক্রোবাস, কার আর ইজিবাইক চলছিলো। সেগুলোর শব্দ বেড়ে যাওয়া শুনে বুঝলাম, ট্যুরিস্টরা আস্তে আস্তে ঘর ছেড়ে বের হতে শুরু করেছে। আমরা ধীরে ধীরে উঠে পড়লাম।

উঠতে গিয়ে মনে পড়ে গেলো আমাদের পার্কের সে জীবনের কথা। প্রতিদিন রাতেই আমাদের আড্ডা ভেঙ্গে উঠতে খুব অনিচ্ছা দেখা দিত। "যাচ্ছি-যাই-চল চলে যাই" ইত্যাদি করতে করতেই রাত একটার বেশি বেজে যেতো।

আর পার্ক থেকে বের হওয়ার পর অবধারিতভাবে ইচ্ছে করতো রাতের খাবারটা বাইরে খেতে। আসল উদ্দেশ্য আর কিছুই না। যতটা সম্ভব দেরিতে বাড়ি ফেরা যায়, সেই চেষ্টাই থাকতো আমাদের দু'জনের মাঝে।

সঙ্গীদের মধ্যে যারা সর্বোচ্চ উড়নচন্ডী ছিল, তাদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে রয়ে যেতো সে সময় পর্যন্ত। তবে বেশিরভাগ দিন শুধু অবন্তি আর আমিই থাকতাম। সব কিছু শেষ করে যখন বাড়ি ফিরতাম, তখন একরাশ অশান্তি মনটাকে ছেঁকে ধরতো। অশান্ত মন নিয়েই বিছানায় ছটফট করতাম এবং ভোরের দিকে ফযরের আযানের শব্দে আমার ঘুম পেয়ে যেতো।

সংকটটা আমি কখনো অবন্তিকে বুঝতে দিতাম না। কারণ সে বুঝতে পারলেই 'কিছু একটা ব্যাবস্থা' করে ফেলবে আমি জানতাম। ওর সামনে কখনোই কোনো সংকট নিয়ে হাজির হতে আমার ইচ্ছে করতো না। অথচ মেয়েটি একদিন ঠিকই বুঝে ফেললো।

একদিন খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে চা খেতে খেতে জানতে চেয়েছিল, তোমার কি বাড়ি ফিরে কখনো অশান্তি লেগেছে মনে? (ও আমাকে তুমি করে বলছে দেখলে বুঝতে পারতাম সিরিয়াস কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের ভেতর আলাপ চলছে।)

আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম প্রশ্নটা শুনে। বললাম, হ্যাঁ লেগেছে।
-কখনো ছটফট করেছো সারারাত?
-হ্যাঁ করেছি।
-কবে করেছো?
-প্রতিদিন করেছি।
-বলো নি কেন আগে?
-জানি না।
-আচ্ছা সমস্যা নেই। দেখছি কি করা যায়।

৪.
আর তার দুই সপ্তাহ পর সে আমাকে ঢাকা থেকে দূরে কক্সবাজার শহরের নির্জন এক কোণে একটা প্রায় ভুতুড়ে বাড়িতে এনে তুলেছে। শৈশবে স্কুলের কিংবা কলোনীর বার্ষিক ক্রীড়া উৎসবে একটা খুব মজার খেলা ছিলো আমাদের। ছোটরা প্রায় সবাই সেই খেলাটাতে খুব আগ্রহ সহকারে অংশ নিতো। 'যেমন খুশি তেমন সাজো' ছিল খেলাটার নাম।

জীবনটা এখনও মাঝে মাঝে সেই খেলার মতোই লাগে আমার কাছে। এই যেমন সেবার কক্সবাজারে গিয়ে মাস কয়েকের জন্য আমরা জেলে সেজেছিলাম। সেই সুযোগে অবন্তির দুঃসম্পর্কের চাচা, যিনি মূলত ব্যাবসাটা দেখাশোনা করতেন তিনি কটা মাস বিশ্রাম পেয়েছিলেন। বিশ্রামের শুরুতেই তিনি হজ্ব, ওমরাহ ইত্যাদি করার জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছিলেন।

সে সময় আমরা মাঝে মাঝে অবন্তিদের মাছ ধরার জাহাজটি নিয়ে মাঝসমুদ্রে চলে যেতাম। অবশ্য আমাদের সঙ্গে ডজন খানেক পেশাদার জেলে, সারেং, রাধুঁনী এবং আরও নানাবিধ লোক থাকতো। সকলে ছিল অসম্ভব বিশ্বাসী এবং আজীবন ধরেই ওই জাহাজ তথা অবন্তিদের পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত। সে কটা দিন আমাদের কাজ ছিল শুধু বোটে বসে সমুদ্র পর্যবেক্ষণ করা। সঙ্গে থাকতো কখনও বই, কখনও গান, কখনও শুধুই একে অপরের সঙ্গ, নানান রংয়ের গল্প আবার কখনও থাকতো স্মিনর্ফ বা টাকুইলা। দিনে, রাতে, মধ্যরাতে, ভরসন্ধ্যায়, গভীর রাতে, পূর্ণিমায়, এবং এমনকি ভোরেও জাহাজের ডেকে শুয়ে-বসে উপভোগ করতাম সেই কয়েকটি দিন।

সেরকম একটা সময়েই আমি প্রথম খেয়াল করি যে, সমুদ্র তীরের ঘোলা পানির স্তরটা পার হয়ে একটু ভেতরে যাওয়া শুরু করলেই, ধীরে ধীরে পৃথিবীর সবকিছুর প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মাতে শুরু করে। শুধু ডলফিনদের সাঁতারকাটা দেখবো বলে, আরো অন্তত কয়েকশ' বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। আর ইচ্ছেগুলোকেও খুব ভীষণ অমূল্য মনে হয়।

কেন এমন মনে হয় সেটা এখনো বুঝে উঠতে পারি নি। অবন্তির মতো একজন দারুণ মানুষের পাশে থাকাটা একটা কারণ অবশ্যই কিন্তু একমাত্র কারণ সেটির হবার কথা নয়। সাগরের বিশালতাটাও অনেক বড় একটা কারণ, যেটা সে সময় আমাদেরকে জীবনের বিশালতাটাও খুব যত্ন করে বুঝিয়ে দেয়। সময় সুযোগ থাকলে বন্ধুগণ, সবারই একবার অন্তত সমুদ্রভ্রমণে যাওয়া উচিত। আমার তাই মনে হয়।

---

পোস্টটি ১৫ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


আহা, কি সুন্দর সুখগন্ধমাখা লেখা। এরকম বর্ণনা পড়লে কেমন জানি নেশা নেশা ঘোর লাগে! এখন সমূদ্রে যাওয়ার জন্য মন আনচান করতাছে।

কবি টং এর নাম কবি টং কেন?

পানাহার একটু সামলে, লিভার সাবধান!

মীর's picture


ধইন্যাপাতা ভাইজান। মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হইলাম। লিভার সামলায় রাখার পরামর্শ যথাস্থানে পৌছায় দিমু নে। ভালো থাইকেন এবং সবাইরে ভালো রাইখেন।

জ্যোতি's picture


মনটা স্মৃতিকাতর হলো। গত বছর গিয়েছিলাম কক্সবাজার। ৩ নং বিপদ সংকেত চলছিলো, হঠাৎ সকালে ঝড়, আমরা গেলাম সমুদ্র দেখতে, উথাল পাতাল অবস্থা..আরো কত কাহিনী!
বৌদ্ম পূর্ণিমার রাতে বিরাট জোসনায় মাখামাখি, রিক্সায় অনেক ঘুরে রাত ১১ টা পর্যন্ত বসে থাকলাম বীচে। আহারে! কত স্মৃতি! পোস্টটা পড়ে মনটা খুবই অস্থির হলো।

মীর's picture


'কাটে না কাটে না এ সময়
অস্থির ভাবনারা জেগে রয়'

গানটা শুনলে অস্থিরতা কাটতে পারে।

যাই হোক, আছেন কেমন ফুপুজান? আজকাল কিভাবে সময় কাটে বলে যান।

সামছা আকিদা জাহান's picture


অসাধারন মীর এক নি:শ্বাসে পড়লাম। যেন বাস্তব আমি বসে আছি কবি টং এ। হাতে রুপালী আগুন মুখে ডালমুড মাথার উপর বৃষ্টি, উত্তাল মাতাল হাওয়া।আমার খুব খুব প্রিয় পরিবেশ।

মীর's picture


ধইন্যা গো আফামনি। ভাল্লাগলো অনেক আপনার মন্তব্যখানি Smile

তানবীরা's picture


অবন্তী হয়ে যেতে ইচছে করছে

মীর's picture


আপনে তো ছয় রুমের ফ্ল্যাট দেখে দিবেন দৌড়। তাইলে আর কেমনে হবে? Tongue out

এ টি এম কাদের's picture


এইতো আমাদের মীর ! মাঝখানে অনেক দিন কেন যে হারিয়ে ছিলেন, বুঝিনি ! লেখা দারুণ হয়েছে ! ভাল থাইকেন ।

১০

মীর's picture


ধন্যবাদ কাদের ভাই। আমি ভালো থাকবো, আপনিও থাইকেন।

১১

নিভৃত স্বপ্নচারী's picture


একটানে পড়ে ফেললাম মীর, দারুণ!
সাগর মনে হয় সবাইকেই টানে, মনে হচ্ছিলো কবি টং এ বসে সমুদ্র দেখছিলাম!
আমার মেয়েটাও পুরোনো ছবি দেখতে দেখতে সেদিন বলল, বাবা আমরা সাগরে যাব কবে? ডিসেম্বরে একবার প্ল্যান করতে হবে ভাবছি।

১২

মীর's picture


থ্যাংকস্ নিভৃতদা'। ডিসেম্বরে প্ল্যান করা হইলে জানায়েন। আর আছেন-টাছেন কেমন?

১৩

আরাফাত শান্ত's picture


দারুন!

১৪

মীর's picture


ওয়াও! থ্যাংক ইউ ভাইয়া। এন্ডলেস থ্যাংক্স...

১৫

উচ্ছল's picture


কবি টং...... দারুন। । ভালো থাকবেন। Smile

১৬

মীর's picture


উচ্ছল ভাই, কেমন আচেন? অনেক দিন আপনার নতুন কোনো লেখা পাই না।

১৭

সাঈদ's picture


গল্প পড়ে আমার ত এখন ঐ কবি টং এ যাইয়া ভদকা পান করতে ইচ্ছা করতেছে Sad

১৮

মীর's picture


শুনে তো খুশি হয়ে গেলাম ভাইজান Smile

১৯

মেসবাহ য়াযাদ's picture


দুর, এইটা কোনো লেখা হৈলো ?
যত্তসব আজাইরা প্যাচাল...
বৃষ্টির দিনে এইসব লেখা পড়তে ভাল্লাগে না।
এখন কে আমারে ছুটি দিব- সমুদ্রের পাড়ে যাইতে ?
মীর একটা যাচ্ছে তাই... Crazy

২০

মীর's picture


আজকে তো খটখটা রোদ চারদিকে। আপনে বৃষ্টি পাইলেন কই?

২১

নাজনীন খলিল's picture


অনে------ক দিন পরে মীরের অসাধারণ লেখা আবার পড়লাম!

কেমন আছ?

২২

মীর's picture


নাজনীন আপু!!! কত শত দিন পর আপনাকে দেখলাম। আমি ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন? এখনো আমাকে মনে রেখেছেন দেখে অনেক চমকেছি। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সেই কবিতার মতো অবস্থা---

অকস্মাৎ কে চেঁচিয়ে উঠল রক্তে ঝাঁকি দিয়ে
"নিলাম নিলাম নিলাম!"
আমি তোমার বুকের মধ্যে উঁকি মারতে গিয়ে
চমকে উঠেছিলাম।

অথচ কেউ কোথায় নেই তো, খাঁ খাঁ করছে বাড়ি।
পিছন দিকে ঘুরে
দেখেছিলাম, রেলিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছে শাড়ি
এক গলা রোদ্দুরে।

বারান্দাটা পিছন দিকে, ডাইনে বাঁয়ে ঘর,
সামনে গাছের সারি।
দৃশ্যটা খুব পরিচিত, এখনো পর-পর
সাজিয়ে নিতে পারি।

এবং স্পষ্ট বুঝতে পারি, বুকের মধ্যে কার
বুকের শব্দ বাজে
হায়, তবু সেই দ্বিপ্রাহরিক নিলাম ঘোষণার
অর্থ বুঝি না যে।

"নিলাম নিলাম!" কিসের নিলাম? দুপুরে দুঃসহ
সকাল বেলার ভুলের?
এক বেণীতে ক্ষুদ্ধ নারীর বুকের গন্ধবহ
বাসী বকুল ফুলের?

"নিলাম নিলাম!" ঘন্টা বাজে বুকের মধ্যে, আর
ঘন্টা বাজে দুরে।
"নিলাম নিলাম!" ঘন্টা বাজে সমস্ত সংসার
সারা জীবন জুড়ে।

২৩

নাজনীন খলিল's picture


তোমার লেখার মতোই অসাধারণ উত্তর হয়েছে। Smile

তবে তোমার মতো এমন সুন্দর করে না বলতে পারলেও সহজ কথায় বলি---আমার ভালবাসার মানুষগুলো বুকের ভিতর থেকে কখনো হারায়না।

২৪

মীর's picture


থ্যাংক ইউ ভেরী মাচ আপু। আমার ছোট্ট জীবনে এমন চমৎকার প্রাপ্তি খুবই কম যোগ হয়েছে।

ভালো থাকবেন, সর্বোচ্চ ভালো। শুভেচ্ছা নিরন্তর Smile

২৫

মাহবুব সুমন's picture


বাহ Smile

২৬

দূরতম গর্জন's picture


এক টানে পড়ে ফেললাম। দারুন লেখেন তো আপনি

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মীর's picture

নিজের সম্পর্কে

স্বাগতম। আমার নাম মীর রাকীব-উন-নবী। জীবিকার তাগিদে পরবাসী। মাঝে মাঝে টুকটাক গল্প-কবিতা-আত্মজীবনী ইত্যাদি লিখি। সেসব প্রধানত এই ব্লগেই প্রকাশ করে থাকি। এই ব্লগে আমার সব লেখার কপিরাইট আমার নিজেরই। অনুগ্রহ করে সূ্ত্র উল্লেখ না করে লেখাগুলো কেউ ব্যবহার করবেন না। যেকোন যোগাযোগের জন্য ই-মেইল করুন: bd.mir13@gmail.com.
ধন্যবাদ। হ্যাপি রিডিং!