কবিতা: কেন?
কেন তুমি মারিয়া বা ফ্রান্সির মতো
ক্লাবে বা ক্যাফেটেরিয়ায় বা রাস্তায় বা সিটি সেন্টারে
মুখোমুখি হয়ে যাও না?
কেন তুমি জাস্ট কোনো কারণ ছাড়া
আরও একবার মেয়েদের কমন রুমের সামনে দাঁড়িয়ে
আমার জন্য অপেক্ষা করো না?
সময়টা আমরা পার হয়ে এসেছি তাই না?
অনেকদূর চলে এসেছি তারপর, একা একা
আমাদের একসাথে চলাটা এবং একসাথে ভালবেসে বেসে
কাছে থাকাটা, বোধহয় এখন খুব দুঃখিত মুখে
বসে আছে কোথাও, একা একা।
কোথায় বলোতো, হয়েছিল আমাদের প্রথম দেখা?
প্রথম ক্লাসে? যখন তুমি বলেছিলে- সত্য কথাটা কেবল তুমিই বললে।
হাহাহা, সেটা আসলে ঠিক না,
যেদিন তুমি প্রথম আমাদের ডিপার্টমেন্টে আসলে, যেদিন একটা ছেলে প্রথম
তোমায় দূর থেকে দেখেছিল,
যাক সেসব কথা, শুধু বলি তুমি সেদিন একমাত্র যে ছেলেটার সাথে কথা বলেছিলে
সে ছেলেটা তোমার কথা নেয়ার মতো ছিল না, এবং
যে ছেলেটা সেদিন দূর থেকে শুধুই তোমায় দেখছিল,
এবং সম্ভবত নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যাওয়ার পরও অনেকক্ষণ বেঁচেছিল;
সে-ও তোমার লীগের ছিল না।
জানি,আউট অব লীগ মানে কি তুমি জানো,
তারপরও আজকাল
অসংখ্য নতুন নতুন উপায়ে
সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা-গভীর রাত আর একাকী সময়
পার করতে গিয়ে
শুধু তোমাকেই খুঁজে ফিরি।
এবং হাউ আই মেট ইওর মাদার দেখে তোমাকে একবার রবিন আর
একবার লিলি বলে ভুল করি,
আর তোমাকে নিয়ে ভাবি যখন আমি ডর্কদের মতো টুনা মাছের ঝোলে
নিজের শার্টের হাতা মাখামাখি করে ফেলি।
তোমাকে নিয়ে ভাবি যখন আমি আড়াই মিনিটে বের হয়ে আসি
আমার সকল পৌরুষ সহকারে।
তুমিই হয়তো শুধু একজন ছিলে যে তারপরও
বহুদিন কিছু বুঝতে দাও নি ব্যবহারে।
তুমিই ছিলে একজন- যে বলেছিল
পৃথিবীতে নারী-পুরুষের মধ্যে
কয়িটাসের চেয়েও বড়, বহু কিছু আছে,
এবং আসলেই কোনোকিছুই ব্যর্থ হয়ে যায় না,
যতোদিন একটা মানুষ বেঁচে থাকে।
তবু শুধু একটা কথাই বুঝতে পারি না, জানো?
বেঁচে থাকাটা যদি শুধুই শরীরি উপস্থিতি হয়
তাহলে কেন আমি আজকাল
জীবিত অনুভব করি না?
কেন?
---
বাহ!
হাই রশীদা'পু, অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। কেমন আছেন?
অনেকদিন নতুন কবিতা দেন নাই!
মন্তব্য করুন