ন্তমনে নীর
সান্তনু বিশ্বাস ছেলে হিসেবে খুব সাধাসিদা টাইপের। সামাজিকতার মানদন্ডে বিচার করলে সে নিজের পরিমণ্ডলের বাইরে খানিকটা অন্তর্মুখী। কাজের ক্ষেত্রে বিবেচনাপরায়ণ, স্বেচ্ছাশ্রমী। অফিসে সবার আগে যেতে না পারার জন্য সৃষ্ট অন্তর্দহন তাকে প্রতিদিন ছুটির পর আরও দু'ঘন্টা চেয়ারে আটকে রাখে। প্রয়োজন পড়লে সেই দুই ঘন্টা বেড়ে চার ঘন্টায় দাঁড়ায়। তবু সে কখনও অফিসের কাজে গড়িমসি দেখায় না। অনেকে আছে যারা ওর মতো সিরিয়াসলি অফিসটাকে নিতে পারে না কিংবা নেয় না। কিন্তু সেসব লোকদের অন্যত্র উপযোগ আছে। অনেকের আবার বাজারে 'কুল' হিসেবে সুনাম আছে। শুধু কুল হওয়ার কারণে তাদের জীবনের অনেক কাঠিন্য তরল হয়ে গেছে। সান্তনুর ওরকম বিশেষত্বগুলোর কোনোটিই নেই। জীবনের সরল অংকটাকে নিয়ে সেই যে ছোটবেলায় একবার বসেছিল, তারপর শিশু সান্তনু মধ্যজীবনে প্রবেশ করেছে; অথচ অংকটা কি এখনও কোথাও মিলেছে কিনা সে জানে না।
দেশের বাইরে পড়তে আসার পেছনে অংকটা মিলিয়ে ফেলতে পারবে বলে মনে হওয়ার একটা ভূমিকা রয়েছে। সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনাও দাঁড় করিয়েছিল সে, যার অধিকাংশই অনুমিত ফলাফল এনেছে শেষ পর্যন্ত। মাঝের দিনগুলো উত্তাল ছিল। সে সময়টাতে সান্তনুকে বন্ধুরা কখনও যেমন উতলা হতে দেখেছে, কখনও আবার তেমন শান্তমনে নীরবে কঠিন সময় পার করতেও দেখেছে। ওর আজকের জীবনটা
মন্তব্য করুন