খাল ড্রোগো হাইপোথিসিস
১.
গবেষণার সাথে কি মানুষের সাইকোলজিক্যাল যোগাযোগ থাকতে পারে? যেমন, একটা মানুষ হয়তো জানেই না যে সে মূলত গবেষক হয়ে জন্মেছে, কিন্তু কাজেকর্মে নানাসময় গবেষকদের মতো আচরণের প্রমাণ রেখে গেছে। গবেষণা বিষয়টা আসলে কি? কোথায় গবেষণার ধারণা প্রথমবার জন্ম নেয়? এইসব প্রশ্ন মাথায় আজকাল ঘুরপাক খায়। আর প্রথম বরফপাতের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে জীবনের না পাওয়াগুলো ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে থাকা সিচুয়েশনটার কথা মনে পড়ে।
আসলে বরফপাতের মধ্যেই সমস্যা আছে। বরফের মধ্যে হাঁটতে থাকলে মনের কোন সেন্সরটা যে কোন কারণে অন আর অফ হয়, সেটা বোঝা সহজসাধ্য নয়। যে কারণে মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটাও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। পিংক ফ্লয়েড শোনার সময়ের মতো উল্টাপাল্টা জিনিস মনে পড়ে। অন্ধকার ঘরে। আর একটা হয়তো মারিয়ুয়ানার সাথে।
২.
এই লেখার মূল কন্টেন্ট হচ্ছে খাল ড্রোগো হাইপোথিসিস। হাইপোথিসিস'টি কি, কিভাবে এটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়, এবং কেন এ হাইপোথিসিস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি- এখানে তা নিয়ে লেখার চেষ্টা হয়েছে।
খাল ড্রোগো হাইপোথিসিস মূলত একটা স্টেরিওটাইপ বেইজড্ কনসেপ্ট যেটা বলছে, মেয়েরা যতোই জ্ঞানের প্রশংসা করুক, শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, ইউরোপীয়ান-এশিয়ান ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে স্টেরিওটিপিক্যালি 'প্রি-সেট' করে রাখা 'অপশন'গুলোই সিলেক্ট করবে। মেয়ে বলতে এখানে তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে, যারা সমাজের বাতলে দেয়া পথে জীবন যাপনের আগ্রহ লালন করে। অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্টের পক্ষের প্রতিটি নারীকে এই কনসেপ্টের বাইরে ধরে নিয়ে প্রস্তুতকৃত এই হাইপোথিসিসটি যথাযথ গবেষণার মাধ্যমে 'রি-চেক' করা প্রয়োজন। কেন সেটা দেখা যাক।
'স্টেরিওটাইপ' তর্কসাপেক্ষে পৃথিবীর সমসাময়িক একটি বড় সমস্যা। নানা জাতিকে নানা রকমের চশমা দিয়ে দেখার প্রবণতা পৃথিবীর সব দেশের সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই আছে। স্টেরিওটাইপ চলে যুগের পর যুগ ধরে। আমরা গানের লাইনে পাই, জার্মান হলে বোতল বোতল বিয়ার খাওয়ার প্রয়োজন আছে। এটা আসছে কোথা থেকে? ঠিক একই জায়গা, যেখান থেকে চাইনিজদের নাঁক বোঁচা বা চোখ ছোট কথাগুলো বলে সুখাহরণের প্রেরণাটা আসছে। ওই কথাগুলোর মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে তার মনের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোকে খোঁচানোর আদিম এক প্রবৃত্তিকে খাওয়ায় এবং লালন করে।
এই সংকটকে ঠিকঠাকমতো চিহ্নিত, এবং মোকাবেলার উপায় বের করার জন্য আমাদের খাল ড্রোগো হাইপোথিসিসের ওপর গবেষণা করার দরকার আছে।
গবেষণার জন্য তাহলে এখন একটি 'প্রশ্ন' প্রস্তুত করা প্রয়োজন। কি হতে পারে সেটা? খাল ড্রোগো হাইপোথিসিস- নামকরণের কাহিনী জড়িয়ে আছে আমেরিকান টিভি চ্যানেল এইবিও'র এক জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল গেম অফ থ্রোন্স-এর তিনটি চরিত্রের সাথে। ডিনেইরিস, জন স্নো, এবং খাল ড্রোগো।
লিমিটেশন অ্যালার্ট, এই পর্যায়ে উল্লেখ করতেই হয় যে, গবেষকের জন্য এই গবেষণা শুরুর আগে দি সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার সিরিজের বইগুলো পড়া জরুরি। কেবল তাহলেই যেকোন অবস্থা নির্বিশেষে পাঠককে (যেমন, টিভি সিরিয়াল দেখার অভ্যাস থাকা বা না থাকা, মিডিয়া প্রোডাক্টের ভোক্তা হওয়া বা না হওয়া ইত্যাদি) চরিত্রগুলো সম্পর্কে সহজে একটি ধারণা দেয়া সম্ভব হবে। যেহেতু সেটা এখন সম্ভব হচ্ছে না সেহেতু, আমরা আমাদের আইডিয়ার চশমা দিয়ে বরং চরিত্রগুলোর দিকে দেখার চেষ্টা করি।
আইডিয়াতে 'মেয়ে' বলতে যাদের বোঝানো হয়েছে, তাদেরকে রিপ্রেজেন্ট করছে ডিনেইরিস, জ্ঞানীদের রিপ্রেজেন্ট করছে জন স্নো, এবং স্টেরিওটাইপনির্ভর সিলেকশনগুলো হচ্ছে খাল ড্রোগো। সুতরাং হাইপোথিসিসের বৈজ্ঞানিক চেহারাটা দাড়াঁচ্ছে:
জন স্নো যতোই কুল হোক না কেন, ডিনেইরিস সবসময় মেটিং-য়ের ক্ষেত্রে খাল ড্রোগোকে সিলেক্ট করবে।
৩.
কিভাবে এই গবেষণাটা চালানো হবে? কোয়ালিটেটিভ অ্যাপ্রোচ। স্যাম্পল চুজ করার ব্যাপারে নারী ও পুরুষের সমান সংখ্যা নিশ্চিত করা জরুরি, কেননা এটা একটা মানব-মানবীর সম্পর্কভিত্তিক গবেষণা। সুতরাং দুই পক্ষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। অর্থাৎ আমরা নমুনা সংগ্রহ করবো কোটার ভিত্তিতে। নারী ও পুরুষ কোটা থেকে সমান সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
তাদের কাছ থেকে আমাদের ধারণার উপরে মতামতটা সংগ্রহ করা হবে, অডিও ফরম্যাটে। সাক্ষাৎকার নেয়ার মাধ্যমে। সাক্ষাৎকারের দিকনির্দেশনার জন্য একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হবে, আমাদের প্রশ্নটির প্রতিটি টার্মের বিস্তারিত ব্যাখ্যার সাথে জড়িত পূর্বতন গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে। যেমন, আমাদের প্রশ্নে মেয়ে টার্মটি কি বোঝাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটা আগে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য টার্মগুলোও (যেমন স্টেরিওটাইপ, প্রি-সেট, মেটিং, অপশন ইত্যাদি) কি বোঝাচ্ছে এবং কোথায় সে সম্পর্কে পূর্বে গবেষণা হয়েছে, সেসব গবেষণায় কি পাওয়া গেছে- সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে, গাইডলাইনটি প্রস্তুত করা হবে।
ইন্টারভিউয়ের কারণ হচ্ছে, এই মেথডে তথ্য সংগ্রহের সময় মানুষকে বেশি সৎ ও খোলামেলাভাবে কথা বলার আগ্রহ দেয়া যায়। যেটা গবেষণার নির্ভরতা নিশ্চিতে অনেকাংশে ভূমিকা রাখে। এ কারণেই একটি দলকে নিয়ে থিমনির্ভর কোনো আলোচনার মাধ্যমে (ফোকাস গ্রুপ বলে যেটাকে) তথ্য সংগ্রহকে এ ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়। কেননা, তাতে মানুষকে খোলামেলাভাবে কথা বলার আশ্বাসটা সেভাবে দেয়া যায় না।
৪.
আর মাত্র দু-তিনটি কথায় এই গবেষণা প্রস্তাবনাটির ইতি টানা হবে। খাল ড্রোগো হাইপোথিসিসের ওপর গবেষণার যৌক্তিকতা নানামুখী। পৃথিবীতে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক যদিও একটি উপর্যুপরি অন্বেষিত বিষয়, তারপরও বিষয়টির ওপর চালানো প্রত্যেকটা নতুন গবেষণাই নারী-পুরুষের সম্পর্ককে উন্নতির পথে রাখতে সাহায্য করে।
কেন কোয়ালিটেটিভ? খাল ড্রোগো একটি নতুন হাইপোথিসিস। এটার ওপরে গবেষণা করতে চাইলে শুরু থেকেই করতে হবে। আজ থেকে ৫০ বছর আগেও যেসব সামাজিক গবেষণা হয়েছে, কিংবা হাইপোথিসিস চিন্তা করে সেগুলোর ওপর বৈজ্ঞানিক মেথড প্রয়োগ করা হয়েছে, সেসব গবেষণার ফলাফল আমাদের এই নতুন গবেষণায় ভুল প্রমাণ হওয়ার অনেক সুযোগ আছে।
আজকের মডার্ণ দুনিয়ার মানুষের গায়ের রং, চুলের রং, চোখের রং থেকে শুরু স্টেরিওটাইপ চিহ্নিত করা সম্ভব এমন প্রতিটি বিষয়ের ওপরই গবেষণা হওয়া জরুরি। কেননা প্রযুক্তির উন্নতি সামাজিক উন্নয়নের গতিপথকে অনেকাংশেই পাল্টে দিয়েছে। নতুন সময়ে কিভাবে মানুষ বিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াচ্ছে, সেটা দেখাও কিন্তু কম জরুরি নয়। আজ আমরা ন্যানো-কম্পিউটার-টেকনোলজি ব্যবহারের স্বপ্ন দেখছি। ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব যন্ত্র আগামী দিনে মানুষের প্রয়োজনে বানানো হবে, সেসব যন্ত্রকে তো প্রথমে জানতে হবে যে, মানুষের মনে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ইত্যাদির বিভাজন কি আজও বিরাজ করছে, নাকি মুছে গেছে? তা না হলে যন্ত্রের প্রয়োগে নানাবিধ সমস্যার জন্ম হওয়াই স্বাভাবিক।
৫.
বরফ এখনও পড়া শুরু হয় নাই। বরফের জন্য কোনো অপেক্ষাও আমার নাই। বরফের কারণে রাস্তা-ঘাট দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হয় অনেক। তারচেয়ে রোদ ঝলমলে গ্রীষ্মকালই ভাল। জীবনের স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা পাওয়াগুলোর কথা ভেবে আনন্দময় সময় কাটাতে পারাটা সবচেয়ে ভাল।
তারপর সেটাই ঠিক করে দিতে পারে পরের সময়গুলোর গতিপথ। একবার সেই পথটা খুঁজে পাওয়া, আর সব সংকট পাশ কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করা সমার্থক। আমরা যদি সমাজ ও পৃথিবীকে আমাদের কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই, তাহলেও সে পথ খুঁজে পাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে চেষ্টাটা ক্রমাগত চালিয়ে যেতে হবেই।
ভাল থাকুন সবাই। আজ এ পর্যন্তই।
---
স্রোতের বিপরীতে যদি দাঁড়িয়ে থাকা পাওয়াগুলোর কথাই ভাবা জরুরী। সুন্দর লিখেছেন। প্রশ্ন রয়ে গ্যালোঃ না পাওয়াগুলো স্রোতের অনুকূলেই ভেসে চলে কি? জীবন নামের স্রোতটা তাহলে পুরোটাই না পাওয়ার সমাহার! দারুণ কনসেপ্ট!
মানে কি 'জীবন নামের স্রোতটা না-পাওয়ার সমাহার' একটা দারুণ কনসেপ্ট?
যদি হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো, এটা একটা নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ। হ্যাঁ, হতে পারে ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে এটা সত্যি। জীবনটা ভর্তি নানারকম না-পাওয়ায়। যেগুলো হয়তো সেই ব্যক্তি ন্যায়সম্মতভাবে ডিজার্ভ করছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পায় নি। যেমন, আমার নিজের প্রেক্ষাপটে বলা যায়, পাওয়াগুলো স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে কিছু কিছু সময়ে। আবার যদি অন্যভাবে ভাবি- তাহলে বলা যায়, অনেক কিছুই পেয়েছি আমি যেগুলো হয়তো ডিজার্ভ করতাম না।
সুতরাং, স্রোতের বিপরীতে পাওয়াদের দাঁড়িয়ে থাকা, মূলতঃ আমার গল্প। তাও পুরো জীবনের গল্প না। একটা সময়ের কথা, যখন সত্যিকারের পাওয়ারা একটা আরেকটার কাছ থেকে এত দূরে দূরে, আর মাঝখানটা না-পাওয়া দিয়ে, বা প্রায় পেয়ে যাওয়া বস্তুর শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া দিয়ে, এত ভরপুর যে, সিচুয়েশনটা বোঝাতে স্রোতের উপমা ব্যবহার করতে হয়েছে।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনের গল্প প্রত্যেকের চেয়ে ভিন্ন। তাই আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ মেথোডলজি প্রয়োগপূর্বক বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো ছাড়া, জীবন সংক্রান্ত কোন সরলীকৃত কনসেপ্টই আসলে অবাধে গ্রহণ করা সম্ভব না
জীবন আসলে সরল কোনো ব্যাপার না। জীবনের ধারণা আমাদের মাথার ভেতরে কি যে করে আমি জানিনা। সুখী বা অসুখী হবার সাথে আমাদের মাথার ভেতরের আবেগী হরমোনগুলোর খুব ক্রিটিক্যাল সম্পর্ক। আমরা জানিনা ঐ সব কেমিকেল যৌগ কীভাবে কাজ করে। সেই কারণেই "কেউ সুখী হয় কেউ হয় না।" কিন্তু যারা হয় তাঁরা কিভাবে হয়? আমার জীবন খুবই জটিল হয়ে যাচ্ছে আজকাল।
তবে কোনো কোনো জীবন খুবই সরল লাগে। যেমন উত্তরবঙ্গের কোনো এক হাইওয়ের পাশে ছোট্ট একটা দোকানে দেশি মুরগি আর হাঁসের মাংস বিক্রি করে যে বয়স্ক চাচা চাচী- ওঁরা হয়তো সরল জীবনই যাপন করে এসেছে এতোটা দূর। অথবা ওস্তাদ শহীদ পারভেজের জীবন। খুব অল্প বয়স থেকে সঙ্গীত সাধনায় মজে আছেন, সেটা সরল জীবন নয় কি? কিন্তু যাদের কথা লিখলাম তাঁরা নিজের জীবনকে সরল করে দ্যাখেন কি না তা জানার উপায় তো নেই। আমি মানুষের 'না পাওয়া' সঙ্ক্রান্ত এই ধাঁধার সমাধান খুঁজে বেড়াই ভেতরে ভেতরে। কিন্তু কিছুই পাই না।
যারা সুখী হয় তারা কিভাবে হয়, এটা জানার জন্যই তো গবেষণা করতে হবে। পুরোনো গবেষণা যেগুলো আছে, সেগুলো পড়ে আগে বুঝতে হবে কোথায় ফাঁক আছে। তারপর সেটাকে নতুন গবেষণা দিয়ে ভরাট করতে হবে।
আর মানুষের সাথে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই। উত্তরবঙ্গের চাচা-চাচীকে জিজ্ঞেস করলে অন্তত জানতে পারতি তারা জীবনকে কিভাবে দেখেন, তাদের কাছে কোনটা না-পাওয়া হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে ইত্যাদি। হয়তো উচ্চবিত্ত বা উচ্চ-মধ্যবিত্তের মানসিকতা থেকে বিচার করলে সেই না-পাওয়াটাকে খুব সামান্য একটা বিষয় বলে মনে হবে। কিন্তু জিজ্ঞেস করাটা জরুরি ছিল।
যে কথাটা বলতে চাচ্ছি, তোর ধাঁধাঁর সমাধান খুঁজে পাওয়া আসলেই সম্ভব কিনা তা তর্কসাপেক্ষ কিন্তু, যা খুঁজছিস তা পাওয়ার পথে আছিস কিনা, নাকি ভুল পথ ধরেছিস- সেটা জানা সম্ভব। সেজন্য সবসময় কমিউনিকেটিভ থাকতে হবে। নিজেকে কতো সহজে অন্যদের কাছে বোঝাতে পারিস, অন্যদেরকে বোঝার ক্ষেত্রে কতো বিস্তারিত ও বহুমাত্রিক পন্থায় তথ্য সংগ্রহ করতে পারিস- সেগুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকতে হবে। কারো সাথে কথা বলার সময় তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে, এবং ব্রেনকে সেসব কথা বিশ্লেষণের পেছনে খাটাতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবি কোথায় তুই আছিস, এবং কোথায় যাচ্ছিস। এই বোধ জানাবে তোর ধাঁধাঁর সমাধান কোথায় লুকিয়ে আছে।
মন্তব্য করুন