কি সব দিনরাত্রি
আজকাল কোন স্বপ্ন নিয়ে ঘুম থেকে উঠি না
মিনিমাম ২ ঘন্টা ফোন চালাই বিছানায় শুয়ে শুয়ে
তারপর ক্লান্ত চোখে তাকাই বন্ধ জানালাটার দিকে,
বিচ্ছিরি বিরক্তিরা চারটা পাশ ঘিরে ভিড় করে আসে।
কোথাও একটা ইঞ্চিও ওরা ফাঁকা রাখে না
যেন ফাঁকা কোন বর্গইঞ্চি পেলেই আমি পালিয়ে যাবো
ওইখানে। লুকিয়ে পড়বো সন্তপর্ণে। তারপর বিরক্তিরা আর
আমায় খুঁজে পাবে না।
আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই কলের পাড়ে
পানির ট্যাপ- ওটাকে কলপাড় বলা যায় না,
আবার যায়ও হয়তো কে জানে
ওই কলখানা দিয়েই তো ঠান্ডা,
গরম সবরকমের পানি আসে।
তারপরও কি রান্নাঘরের পানির ট্যাপকে কলপাড়
বলা যায়? না উচিত সেটা বলা?
আমার জীবনটাকেও খানিকটা সাযুজ্যময় মনে হয়।
শুধুমাত্র অলস একটা মস্তিষ্করূপী শয়তানের কারখানা ছাড়া
যার আর কোন কিছু নেই,
মানুষ হতাশ হলে বড় বিচ্ছিরি হয়ে যায়।
একসময় যেটাকে কলপাড় মনে হতো
আজকাল পানির ট্যাপও মনে হয় না
মনে হয় কমোডের ফ্ল্যাশ।
আমার জীবনটা কি তার ভেতর জানেন?
ফ্ল্যাশের পানি যা কিছু ধুয়ে নিয়ে যায়।
আমি নিজে পরিপাক করে উৎপন্ন করেছি।
এই পুরীষ উৎপাদনের পেছনে আমি আমার
জীবনের সোনালী সময় ব্যয় করেছি।
বিশের ঘরে প্রবেশের কালে বুঝতাম না,
যতদিনে বুঝতে শিখি ততদিনে আমি
আটাশ কিংবা উনত্রিশ,
ত্রিশ ছুঁই ছুঁই আর কি।
তারপর প্রায় এক দশক ধরে খাটাখাটনি করে
বুঝতে পারলাম পুরোপুরি যে,
আমি আসলে কিছুই বুঝতে শিখি নি।
জীবনের পুরোটা সময়
অনুমানের ভিত্তিতে পার করে দেয়াটা খারাপ না- এই ছোট্ট জিনিসটা
বুঝতে বুঝতে যে কাল আমার পেরিয়ে গেল
তা বড় খারাপ লাগার জন্ম দেয়।
আগে জানলে আমি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে চিরকালের তরে
চলে যাওয়ার চেষ্টাটা সময় থাকতে করেই বসতাম।
এখন মাটির নিচে পয়ো:নিষ্কাশন পথের ঘন তরল হয়ে বয়ে চলেছি মহাকাল
অথচ নিজের কোষ্ঠকাঠিন্য,
ব্যাপারটা অনুধাবন করা একেবারেই সহজ না।
চেষ্টা করে যারা পারলেন, তাদের সেলাম, যারা পারলেন না, তাদেরও।
এ জীবন নিয়ে আমার
কোন মোহ ছিল না কখনও।
---
মন্তব্য করুন