জনপদের দাবানল যদি গদিতে ছড়িয়ে যায়...
বাঘাইছড়ি জ্বলছে । জ্বলছে খাগড়াছড়ি । সেখানকার প্রকৃত ঘটনা জানা যাচ্ছেনা । তবে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে । গ্রামগুলো পাহাড়ীদের । পাহাড়ীরা ভিন গ্রহের প্রাণী না । এদেশেরই বাসিন্দা । সংখ্যালঘু বলে আজ তারা নির্যাতিত । গৃহহীন । ভয়াবহ সব অভিযোগ আসছে । আতকে উঠার মতো । সেইসব অভিযোগ সত্যি হলে, মাটির কাছে আমাদের মাথানত হবার যথেষ্ট কারণ আছে ।
পাকীস্তানী হায়েনারা যেরকম জঘন্য অন্যায় আচরণ বাঙালিদের সঙ্গে করেছিলো, একই কায়দায় আমার দেশের কোন গোষ্ঠিকে দাবিয়ে দিতে চায়লে, শেষ করে দিতে চায়লে তার ফল শুভ হবেনা, এটুকু বুঝার জন্য খুব বেশী জ্ঞানী হবার দরকার পড়েনা ।
কিন্তু নাম বদলের ফালতু রাজনীতিতে মত্ত থাকা আমাদের ফালতু রাজনীতিকরা কি বিষয়টা বুঝতে পারছেন, তারা কি বুঝতে পারছেন না ? সরকার কি বুঝতে পারছেন, সরকার কি বুঝতে পারছেন না ?
জনপদের দাবানল সরকারের গদিকেও নড়বড়ে করে দিতে পারে । দেশ এবং দেশের নাগরিকের অভিভাবক হিসাবে সরকারকেই এর দায়ভার নিতে হবে । সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে । এই অন্যায় আচরণ বন্ধে কার্যকর কর্মসূচী নেয়া সরকারের পক্ষেই সম্ভব ।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের কোন বক্তব্য কি পাওয়া গেছে ?
সরকারের ভূমিকার নিন্দা জানাই। পাহাড়ী ভাইবোনদের হত্যাযজ্ঞে নিজেদের পাকি ভূমিকায় দেখতে লজ্জা লাগছে।
অবাক লাগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে, সংখ্যালঘু একটি সম্প্রদায়ের অধিকারকে দলিত করবার সংবাদে সরকার নামক জিনিষটির কোন প্রতিক্রিয়া না দেখে !
পাকীস্তানী হায়েনারা যেরকম জঘন্য অন্যায় আচরণ বাঙালিদের সঙ্গে করেছিলো, একই কায়দায় আমার দেশের কোন গোষ্ঠিকে দাবিয়ে দিতে চায়লে, শেষ করে দিতে চায়লে তার ফল শুভ হবেনা, এটুকু বুঝার জন্য খুব বেশী জ্ঞানী হবার দরকার পড়েনা ।
ভাইরে ... কে কারে বুঝাইবো? নাম বদলানোতে ব্যস্ত সরকারের অন্য দিকে কোন খেয়ালই নেই
ওনারা নিজেগো মধ্যে শিক্ষাদীক্ষা নিতে ব্যস্ত । এইসবে চোখ ফিরানোর সময় কই ?
ওদের গোয়ার্তুমি...আমাদের দূর্ভাগ্য !
নাম বদলানোতে ব্যস্ত সরকারের অন্য দিকে কোন খেয়ালই নেই
--- অবস্থাদৃষ্টে তাইতো মনে হচ্ছে !!!
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে!
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে!
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে
বাংলাদেশে তেহেলকা টাইপ নিউজ প্রচার করার কেউ নাই? যারা কারো দাবড়ানির মুখে থাকে না?
এই প্রশ্নটা চ্যানেল মালিক আর সাংবাদিক গো রে কেউ জিগায়তে পারেন ?
বাংলাদেশের কোন সরকার বা কোন বিরোধীদলের সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করার হ্যাডম নাই এবং এই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় না সরকারের নীতিও আলাদা; এই ইস্যুতে কি বিএনপি এখন পর্যন্ত কিছু বলছে সরকারের অনস্থানের নিন্দা জানায়া। সামু ব্লগ যদি ছোট পরিসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে তাইলে সমতলের বাসিন্দারা পাহাড়িদের উচ্ছেদ ই চায়; আমাদের চোখে তারা অন্যরাষ্ট্রের মদদে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাইতেছে...ব্লা ব্লা ব্লা।
আমাদের সেনাবাহিনীর সৈন্যরা দেশের জন্য জীবন দেয়ার প্রতিজ্ঞা করছে কিন্তু বেহুদা কোন মায়ের কোল খালি করার অধিকার তো কারো নাই; এই ঘটনায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের কারো মৃত্যুই তো গ্রহনযোগ্য না।এই বিরোধের সমাধান হপয়া উচিৎ রাজনৈতিক ভাবে তা না করে হইতেছে মৃত্যুর আয়োজন। আজব।
সেইটাই !
রাজা যায় রাজা আসে, আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন নাই ।
তারা কেবল জনগণের শ' শ' কোটি টাকা ব্যয়ে নামের বদল করে !
আর অন্যদল তার প্রতিবাদ করে । মানুষের মৃত্যু, জনপদের দাবানল তাদের কাছে ডালভাত, রাজনীতিটাই আসল ! অবাক ব্যাপার, দু'টা দলকেই এ জায়গাতে একই রকম নীরব দেখা যাচ্ছে !
আর সামুর খোলা মাঠে এখন জামাতীরা ভালোই গোল দিতেছে । তাদের হিসাবে না আনাই ভালো ।
সংসদের অধিবেশন কবে? জনপ্রতিনিধিরাও মুখ বুজে থাকেন কিনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথমত সংসদে বিরোধী দল যাবেই না। আর যদি যায়ও তাহলে গিয়া এয়ারপোর্ট ইস্যুতে ৩০ মিনিট ঝগড়া কইরা ওয়াক আউট মারবে। আর এর পর সরকারী দল ওয়াক আউট নিয়া রঙ্গ তামাশা আর ইতিহাসের বুলি কপচাবে। আর কিছুই হবে না। বড়জোড় বিচ্ছিন্ন ঘটনা বইলা এই বড় ইস্যুটারে ধামাচাপা দিবে। এসব মুখস্ত হয়ে গেছে।
অন্য কে কী করবে জানা আছে; পার্বত্য এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কী ভূমিকা রাখেন দেখতে চাই।
আমার যা বলার, আহমেদ রাকিব বলে দিছে !
ইস্যুটাতে কোন একটা লুক্কায়িত রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে কিনা ভাবতে হবে। দুর থেকে কোন কিছু আন্দাজ করা যায় না। কিন্তু পাহাড়ে সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নেবার মানসে সরকারের ভেতরে বা বাইরে কারো কোন সুক্ষ্ণ চাল কিনা ভেবে দেখা উচিত।
একটা কিছু রাজনীতি অবশ্যই আছে ।
এবং এই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পক্ষও একাধিক !
শুধু আমাদের মতো আমজনতার চোখের আড়ালে হয় সেইসব !
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে!
সরকারকে জনগনের আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে!
মূল ঘটনার কার উস্কানিতে হচ্ছে সেটা বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না। এখন যেটা ঘটছে সেটা আসলে কোন মূল ঘটনা না। পাহাড়ি বাঙালিকে মারছে, তাই বাঙালিরা পাহাড়িদের মারছে, আবার পাহাড়িরা মারছে,.. এভাবেই চলছে।
কোন মিডিয়াই তেমন একটা সুস্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছে না। কেমন একটা ধোঁয়াশা।
এটার ভেতর কোন কোন শক্ত হাত আছে, এটা আসলে মিডিয়াও এখনও পুরোপুরি জানে বলে মনে হয়না, কিম্বা জেনেও, সেই শক্ত হাতের থাবাকে ভয় করছে !
সরকারের এরকম কাজ লজ্জায় ফেলে দিল আমাদের কে ।
বারবার আমরা লজ্জিত হই, বারবার মস্তক অবনত হয় আমাদের !
একরাশ ঘৃনা
মানুষ তারা নয়
হায়না
আন্তরিক ধন্যবাদ তানবীরা ।
অনেক দেরিতে দেখলাম বলে দুখিত ।
মন্তব্য করুন