মন মন মন সে তো পাল ছেড়া তরী
পেইনফুল এক অফিসে বসে পেইনফুল কিছু কাজ করার সময় বাইরে তাকিয়ে দেখলাম ঝমঝম বৃষ্টি ঝরছে। পিপাসার্ত এক প্রাণীর মত অফিসের কাঁচেঘেরা দেয়ালের মধ্য দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিলনা। এরকম একটা দিনে কি আর অফিসের কাজ করতে ভাল লাগে? ইচ্ছে হচ্ছিল এক ছুটে ক্যাম্পাসে চলে যাই। আমার প্রিয় ক্যাম্পাস। ঝুম বর্ষায় মল চত্বরের ভেজা সবুজ ঘাসে বৃষ্টির গন্ধ গায়ে মেখে হেঁটে চলা আর আমার একটানা কথা বলে যাওয়া।
গাড়ি সার্ভিসিংএ যাওয়ার কারনে সকালে সিএনজির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক সিএনজি ড্রাইভার আমাকে দেখে দৌড়ে এসে বললো, "মামণি কোথায় যাইবেন আমার সিএনজিতে উঠেন, আমি আপনারে পৌঁছায় দিব"। আমি একটু অবাক হলাম কথা শুনে। পরে উনি যেটা বললো তার অর্থ হচ্ছে, আমি নাকি দুইদিন উনার সিএনজিতে করে অফিসে গিয়েছি আর সেই দুদিন উনার খুব ভাল কামাই হয়েছে সেজন্য আজকে অনেকদিন বাদে আমাকে দেখে দৌঁড়ায় এসছে সিএনজিতে নেয়ার জন্য। শুনে ভাল লাগলো এবং তার সিএনজিতে করেই আমি যথারীতি অফিস পৌঁছালাম।
আমার মধ্যে একটা সিভিয়ার সমস্যা আছে। আমি বানান ভুল ব্যাপারটা একদম নিতে পারিনা। সেটা কি ইংলিশ আর কি বাংলা। বাংলা বানান ভুল করলে আরো অসহ্য ঠেকে। অফিসে আমার পাশের কলিগ যদি রিপোর্ট বা মেইল লিখতে থাকে আর আমার চোখে যদি কোন বানান ভুল ধরা পড়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করে দিতে থাকি আর মনে মনে বলি এরা কি স্পেলিং চেকারও দেখে না নাকি। কলিগরা আমার এ অভ্যাসের সাথে পরিচিত তাই ওরা বিরক্ত না হয়ে বরং হাসে। অনেকে এসে আবার বলে, “কি গ্রামার টিচার, দ্যাখতো রিপোর্টটা ঠিক আছে নাকি”। আমি হাসি আর চেক করি। বানান, গ্রামার সব দেখি। অফিসে আমারে অনেকে প্রুফ রিডারও ডাকে। আমি মজা পাই। একবারের একটা গল্প বলি। খুব ছোট বয়সে আমার রিউমেটিক ফিভার হয়। তখন আমার নয় কি দশ বছর বয়স। আমাকে প্রত্যেক মাসে ডাক্তারের কাছে যেয়ে ইঞ্জেকশান দিতে হয়। রোগীর নাম লিখে রাখার জন্য ডাক্তারের যে এসিস্ট্যান্ট ছিল সে নামের বানান লিখতে প্রচুর ভুল করতো। প্রায় প্রতিটা নামই সে লিখতে গিয়ে ভুল করতো। আর আমি লোকটার সামনে দাঁড়িয়ে কোমড়ে দুই হাত রেখে বানান ঠিক করার জন্য বলতাম। না ঠিক করার পর্যন্ত আমি বলতেই থাকতাম। অনেক সময় তাকে ভুল বানান কেটে আবার শুদ্ধ করে লিখতে বাধ্য করতাম। লোকটাও খুব মজা পেত আর আমার ধারণা আমাকে জ্বালানোর জন্য সে ইচ্ছে করেই আরো বেশি করে নাম ভুল লিখত। যেদিনই আমার ইঞ্জেকশানের ডেট থাকতো, আব্বু বা আম্মুর সাথে ডাক্তারের চেম্বারে যেতাম এবং নেমেই দৌঁড়ে চলে যেতাম ঐ লোকটার কাছে। আমার সিরিয়াল আসার আগ পর্যন্ত আমি তাকে এমনি করে জ্বালাতাম। তারপর যখন সবাই মিলে আমাকে ইঞ্জেকশান দিয়ে দিত ছোট্ট আমি চিতকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় আসতাম।
স্কুলে মিশু নামের একটা ছেলে আমাকে খুব পছন্দ করতো। ও আমার ক্লাসমেট ছিল। আমাদের স্কুলে সকালের শিফটে মেয়েরা এবং বিকেলের শিফটে ছেলেরা ক্লাস করতো। মেয়েদের ছুটির সময় ছেলেরা স্কুলে ঢুকতো। আমাকে স্কুলে আনা- নেয়া করার জন্য একটা বুয়া ছিল। তো এরকম আসা- যাওয়ার পথে মিশু একদিন আমাকে আটকায় আর বলে আমার সাথে নাকি ওর কিছু কথা আছে। সঙ্গে সঙ্গে বডিগার্ড বুয়া বলে, “ওর সাথে কোন কথা থাকতে পারেনা যা বলার তুমি আমারে কও”। মিশু উত্তর দেয়, “আপনি সরেন। যা বলার আমি ওকেই বলবো”। এভাবে এক কথা দুই কথায় বুয়া আর মিশুর মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। মিশু কিন্তু গুন্ডা টাইপ ছেলে ছিলনা। তবুও কিভাবে যেন রেগে গিয়ে বুয়ার উপর ঝাপায় পড়ে। আর আমার বুয়াতো আমার বডিগার্ড। সেও কম যায়না। সেও পালটা আক্রমণ করে। ওদেরকে মারামারি করতে দেখে আমি পাশে দাঁড়ায়ে ভয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না শুরু করি। সেই মিশুর সাথে আমার হঠাত করেই আরেকদিন একটা অনুষ্ঠানে দেখা। আমি দেখামাত্রই ওকে চিনতে পারার কারনে কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "ক্যামন আছো"? দেখলাম সেও আমাকে চিনতে পেরেছে। এবং হেসে দিয়ে বললো, "ভাল। তুমি ক্যামন"? কিছুক্ষন গল্প করে জানতে পারলাম সে বিয়ে করেছে, একটা বাবুও আছে। তারপর হঠাত করেই ও আমাকে বললো, “মনে পড়ে তোমার জন্য তোমার বুয়ার সাথে একদিন মারপিট করেছিলাম”। সেদিনের গল্প করতে গিয়ে আমরা খুব মজা পেলাম। আজ এতোদিন বাদে ও আমাকে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা প্রিয়, তুমি কাঁদছিলে ক্যানো সেদিন”? প্রশ্নটা শুনে আমি খুব লজ্জা পেলাম।
বোকার মত সব ঘটনায় কেঁদে ফেলি কেন সেটা নিজেই জানিনা। অনেকদিন আগে একবার প্রেসক্লাবের সামনে একজন রিকশাওয়ালাকে থাপড় মারার কারনে আমার প্রিয় একজন মানুষকে পুলিশ হেনস্তা করছিল। আমি অন্য বন্ধুদের ফোন করে সেখানে আসার জন্য বলছিলাম। মনে আছে, সেদিনও আমি কাঁদছিলাম আর ফোনে আমার বন্ধুদেরকে বলছিলাম, “ও কোন অন্যায় করলে সেটা আমি দেখবো পুলিশ ক্যানো ওকে কিছু বলবে”?
ছোটবেলা থেকেই আমি একা একা বড় হয়েছি। যোগাযোগ দক্ষতা না থাকার কারনে আমার কোনদিনও ভাল কোন বন্ধু ছিলনা এবং এখনও নাই। সেটা নিয়ে অবশ্য আমার মধ্যে কোন দুঃখবোধ কাজ করেনা। নাচের ক্লাস, স্কুল, স্কুল পেরিয়ে কলেজ, কলেজ শেষে ইউনিভার্সিটি, এখন অফিস সব কয়টা ধাপেই নিজেকে আমি কোন এক বেড়াজালে আবদ্ধ রেখেছি। যে বেড়াজাল ভেঙ্গেছি আমি খুব অল্প কিছু মানুষের সাথে। দূরের মেঘের মত নিজেকে আমি সবার কাছ থেকে সবসময় দূরেই রাখার চেষ্টা করেছি কোন একদিনের আশায়। যদি কোনদিন! কী লাভ আমার এই দূরে দূরে থাকার!
সুইট পোষ্ট!
থ্যাঙ্ক ইউ।
দিনকাল কেমন চলে?
ভালোই, আরাম আয়েশে দিন কাটতেছে
তোমার খবর কি?
আমার যাঁতাকলে দিন কাটে। আর তোমাদের সবার লেখা পড়ে।
চাকরী বাকরী করো, সিএঞ্জি ভাড়ায় আসো যাও, যাঁতাকল বলছো কেনু?
সিএনজিতে কদাচিত আসি যাই। অন্য সময় বাপের গাড়িতে আসা- যাওয়া করি।
চাকরি আর করতে ইচ্ছে করেনা। চলো সিনেমা বানাই।
তোমার বাপের গাড়ি আছে, আমার বাপের শালাদের রিকশা আছে!
সিনেমা বানাবো একদিন। সময় আসুক। চাকরী বাকরী করাই ভালো। আমার মতো বেকার ট্যাগ খেয়ে গেলে বিপদ!
হবু বিসিএস ক্যাডার যদি এই কথা বলে তাইলেতো বিপদ। বেকার ট্যাগ খাবা ক্যান? তোমারইতো সবচেয়ে ভাল সময় এখন। নিশ্চিন্ত লাইফ। আমার মত কন্ট্রাকচুয়াল চাকরির পেইন খাওয়া লাগবেনা কোনদিন।
বসে থাকতে থাকতে আমার এখন শুধু বসে থাক্তেই ভালো লাগে, সরকারী চাকুরে যে হবো সামনে মনেই হয় না। তুমি কত ভালো সকাল বিকাল অফিস করো, রিপোর্ট লিখো, বানান শুধরাও। আর আমি ঘুমাই চারটায় উঠি দশটায়, চায়ের দোকান, আড্ডাবাজি, এমবিএর থিসিস জমা কি দিবো তা নিয়ে দোড় ঝাপ, রাতে এসে ব্লগ লেখা, গান শোনা, বই পড়াতেই সময় কেটে যায়!
এটাইতো সবচে বেশি মজা। কোন বাঁধা- ধরা নিয়ম নাই। যা খুশী তাই করতে পারো। অফিসে নোংরা পলিটিক্স চলে। কিছুদিন করার পরে আর ভাল্লাগবেনা। আর এমবিএর থিসিস নিয়ে পেইন খাওয়ার কি আছে। আমি কয়েকদিন আগে জমা দিলামতো। পুরাই কপি- পেস্ট।
কপি পেষ্ট করবো তো অবশ্যই, আমি পড়ছি ডীণের কাছে, হালা আমারে ভালোই পায় না। পাঞ্জাবী পড়া অবস্থায় বেশী দেখে হালার ধারনা আমি হিজবুতী! ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে যদি বলি স্যার আপনি কোথায়? উত্তর দেয় তা দিয়ে তোমার কি দরকার, রুমে বসে থাকো!
আরে এগুলি আসলে ভাব বুঝলানা? পাইসে একটা চান্স তাই মানুষরে পেইন দেয় আর কি। আমারটা তো কিসুই বুঝতোনা হুদাই মাতাব্বুরি করতো। সেইটা দেখলে আরো মেজাজ খারাপ হইতো।
তাও তোমার তো ভালোয় ভালোয় এমবিএ শেষ বাইচা গেছ!
আমার তো শেষ হবে হবে করছে, কিন্তু সিজিপিএর অবস্থা মলিন!
তোমার সুপারভাইজাররে পটানি দিয়ে থিসিসে ভাল একটা গ্রেড নাও তাইলে অনেকখানি কভার করা যায়। আমারতো থিসিসেই ছিল ছয় ক্রেডিট। কপি পেস্ট মারলেও আমার থিসিস ভাল ছিল। কিসু না বুইঝাই আমারে ৭০ দিসে।মনে পড়লেই রাগ লাগে।
হেব্বী তো, যুগে যুগে সত্য মেয়েরা চেষ্টা করলেই ভালো গ্রেড পায়!
ভাল গ্রেড পায় মানে? আরে আমিতো এক্সপেক্ট করসিলাম আমারে ৮০ দিবে।
এখন দেখি বেটা ৭০ দিয়া বইসা আসে।
কপি পেষ্ট করে ৮০ র স্বপ্ন দেখো? আসলেই তুমি স্বপ্নময় মানুষ!
সে এক বিশাল তর্ক সেই দিকে না যাই!
ঘুমায়া পড় গা যাও, বেহুদা ফাও প্যাচাল পারিয়া সময় নষ্ট করলাম তোমার!
আরে জিনিসটা আমি কিভাবে সাজাইসি, টপিক কি ছিল সেটা না দেখে তুমি খালি কপি- পেস্টটারেই গুরুত্ব দিলা। কপি মারসি ঠিকই তবে আমার কন্টেন্ট ভাল ছিল। আর আমি প্রায় ১০০টার মত আইডিআই করসি।
তাই নাকি ?
ব্যাপক পরিশ্রম করছেন দেখি!
হুম।
আমার হাতে অফিস থাকলে তোমার মতো পরিশ্রমী মানুষকে ভালো চাকুরী দিতাম!
আমি বিজনেস শুরু করবো।
আমারেও সাথে নিও!
ওক্কে ঠিক আছে।
দুরে থাকার দাম দেওয়ার মত টাইম আজকালকার মানুষ জনের নাই..
জানি না ক্যান, লেখাটা ভাল্লাগছে অনেক..
লেখা ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া প্রিয় বাউন্ডুলে
বিবা কি লগইন করে ঘুমায় পড়সো নাকি?
মোবাইল অলওয়েজ অনলাইন দেখায়!
লেখাটা অনেক অনেক ভাল লেগেছে।
থ্যাঙ্ক ইউ।
আমার কেন জানি এমন একটি হাওয়াই জাহাজ বানাতে ইচ্ছা করছে,
যে জাহাজ কোন ফুয়েল ছাড়া চলবে,
কোন ধোঁয়া বা শব্দ হবে না।
তাতে তব দূরে দূরে থাকাও হবে,
আমি ও ট্রিস্পাস করে তব মিষ্টি হাসি দেখতে পাব।
জানিনি না ভীমরতি কিনা,
তবুও ইচ্ছা করছে।
দারুন বলেছেন!
যদি কোনো দিন ঝরে যায় অন্ধকার..
ছোট্ট লেখাটা ভালো লেগেছে আপু! উচ্ছাস কেমন আছে?
ভালোবাসা ধুয়ে দেয় গোটা মুখ আমার
থ্যাঙ্ক ইউ লেখা ভালো লাগার জন্য।
উচ্ছাস ভালো আছে। ওর বউ খোঁজার প্রক্রিয়া চলতেসে। আপনার সন্ধানে কোন সুন্দরী পাত্রী থাকলে আমারে খবর দিয়েন।
আমাকে প্রত্যেক মাসে ডাক্তারের কাছে যেয়ে ইঞ্জেকশান দিতে হয়। রোগীর নাম লিখে রাখার জন্য ডাক্তারের যে এসিস্ট্যান্ট ছিল সে নামের বানান লিখতে প্রচুর ভুল করতো। প্রায় প্রতিটা নামই সে লিখতে গিয়ে ভুল করতো। আর আমি লোকটার সামনে দাঁড়িয়ে কোমড়ে দুই হাত রেখে বানান ঠিক করার জন্য বলতাম। না ঠিক করার পর্যন্ত আমি বলতেই থাকতাম।
কোমড় নয়, কোমর।
হুম, আমি জানি এবং আপনি বলার অনেক আগেই দেখেছি।
আরো যদি খুঁটিয়ে দেখতেন তাহলে আরো কিছু ভুল আপনার নজরে আনতে সক্ষম হতেন।
এটা বেসিক্যালি অভ্রতে টাইপ করার জন্য হয়ে থাকে।
আমার লেখা এতো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর পোষ্ট। আবেগী কথাবার্তা পড়তে আমার বরাবরই ভালো লাগে।
আমারো
নক নক
কেমন আছেন?
এইতো ভালো। মানুষজনের খবরাখবর কি?
গরমে অবস্থা কাহিল, মোহাম্মদপুরে দিনের বেলা কারেন্ট যাচ্ছে ফুল সিডিউলে!
কালকে গেসিলাম মোহাম্মদপুরে। শেখেরটেক ১৩ নাম্বার রোড। মিটিং ছিল।
তাই নাকি?
শেখেরটেক ৬য়েই আমার বাসা, মেইন রোডের সাথেই, আবার আসলে জানায়ো!
আচ্ছা ঠিক আছে।
চেনা চেনা লাগে এই অংশটুকু
থ্যাঙ্ক ইউ
থ্যাঙ্ক ইউ
১] "আমাকে প্রত্যেক মাসে ডাক্তারের কাছে যেয়ে ইঞ্জেকশান দিতে হয়"। আপনি ইঞ্জেকশন দিতেন ? নাকি নিতেন ? আমি মনে করি এটা গ্রামেটিকেল ভুল ! আপনি দিতেননা, নিতেন ! যাক ছোটবোন বলে কিছু বললামনা ।
২] এক আরাফাত শান্ত ভাইইতো সব মন্তব্য একা করে দিয়েছেন ! বড় ফ্যান দেখছি আপনার ! দু'জনকেই ধন্যবাদ !
ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এই ব্লগে শান্ত আমার ভালো বন্ধু। তাই ও আমার পোস্টে গল্প করে। আমিও ওর পোস্টে গল্প করি।
ভালো থাকবেন।
একাকীত্ব। সেও ভালো। মীমাংসিত, অমিমাংসিত সম্পর্কগুলো বড় অদ্ভুত। তাই যতটা পারা যায়, অজানা কোন আশায়, একা থাকাই শ্রেয়।
আমিও একা থাকাটাকেই প্রেফার করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন